25-07-2021, 07:54 AM
পিউয়ের কথা
খাওয়া দাওয়া করে চুল বেঁধে নিজের ঘরের দিকে চলে গেল পিউ। পাশেরটাই দাদার ঘর।
দাদা বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিল। ও দাদার কাছে গিয়ে দাঁড়াল।
বলল, ‘তোর ফোন থেকে যখন তপুদাকে ফোন করলাম, প্রথমে তো ও ভেবেছে তুই ফোন করেছিস।‘
পার্থ বলল, ‘এএএএএএ.. তার মানে খারাপ কথা দিয়ে শুরু করেছে নিশ্চই। ওর যা স্বভাব।‘
পিউ বলল, ‘ইশশশশ, কী খারাপ গালাগাল করল তোকে দাদা!! হিহিহিহিহিহি।‘
পার্থ বলল, ‘কী আর করা যাবে, ও এরকমই। যাক বলে দিয়েছিস তো আমরা কোন ট্রেনে যাচ্ছি?
পিউ বলল, ‘হ্যাঁ রে বাবা। তপুদা স্টেশনে আসবে। শোন তুই কিন্তু একটা হোস্টেল বা পেয়িং গেস্ট দেখে দিয়ে ফিরবি দাদা।‘
পার্থ বলল, ‘আরে হ্যাঁ রে বাবা। কেন এত চাপ নিচ্ছিস। যা ঘুমো।‘
পিউ নিজের ঘরে চলে গেল। লাইট নিভিয়ে বিছানাতে শুয়েই ওর গোটা মন জুড়ে তপুদা।
কয়েকবছর আগে দেখা তপুদার সেই সুইমিং কস্টিউম পড়া চেহারা!! উফফফ ভাবলেই এখনও ভেতরটা ভিজে যায়।
কী মনে হল, মোবাইলে ফেসবুক খুলল পিউ।
উফফফফফফফফফফফ .. .. .. আজই এটা হওয়ার ছিল!!!
ফ্রেন্ডস রিকোয়েস্ট এসেছে তপুদার কাছ থেকে। ভাবা যায়!!!!!!
সঙ্গে সঙ্গে এক্সেপ্ট করে নিল।
ও বাবা, তপুদাও তো অনলাইন। সঙ্গে সঙ্গে মেসেঞ্জারে মেসেজ – ‘থ্যাঙ্ক ইউ রে.. শোওয়ার আগে ফেসবুক চেক করছিলাম, তাই অনলাইনই ছিলাম, মেসেজ এল তুই এক্সেপ্ট করেছিস। মন খারাপ করিস না, কলেজে এসে অনেক বন্ধু পাবি, বাবা-মা-দাদাদের জন্য মন খারাপ হবে না আর।‘
পিউ মনে মনে বলল, তোমাকে তো অনেক আগেই আমি এক্সেপ্ট করে বসে আছি গো!!! শুধু বলতে পারি নি। আর তোমার কাছাকাছি থাকব, তাতে আবার মন খারাপ!!! হা হা হা
তবে এসব কথা কি আর দাদার বন্ধুকে লেখা যায়!! অন্ধকার ঘর বলে, নাহলে পিউয়ের গমরঙা গালটার যে রঙ পাল্টে গোলাপী হয়ে গেছে সেটা স্পষ্ট বোঝা যেত।
পিউ মোবাইলটা মুখের কাছে নিয়ে এসে তপুদার ফেসবুক অ্যালবামের ছবিগুলো দেখতে থাকল। সাঁতারের ছবি খুঁজছিল পিউ। পেয়ে গেল একটা – অফিসের কোনও কনফারেন্সে গিয়েছিল কোনও একটা হোটেলে। সেখানকার সুইমিং পুলের ধারে সাঁতারের পোষাকে দাঁড়িয়ে ছবি তুলিয়েছে তপুদা।
পিউয়ের গা শিরশির করে উঠল, ভেতরটা ভিজে গেছে কী না বোঝার জন্য ও নিজের হাতটা নামিয়ে দিল উরুসন্ধিতে।
খাওয়া দাওয়া করে চুল বেঁধে নিজের ঘরের দিকে চলে গেল পিউ। পাশেরটাই দাদার ঘর।
দাদা বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিল। ও দাদার কাছে গিয়ে দাঁড়াল।
বলল, ‘তোর ফোন থেকে যখন তপুদাকে ফোন করলাম, প্রথমে তো ও ভেবেছে তুই ফোন করেছিস।‘
পার্থ বলল, ‘এএএএএএ.. তার মানে খারাপ কথা দিয়ে শুরু করেছে নিশ্চই। ওর যা স্বভাব।‘
পিউ বলল, ‘ইশশশশ, কী খারাপ গালাগাল করল তোকে দাদা!! হিহিহিহিহিহি।‘
পার্থ বলল, ‘কী আর করা যাবে, ও এরকমই। যাক বলে দিয়েছিস তো আমরা কোন ট্রেনে যাচ্ছি?
