28-07-2021, 10:53 AM
পকেটে টাকা টা গুঁজে মেয়েটা কে পিসির কোলে দিয়ে শিবা বেড়িয়ে পড়ল জিনিয়ার বাড়ির উদ্দেশ্যে। বিশাল মহল্লা টা পেরিয়ে যখন নর্দমার পাশ দিয়ে যাচ্ছে একটু সুনসান মনে হল। কিন্তু ওর মনে হল যে বৃষ্টির দিনে নিশ্চয়ই কেউ বেরয় নি। না হলে এই সময় টা এই খানে পার্সি দের ভিড়ে গম গম করে। সবে তো সাড়ে নটা বাজছে। ম্যাম এর ঘরে আলো জ্বলছে দেখে নিশ্চিন্ত হল। কিছু মস্তান মতন ছেলে দেখল যাতায়াত করছে। ওর তাতে ভয় নেই। অনেক দেখেছে এমন মস্তান। ম্যাম এর দরজার সামনে এসে ও কড়া নাড়াতেই দেখল খোলা আছে দরজা। ও ঢুকতেই দেখল ম্যাম চেয়ার এ বসে। ওকে দেখেই জিনিয়া হেসে উঠে দাঁড়িয়ে পড়েই আবার বসে পড়ল। শিবা জিজ্ঞাসা করতে যাবে সেই সময়েই দরাম করে দরজা টা খুলে যে ঢুকল তাকে শিবা চেনে। উত্তর পাড়ার গলাকাটা লাকি। দিনের বেলায় পুলিশের গলা কেটে দিয়েছিল বলে ওর ওই নাম।শিবা ওকে চেনে কিন্তু ও শিবা কে চেনে না। হয়ত হাড়ে হাড়ে চেনে কিন্তু সামনাসামনি কোনদিন ও দেখেনি।
- এই শালা এখানে কি চাই, আমি মহেশের লোক। পালা এখান থেকে। মহেশের সাথে দিদিমনির কিছু কথা আছে। দিদিমনি মহেশের... শিবা জিনিয়ার দিকে তাকাতেই বুঝে গেল কি ব্যাপার। ম্যামের চোখে জল আবার তাকে মনে পড়িয়ে দিল মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা মায়ের মুখ টা, খাঁচার বাইরে পাগলের মতন চিৎকার করতে থাকা হাসানের অসহায় মুখ টা। মুহূর্তএই শরীর টা যেন ছেড়ে দিল শিবা। ঠিক করে নিয়েছে ওকে কি করতে হবে। পেশি গুলো কে খেলতে দিল শিবা। কেউ জান্তেই পারল না ঢিলে জামার ভিতরে কিলবিল করতে থাকা পেশি গুলো যেন নিজেদের মধ্যে জায়গা ঠিক করে নিয়ে বসে গেল শরীরের মধ্যে।
- এ কি রে লড়বি নাকি? হা হা হা ওরে হাবলা, দেখে যা এই বাঞ্চত কথা বুঝছে না। ওকে বলে দে লাকি কি মাল!! কথা টা সেশ ও হল না লাকির, জিনিয়া দেখল চোখের পলক পড়ার আগেই একটা ঘুষি লাকির চোয়ালে বসে গেল এমন ভাবে যে শব্দ টা এলো অনেক পরে। ততক্ষনে লাকি যেন একটু উড়ে গিয়ে দরজায় শব্দ করে ধাক্কা খেল জোরে, আর কাটা কলাগাছের মতন পরে গেল জিনিয়ার পায়ের কাছে। জিনিয়া হাঁ করে চেয়ে রইল। কাঁপতে থাকল জিনিয়া, এই ভেবে যে শিবা কে মনে হয় আর বাঁচানো যাবে বাইরে কম করে সাত আট জন আছে। প্রায় দু বছর বাদে হাড়ে হাড়ে ঠোকাঠুকির আওয়াজ পেয়ে যেন ভিতরের বাঘ টা জেগে উঠছে শিবার। শরীরের পেশি গুলো যেন জানান দিচ্ছে তারা তৈরি। পা দুটো কে অদ্ভুত ভঙ্গি তে নাচাতে থাকল শিবা। ততক্ষনে দুজন এসে গেছে ঘরের ভিতরে। শিবা জানে বেশি সময় পাওয়া যাবে না। যে ঘুষি টা মারবে সেটাই ফাইনাল হতে হবে। গেম প্ল্যানের জন্য ছিল ও বিখ্যাত। ও সামনের ছেলে টার থেকে পিছনের টাকে আগে