26-07-2021, 04:04 PM
সেদিন ছিল আশুতোষ কলেজে নবীন বরণের দিন । ছাত্র সংসদের দাদারা সেই উপলক্ষে একটা ছোটো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল কলেজের অডিটোরিয়ামে । সেখানে শম্পা তার প্রাণের বন্ধু রত্নার সঙ্গে বসে বসে প্রোগ্রাম দেখছিল । সেখানে দু-একটা প্যানপেনানি গান আর অতি আধুনিক কবিতা আবৃত্তি শুনতে শুনতে কখন যে তার চোখে ঘুম নেমে এসেছে তা সে বুঝতে পারেনি । হঠাৎ উদাত্ত কন্ঠে পুরুষালি গলায় - আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে।
এ জীবন পুণ্য কর দহন-দানে॥
আমার এই দেহখানি তুলে ধরো,
তোমার ওই দেবালয়ের প্রদীপ করো--
নিশিদিন আলোক-শিখা জ্বলুক গানে॥
আঁধারের গায়ে গায়ে পরশ তব
সারারাত ফোটাক তারা নব নব।
নয়নের দৃষ্টি হতে ঘুচবে কালো,
যেখানে পড়বে সেথায় দেখবে আলো--
ব্যথা মোর উঠবে জ্বলে ঊর্ধ্ব-পানে।।
- রবীন্দ্র সংগীতটি শুনে চমকে জেগে উঠল । দেখল সুঠাম চেহারার সৌম্য দর্শন একটি ছেলে গানটা গাইছে । রত্নাকে ফিসফিস করে জিজ্ঞাসা করল ছেলেটার কি নাম ঘোষণা করল রে ?
- কেন তুই শুনিস নাই ?
- নারে । চোখটা একটু লেগে গিয়েছিল ।
-ও । ওর নাম দীপঙ্কর মজুমদার । ফার্স্ট ইয়ার ইতিহাস অনার্স ।
-বেশ সুন্দর দেখতে । গানও গায় সুন্দর ।
-দে’খ সখী প্রেমে পড়ে যেও না ।
শম্পা রত্নার পিঠে ছোট্ট একটা কিল মেরে বলে – তুই খুব অসভ্য হয়েছিস ।
এ জীবন পুণ্য কর দহন-দানে॥
আমার এই দেহখানি তুলে ধরো,
তোমার ওই দেবালয়ের প্রদীপ করো--
নিশিদিন আলোক-শিখা জ্বলুক গানে॥
আঁধারের গায়ে গায়ে পরশ তব
সারারাত ফোটাক তারা নব নব।
নয়নের দৃষ্টি হতে ঘুচবে কালো,
যেখানে পড়বে সেথায় দেখবে আলো--
ব্যথা মোর উঠবে জ্বলে ঊর্ধ্ব-পানে।।
- রবীন্দ্র সংগীতটি শুনে চমকে জেগে উঠল । দেখল সুঠাম চেহারার সৌম্য দর্শন একটি ছেলে গানটা গাইছে । রত্নাকে ফিসফিস করে জিজ্ঞাসা করল ছেলেটার কি নাম ঘোষণা করল রে ?
- কেন তুই শুনিস নাই ?
- নারে । চোখটা একটু লেগে গিয়েছিল ।
-ও । ওর নাম দীপঙ্কর মজুমদার । ফার্স্ট ইয়ার ইতিহাস অনার্স ।
-বেশ সুন্দর দেখতে । গানও গায় সুন্দর ।
-দে’খ সখী প্রেমে পড়ে যেও না ।
শম্পা রত্নার পিঠে ছোট্ট একটা কিল মেরে বলে – তুই খুব অসভ্য হয়েছিস ।