27-07-2021, 01:43 PM
শিবার যেন চমক ভাঙল। দরজায় টোকার আওয়াজ পেয়ে মেয়েকে কোলে নিয়ে দরজা টা খুলে দেখল মুস্তাফা। - এস মুস্তাফা দা, মুস্তাফা ঘরের ভিতরে ঢুকে মেঝেতে বসে পড়ল চুপ করে দুটো পা কে নিজের হাতের মধ্যে বের দিয়ে। - চা খাবে?
- নাহ। শিবা কি করছিস ভাই? আমার নিজের কেউ নেই তুই ছাড়া। এখানে কেন ভাই? আমি কি তোর কেউ নই?
- মুস্তাফা দা প্লিস ও কথা বল না। তুমি হাসান আর আমার পাপি ছাড়া আমার ও যে কেউ নেই” ততক্ষনে পাপি উঠে মুস্তাফার কোলে বসে পড়েছে। - কিন্তু আমি আর এ লাইন এ থাকতে চাই না।
- কেন? সামান্য ওই টাই তোর কারন ? যে জিষ্ণু ও লড়ছে?- মাথা মিছু করে রইল শিবা। “ শোন পরের মাসের শীতকালে দিল্লী তে এই ফাইটিং এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শিপ হবে। আমি চাই তুই অতে অংশ নে। লকে জানুক শিবা কি জিনিস!!
- কি হবে মুস্তাফা দা? থাক না।
- কি হবে মানে? নিজের না ভাবিস মেয়েতার কথা ভাব। ওর ভিতরে যে রোগ টা আছে সেটার কথা ও তো ভাববি।
- প্লিস মুস্তাফা দা। আমার মেয়ে কে আমি সুস্থ করবই। আর নিজেই করব। আমি একটা চাকরি পেয়েছি
- হু জানি। মাসে তিন হাজার টাকা। কি চাস তুই? আমার ও নিবি না !! আর আমার তো নয় অতে তোর ও তো সমান অধিকার। হাসান আর আগের মতন নেই। ছেলেটা মনে হয় এবারে আর বাঞ্ছবে না।
- নাআআআআ( চমকে উঠল শিবা) ওর কিচ্ছু হবে না।
মুস্তাফা পাগল হয়ে গেছিল সেদিন রিং এর মধ্যে। একটা একরত্তি বাচ্চা এতো মারের পরেও উঠে দাঁড়াচ্ছে কি করে? প্রথম ঘুসি টা মেরে ছিল পেট আর বুকের ঠিক মাঝ খানে। উজবুক টা ছাতি খুলে দাঁড়িয়েছিলো। মুস্তাফা দেখেও নি ওর দিকে তাকিয়ে , জানত এই ঘুসি টা খেলে ও শুয়ে পড়বেই। ছেলেটা প্রায় উড়ে গিয়ে খাঁচায় পড়ল। স্তব্ধ হয়ে গেছিল চারিপাশের জনতা। এই স্তব্ধ হয়ে যাওয়া টা ও জানে। নক আউট করলে এমনি ই স্তব্ধ হয়ে ফের চিল্লে ওঠে রক্ত দেখার নেশায় পাগল এই মানুষ গুলো। কিন্তু একি!!!! লোক গুলো হাত তুলে কি বলতে চাইছে? ও ঘুরে দেখল ছেলে টার মুখের থেকে দলা রক্ত রিং এর মাঝ খানে পড়েছে, আর ও দাঁড়িয়ে আছে মুখের সামনে দুটো হাত কে ঘুসির মতন পাকিয়ে। যা শালা। একী? মাথায় যেন আগুল চড়ে গেল। নিজের যা ছিল জ্ঞান লড়াই এর, আধ ঘণ্টা ধরে প্রয়গ করেছিল ওই ছেলেতার উপরে। কিন্তু সময় নিলেও প্রতিবার ই উঠে দাঁড়িয়েছিলো ওই এক রত্তি ছেলেটা। হাপিয়ে গেছে নিজেও মুস্তাফা। মারতেও খারাপ লাগছে ছেলেটা কে । কিন্তু রিং এর মধ্যে এই অপমান কখন ও ও পায় নি। এলোপাথাড়ি মেরেছিল ছেলেটাকে।
- নাহ। শিবা কি করছিস ভাই? আমার নিজের কেউ নেই তুই ছাড়া। এখানে কেন ভাই? আমি কি তোর কেউ নই?