বেছে নিল। সামনের ছেলেটার দুর্বার ঘুষি টা মাথাটা সামান্য কাট করে এরিয়ে গেল। ছেলেটা ঝুকে পড়ল সামনে অনেক টা। শিবা জানে এই ফুল সুইং ঘুষি গুলতে অনেক শক্তি ক্ষয় হয়। ওকে দেখল ও না। ওর টাইম জ্ঞান অসাধারন। ও জানে ওই ভাবে ফলস খাবার পরে একজন বিশেষজ্ঞের কত টাইম লাগতে পারে উঠতে। কিন্তু ও সামনেই পেয়ে গেল পরের মোটা মাল টাকে। ওকে চোয়ালে না মেরে ঘুষি টা বাম হাতে নিল হালকা পিছনে ভাসিয়ে । সোজা হিট করল ছেলেটার কানের পিছনের ঘাড়ের ডান দিকে। দরজার পাশেই যে কোন টা ছিল সেখানে ছেলেটা ধাক্কা খেয়ে গড়িয়ে পড়ল মেঝেতে। ঠিক পরের ছেলেটা বুক চিতিয়ে রাজার মত লড়তে এসেই কাল করল। শিবার বহু বিখ্যাত বাম পায়ের মোক্ষম লাথি টা বসে গেল ছেলেটার বুকের মাঝে। পিছনের দুটো ছেলেকে কে নিয়ে পড়ল পাশের নর্দমায়। শিবার ফাইনাল শট গুলো যেন মুখ থেকে আওয়াজ করতে দিচ্ছে না প্রতিপক্ষ কে। সেশের ছেলেটা একটা লাঠি হাতে ঘরে ঢুকেই সপাটে চালাল শিবার মুণ্ডু লক্ষ্য করে। কি আশ্চর্য শিক্ষা শিবার। ও আওয়াজেই বুঝে গেল লাঠিটা কথা দিয়ে আসছে। শক্ত করে নিল নিজের বাইসেপ্স টা। লাঠি টা যেন রাবার এ ধাক্কা খেয়ে ফিরে গেল ফুল সুইং এ। ততক্ষনে সময় হয়ে গিয়েছে সেই ছেলেটার নিজেকে সাম্লে উঠে আক্রমন করার। পিছন ফিরে চালাল ডান হাতের একটা পাঞ্চ। ছেলেটা ঘুষি টা মেরে টাল সাম্লাতে না পেরে পরে গিয়েছিল। বেচারি উঠে সবে ঘুরেছে সেই সময়ে পাঞ্চ টা ল্যান্ড করল চোয়ালে।ওর দিকে তাকিয়েও দেখল না শিবা, পিছনে ঘুরে লাঠি হাতে ছেলেটা কে দ্বিতীয় বার লাঠি তোলার সুযোগ না দিয়ে ডান পা দিয়ে ছেলেটার পাঁজরে মারতেই ছেলেটা পাঁজর চেপে ধরে ঝুঁকল। ততক্ষনে খেল খতম। শিবার বাম পা টা ছেলেটার ঘাড়ে টাচ করেই নেমে এলো মেঝেতে। খুব বেশি হলে তিন সেকেন্ড। টার মধ্যেই সাতটা ছেলে কে শুইয়ে দিয়ে জিনিয়ার হাত টা ধরে বেড়িয়ে এসেছে শিবা।
- এই শালা এখানে কি চাই, আমি মহেশের লোক। পালা এখান থেকে। মহেশের সাথে দিদিমনির কিছু কথা আছে। দিদিমনি মহেশের... শিবা জিনিয়ার দিকে তাকাতেই বুঝে গেল কি ব্যাপার। ম্যামের চোখে জল আবার তাকে মনে পড়িয়ে দিল মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা মায়ের মুখ টা, খাঁচার বাইরে পাগলের মতন চিৎকার করতে থাকা হাসানের অসহায় মুখ টা। মুহূর্তএই শরীর টা যেন ছেড়ে দিল শিবা। ঠিক করে নিয়েছে ওকে কি করতে হবে। পেশি গুলো কে খেলতে দিল শিবা। কেউ জান্তেই পারল না ঢিলে জামার ভিতরে কিলবিল করতে থাকা পেশি গুলো যেন নিজেদের মধ্যে জায়গা ঠিক করে নিয়ে বসে গেল শরীরের মধ্যে।
