29-07-2021, 11:32 AM
রাত এগারোটা বাজে, সজল তার ফ্ল্যাটের বেলকুনিতে বসে একের পর এক সিগারেট ফুকছিল। পরিস্থিতিটা ভীষণ গোলমেলে লাগছে ওর কাছে। সে কখনো চিন্তাও করতে পারে নি যে সাইমন্ড এভাবে মারা পরবে। পরের সপ্তাহেই সজলের সিইও হিসাবে রোয়ান কন্সট্রাকশনে যোগ দেয়ার কথা ছিল , এর মধ্যে এ কেমন অঘটন ঘটে গেল। শুনেছে ছেলের মৃত্যুশোকে জিল্লুর রহমান মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। অন্যদিকে কবির ও স্নিগ্ধা পুলিশের কাছে ধরা পরেছে, ওদেরকে আপাতত বান্দরবন সদর থানায় রাখা হয়েছে। ভাবছে কাল গিয়ে স্নিগ্ধাকে নিয়ে আসবে , ওকে ছাড়া এই একটা মাস খুব কষ্টে কেটেছে সজলের। কিন্তু নিজের দুর্বলতাকে প্রকাশ হতে দিবে না, ওকে কি শাস্তি দিবে সেই বিষয়ে ভাবছিল সজল। হঠাত সজলের মোবাইলে রিংটোন বেজে ওঠে, জিল্লুর রহমানের ফোন। সজলের গলাটা শুকিয়ে যায়, ও এক মুহুর্ত ভেবে ফোনটা রিসিভ করে।
" সজল, তুমি এক্ষুনি আমার ধানমন্ডির বাড়িটাতে এস। " জিল্লুর রহমানের থমথমে কণ্ঠ শুনতে পায়। সজলের জবাবের অপেক্ষা না করেই ফোন কেটে দেয় জিল্লুর।
এতো রাতে জিল্লুর রহমানের বাড়িতে যাওয়া কি উচিত হবে? পাগল ছাগল মানুষ কি করে বসে ঠিক নাই। কিন্তু বিগ বসের ডাক উপেক্ষাও করা যায় না। সজল তার মোটরসাইকেলটা নিয়ে রওনা দেয়, আধাঘন্টার মাঝে ধানমন্ডির ঐশ্বর্য প্যালেস এ পৌছে যায়। চারতলা একটি আলিসান বাড়ি, দেখেই বোঝা যায় যে জিল্লুর রহমান খুব সখ করে বানিয়েছেন। সজল এর আগেও সাইমন্ডের সাথে এসেছিল এই বাড়িতে, তাই সিকিউরিটি বিনা বাক্য ব্যায়ে ঢুকতে দেয়।
জিল্লুর রহমান চারতলায় বারান্দায় বসে ছিল, হাতে মদের গ্লাস। সজলকে ইশারায় বসতে বলে। জিল্লুর রহমান আপন মনেই বলতে থাকে " আমার ওয়াইফ চৈতি যখন মারা যায় তখন সাইমনের বয়স ছিল মাত্র পাচ বছর। ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আমি আর বিয়ে করি নি, নিজের হাতে মানুষ করেছি ওকে। শত ব্যস্ততা সত্তেও ওর কলেজের প্যারেন্টস ডে মিস করি নি কখনোই। যুবক বয়সে হয়তো একটু বখে গেছে কিন্তু ভেবেছিলাম বিয়ের পর ম্যাচুরিটি আসবে। মেয়েও পছন্দ করে ফেলেছিলাম, ওরও আপত্তি ছিলনা। সামনের সপ্তাহে এঙ্গেজমেন্ট ডে ও ফিক্সড ছিল, কিন্তু আজ ওর জানাজা পরে আসতে হল। "
চোখ মুছে আবার বলতে শুরু করে জিল্লুর, এবার কন্ঠটা বেশ গম্ভীর " ঐদিন আমার ছেলের বান্দরবানে যাওয়ার কথা ছিল না, নিজের হবু স্ত্রীর জন্য উপহার কেনার কথা ছিল। ঐদিন ও ওখানে গিয়েছে তোমার জন্য। যদি ওর মৃত্যুর জন্য আমি তোমাকে দায়ী মনে করি তবে কি খুব বেশী ভুল হবে? "
সজল লক্ষ করে জিল্লুর রহমানের এক হাতে একটি রিভলবার। ভয়ে ওর গলা শুকিয়ে যায়। কন্ঠ যতোটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে সজল বলে " আপনি যদি সাইমনের মৃত্যুর জন্য আমাকে দায়ী মনে করেন, যদি আমাকে হত্যা করে যদি আপনি শান্তি পান তবে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু আপনাকে আমি বোঝাতে পারব না যে সাইমন্ডের মৃত্যুতে কতোটা ব্যাথিত আমি। ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। "
" ভয় পেয়ো না, আমি তোমাকে খুন করব না। কিন্তু যদি তুমি আমার কথা মতো না চল তবে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবে । " জিল্লুর বলে
"স্যার, এই রিভলবারটা আমাকে এক দিনের জন্য দিন। আমি কালকেই থানায় ঢুকে ঐ শুয়োরটাকে খুন করব। তারপর যদি আমার ফাসিও হয় তাতেও কষ্ট থাকবেনা।" সজল বলে
