28-07-2021, 04:37 PM
স্বপ্নে বার বার ই হাসানের খাঁচা টা ঝাঁকিয়ে “ শিবা নাআআআআআআ, ওকে মের না ছেড়ে দাও’ এই দৃশ্য টা ভেসে উঠছে শিবার কাছে। জতবার ই চোখ খুলছে সামনে টা অন্ধকার। সর্বাঙ্গে ব্যাথা। আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে শিবা। জানে না কতদিন ও ছিল হাসপাতালে। যেদিন ওর ব্যান্ডেজ খোলা হল দেখল হাসান বসে আছে। একজন নার্স জুস বানাচ্ছে আর মুস্তাফা দাঁড়িয়ে আছে বিছানার ঠিক পাশেই।
- কিছু তো আছেই তোর মধ্যে শিবা। এর মধ্যেই হাসান বলে উঠল।– শিবা মুস্তাফা দা তোকে মেরেছে সত্যি কথাই কিন্তু গত তিন্মাসে তোর সব চিকিৎসা মুস্তাফা দা ই করিয়েছে… শিবা চমকে উঠেছিল। এতো খরছ ও কথা থেকে পাবে। ও বলে উঠল- কিন্তু আমি তো কিছুই শোধ করতে পারব না!!!
- হাহাহাহাহাহা ঘর কাপিয়ে হেসে উঠেছিল মুস্তাফা। - সে নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না। সে আমি ঠিক উসুল করে নেব” জুস টা দিয়ে নার্স চলে যেতেই মুস্তাফা শিবার হাত টা হাতে নিয়ে বলেছিল- জানিস শিবা ফাইটার তৈরি হয় এই খানে” বলে শিবার বুকে হাত রেখেছিল। “ এক জন বেস্ট ফাইটার মার টা খেতেই ভাল জানে। তুই পারবি ভাই। তোকে সুধু মারতে শিখতে হবে। আমি তোকে শেখাব।“ কথা টা বলার সময় উত্তেজনায় মুস্তাফা কাঁপছিল।
শুরু হয়েছিল ট্রেনিং। প্রথম তিন বছর ফাইট এর কিছুই করে নি শিবা। শুধু দৌড় আর দৌড়। শিবার আপাত নিরীহ চেহারা টা সফট ট্রেনিং আর ভাল খাবারের জোরে পেশি বহুল হতে সময় নিল। সাথে চলল লেখা পড়া। হাসান আর শিবার দুজনার ই। পার্সি দের কল্যান এ শিবার ইংরাজি টা বেশ সরগর ছিল। কিন্তু ট্রেনিং টা নিতে হত হাড় ভাঙ্গা। সকালে আর বিকালে রোজ কুরি কিমি দৌড়। একদিন দৌড় অন্য দিন পাশের পুকুর এ সাঁতার। কিছু দিন পর থেকে ১৩ কিমি দৌড়ে গঙ্গার পাড়। সেখানে গঙ্গা উজিয়ে অন্য পাড়ে গিয়ে আবার ফিরে আসা দুবার। শিবার মধ্যে তৈরি হল অভূতপূর্ব সহন শীলতা। মুখ বুঝে ট্রেনিং করতে শিবাই হয়ত পারে। চতুর্থ বছর থেকে এই দুটোর সাথে শুরু হল কিক প্র্যাকটিস আর বক্সিং। মুস্তাফা কোন আয়রন প্র্যাকটিস এ গেল না। ও চায় না শিবার পেশি গুলো শক্ত হোক। ও চায় সফট পেশী। যাকে যত টা পাড়া যাবে স্ত্রেচ কড়া যাবে। ওকে দিয়ে বড় বড় ড্রাম এ জল ভরে কপিকল দিয়ে ওপরে তোলান আর নামান হল। জোয়ারের মুখে ওই ভয়ঙ্কর জলরাশি ঠেলে আসা বড় নৌকা ওকে পা দিয়ে থামাতে শেখান হল। দুই দিকে ওজোন ঝুলিয়ে দৌড়তে বলা হল কিমির পর কিমি। তারপরে ওকে নামান হল রিং এ। ও এখন পরিপূর্ণ এক যুবক। ওকে টার্গেট দেওয়া পাঞ্চিং ব্যাগ এ মিনিটে ৪০ টা কিক করতে। আর কম করে আশি টা পাঞ্চ মারতে। রাতে ফিরে ওর মেয়াদ বলতে থাকত না। শুয়ে কোন গহিন রাজ্যে চলে যেত কে জানে।
- কিছু তো আছেই তোর মধ্যে শিবা। এর মধ্যেই হাসান বলে উঠল।– শিবা মুস্তাফা দা তোকে মেরেছে সত্যি কথাই কিন্তু গত তিন্মাসে তোর সব চিকিৎসা মুস্তাফা দা ই করিয়েছে… শিবা চমকে উঠেছিল। এতো খরছ ও কথা থেকে পাবে। ও বলে উঠল- কিন্তু আমি তো কিছুই শোধ করতে পারব না!!!
