28-07-2021, 10:48 AM
জিনিয়া অনেক ভেবেছে সে কি শিবা কে ভাল বেসে ফেলেছে। নাহ। কিন্তু এতো টান কেন? শিবার তরফে নিশ্চয়ই কিছু নেই। কারন টা হলে ও প্রনাম করতে যেত না সেদিন জিনিয়ার গায়ে পা লেগে জাবার পরে। ও জানে * রা প্রনাম করে জাদের সম্মান করে। শিক্ষক দের * রা পিতা বা মাতা জ্ঞানেই দেখে। জাক আর ও পারে না । এই যে একটা মিষ্টি সম্পর্ক হয়েছে এটাই কি অনেক নয়? কিন্তু ছেলেটা এই আঠাশ বছরেই কত কিছু সয়ে ফেলেছে। রোজ ই ওরা খায় ওই ভাবেই জিনিয়া কথা বলে চলে আর শিবা কিচ্ছু না বলে খেয়ে চলে। খাবার হয়ে গেলে শিবা নিজেই সব কিছু পরিস্কার করে ফেলে দেয় ডাস্টবিন এ। সেদিন খেতে খেতে শিবা বলে উঠল, “ভাবছি নিজেই একটা ছোট দোকান করব খাবারের”। বাস বলা তো কাজ। জিনিয়া এতো খুশী হয়েছিল যে বলার নয়। সেটা যে কেন এখন ও বোঝে না। যা ছিল নিজের সেই সব দিয়ে একটা টানা চাকা লাগান গাড়ি কিনে শুরু করে দিল নিজের খাবারের দোকান। উদ্বোধন হল আজকেই। বিক্রি ভালই হয়েছে। কারন সামনের যে ব্লেড কারখানা টা আছে সেই শ্রমিকেরা অনেকটা বড় খদ্দের এখানে। সন্ধ্যে বালায় শিবা যখন সব কিছু ধুয়ে পরিস্কার করে ঘরে ঢুকল দেখল জিনিয়া তখন ও যায় নি। খাতায় হিসাব লিখতে ব্যাস্ত। আর পাপি জিনিয়ার ঘাড়ে।
- পাপি ম্যাম ঘাড় থেকে নাম সোনা। পাপি নামতে যেতেই জিনি পাপি কে আর ও জোরে নিজের মধ্যে যেন টেনে নিল। বলল
- কেন শুনি? পাপি নামবে না না পাপি সোনা??
- হি হি হি। আমি নামব না।---- জানত শিবা কিছুই কথা বলবে না, জথারিতু শিবা হেসে বাসন পত্র গুলো সাজিয়ে রাখতে লাগলো। শিবার কাজ করম সেশ হলে টাকার থোক টা শিবার হাতে ধরিয়ে দিল জিনিয়া। - এখানে আড়াই হাজার আছে। কালকের জন্য দুই তুলে রাখ। কালকে কিন্তু বুধবার। আজকে অনেকে খাবার না পেয়ে চলে গেছে।
- এখানে হাজার আপনার ম্যাম
- ফেরত দিতে চাস?
- কেন টাকাটা নিয়েছি ফেরত দেব না?
