27-07-2021, 11:17 AM
শিবার জন্য মন টা ভারি হলেও এখন অনেক টা হাল্কা জিনি। তার নিজের জীবন ও তো কম নয়। বাবার ইচ্ছে তে এক পার্সি র সাথে বিয়ে হয়েছিল জিনিয়ার। কিন্তু বিয়ের পরে মাতাল বর কে নিয়ে কম ঝামেলা পোহায় নি জিনিয়া। বরের অত্যধিক মদ্য পান বিয়ের দশ বছরেই টাকে বিধবা করে দিল। কোন সন্তান উতপাদনের ক্ষমতাও ছিল না বরের। কিন্তু গোল টা বাধল তার পরে। দক্ষিন কলকাতার একটি পাড়ায় ও থাকত বর আর তার ফ্যামিলির সাথে। সেখানে একটি বড় রকমের গুন্ডা। মানে বেশ বড় রকমের গুন্ডা জিনিয়ার প্রেমে পড়ল। প্রেম বলা ভুল শরীরের প্রেমে পড়ল। তার ওপরে জিনিয়া বিধবা। নজর পড়তে দেরি হয় নি মহেশের জিনিয়ার ওপরে। ভাব্লেও জিনিয়ার শরীর ঘিনঘিন করে ওঠে। মহেশ ভয়ঙ্কর রকমের বাজে ছেলে। বক্সিং চ্যাম্পিয়ন ছিল। কিন্তু রাজনীতির জন্য তাকে লড়তে দেওয়া হয় নি ন্যাশানাল লেভেল এ। এক্ষেত্রে সবাই হারিয়ে যায়, মহেশ উঠে এসেছিল নিজের শারীরিক ক্ষমতা আর ক্ষমতা লোভের দুর্লভ আখাঙ্খায়। অনেক খুন করে বছর চল্লিশেকের মহেশ আজকে এমন জায়গায় যেখানে পুলিশ ও কিচ্ছু বলতে সাহস করে না। জিনিয়াদের পাড়ায় নারি ;., হতেই থাকত। আর সেটা কে করত সবাই জানত। দু একবার কিছু সাহসি পুলিশের লাশ ও পাওয়া গেছে মরা গঙ্গার খালে। যাই হোক, জিনিয়া এই বিপদে নিজের ওপরে আস্থা না হারিয়ে, কলকাতার এই ঘিঞ্জি পার্সি পাড়ায় উঠে এসেছে একদিন রাতে কাউকে কিচ্ছু না বলে। জিনিয়ার শ্বশুর বাড়ির লোকেরাও হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছে। আর জিনিয়াও। একটু শান্তির নিঃশ্বাস সে চেয়েছে মাত্র। সে সুখের আশা করে না। কিন্তু শান্তি টা চায়। বর মারা জাবার পড়েই ও এই এন জি ও তে জয়েন করেছিল। টাই নিজের ব্যাপার টা ও নিজেই চালিয়ে নিতে পারে। আর এই পার্সি পাড়ায় মহেশ আসে না। কারন সাম্নের তিনটে বিশাল বস্তি পাড়া টা কে ঘিরে রেখেছে। বস্তি তে '.েরা একটু বেশি খাপ্পা মহেশ এর উপরে। হয়ত মহেশ কে ওরাও ভয় পায় কিন্তু এই পাড়ায় মহেশ কে দেখলে নিশ্চয়ই ওরাও চুপচাপ বসে থাকবে না। এই ছত্রিশ বছর বয়সে নিজেকে অন্যের কামনার পাত্রি ভাবতে ঘেন্নাই করে জিনিয়ার। জিনিয়া কিন্তু বেশ সুন্দরী। এক ঝলক দেখলে মেম বলেই ভুল হবে। গাড় বাদামি ঘন ঢেউ খেলান চুল পাছা অব্দি। নিচে টা সমান করে কাটা বাঙ্গালীদের মতই। স্লিম। লম্বা প্রায় পাঁচ ফুর ৪ ইঞ্চি। সুন্দর ঠোঁট। লাল টুকটুক করছে। লিপস্টিক না লাগিয়েও লাল ই থাকে। লম্বা গ্রীবা। মসৃণ ত্বক। কাজেই পুরুশের কামনার পাত্রি হিসাব এ জিনি বেশ ভাল। কিন্তু এই বয়সে সেটা খুব মানানসই নয়। জিনিয়ার বাবা রাজি থাকলেও ভাই রাজি হয় নি জিনিয়া কে ওদের বাড়ি তে রাখতে। বদলে ওর ভাই ওদের যে বিশাল মহল্লায় কম করে চল্লিশ ঘর পার্সি থাকে ঠিক তার পিছনেই বড় বিশাল নর্দমার ধারে একটা একতলা বাড়ি ওকে ঠিক করে দিয়েছিল। জিনিয়ার ও ভালই হয়েছিল। এক প্রকার লুকিয়েই থাকা মহেশের হাত থেকে। আর এখান থেকে এন জি ও টা কাছেই।