24-07-2021, 10:38 AM
এক ফালি রোদ আর তার নাম আশা
উফফ কি রোদ!!! জিনিয়া কোনরকমে মাথায় নিজের ব্যাগ টা ঢাকা দিয়ে রাস্তা টা ছুটে পেরিয়ে গেল।ওপারে পৌঁছতেইই দেখল রাস্তার পাশে যে নতুন খাবারের দোকান টা হয়েছে সেখানে শিবা মাথায় টুপি পরে ওভেন এর সামনে। জাক শেষে একটা কাজ পেল ও। স্টুডেন্ট ছিল শিবা জিনিয়ার। কলেজেও আর প্রাইভেট টিউশানি ও পড়ত ওর কাছে। বদমাইশের চূড়ান্ত ছিল।ওর একটা ভাই ও ছিল। যতদূর মনে পড়ছে। জিনিয়া তা করতে করতে এগিয়ে গেল আর একটু। বড্ড খিদেও পেয়েছে। বসে পড়ল দকানের সামনে রাখা চেয়ার গুলর একটা তে।
- শিবা অ্যায়ই শিবা... শিবা বলে ছেলেটি তাকিয়ে দেখল সামনে। হাসল যেন একটু। জিনিয়া মনে মনে ভাবল, এখন ও সেই রকম ই আছে, হাসলেও বোঝা যায় না আর কাঁদলেও না। উফফ কি মার টাই না মারত ওকে জিনিয়া। আর তেমনি দুরন্ত ছিল। ছেলেটা হঠাৎ করে একদিন আসা বন্ধ করে দিল।
- ম্যাম বলুন!! কেমন আছেন??? ... উম্ম গলার স্বর টা কি ভারিক্কি হয়েছে রে বাবা। জিনিয়ার চিন্তায় ছেদ পরতেই সামনে তাকিয়ে লম্বা তার সাথে মানানসই চেহারার একটা ছেলেকে দেখল। ফ্রেঞ্চ কাট দাড়ি। শক্ত চোয়াল। ডান হাতের কবজি তে একটা ডমরুর উল্কি। গলায় আড়াআড়ি ভাবে ত্রিশূলের উল্কি। - বাবা একি? এ তো পুরো ম্যান হয়ে গেছিস রে তুই শিবা?? শিবা যেন লজ্জা পেল একটু। কিন্তু বোঝা বিশেষ গেল না। ঠোঁটের কোনে চিলতে হাসি টা উঠেই আবার মিলিয়ে গেল।মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল শিবা। জিনিয়া বলল- ভাল আছি রে? কি করছিস এখন?
- এখানেই কাজ করছি। আবার সেই ছোট্ট উত্তর। যখন পড়ত জিনিয়ার কাছে তখন উত্তর তো দিতই না আর পরে পরে মার খেত, জাক এখন উত্তর টা অল্প হলেও দেয়। - রান্না শিখলি কোথায়? এই উত্তর টা জিনিয়া আশা করে নি। পেল ও না। - কি নেবেন আপনি ম্যাম?