- হাহাহাহাহাহা ঘর কাপিয়ে হেসে উঠেছিল মুস্তাফা। - সে নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না। সে আমি ঠিক উসুল করে নেব” জুস টা দিয়ে নার্স চলে যেতেই মুস্তাফা শিবার হাত টা হাতে নিয়ে বলেছিল- জানিস শিবা ফাইটার তৈরি হয় এই খানে” বলে শিবার বুকে হাত রেখেছিল। “ এক জন বেস্ট ফাইটার মার টা খেতেই ভাল জানে। তুই পারবি ভাই। তোকে সুধু মারতে শিখতে হবে। আমি তোকে শেখাব।“ কথা টা বলার সময় উত্তেজনায় মুস্তাফা কাঁপছিল।
শুরু হয়েছিল ট্রেনিং। প্রথম তিন বছর ফাইট এর কিছুই করে নি শিবা। শুধু দৌড় আর দৌড়। শিবার আপাত নিরীহ চেহারা টা সফট ট্রেনিং আর ভাল খাবারের জোরে পেশি বহুল হতে সময় নিল। সাথে চলল লেখা পড়া। হাসান আর শিবার দুজনার ই। পার্সি দের কল্যান এ শিবার ইংরাজি টা বেশ সরগর ছিল। কিন্তু ট্রেনিং টা নিতে হত হাড় ভাঙ্গা। সকালে আর বিকালে রোজ কুরি কিমি দৌড়। একদিন দৌড় অন্য দিন পাশের পুকুর এ সাঁতার। কিছু দিন পর থেকে ১৩ কিমি দৌড়ে গঙ্গার পাড়। সেখানে গঙ্গা উজিয়ে অন্য পাড়ে গিয়ে আবার ফিরে আসা দুবার। শিবার মধ্যে তৈরি হল অভূতপূর্ব সহন শীলতা। মুখ বুঝে ট্রেনিং করতে শিবাই হয়ত পারে। চতুর্থ বছর থেকে এই দুটোর সাথে শুরু হল কিক প্র্যাকটিস আর বক্সিং। মুস্তাফা কোন আয়রন প্র্যাকটিস এ গেল না। ও চায় না শিবার পেশি গুলো শক্ত হোক। ও চায় সফট পেশী। যাকে যত টা পাড়া যাবে স্ত্রেচ কড়া যাবে। ওকে দিয়ে বড় বড় ড্রাম এ জল ভরে কপিকল দিয়ে ওপরে তোলান আর নামান হল। জোয়ারের মুখে ওই ভয়ঙ্কর জলরাশি ঠেলে আসা বড় নৌকা ওকে পা দিয়ে থামাতে শেখান হল। দুই দিকে ওজোন ঝুলিয়ে দৌড়তে বলা হল কিমির পর কিমি। তারপরে ওকে নামান হল রিং এ। ও এখন পরিপূর্ণ এক যুবক। ওকে টার্গেট দেওয়া পাঞ্চিং ব্যাগ এ মিনিটে ৪০ টা কিক করতে। আর কম করে আশি টা পাঞ্চ মারতে। রাতে ফিরে ওর মেয়াদ বলতে থাকত না। শুয়ে কোন গহিন রাজ্যে চলে যেত কে জানে।