27-07-2021, 11:18 AM
- বাবা ও বাবা আমাকে এই খেলনা টা বানিয়ে দাও না?
- হুম্ম সোনা দি দাঁড়া। তোর খাবার টা বানিয়ে নি মা?
- না না আগে খেলা বানিয়ে দাও তারপরে, প্লিস বাবা।
- আছছা আচ্ছা বেশ... গ্যাস টা বন্ধ করে মেয়ের কাছে এসে শিবা খেলা বানাতে লাগলো। হঠাৎ ঘরের সব নড়ে উঠতেই পাপি ( প্রাপ্তি, ভাল নাম শিবার মেয়ের) দৌড়ে এসে বাবার কোলে শুয়ে পড়ল ভয়ে। একদম একটা ছোট্ট ঘরের ঠিক দশ হাত দূর দিয়ে চক্র রেল টা পেরিয়ে যেতেই শিবা মেয়ের মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বলল- ভয় কি সোনা, আমি তো আছি। আর ওটা তো ট্রেন... পাপি তখন কেঁপে চলেছে। শিবা জানে ভয় টা একদিন কাটবেই। ওর ও ভীষণ ভয় করেছিল যেদিন ও সামান্য দুশ টাকার জন্য ফাইট এ নেমে ছিল রাস্তায়। পেটের খিদে বরদাস্ত করতে না পেরে ও আগিয়ে গেছিল ওই নিশ্চিত জম দুতের কাছে। মেয়ের মাথায় হাত বোলাতে লাগলো শিবা। কতই বা বয়েস তখন। ১৫ হবে। বাড়ি থেকে পালিয়ে একটা রেল গুদামে কাজ নিয়ে ছিল শিবা। পাঁচ বছর কাজ করেছিল লুকিয়ে। যাতে কেউ দেখতে না পায়। পেলেই কোন হোম এ দিয়ে দিত। কাজ করে রোজ রাতে ও চলে আস্ত পাঁচ মাথার মোড় থেকে একটু ভিতরে ঢুকে এসে একটা বিশাল পোড় বাড়ির অন্দর মহলে। কিছু লোকের আওয়াজ পেয়ে ঘুরতে ঘুরতেই চলে এসেছিল ও। এসে তাজ্জব বনে গেছিল। এত্ত লোক কি করছে। মাঝখানে খাঁচা করা বিশাল। আসতে আসতে লোকজন পেরিয়ে সামনে চলে এসেছিল একেবারে শিবা। দু এক জন ধাক্কা মেরে ফেলেও দিয়েছিল ওকে। কিন্তু বয়সের তুলনায় শিবা একটু লম্বা চওড়া ছিল। যার জন্য ওকে একদম বাচ্চা বলে ভুল করে নি কেউ। গা শিউরে উঠেছিল শিবার। এটা কি??? এ তো মৃত্যুর খেলা। দুজন পেশীবহুল মানুষ একে অপর কে এ কি ভাবে মারছে? যেখান টা খেলা হচ্ছে সেটা খাঁচা দিয়ে ঘেরা। একবার ঢুকে পড়লে আর বেরনর উপায় নেই। সবাই মুস্তাফা মুস্তাফা বলে চেঁচাচ্ছে আর একজন ছেলে অন্য ছেলে টা কে মেরেই চলেছে অনবরত। গলগল করে রক্ত বেরচ্ছে মার খেতে থাকা ছেলেটির নাক মুখ দিয়ে। মার খেতে থাকা ছেলেটি স্থির হয়ে গেলে খাঁচার মধ্যে থাকা আর একটি লোক গিয়ে ছাড়িয়ে দিল। নেশা লেগে গেছিল শিবার। রোজ যেতে থাকল। একদিন পরিচয় হল হাসান এর সাথে। ওর মতই একটি ছেলে হয়ত বয়সে কিছু টা বড় হবে।