27-07-2021, 10:36 AM
" কাদিস না স্নিগ্ধা, আমাদের শক্ত হতে হবে। কাপর্ পরে নে, এই এলাকা ছেড়ে অনেক দুর চলে যাব আমরা। " কবির বলে। ওর চোখ থেকেও অশ্রুধারা বইছে
" আর কতো পালিয়ে থাকব আমরা। আমরা কি এমন অপরাধ করেছি? " স্নিগ্ধা বলে। এই প্রশ্নটির জবাব কবিরের কাছে নেই।
মেঝেতে নিথর হয়ে পরে থাকা সাইমন্ডের পকেটগুলো চেক করে কবির, একটি ওয়ালেট খুজে পায়, তাতে ক্রেডিট কার্ড আর কিছু খুচরা টাকা আছে। না, ক্রেডিট কার্ড নেয়া যাবে না, ধরা পরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এরপর সে রকির দিকে এগিয়ে যায়, পকেটে খুজতেই পাচশ টাকার একটি বান্ডিল খুজে পায়, সাথে সাথে নিজের পকেটে নিয়ে নেয়। কিন্তু লক্ষ করে রকির মাথা চুইয়ে রক্ত ঝরছে, আঘাতটা হয়তো একটু বেশী জোরেই লেগেছে। নিশ্বাস ও হার্টবিট চেক করে বুঝতে পারে মৃত।
ততোক্ষনে স্নিগ্ধা ওর জামাটা পরে নিয়েছে, কবিরকে নিশ্চল বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসা করে " কবির, চল। কি হল, কি ভাবছিস? "
" মরে গেছে। আমি খুন করেছি, নিজ হাতে। " রকির দেহটা দেখিয়ে কবির বলে
" বেশ করেছিস। তাছাড়া তুই তো ইচ্ছা করে খুন করিস নি। " স্নিগ্ধা বলে
" তারপরও, আমি কখনো চিন্তাও করতে পারিনি যে আমি কাউকে খুন করতে পারি।" বলে তারপর বাকি দুজনকে চেক করে কবির, দুজনই বেচে আছে। হঠাত ওর মাথায় এক আজগুবি খেয়াল আসে, কেন এ দুটোকেও খুন করে চারটাকে আসেপাশে কোথাও পুতে ফেলতে পারে না? কেউ খুজেও পাবে না। পরমুহুর্তে কবির চিন্তাটা মাথা থেকে সরিয়ে ফেলে।
" কি হল আবার, কি ভাবছিস?" স্নিগ্ধা বলে
" কিছু না, চল বেরিয়ে যাই। " বলে স্নিগ্ধার হাত ধরে ও বেরিয়ে যায়। ততোক্ষনে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। ওরা পাহাড়ি পথে হাটতে থাকে, যতোক্ষনে ওরা পাশের গ্রামে পৌছায় ততোক্ষনে রাত হয়ে গেছে। পাহাড়ি রাস্তায় রাতের বেলা কোন বাস চলে না, তাই ওদের সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ওরা আবারো রশিদের বাসায় ফিরে যায়। রসিদের ঝুপরির সামনে দাড়িয়ে ডাকতেই দরজা খুলে দেয় ষোল সতেরো বছরের এক কিশোর, রফিক রশিদের ছেলে।
" আরে করিম ভাই! সাথে ভাবিও ও আছে, আইসেন আইসেন। " রফিক বলে।
কবির ও স্নিগ্ধা ভেতরে ঢোকে।
" আরে করিম, আবার আইছ যে? " রসিদ বলে
" আইজকাই এই এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছি। " কবির বলে
" তো, তোমার চেহারার এই অবস্থা কিভাবে হইল?"