- এ কি রে লড়বি নাকি? হা হা হা ওরে হাবলা, দেখে যা এই বাঞ্চত কথা বুঝছে না। ওকে বলে দে লাকি কি মাল!! কথা টা সেশ ও হল না লাকির, জিনিয়া দেখল চোখের পলক পড়ার আগেই একটা ঘুষি লাকির চোয়ালে বসে গেল এমন ভাবে যে শব্দ টা এলো অনেক পরে। ততক্ষনে লাকি যেন একটু উড়ে গিয়ে দরজায় শব্দ করে ধাক্কা খেল জোরে, আর কাটা কলাগাছের মতন পরে গেল জিনিয়ার পায়ের কাছে। জিনিয়া হাঁ করে চেয়ে রইল। কাঁপতে থাকল জিনিয়া, এই ভেবে যে শিবা কে মনে হয় আর বাঁচানো যাবে বাইরে কম করে সাত আট জন আছে। প্রায় দু বছর বাদে হাড়ে হাড়ে ঠোকাঠুকির আওয়াজ পেয়ে যেন ভিতরের বাঘ টা জেগে উঠছে শিবার। শরীরের পেশি গুলো যেন জানান দিচ্ছে তারা তৈরি। পা দুটো কে অদ্ভুত ভঙ্গি তে নাচাতে থাকল শিবা। ততক্ষনে দুজন এসে গেছে ঘরের ভিতরে। শিবা জানে বেশি সময় পাওয়া যাবে না। যে ঘুষি টা মারবে সেটাই ফাইনাল হতে হবে। গেম প্ল্যানের জন্য ছিল ও বিখ্যাত। ও সামনের ছেলে টার থেকে পিছনের টাকে আগে বেছে নিল। সামনের ছেলেটার দুর্বার ঘুষি টা মাথাটা সামান্য কাট করে এরিয়ে গেল। ছেলেটা ঝুকে পড়ল সামনে অনেক টা। শিবা জানে এই ফুল সুইং ঘুষি গুলতে অনেক শক্তি ক্ষয় হয়। ওকে দেখল ও না। ওর টাইম জ্ঞান অসাধারন। ও জানে ওই ভাবে ফলস খাবার পরে একজন বিশেষজ্ঞের কত টাইম লাগতে পারে উঠতে। কিন্তু ও সামনেই পেয়ে গেল পরের মোটা মাল টাকে। ওকে চোয়ালে না মেরে ঘুষি টা বাম হাতে নিল হালকা পিছনে ভাসিয়ে । সোজা হিট করল ছেলেটার কানের পিছনের ঘাড়ের ডান দিকে। দরজার পাশেই যে কোন টা ছিল সেখানে ছেলেটা ধাক্কা খেয়ে গড়িয়ে পড়ল মেঝেতে। ঠিক পরের ছেলেটা বুক চিতিয়ে রাজার মত লড়তে এসেই কাল করল। শিবার বহু বিখ্যাত বাম পায়ের মোক্ষম লাথি টা বসে গেল ছেলেটার বুকের মাঝে। পিছনের দুটো ছেলেকে কে নিয়ে পড়ল পাশের নর্দমায়। শিবার ফাইনাল শট গুলো যেন মুখ থেকে আওয়াজ করতে দিচ্ছে না প্রতিপক্ষ কে। সেশের ছেলেটা একটা লাঠি হাতে ঘরে ঢুকেই সপাটে চালাল শিবার মুণ্ডু লক্ষ্য করে। কি আশ্চর্য শিক্ষা শিবার। ও আওয়াজেই বুঝে গেল লাঠিটা কথা দিয়ে আসছে। শক্ত করে নিল নিজের বাইসেপ্স টা। লাঠি টা যেন রাবার এ ধাক্কা খেয়ে ফিরে গেল ফুল সুইং এ। ততক্ষনে সময় হয়ে গিয়েছে সেই ছেলেটার নিজেকে সাম্লে উঠে আক্রমন করার। পিছন ফিরে চালাল ডান হাতের একটা পাঞ্চ। ছেলেটা ঘুষি টা মেরে টাল সাম্লাতে না পেরে পরে গিয়েছিল। বেচারি উঠে সবে ঘুরেছে সেই সময়ে পাঞ্চ টা ল্যান্ড করল চোয়ালে।ওর দিকে তাকিয়েও দেখল না শিবা, পিছনে ঘুরে লাঠি হাতে ছেলেটা কে দ্বিতীয় বার লাঠি তোলার সুযোগ না দিয়ে ডান পা দিয়ে ছেলেটার পাঁজরে মারতেই ছেলেটা পাঁজর চেপে ধরে ঝুঁকল। ততক্ষনে খেল খতম। শিবার বাম পা টা ছেলেটার ঘাড়ে টাচ করেই নেমে এলো মেঝেতে। খুব বেশি হলে তিন সেকেন্ড। টার মধ্যেই সাতটা ছেলে কে শুইয়ে দিয়ে জিনিয়ার হাত টা ধরে বেড়িয়ে এসেছে শিবা।