"তোমার নাটক বন্ধ কর সজল। তুমি কি ভেবেছ, তুমি কতোবড় সাধু পুরুষ তা আমি জানিনা? তোমার হিস্ট্রি আমার জানা আছে। তাই কোনরকম চালাকি করার চেষ্টা করবে না। তবে হ্যা, সাইমনের হত্যাকারী নিশ্চয়ই মরবে, তুমি কি ভেবেছ আমি ওকে এমনিতেই ছেড়ে দিব? ওর মৃত্যুতে পুরো দুনিয়া উল্লাস করবে, মানুষ থুতু ফেলবে ওর লাশের ওপর। " জিল্লুর বলে, ওর চোখে যেন প্রতিহিংসার আগুন জ্বলছে …
" সজল, তুমি এক্ষুনি আমার ধানমন্ডির বাড়িটাতে এস। " জিল্লুর রহমানের থমথমে কণ্ঠ শুনতে পায়। সজলের জবাবের অপেক্ষা না করেই ফোন কেটে দেয় জিল্লুর।
এতো রাতে জিল্লুর রহমানের বাড়িতে যাওয়া কি উচিত হবে? পাগল ছাগল মানুষ কি করে বসে ঠিক নাই। কিন্তু বিগ বসের ডাক উপেক্ষাও করা যায় না। সজল তার মোটরসাইকেলটা নিয়ে রওনা দেয়, আধাঘন্টার মাঝে ধানমন্ডির ঐশ্বর্য প্যালেস এ পৌছে যায়। চারতলা একটি আলিসান বাড়ি, দেখেই বোঝা যায় যে জিল্লুর রহমান খুব সখ করে বানিয়েছেন। সজল এর আগেও সাইমন্ডের সাথে এসেছিল এই বাড়িতে, তাই সিকিউরিটি বিনা বাক্য ব্যায়ে ঢুকতে দেয়।
জিল্লুর রহমান চারতলায় বারান্দায় বসে ছিল, হাতে মদের গ্লাস। সজলকে ইশারায় বসতে বলে। জিল্লুর রহমান আপন মনেই বলতে থাকে " আমার ওয়াইফ চৈতি যখন মারা যায় তখন সাইমনের বয়স ছিল মাত্র পাচ বছর। ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আমি আর বিয়ে করি নি, নিজের হাতে মানুষ করেছি ওকে। শত ব্যস্ততা সত্তেও ওর কলেজের প্যারেন্টস ডে মিস করি নি কখনোই। যুবক বয়সে হয়তো একটু বখে গেছে কিন্তু ভেবেছিলাম বিয়ের পর ম্যাচুরিটি আসবে। মেয়েও পছন্দ করে ফেলেছিলাম, ওরও আপত্তি ছিলনা। সামনের সপ্তাহে এঙ্গেজমেন্ট ডে ও ফিক্সড ছিল, কিন্তু আজ ওর জানাজা পরে আসতে হল। "
চোখ মুছে আবার বলতে শুরু করে জিল্লুর, এবার কন্ঠটা বেশ গম্ভীর " ঐদিন আমার ছেলের বান্দরবানে যাওয়ার কথা ছিল না, নিজের হবু স্ত্রীর জন্য উপহার কেনার কথা ছিল। ঐদিন ও ওখানে গিয়েছে তোমার জন্য। যদি ওর মৃত্যুর জন্য আমি তোমাকে দায়ী মনে করি তবে কি খুব বেশী ভুল হবে? "
সজল লক্ষ করে জিল্লুর রহমানের এক হাতে একটি রিভলবার। ভয়ে ওর গলা শুকিয়ে যায়। কন্ঠ যতোটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে সজল বলে " আপনি যদি সাইমনের মৃত্যুর জন্য আমাকে দায়ী মনে করেন, যদি আমাকে হত্যা করে যদি আপনি শান্তি পান তবে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু আপনাকে আমি বোঝাতে পারব না যে সাইমন্ডের মৃত্যুতে কতোটা ব্যাথিত আমি। ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। "
" ভয় পেয়ো না, আমি তোমাকে খুন করব না। কিন্তু যদি তুমি আমার কথা মতো না চল তবে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবে । " জিল্লুর বলে
"স্যার, এই রিভলবারটা আমাকে এক দিনের জন্য দিন। আমি কালকেই থানায় ঢুকে ঐ শুয়োরটাকে খুন করব। তারপর যদি আমার ফাসিও হয় তাতেও কষ্ট থাকবেনা।" সজল বলে
"তোমার নাটক বন্ধ কর সজল। তুমি কি ভেবেছ, তুমি কতোবড় সাধু পুরুষ তা আমি জানিনা? তোমার হিস্ট্রি আমার জানা আছে। তাই কোনরকম চালাকি করার চেষ্টা করবে না। তবে হ্যা, সাইমনের হত্যাকারী নিশ্চয়ই মরবে, তুমি কি ভেবেছ আমি ওকে এমনিতেই ছেড়ে দিব? ওর মৃত্যুতে পুরো দুনিয়া উল্লাস করবে, মানুষ থুতু ফেলবে ওর লাশের ওপর। " জিল্লুর বলে, ওর চোখে যেন প্রতিহিংসার আগুন জ্বলছে …