" আর বইলেন না চাচা, আসার সময় পা ফসকে পাহাড় থেকে গরাইয়া পরে গেছি। ঢাল বেশি খারা ছিল না বইলা বাইচা গেছি। " কবির বলে।
" কি সাংঘাতিক! তোমার লাগে নি তো বাবা। রফিক যা তো দেখ, নিমাই কবিরাজকে পাস কি না, সাথে নিয়া আয় " রসিদ উদ্বিগ্ন কন্ঠে বলে
" না চাচা, তেমন একটা লাগে নি, এমনিই ঠিক হয়ে যাবে, কবিরাজ ডাকার দরকার নাই।" কবির বলে
কিন্তু ততোক্ষনে রফিক বেরিয়ে গেছে কবিরাজ আনতে।
" তা রাইতে রওনা দিলা কেন? কাল সকালে রওনা দিতে পারতা। "
" আসলে চাচা, আপনার এখান থেকে যাবার পর বাসায় ফিরে দেখি চারটা মুন্ডুকাটা ভুত। আমরা একটুর জন্য ধরা পরিনি, পালিয়ে এসেছি। " কবির বলে
" এবার বিশ্বাস হইল তো? বলছি না, ওইখানে থাইক না? তবে তোমাদের ভাগ্য খুব ভাল, খুব কম মানুষ ঐখান থেইকা বাইচা ফিরতে পারছে। " রসিদ বলে। ততোক্ষনে রফিক কবিরাজ নিয়ে এসেছে। কবিরাজ কবিরের দেহের যখম গুলো দেখে এক শিশি ওষুধ দেয় এবং তা যখমের যায়গায় লাগাতে বলে। স্নিগ্ধা ও রফিক মিলে কবিরের যখমগুলোতে ওষুধ লাগিয়ে দেয়। তারপর ওরা একসাথে খেয়েদেয়ে শুয়ে পরে। একটিমাত্র ঘর, রশিদ ও তার ছেলে খাটে শোয়, স্নিগ্ধা ও কবির মেঝেতে শীতলপাটি পেরে শুয়ে পরে।
কিছুক্ষনের মাঝে কবির রসিদের নাকডাকার শব্দ শুনতে পায়, কবির উকি দিয়ে দেখে রফিকও ঘুমিয়েছে।
স্নিগ্ধা অন্যপাশ হয়ে শুয়েছিল। কবির ওকে ফিসফিস করে ডাকে " জান, ঘুমিয়েছিস? "
স্নিগ্ধা ওর দিকে ফিরে বলে " না জান, ঘুম আসছে না, খুব চিন্তা হচ্ছে। ওর বাবা খুব ক্ষমতাবান লোক। আমাদের ওরা ছাড়বে না। "
" চিন্তা করিস না, ওরা আমাদের কিচ্ছু করতে পারবে না। " স্নিগ্ধাকে বাহুডোরে জড়িয়ে নিয়ে বলে কবির।
" তোর কামিজটা খোল তো। " কবির বলে
" আমার এখন সেক্স করতে ইচ্ছা করছে না, দুষ্টমি করবি না। " স্নিগ্ধা বলে
কবির নিজেও ওর কামিজটা গলা পর্যন্ত গুটিয়ে নেয়, ব্রাটিও ওপর দিকে তুলে দেয়। ওর সারা বুক জুরে খামচানোর দাগ ও কামড়ের জখম। বালিশের নিচে রাখা ওষুধের শিশি নিয়ে ওর বুকের জখমগুলোতে ওষুধ লাগাতে থাকে। ওষুধ লাগানো হয়ে গেলে ওর ব্রা ও কামিজ নামিয়ে দেয়। স্নিগ্ধা ওকে বাহুডোরে জরিয়ে নেও, একে অপরে মুখে চুমু দেয় কিছুক্ষন, তারপর ঘুমানোর চেষ্টা করে।
পরের দিন ওরা খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে ও রওনা দেয়। কিন্তু বাস পেতে ওদের প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়।
ওরা বাসে করে প্রথমে বান্দরবান শহরে যাবে সেখান থেকে বরিশাল যাবে বলে ঠিক করেছে ওরা। বান্দরবান যাবার মাঝপথে একটি পুলিশ চেকপোস্টে আটকা পরে বাস। পুলিশরা বাস ট্রাক থামিয়ে চেক করছে। এ ধরনের চেকপোস্ট নতুন কিছু নয়, চোরাচালান ও পার্বত্য বিদ্রোহ রোধে মাঝে মাঝেই এ ধরনের চেকপোস্ট খোলা হয়। কিন্তু এতে ওদের ধরা পরার ভয়ও রয়েছে এতে। কবির চারিদিকে চোখ বুলায়, পালানো প্রায় অসম্ভব, চারিদিকে সসস্ত্র পুলিশ ঘিরে রয়েছে।
