25-07-2021, 09:33 AM
(This post was last modified: 26-07-2021, 11:37 AM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
ট্রেসির সাথে চার্লসের প্রথম দেখা একটি অর্থনৈতিক সন্মেলনে। সেখানে চার্লস ছিল অতিথি বক্তা। চার্লেসএর একটা বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে... প্রতিষ্ঠানটি তার প্রপিতামহের প্রতিষ্ঠা করা। এখন যে ব্যাঙ্কে ট্রেসি কর্মরতা, সেই ব্যাঙ্কের সাথে বেশ ভালো লেনদেন হয়ে থাকে চার্লসের প্রতিষ্ঠানের। তাই ব্যাঙ্কের তরফ থেকে ট্রেসি উপস্থিত ছিল সেদিনের সেই সন্মেলনে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধী স্বরূপ। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি টাকা ধার করে ফেরত দেওয়া নিয়ে টালবাহানার ওপর চার্লসের বক্তব্য ঠিক মেনে নিতে পারেনি ট্রেসি সেদিন। সেদিনের চার্লসের বিশ্লেষনের প্রতিবাদে বক্তব্য রেখেছিল সেও। আর চার্লস অবাক বিস্ময়ে শুনছিল এক সুন্দরী যুবতীর তীক্ষ্ণ আবেগপূর্ন যুক্তি তার বক্তব্যের প্রতিবাদে। পরে তাদের বাদানুবাদ চলেছিল অনেক রাত পর্যন্ত প্রাচীন বুকবাইন্ডার রেস্তোরাঁর ডিনার টেবিলেও।
প্রথম দিকটাতে চার্লস মোটেই ট্রেসির মনে কোন দাগ কাটতে পারেনি। যদিও ট্রেসি জানতো চার্লস ফিলাডেলফিয়ার এক রাজপুত্রসম। পয়ত্রিশ বর্ষিও চার্লস ধনবান, ফিলাডেলফিয়ার সমৃদ্ধ পরিবারের সদস্য। পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চি উচ্চতার সুপুরুষই বলা চলে। মাথায় ইষৎ পাতলা হয়ে আসা বেলে চুল, বাদামী চোখ আর অতিব ভদ্র মার্জিত আচার ব্যবহার। কিন্তু ট্রেসির কাছে সেই মুহুর্তে চার্লস আর পাঁচটা বড়লোকের ক্লান্তিকর ছেলে ছাড়া আর কিছুই নয়।
সম্ভবত ট্রেসির মুখ দেখে চার্লস সেদিন তার মনের কথাটা বুঝতে পেরেছিল। তাই টেবিলের ওপর একটু ঝুঁকে ফিসফিস করে বলেছিল, ‘আমার বাবা নিশ্চিত যে তাঁদেরকে হসপিটালে ভুল বাচ্ছাকে দেওয়া হয়েছিল।’
‘মানে?’ ভুরু কুঁচকে প্রশ্ন করেছিল ট্রেসি।
‘আসলে আমি আমার পূর্বপুরুষের ধারায় প্রত্যাগত প্রজাতির কোন একজন। আমি মনে করি না যে অর্থই সব বা জীবনের শেষ কথা। অবস্য দয়া করে সেটা আমার বাবাকে বলবেন না।’
সেই রাতে ডিনার টেবিলে বসে ওদের কথপোকথনের শেষের দিকে চার্লসের মধ্যে একটা কেমন কমনীয় নিরহঙ্করতা লক্ষ্য করেছিল ট্রেসি। ধীরে ধীরে চার্লসের প্রতি একটা প্রচ্ছন্ন ভালো লাগা অনুভব করতে লাগল সে। আনমনে ভাবছিল, ‘বেশ হতো এইরকম যদি একটা ছেলেকে নিজের স্বামী হিসেবে পাওয়া যেত... অন্তত ভাবতে তো দোষের কিছু নেই।’
‘কোথায় হুইটনি আর কোথায় স্ট্যানহোপ। আমার বাবা সারাটা জীবন দিয়ে যে ব্যবসা দাঁড় করিয়েছিল সেই ধরনের ব্যবসা এই স্ট্যানহোপদের কাছে নগন্য মাত্র। তাই স্ট্যানহোপ আর হুইটনি কখনই মিলতে পারে না, অসম্ভব। একজন যদি হয় তেল তো অন্যজন জল। আর অবস্যই স্ট্যানহোপরাই তেল। আর আমায় দেখ, কি বোকা আমি। একজন ভদ্রলোক আমাকে ডিনারে আমন্ত্রন জানিয়েছে ভদ্রতার খাতিরে আর আমি কিনা ভেবে ফেললাম একেবারে বিয়ে অবধি। হয়তো ভবিষ্যতে এনার সঙ্গে কোনদিন আর দেখাই হবে না!’
