27-07-2021, 01:45 PM
শিবার চোখ দুটো যখন বুজে এলো রিং এর মধ্যে মায়ের মৃত্যুর আগের করুন মুখ টা মনে পড়ল, আর রিঙ্গের বাইরে পাগলের মতন খাঁচা ধরে ঝাকাতে থাকা হাসান কে দেখল ও। মা আর হাসানের দুজনার মধ্যেই অসহায়তার সেই ভয়ংকর ছবি নিয়েই চোখ বুঝল শিবা।
এন জি ও র পাশেই একটা ছোট পার্ক আছে, একটা ছোট পুকুরের ধারে গোল করে। কিছু বড় বড় সিমেন্টের ছাতা বানান আছে। আর ঝোপ আছে অনেক। স্বাভাবিক প্রেমিক প্রেমিকা দেড় জন্য। গত কয়েকদিন জিনিয়া শিবার সাথে এখানেই দেখা করে। শিবার হাতের রান্না টা বড্ড ভাল। কিন্তু জিনিয়ার পক্ষে তিন হাজার টাকা মাইনে পেয়ে রোজ ওই খাবার খাওয়া সম্ভব না। সেটা শিবা কে বলতেই শিবা বুঝে গেছিল। যাওয়া বন্ধ ও করে দিয়েছিল জিনিয়া শিবার দোকানে। জিনিয়া এক একদিন বাইরে বেড়িয়ে সামনের দোকান টা থেকে রুটি আলু ভাজা খেয়ে নিত। দশ টাকায় পেট ভরে যেত। এমনি করে দিন পাঁচেক জাবার পরে একদিন হঠাৎ শিবা কে দুটো প্লাস্টিক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অবাক হয়ে গেছিল।
- কি রে কিছু বলবি? জিনিয়া জানত কিছু বলবে না ও। জথা রিতি কিছু না বলেই এগিয়ে গেল শিবা পার্কের দিকে। জিনিয়া পিছু পিছু এসে দুজনায় একটা চেয়ার এ বসল। দেখল পাঁচটা রুটি আর অনেক টা ঝোল আর তিনটে আলু সমেত দু পিস মুরগী। ছোট ছোট কিন্তু দু পিস।
- কি রে কি এগুল। কোন সাড়া না দিয়েই দুটো কাগজের প্লেট এক পিস করে মাংশ সমের আলু আর ঝোল ঢেলে প্লাস্টিক টা কে একটা ডাস্টবিন এ ফেলে দিল শিবা। নিজে তিনটে রুটি নিয়ে আর জিনিয়ার জন্য দুটো রুটি দিয়ে খেতে শুরু করল। জিনিয়া সেই ছোট্ট বেলায় দেখা গোঁয়ার আর কথা না বলে মার খেতে থাকা শিবার কাণ্ড দেখে হেসে বাঁচে না। কিন্তু শিবার মধ্যে যেমন নিষ্পাপ ব্যাপার টা ছিল সেটা এক্তুও কমে নি। ও হেসে ফেলে রুটি দুটো খেয়ে নিল। সেটা শিবার হাতের গুন। পাতলা ঝোল টাও ও এতো সুন্দর করে রাঁধে যে বলার নয়। এমনি রোজ ই চলতে থাকে। এখানেই জিনিয়া নিজের ব্যাপারে শিবা কে জানিয়েছে। শিবাও যে দু তিনটি কথা বলে টার মধ্যেই জানিয়েছে যে সে বাবা, আর টার তিন বছরের একটি মেয়ে আছে। আর একটি দুর্ঘটনায় টার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।মেয়েকে রেখে আসে পাশের বাড়ির এক পিসির কাছে। এক এক হয়েছে ভাল। দুজন ছরম দুঃখ অসমবয়সী নরনারী যেন নিজের দুঃখের কথা বলে হালকা হয়ে যাওয়া।
এন জি ও র পাশেই একটা ছোট পার্ক আছে, একটা ছোট পুকুরের ধারে গোল করে। কিছু বড় বড় সিমেন্টের ছাতা বানান আছে। আর ঝোপ আছে অনেক। স্বাভাবিক প্রেমিক প্রেমিকা দেড় জন্য। গত কয়েকদিন জিনিয়া শিবার সাথে এখানেই দেখা করে। শিবার হাতের রান্না টা বড্ড ভাল। কিন্তু জিনিয়ার পক্ষে তিন হাজার টাকা মাইনে পেয়ে রোজ ওই খাবার খাওয়া সম্ভব না। সেটা শিবা কে বলতেই শিবা বুঝে গেছিল। যাওয়া বন্ধ ও করে দিয়েছিল জিনিয়া শিবার দোকানে। জিনিয়া এক একদিন বাইরে বেড়িয়ে সামনের দোকান টা থেকে রুটি আলু ভাজা খেয়ে নিত। দশ টাকায় পেট ভরে যেত। এমনি করে দিন পাঁচেক জাবার পরে একদিন হঠাৎ শিবা কে দুটো প্লাস্টিক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অবাক হয়ে গেছিল।
- কি রে কিছু বলবি? জিনিয়া জানত কিছু বলবে না ও। জথা রিতি কিছু না বলেই এগিয়ে গেল শিবা পার্কের দিকে। জিনিয়া পিছু পিছু এসে দুজনায় একটা চেয়ার এ বসল। দেখল পাঁচটা রুটি আর অনেক টা ঝোল আর তিনটে আলু সমেত দু পিস মুরগী। ছোট ছোট কিন্তু দু পিস।
- কি রে কি এগুল। কোন সাড়া না দিয়েই দুটো কাগজের প্লেট এক পিস করে মাংশ সমের আলু আর ঝোল ঢেলে প্লাস্টিক টা কে একটা ডাস্টবিন এ ফেলে দিল শিবা। নিজে তিনটে রুটি নিয়ে আর জিনিয়ার জন্য দুটো রুটি দিয়ে খেতে শুরু করল। জিনিয়া সেই ছোট্ট বেলায় দেখা গোঁয়ার আর কথা না বলে মার খেতে থাকা শিবার কাণ্ড দেখে হেসে বাঁচে না। কিন্তু শিবার মধ্যে যেমন নিষ্পাপ ব্যাপার টা ছিল সেটা এক্তুও কমে নি। ও হেসে ফেলে রুটি দুটো খেয়ে নিল। সেটা শিবার হাতের গুন। পাতলা ঝোল টাও ও এতো সুন্দর করে রাঁধে যে বলার নয়। এমনি রোজ ই চলতে থাকে। এখানেই জিনিয়া নিজের ব্যাপারে শিবা কে জানিয়েছে। শিবাও যে দু তিনটি কথা বলে টার মধ্যেই জানিয়েছে যে সে বাবা, আর টার তিন বছরের একটি মেয়ে আছে। আর একটি দুর্ঘটনায় টার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।মেয়েকে রেখে আসে পাশের বাড়ির এক পিসির কাছে। এক এক হয়েছে ভাল। দুজন ছরম দুঃখ অসমবয়সী নরনারী যেন নিজের দুঃখের কথা বলে হালকা হয়ে যাওয়া।