" পুলিশের কাছে ধরা পরলে কি করতে হবে বলেছিলাম, মনে আছে ? " কবির ফিসফিস করে বলে
" আমরা কি ধরা পরে যাচ্ছি, কবির? " স্নিগ্ধা ফিসফিস করে বলে
" মনে হচ্ছে। " দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে কবির। তারপর আবার বলে " আমাকে ছুয়ে কথা দে, এরপর যতোকিছুই হোক, পরিস্থিতি যতো খারপই হোক, যদি আমি মরেও যাই, তুই কখনোই আত্মহত্যার কথা ভাববি না। "
স্নিগ্ধার চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরে পরছে, ও বলে " তোকে ছাড়া কি করে বেচে থাকবে? সে আমি পারব না। " বলতে বলতে ওর গলা ধরে আসে। ও কবিরকে জড়িয়ে ধরে ঠোটে ঠোট চেপে চুমু দেয় ও। আশেপাশের প্যাসেন্জাররা ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে আছে। কিন্তু ওদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, একে অন্যের ঠোট প্রাণপন চুষে চলেছে, যেন মিটিয়ে নিতে চায় হাজার বছরের তৃষা।
" কথা দে স্নিগ্ধা।" ঘণ ঘন নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে হাত বাড়িয়ে বলে কবির
স্নিগ্ধা ওর হাতে হাত স্পর্শ করে বলে " কথা দিলাম। "
ততক্ষনে একজন পুরুষ ও একজন নারী পুলিশ বাসে ঢুকে তল্লাশি শুরু করেছে।
" ওদের দিকে তাকাস না, স্বাভাবিক থাকার অভিনয় কর। " কবির ফিসফিস করে বলে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয় না, কবিরের জখম ভরা মুখ ওদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায় না। মেয়ে পুলিশটি সোজা ওদের সামনে এসে দাড়ায়, পকেট থেকে একটি ছবি বের করে নিজে মিলিয়ে দেখে তারপর সহকর্মীকে দেখায়।
" আর কতো পালিয়ে থাকব আমরা। আমরা কি এমন অপরাধ করেছি? " স্নিগ্ধা বলে। এই প্রশ্নটির জবাব কবিরের কাছে নেই।
মেঝেতে নিথর হয়ে পরে থাকা সাইমন্ডের পকেটগুলো চেক করে কবির, একটি ওয়ালেট খুজে পায়, তাতে ক্রেডিট কার্ড আর কিছু খুচরা টাকা আছে। না, ক্রেডিট কার্ড নেয়া যাবে না, ধরা পরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এরপর সে রকির দিকে এগিয়ে যায়, পকেটে খুজতেই পাচশ টাকার একটি বান্ডিল খুজে পায়, সাথে সাথে নিজের পকেটে নিয়ে নেয়। কিন্তু লক্ষ করে রকির মাথা চুইয়ে রক্ত ঝরছে, আঘাতটা হয়তো একটু বেশী জোরেই লেগেছে। নিশ্বাস ও হার্টবিট চেক করে বুঝতে পারে মৃত।
ততোক্ষনে স্নিগ্ধা ওর জামাটা পরে নিয়েছে, কবিরকে নিশ্চল বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসা করে " কবির, চল। কি হল, কি ভাবছিস? "
" মরে গেছে। আমি খুন করেছি, নিজ হাতে। " রকির দেহটা দেখিয়ে কবির বলে
" বেশ করেছিস। তাছাড়া তুই তো ইচ্ছা করে খুন করিস নি। " স্নিগ্ধা বলে