- ভেবেছিলাম তুই সফল হলে বলব এটা আমার ও সফলতা। অতে আমার ও ভাগ আছে। তুই সেটা যখন চাস না তখন দে” টাকাটা নিয়ে নিল শিবা ফেরত। জীবনে বন্ধু অনেক কষ্টে পাওয়া যায়। আর এমন মায়ের মতন আগলে রাখা বন্ধু তো পাওয়াই যায় না। হেসে ফেলল জিনি শিবার টাকাটা ফের ঢুকিয়ে নেবার ধরন দেখে। সত্যি ছেলেটা এত্ত ভাল ও জান্তই না। রোজ ই সন্ধ্যে বেলা এন জি ও থেকে ফিরে শিবার ঠেলার কাছে চলে আসত জিনি। মেয়েটা যেন অপেক্ষায় থাকত ওর। ওকে দূর থেকে আসতে দেখলেই ছুটে গিয়ে কোলে উঠে পড়ত জিনিয়ার। থাকত সাড়ে আটটা অব্দি। তারপরে দুজনায় বসে হিসাব সেশ করে শিবা জিনিয়া কে ওর ঘরে পউছে দিত। যেন একটা নিয়ম হয়ে গেছিল। শিবা ও কেমন ঠায় তাকিয়ে থাকত রাস্তার দিকে। কখন আসবে। আর মেয়েটা যেন এখন বেশি বেশি পাগলামো করে। হয়ত অসুস্থ বলে। ওর যে হার্ট এর রোগ আছে সেটা জিনিয়া জানে। সেদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি। মেয়েটা দূরে বসে আছে সামনের বারিটার বারান্দায়। আর শিবা থেলা টা খুলে ভিজে ভিজেই খদ্দের দের খাওয়াচ্ছে। একটা বড় ত্রিপল তাঙ্গিয়ে দিয়েছে। বার বার ঘড়ি দেখছে ও। ম্যাম এর আসার সময় পেরিয়ে গেছে।কি ব্যাপার বুঝতে পারছে না। মেয়েটার চোখ ও ছলছল করছে। এই ভয় টাই পেয়েছিল ও। যে কোনদিন ম্যাম আসবেন না আর ওর মেয়েটা কেঁদে কেঁদে শরীর টা আবার খারাপ করবে।
- পাপি ম্যাম ঘাড় থেকে নাম সোনা। পাপি নামতে যেতেই জিনি পাপি কে আর ও জোরে নিজের মধ্যে যেন টেনে নিল। বলল
- কেন শুনি? পাপি নামবে না না পাপি সোনা??
- হি হি হি। আমি নামব না।---- জানত শিবা কিছুই কথা বলবে না, জথারিতু শিবা হেসে বাসন পত্র গুলো সাজিয়ে রাখতে লাগলো। শিবার কাজ করম সেশ হলে টাকার থোক টা শিবার হাতে ধরিয়ে দিল জিনিয়া। - এখানে আড়াই হাজার আছে। কালকের জন্য দুই তুলে রাখ। কালকে কিন্তু বুধবার। আজকে অনেকে খাবার না পেয়ে চলে গেছে।
- এখানে হাজার আপনার ম্যাম
- ফেরত দিতে চাস?
- কেন টাকাটা নিয়েছি ফেরত দেব না?
- ভেবেছিলাম তুই সফল হলে বলব এটা আমার ও সফলতা। অতে আমার ও ভাগ আছে। তুই সেটা যখন চাস না তখন দে” টাকাটা নিয়ে নিল শিবা ফেরত। জীবনে বন্ধু অনেক কষ্টে পাওয়া যায়। আর এমন মায়ের মতন আগলে রাখা বন্ধু তো পাওয়াই যায় না। হেসে ফেলল জিনি শিবার টাকাটা ফের ঢুকিয়ে নেবার ধরন দেখে। সত্যি ছেলেটা এত্ত ভাল ও জান্তই না। রোজ ই সন্ধ্যে বেলা এন জি ও থেকে ফিরে শিবার ঠেলার কাছে চলে আসত জিনি। মেয়েটা যেন অপেক্ষায় থাকত ওর। ওকে দূর থেকে আসতে দেখলেই ছুটে গিয়ে কোলে উঠে পড়ত জিনিয়ার। থাকত সাড়ে আটটা অব্দি। তারপরে দুজনায় বসে হিসাব সেশ করে শিবা জিনিয়া কে ওর ঘরে পউছে দিত। যেন একটা নিয়ম হয়ে গেছিল। শিবা ও কেমন ঠায় তাকিয়ে থাকত রাস্তার দিকে। কখন আসবে। আর মেয়েটা যেন এখন বেশি বেশি পাগলামো করে। হয়ত অসুস্থ বলে। ওর যে হার্ট এর রোগ আছে সেটা জিনিয়া জানে। সেদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি। মেয়েটা দূরে বসে আছে সামনের বারিটার বারান্দায়। আর শিবা থেলা টা খুলে ভিজে ভিজেই খদ্দের দের খাওয়াচ্ছে। একটা বড় ত্রিপল তাঙ্গিয়ে দিয়েছে। বার বার ঘড়ি দেখছে ও। ম্যাম এর আসার সময় পেরিয়ে গেছে।কি ব্যাপার বুঝতে পারছে না। মেয়েটার চোখ ও ছলছল করছে। এই ভয় টাই পেয়েছিল ও। যে কোনদিন ম্যাম আসবেন না আর ওর মেয়েটা কেঁদে কেঁদে শরীর টা আবার খারাপ করবে।