পিউ বলল, ‘হ্যাঁ রে বাবা। তপুদা স্টেশনে আসবে। শোন তুই কিন্তু একটা হোস্টেল বা পেয়িং গেস্ট দেখে দিয়ে ফিরবি দাদা।‘
পার্থ বলল, ‘আরে হ্যাঁ রে বাবা। কেন এত চাপ নিচ্ছিস। যা ঘুমো।‘
পিউ নিজের ঘরে চলে গেল। লাইট নিভিয়ে বিছানাতে শুয়েই ওর গোটা মন জুড়ে তপুদা।
কয়েকবছর আগে দেখা তপুদার সেই সুইমিং কস্টিউম পড়া চেহারা!! উফফফ ভাবলেই এখনও ভেতরটা ভিজে যায়।
কী মনে হল, মোবাইলে ফেসবুক খুলল পিউ।
উফফফফফফফফফফফ .. .. .. আজই এটা হওয়ার ছিল!!!
ফ্রেন্ডস রিকোয়েস্ট এসেছে তপুদার কাছ থেকে। ভাবা যায়!!!!!!
সঙ্গে সঙ্গে এক্সেপ্ট করে নিল।
ও বাবা, তপুদাও তো অনলাইন। সঙ্গে সঙ্গে মেসেঞ্জারে মেসেজ – ‘থ্যাঙ্ক ইউ রে.. শোওয়ার আগে ফেসবুক চেক করছিলাম, তাই অনলাইনই ছিলাম, মেসেজ এল তুই এক্সেপ্ট করেছিস। মন খারাপ করিস না, কলেজে এসে অনেক বন্ধু পাবি, বাবা-মা-দাদাদের জন্য মন খারাপ হবে না আর।‘
পিউ মনে মনে বলল, তোমাকে তো অনেক আগেই আমি এক্সেপ্ট করে বসে আছি গো!!! শুধু বলতে পারি নি। আর তোমার কাছাকাছি থাকব, তাতে আবার মন খারাপ!!! হা হা হা
তবে এসব কথা কি আর দাদার বন্ধুকে লেখা যায়!! অন্ধকার ঘর বলে, নাহলে পিউয়ের গমরঙা গালটার যে রঙ পাল্টে গোলাপী হয়ে গেছে সেটা স্পষ্ট বোঝা যেত।
পিউ মোবাইলটা মুখের কাছে নিয়ে এসে তপুদার ফেসবুক অ্যালবামের ছবিগুলো দেখতে থাকল। সাঁতারের ছবি খুঁজছিল পিউ। পেয়ে গেল একটা – অফিসের কোনও কনফারেন্সে গিয়েছিল কোনও একটা হোটেলে। সেখানকার সুইমিং পুলের ধারে সাঁতারের পোষাকে দাঁড়িয়ে ছবি তুলিয়েছে তপুদা।
পিউয়ের গা শিরশির করে উঠল, ভেতরটা ভিজে গেছে কী না বোঝার জন্য ও নিজের হাতটা নামিয়ে দিল উরুসন্ধিতে।