" তারপরও, আমি কখনো চিন্তাও করতে পারিনি যে আমি কাউকে খুন করতে পারি।" বলে তারপর বাকি দুজনকে চেক করে কবির, দুজনই বেচে আছে। হঠাত ওর মাথায় এক আজগুবি খেয়াল আসে, কেন এ দুটোকেও খুন করে চারটাকে আসেপাশে কোথাও পুতে ফেলতে পারে না? কেউ খুজেও পাবে না। পরমুহুর্তে কবির চিন্তাটা মাথা থেকে সরিয়ে ফেলে।
" কি হল আবার, কি ভাবছিস?" স্নিগ্ধা বলে
" কিছু না, চল বেরিয়ে যাই। " বলে স্নিগ্ধার হাত ধরে ও বেরিয়ে যায়। ততোক্ষনে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। ওরা পাহাড়ি পথে হাটতে থাকে, যতোক্ষনে ওরা পাশের গ্রামে পৌছায় ততোক্ষনে রাত হয়ে গেছে। পাহাড়ি রাস্তায় রাতের বেলা কোন বাস চলে না, তাই ওদের সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ওরা আবারো রশিদের বাসায় ফিরে যায়। রসিদের ঝুপরির সামনে দাড়িয়ে ডাকতেই দরজা খুলে দেয় ষোল সতেরো বছরের এক কিশোর, রফিক রশিদের ছেলে।
" আরে করিম ভাই! সাথে ভাবিও ও আছে, আইসেন আইসেন। " রফিক বলে।
কবির ও স্নিগ্ধা ভেতরে ঢোকে।
" আরে করিম, আবার আইছ যে? " রসিদ বলে
" আইজকাই এই এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছি। " কবির বলে
" তো, তোমার চেহারার এই অবস্থা কিভাবে হইল?"
" আর বইলেন না চাচা, আসার সময় পা ফসকে পাহাড় থেকে গরাইয়া পরে গেছি। ঢাল বেশি খারা ছিল না বইলা বাইচা গেছি। " কবির বলে।
" কি সাংঘাতিক! তোমার লাগে নি তো বাবা। রফিক যা তো দেখ, নিমাই কবিরাজকে পাস কি না, সাথে নিয়া আয় " রসিদ উদ্বিগ্ন কন্ঠে বলে
" না চাচা, তেমন একটা লাগে নি, এমনিই ঠিক হয়ে যাবে, কবিরাজ ডাকার দরকার নাই।" কবির বলে
কিন্তু ততোক্ষনে রফিক বেরিয়ে গেছে কবিরাজ আনতে।
" তা রাইতে রওনা দিলা কেন? কাল সকালে রওনা দিতে পারতা। "
" আসলে চাচা, আপনার এখান থেকে যাবার পর বাসায় ফিরে দেখি চারটা মুন্ডুকাটা ভুত। আমরা একটুর জন্য ধরা পরিনি, পালিয়ে এসেছি। " কবির বলে
" এবার বিশ্বাস হইল তো? বলছি না, ওইখানে থাইক না? তবে তোমাদের ভাগ্য খুব ভাল, খুব কম মানুষ ঐখান থেইকা বাইচা ফিরতে পারছে। " রসিদ বলে। ততোক্ষনে রফিক কবিরাজ নিয়ে এসেছে। কবিরাজ কবিরের দেহের যখম গুলো দেখে এক শিশি ওষুধ দেয় এবং তা যখমের যায়গায় লাগাতে বলে। স্নিগ্ধা ও রফিক মিলে কবিরের যখমগুলোতে ওষুধ লাগিয়ে দেয়। তারপর ওরা একসাথে খেয়েদেয়ে শুয়ে পরে। একটিমাত্র ঘর, রশিদ ও তার ছেলে খাটে শোয়, স্নিগ্ধা ও কবির মেঝেতে শীতলপাটি পেরে শুয়ে পরে।
কিছুক্ষনের মাঝে কবির রসিদের নাকডাকার শব্দ শুনতে পায়, কবির উকি দিয়ে দেখে রফিকও ঘুমিয়েছে।
স্নিগ্ধা অন্যপাশ হয়ে শুয়েছিল। কবির ওকে ফিসফিস করে ডাকে " জান, ঘুমিয়েছিস? "
স্নিগ্ধা ওর দিকে ফিরে বলে " না জান, ঘুম আসছে না, খুব চিন্তা হচ্ছে। ওর বাবা খুব ক্ষমতাবান লোক। আমাদের ওরা ছাড়বে না। "
" চিন্তা করিস না, ওরা আমাদের কিচ্ছু করতে পারবে না। " স্নিগ্ধাকে বাহুডোরে জড়িয়ে নিয়ে বলে কবির।
