29-07-2021, 02:15 PM
পরের দিন তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে নিলাম সবাই।
পিউয়ের আজ কলেজে ভর্তি হওয়ার দিন।
গার্গী কলেজটা বেশ নামকরা মেয়েদের কলেজ। আমার ফ্ল্যাট থেকে খুব দূরেও না।
ভর্তির কাজ শেষ হতে হতে দুপুর হল। হোস্টেলের ব্যবস্থা করতে গিয়েই শুরু হল ঝামেলা।
হোস্টেলে নাকি জায়গা নেই। যদি কোনও রুম খালি হয়, তাহলে পাওয়া যাবে।
এ তো মহা মুশ্কিল!!!!
আমি পার্থকে বললাম, ‘ভাবিস না, বহু পেয়িং গেস্ট রুম পাওয়া যায়। আমাদের পাড়াতেই আছে অনেক। হোস্টেল পেলে চলে আসবে।‘
ওরা দুজনেই একটু চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরল।
সন্ধ্যেবেলাতেই কয়েকটা পি জি রুমে গেলাম। ওদের একটাও পছন্দ হল না।
রাতে খেতে খেতে বললাম, ‘শোন, থাকার জায়গাটা কোনও সমস্যা না। হোস্টেল না পেলেও পি জি আছে। আর সবশেষে তো আমার বাড়ি আছেই! চিন্তার কী আছে!!’
পার্থ বলল, ‘তপু তোকে একটা রিকোয়েস্ট করব?’
আমি প্রায় খিস্তি দিয়েই ফেলছিলাম। সামনে ওর বোন আছে ভেবে চুপ করে গেলাম। বললাম, ‘রিকোয়েস্টের কী আছে?
‘যতদিন না পিউ একটা ঠিকঠাক পেয়িং গেস্ট বা হোস্টেল পাচ্ছে, ততদিন বোনকে তোর ফ্ল্যাটে রাখবি প্লিজ?’
‘এটা কি তোকে বলে দিতে হবে? ভাল জায়গা না পেলে ওকে রাস্তায় বার করে দেব নাকি? অদ্ভূত কথা বলিস মাইরি!’
‘না , বাবা মাও বলছে তোর কাছেই রাখতে ভাল জায়গা না পেলে।‘
‘এটা কি বলতে হবে নাকি রে?’
‘না সেটা বলতে হবে না, তবে আমি তো চারদিনের ছুটি নিয়ে এসেছি। আমাকে তো ফিরতে হবে, তার মধ্যে যদি ভাল জায়গা না পাই?’ জিগ্যেস করল পার্থ।
‘তো তুই চলে গেলে কী তোর বোনকে বার করে দেব ঘর থেকে?’
‘না না তা না, বললাম আর কি!’
‘গান্ডুর মতো কথা বললি কেন?’
পিউ বলল, ‘তোমরা গালাগাল ছাড়া কথা বলতে পার না তপুদা?’
বললাম, ‘তোর দাদা এরকম কথা বললে গান্ডু ছাড়া আর কি বলব?’
পার্থর মাথাটা একটু হাল্কা হল বোধহয়। বলল, ‘সি ডি প্লেয়ারটা চালা তো।‘
গান শুরু হল।
পিউয়ের আজ কলেজে ভর্তি হওয়ার দিন।
গার্গী কলেজটা বেশ নামকরা মেয়েদের কলেজ। আমার ফ্ল্যাট থেকে খুব দূরেও না।
ভর্তির কাজ শেষ হতে হতে দুপুর হল। হোস্টেলের ব্যবস্থা করতে গিয়েই শুরু হল ঝামেলা।
হোস্টেলে নাকি জায়গা নেই। যদি কোনও রুম খালি হয়, তাহলে পাওয়া যাবে।
এ তো মহা মুশ্কিল!!!!
আমি পার্থকে বললাম, ‘ভাবিস না, বহু পেয়িং গেস্ট রুম পাওয়া যায়। আমাদের পাড়াতেই আছে অনেক। হোস্টেল পেলে চলে আসবে।‘
ওরা দুজনেই একটু চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরল।
সন্ধ্যেবেলাতেই কয়েকটা পি জি রুমে গেলাম। ওদের একটাও পছন্দ হল না।
রাতে খেতে খেতে বললাম, ‘শোন, থাকার জায়গাটা কোনও সমস্যা না। হোস্টেল না পেলেও পি জি আছে। আর সবশেষে তো আমার বাড়ি আছেই! চিন্তার কী আছে!!’
পার্থ বলল, ‘তপু তোকে একটা রিকোয়েস্ট করব?’
আমি প্রায় খিস্তি দিয়েই ফেলছিলাম। সামনে ওর বোন আছে ভেবে চুপ করে গেলাম। বললাম, ‘রিকোয়েস্টের কী আছে?
‘যতদিন না পিউ একটা ঠিকঠাক পেয়িং গেস্ট বা হোস্টেল পাচ্ছে, ততদিন বোনকে তোর ফ্ল্যাটে রাখবি প্লিজ?’
‘এটা কি তোকে বলে দিতে হবে? ভাল জায়গা না পেলে ওকে রাস্তায় বার করে দেব নাকি? অদ্ভূত কথা বলিস মাইরি!’
‘না , বাবা মাও বলছে তোর কাছেই রাখতে ভাল জায়গা না পেলে।‘
‘এটা কি বলতে হবে নাকি রে?’
‘না সেটা বলতে হবে না, তবে আমি তো চারদিনের ছুটি নিয়ে এসেছি। আমাকে তো ফিরতে হবে, তার মধ্যে যদি ভাল জায়গা না পাই?’ জিগ্যেস করল পার্থ।
‘তো তুই চলে গেলে কী তোর বোনকে বার করে দেব ঘর থেকে?’
‘না না তা না, বললাম আর কি!’
‘গান্ডুর মতো কথা বললি কেন?’
পিউ বলল, ‘তোমরা গালাগাল ছাড়া কথা বলতে পার না তপুদা?’
বললাম, ‘তোর দাদা এরকম কথা বললে গান্ডু ছাড়া আর কি বলব?’
পার্থর মাথাটা একটু হাল্কা হল বোধহয়। বলল, ‘সি ডি প্লেয়ারটা চালা তো।‘
গান শুরু হল।