কানে এল চার্লস তাকে প্রশ্ন করছে, ‘যদি কিছু মনে না করেন, আগামী কাল আপনাকে ডিনারে আমন্ত্রন জানাতে পারি? আপনি কি কাল সন্ধ্যেবেলা ফ্রি আছেন?’
******
প্রথম দিকটাতে চার্লস মোটেই ট্রেসির মনে কোন দাগ কাটতে পারেনি। যদিও ট্রেসি জানতো চার্লস ফিলাডেলফিয়ার এক রাজপুত্রসম। পয়ত্রিশ বর্ষিও চার্লস ধনবান, ফিলাডেলফিয়ার সমৃদ্ধ পরিবারের সদস্য। পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চি উচ্চতার সুপুরুষই বলা চলে। মাথায় ইষৎ পাতলা হয়ে আসা বেলে চুল, বাদামী চোখ আর অতিব ভদ্র মার্জিত আচার ব্যবহার। কিন্তু ট্রেসির কাছে সেই মুহুর্তে চার্লস আর পাঁচটা বড়লোকের ক্লান্তিকর ছেলে ছাড়া আর কিছুই নয়।
সম্ভবত ট্রেসির মুখ দেখে চার্লস সেদিন তার মনের কথাটা বুঝতে পেরেছিল। তাই টেবিলের ওপর একটু ঝুঁকে ফিসফিস করে বলেছিল, ‘আমার বাবা নিশ্চিত যে তাঁদেরকে হসপিটালে ভুল বাচ্ছাকে দেওয়া হয়েছিল।’
‘মানে?’ ভুরু কুঁচকে প্রশ্ন করেছিল ট্রেসি।
‘আসলে আমি আমার পূর্বপুরুষের ধারায় প্রত্যাগত প্রজাতির কোন একজন। আমি মনে করি না যে অর্থই সব বা জীবনের শেষ কথা। অবস্য দয়া করে সেটা আমার বাবাকে বলবেন না।’
সেই রাতে ডিনার টেবিলে বসে ওদের কথপোকথনের শেষের দিকে চার্লসের মধ্যে একটা কেমন কমনীয় নিরহঙ্করতা লক্ষ্য করেছিল ট্রেসি। ধীরে ধীরে চার্লসের প্রতি একটা প্রচ্ছন্ন ভালো লাগা অনুভব করতে লাগল সে। আনমনে ভাবছিল, ‘বেশ হতো এইরকম যদি একটা ছেলেকে নিজের স্বামী হিসেবে পাওয়া যেত... অন্তত ভাবতে তো দোষের কিছু নেই।’
‘কোথায় হুইটনি আর কোথায় স্ট্যানহোপ। আমার বাবা সারাটা জীবন দিয়ে যে ব্যবসা দাঁড় করিয়েছিল সেই ধরনের ব্যবসা এই স্ট্যানহোপদের কাছে নগন্য মাত্র। তাই স্ট্যানহোপ আর হুইটনি কখনই মিলতে পারে না, অসম্ভব। একজন যদি হয় তেল তো অন্যজন জল। আর অবস্যই স্ট্যানহোপরাই তেল। আর আমায় দেখ, কি বোকা আমি। একজন ভদ্রলোক আমাকে ডিনারে আমন্ত্রন জানিয়েছে ভদ্রতার খাতিরে আর আমি কিনা ভেবে ফেললাম একেবারে বিয়ে অবধি। হয়তো ভবিষ্যতে এনার সঙ্গে কোনদিন আর দেখাই হবে না!’
কানে এল চার্লস তাকে প্রশ্ন করছে, ‘যদি কিছু মনে না করেন, আগামী কাল আপনাকে ডিনারে আমন্ত্রন জানাতে পারি? আপনি কি কাল সন্ধ্যেবেলা ফ্রি আছেন?’
******