" তোর কামিজটা খোল তো। " কবির বলে
" আমার এখন সেক্স করতে ইচ্ছা করছে না, দুষ্টমি করবি না। " স্নিগ্ধা বলে
কবির নিজেও ওর কামিজটা গলা পর্যন্ত গুটিয়ে নেয়, ব্রাটিও ওপর দিকে তুলে দেয়। ওর সারা বুক জুরে খামচানোর দাগ ও কামড়ের জখম। বালিশের নিচে রাখা ওষুধের শিশি নিয়ে ওর বুকের জখমগুলোতে ওষুধ লাগাতে থাকে। ওষুধ লাগানো হয়ে গেলে ওর ব্রা ও কামিজ নামিয়ে দেয়। স্নিগ্ধা ওকে বাহুডোরে জরিয়ে নেও, একে অপরে মুখে চুমু দেয় কিছুক্ষন, তারপর ঘুমানোর চেষ্টা করে।
পরের দিন ওরা খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে ও রওনা দেয়। কিন্তু বাস পেতে ওদের প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়।
ওরা বাসে করে প্রথমে বান্দরবান শহরে যাবে সেখান থেকে বরিশাল যাবে বলে ঠিক করেছে ওরা। বান্দরবান যাবার মাঝপথে একটি পুলিশ চেকপোস্টে আটকা পরে বাস। পুলিশরা বাস ট্রাক থামিয়ে চেক করছে। এ ধরনের চেকপোস্ট নতুন কিছু নয়, চোরাচালান ও পার্বত্য বিদ্রোহ রোধে মাঝে মাঝেই এ ধরনের চেকপোস্ট খোলা হয়। কিন্তু এতে ওদের ধরা পরার ভয়ও রয়েছে এতে। কবির চারিদিকে চোখ বুলায়, পালানো প্রায় অসম্ভব, চারিদিকে সসস্ত্র পুলিশ ঘিরে রয়েছে।
" পুলিশের কাছে ধরা পরলে কি করতে হবে বলেছিলাম, মনে আছে ? " কবির ফিসফিস করে বলে
" আমরা কি ধরা পরে যাচ্ছি, কবির? " স্নিগ্ধা ফিসফিস করে বলে
" মনে হচ্ছে। " দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে কবির। তারপর আবার বলে " আমাকে ছুয়ে কথা দে, এরপর যতোকিছুই হোক, পরিস্থিতি যতো খারপই হোক, যদি আমি মরেও যাই, তুই কখনোই আত্মহত্যার কথা ভাববি না। "
স্নিগ্ধার চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরে পরছে, ও বলে " তোকে ছাড়া কি করে বেচে থাকবে? সে আমি পারব না। " বলতে বলতে ওর গলা ধরে আসে। ও কবিরকে জড়িয়ে ধরে ঠোটে ঠোট চেপে চুমু দেয় ও। আশেপাশের প্যাসেন্জাররা ড্যাব ড্যাব করে চেয়ে আছে। কিন্তু ওদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, একে অন্যের ঠোট প্রাণপন চুষে চলেছে, যেন মিটিয়ে নিতে চায় হাজার বছরের তৃষা।
" কথা দে স্নিগ্ধা।" ঘণ ঘন নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে হাত বাড়িয়ে বলে কবির
স্নিগ্ধা ওর হাতে হাত স্পর্শ করে বলে " কথা দিলাম। "
ততক্ষনে একজন পুরুষ ও একজন নারী পুলিশ বাসে ঢুকে তল্লাশি শুরু করেছে।
" ওদের দিকে তাকাস না, স্বাভাবিক থাকার অভিনয় কর। " কবির ফিসফিস করে বলে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয় না, কবিরের জখম ভরা মুখ ওদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায় না। মেয়ে পুলিশটি সোজা ওদের সামনে এসে দাড়ায়, পকেট থেকে একটি ছবি বের করে নিজে মিলিয়ে দেখে তারপর সহকর্মীকে দেখায়।