– কি গুরু এখানে কি মনে করে? অনেক দিন ধরেই তমাকে এখানে ঘুর ঘুর করতে দেখছি কাকা। পুলিশের ঘুঘু নউ তো চাঁদ?? একটা মস্তানি মারকা গলা শুনে পিছনে তাকিয়ে হাসান কে দেখে ভয় পেয়েছিল শিবা – আরে ভয় কেন চাঁদু? ভিতু তো তুমি নউ। এখানে ভিতু লোকেরা রোজ আসতে পারে না...... কি করে যে বন্ধু হয়ে গেছিল হাসানের সশিবা কে জানে? কিন্তু তারপর থেকে রোজ দুজনায় একসাথে বসে ফাইট দেখত। - ওই যে দেখছিস খাঁচা? ওটা কে বলে রিং। দুজন ফাইটার লড়ে, ততক্ষন যতক্ষণ না একজন হার মেনে নেয়। একে বলে স্ট্রীট ফাইটিং।পৃথিবীর সব থেকে বিপজ্জনক খেলা। ওই দেখ রেফারী। খেলা টা ওই চালায়”। শিবার মধ্যে কার যে লড়াকু ছেলে টা ছিল লড়াই গুলো কাছ থেকে দেখতে দেখতে মনে গেঁথে গেল.................................... শিবা ওই বয়সেই জেনে গেছিল জ সব জিনিস টা সে সুখ হোক বা দুঃখ কিছুই স্থায়ী হয় না চিরকাল। গুদামে কাজ টা গেল। কেউ বলে দিয়েছিল যে শিবার বয়েস ১৫ মাত্র। ও পালিয়ে এসেছিল লড়াই এর জায়গা তে। সেদিন ভোর বেলায় সবাই যখন চলে গেল ও শুয়ে পড়ল পেটে হাত টা টিপে ধরে। খিদেয় প্রান বেড়িয়ে যাচ্ছিল ওর। কিন্তু কিচ্ছু ছিল না ওর কাছে। - কি রে বাড়ি যাস নি? ধড়মড় করে উঠে বসে দেখল হাসান। ও ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল হাসানের দিকে।
- হুম্ম সোনা দি দাঁড়া। তোর খাবার টা বানিয়ে নি মা?
- না না আগে খেলা বানিয়ে দাও তারপরে, প্লিস বাবা।
- আছছা আচ্ছা বেশ... গ্যাস টা বন্ধ করে মেয়ের কাছে এসে শিবা খেলা বানাতে লাগলো। হঠাৎ ঘরের সব নড়ে উঠতেই পাপি ( প্রাপ্তি, ভাল নাম শিবার মেয়ের) দৌড়ে এসে বাবার কোলে শুয়ে পড়ল ভয়ে। একদম একটা ছোট্ট ঘরের ঠিক দশ হাত দূর দিয়ে চক্র রেল টা পেরিয়ে যেতেই শিবা মেয়ের মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বলল- ভয় কি সোনা, আমি তো আছি। আর ওটা তো ট্রেন... পাপি তখন কেঁপে চলেছে। শিবা জানে ভয় টা একদিন কাটবেই। ওর ও ভীষণ ভয় করেছিল যেদিন ও সামান্য দুশ টাকার জন্য ফাইট এ নেমে ছিল রাস্তায়। পেটের খিদে বরদাস্ত করতে না পেরে ও আগিয়ে গেছিল ওই নিশ্চিত জম দুতের কাছে। মেয়ের মাথায় হাত বোলাতে লাগলো শিবা। কতই বা বয়েস তখন। ১৫ হবে। বাড়ি থেকে পালিয়ে একটা রেল গুদামে কাজ নিয়ে ছিল শিবা। পাঁচ বছর কাজ করেছিল লুকিয়ে। যাতে কেউ দেখতে না পায়। পেলেই কোন হোম এ দিয়ে দিত। কাজ করে রোজ রাতে ও চলে আস্ত পাঁচ মাথার মোড় থেকে একটু ভিতরে ঢুকে এসে একটা বিশাল