- মুস্তাফা দা প্লিস ও কথা বল না। তুমি হাসান আর আমার পাপি ছাড়া আমার ও যে কেউ নেই” ততক্ষনে পাপি উঠে মুস্তাফার কোলে বসে পড়েছে। - কিন্তু আমি আর এ লাইন এ থাকতে চাই না।
- কেন? সামান্য ওই টাই তোর কারন ? যে জিষ্ণু ও লড়ছে?- মাথা মিছু করে রইল শিবা। “ শোন পরের মাসের শীতকালে দিল্লী তে এই ফাইটিং এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শিপ হবে। আমি চাই তুই অতে অংশ নে। লকে জানুক শিবা কি জিনিস!!
- কি হবে মুস্তাফা দা? থাক না।
- কি হবে মানে? নিজের না ভাবিস মেয়েতার কথা ভাব। ওর ভিতরে যে রোগ টা আছে সেটার কথা ও তো ভাববি।
- প্লিস মুস্তাফা দা। আমার মেয়ে কে আমি সুস্থ করবই। আর নিজেই করব। আমি একটা চাকরি পেয়েছি
- হু জানি। মাসে তিন হাজার টাকা। কি চাস তুই? আমার ও নিবি না !! আর আমার তো নয় অতে তোর ও তো সমান অধিকার। হাসান আর আগের মতন নেই। ছেলেটা মনে হয় এবারে আর বাঞ্ছবে না।
- নাআআআআ( চমকে উঠল শিবা) ওর কিচ্ছু হবে না।
মুস্তাফা পাগল হয়ে গেছিল সেদিন রিং এর মধ্যে। একটা একরত্তি বাচ্চা এতো মারের পরেও উঠে দাঁড়াচ্ছে কি করে? প্রথম ঘুসি টা মেরে ছিল পেট আর বুকের ঠিক মাঝ খানে। উজবুক টা ছাতি খুলে দাঁড়িয়েছিলো। মুস্তাফা দেখেও নি ওর দিকে তাকিয়ে , জানত এই ঘুসি টা খেলে ও শুয়ে পড়বেই। ছেলেটা প্রায় উড়ে গিয়ে খাঁচায় পড়ল। স্তব্ধ হয়ে গেছিল চারিপাশের জনতা। এই স্তব্ধ হয়ে যাওয়া টা ও জানে। নক আউট করলে এমনি ই স্তব্ধ হয়ে ফের চিল্লে ওঠে রক্ত দেখার নেশায় পাগল এই মানুষ গুলো। কিন্তু একি!!!! লোক গুলো হাত তুলে কি বলতে চাইছে? ও ঘুরে দেখল ছেলে টার মুখের থেকে দলা রক্ত রিং এর মাঝ খানে পড়েছে, আর ও দাঁড়িয়ে আছে মুখের সামনে দুটো হাত কে ঘুসির মতন পাকিয়ে। যা শালা। একী? মাথায় যেন আগুল চড়ে গেল। নিজের যা ছিল জ্ঞান লড়াই এর, আধ ঘণ্টা ধরে প্রয়গ করেছিল ওই ছেলেতার উপরে। কিন্তু সময় নিলেও প্রতিবার ই উঠে দাঁড়িয়েছিলো ওই এক রত্তি ছেলেটা। হাপিয়ে গেছে নিজেও মুস্তাফা। মারতেও খারাপ লাগছে ছেলেটা কে । কিন্তু রিং এর মধ্যে এই অপমান কখন ও ও পায় নি। এলোপাথাড়ি মেরেছিল ছেলেটাকে।