পোড় বাড়ির অন্দর মহলে। কিছু লোকের আওয়াজ পেয়ে ঘুরতে ঘুরতেই চলে এসেছিল ও। এসে তাজ্জব বনে গেছিল। এত্ত লোক কি করছে। মাঝখানে খাঁচা করা বিশাল। আসতে আসতে লোকজন পেরিয়ে সামনে চলে এসেছিল একেবারে শিবা। দু এক জন ধাক্কা মেরে ফেলেও দিয়েছিল ওকে। কিন্তু বয়সের তুলনায় শিবা একটু লম্বা চওড়া ছিল। যার জন্য ওকে একদম বাচ্চা বলে ভুল করে নি কেউ। গা শিউরে উঠেছিল শিবার। এটা কি??? এ তো মৃত্যুর খেলা। দুজন পেশীবহুল মানুষ একে অপর কে এ কি ভাবে মারছে? যেখান টা খেলা হচ্ছে সেটা খাঁচা দিয়ে ঘেরা। একবার ঢুকে পড়লে আর বেরনর উপায় নেই। সবাই মুস্তাফা মুস্তাফা বলে চেঁচাচ্ছে আর একজন ছেলে অন্য ছেলে টা কে মেরেই চলেছে অনবরত। গলগল করে রক্ত বেরচ্ছে মার খেতে থাকা ছেলেটির নাক মুখ দিয়ে। মার খেতে থাকা ছেলেটি স্থির হয়ে গেলে খাঁচার মধ্যে থাকা আর একটি লোক গিয়ে ছাড়িয়ে দিল। নেশা লেগে গেছিল শিবার। রোজ যেতে থাকল। একদিন পরিচয় হল হাসান এর সাথে। ওর মতই একটি ছেলে হয়ত বয়সে কিছু টা বড় হবে।– কি গুরু এখানে কি মনে করে? অনেক দিন ধরেই তমাকে এখানে ঘুর ঘুর করতে দেখছি কাকা। পুলিশের ঘুঘু নউ তো চাঁদ?? একটা মস্তানি মারকা গলা শুনে পিছনে তাকিয়ে হাসান কে দেখে ভয় পেয়েছিল শিবা – আরে ভয় কেন চাঁদু? ভিতু তো তুমি নউ। এখানে ভিতু লোকেরা রোজ আসতে পারে না...... কি করে যে বন্ধু হয়ে গেছিল হাসানের সশিবা কে জানে? কিন্তু তারপর থেকে রোজ দুজনায় একসাথে বসে ফাইট দেখত। - ওই যে দেখছিস খাঁচা? ওটা কে বলে রিং। দুজন ফাইটার লড়ে, ততক্ষন যতক্ষণ না একজন হার মেনে নেয়। একে বলে স্ট্রীট ফাইটিং।পৃথিবীর সব থেকে বিপজ্জনক খেলা। ওই দেখ রেফারী। খেলা টা ওই চালায়”। শিবার মধ্যে কার যে লড়াকু ছেলে টা ছিল লড়াই গুলো কাছ থেকে দেখতে দেখতে মনে গেঁথে গেল.................................... শিবা ওই বয়সেই জেনে গেছিল জ সব জিনিস টা সে সুখ হোক বা দুঃখ কিছুই স্থায়ী হয় না চিরকাল। গুদামে কাজ টা গেল। কেউ বলে দিয়েছিল যে শিবার বয়েস ১৫ মাত্র। ও পালিয়ে এসেছিল লড়াই এর জায়গা তে। সেদিন ভোর বেলায় সবাই যখন চলে গেল ও শুয়ে পড়ল পেটে হাত টা টিপে ধরে। খিদেয় প্রান বেড়িয়ে যাচ্ছিল ওর। কিন্তু কিচ্ছু ছিল না ওর কাছে। - কি রে বাড়ি যাস নি? ধড়মড় করে উঠে বসে দেখল হাসান। ও ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল হাসানের দিকে।