- তুই সব থেকে যেটা ভাল বানাস সেইটা নিয়ে আয়... জিনিয়া এবারেও উত্তর আশা করে নি। শিবা চলে যেতেই ওর পিছনে তাকিয়ে দেখল ঘাড়েও একটা উল্কি। ছোট ছোট করে ছাঁটা চুল প্রায় শাঁস বেড়িয়ে যাওয়া মাথার ঠিক নিচে ঘাড়ের একটু ওপরে একটা সাপের উল্কি দেখতে পেল জিনিয়া। আবার পুরনো ব্যাপার গুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। প্রায় আঠেরো বছর দেখতে পায় নি ছেলেটাকে ও।কিন্তু মুখ টা সেই রকম ই নিষ্পাপ আছে। তাই এক ঝলক দেখেই চিনতে অসুবিধা হয় নি জিনিয়ার। শিবা পড়তে আসা বন্ধ করার পরে গেছিল ওদের বাড়িতে জিনিয়া। এই জন্য নয় যে একটা স্টুডেন্ট চলে গেল। এই জন্য যে যেদিন শিবা কে প্রচণ্ড মেরেছিল তার পর দিন থেকে আর পড়তে আসে নি।
উফফ কি রোদ!!! জিনিয়া কোনরকমে মাথায় নিজের ব্যাগ টা ঢাকা দিয়ে রাস্তা টা ছুটে পেরিয়ে গেল।ওপারে পৌঁছতেইই দেখল রাস্তার পাশে যে নতুন খাবারের দোকান টা হয়েছে সেখানে শিবা মাথায় টুপি পরে ওভেন এর সামনে। জাক শেষে একটা কাজ পেল ও। স্টুডেন্ট ছিল শিবা জিনিয়ার। কলেজেও আর প্রাইভেট টিউশানি ও পড়ত ওর কাছে। বদমাইশের চূড়ান্ত ছিল।ওর একটা ভাই ও ছিল। যতদূর মনে পড়ছে। জিনিয়া তা করতে করতে এগিয়ে গেল আর একটু। বড্ড খিদেও পেয়েছে। বসে পড়ল দকানের সামনে রাখা চেয়ার গুলর একটা তে।
- শিবা অ্যায়ই শিবা... শিবা বলে ছেলেটি তাকিয়ে দেখল সামনে। হাসল যেন একটু। জিনিয়া মনে মনে ভাবল, এখন ও সেই রকম ই আছে, হাসলেও বোঝা যায় না আর কাঁদলেও না। উফফ কি মার টাই না মারত ওকে জিনিয়া। আর তেমনি দুরন্ত ছিল। ছেলেটা হঠাৎ করে একদিন আসা বন্ধ করে দিল।
- ম্যাম বলুন!! কেমন আছেন??? ... উম্ম গলার স্বর টা কি ভারিক্কি হয়েছে রে বাবা। জিনিয়ার চিন্তায় ছেদ পরতেই সামনে তাকিয়ে লম্বা তার সাথে মানানসই চেহারার একটা ছেলেকে দেখল। ফ্রেঞ্চ কাট দাড়ি। শক্ত চোয়াল। ডান হাতের কবজি তে একটা ডমরুর উল্কি। গলায় আড়াআড়ি ভাবে ত্রিশূলের উল্কি। - বাবা একি? এ তো পুরো ম্যান হয়ে গেছিস রে তুই শিবা?? শিবা যেন লজ্জা পেল একটু। কিন্তু বোঝা বিশেষ গেল না। ঠোঁটের কোনে চিলতে হাসি টা উঠেই আবার মিলিয়ে গেল।মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল শিবা। জিনিয়া বলল- ভাল আছি রে? কি করছিস এখন?
- এখানেই কাজ করছি। আবার সেই ছোট্ট উত্তর। যখন পড়ত জিনিয়ার কাছে তখন উত্তর তো দিতই না আর পরে পরে মার খেত, জাক এখন উত্তর টা অল্প হলেও দেয়। - রান্না শিখলি কোথায়? এই উত্তর টা জিনিয়া আশা করে নি। পেল ও না। - কি নেবেন আপনি ম্যাম?
- তুই সব থেকে যেটা ভাল বানাস সেইটা নিয়ে আয়... জিনিয়া এবারেও উত্তর আশা করে নি। শিবা চলে যেতেই ওর পিছনে তাকিয়ে দেখল ঘাড়েও একটা উল্কি। ছোট ছোট করে ছাঁটা চুল প্রায় শাঁস বেড়িয়ে যাওয়া মাথার ঠিক নিচে ঘাড়ের একটু ওপরে একটা সাপের উল্কি দেখতে পেল জিনিয়া। আবার পুরনো ব্যাপার গুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। প্রায় আঠেরো বছর দেখতে পায় নি ছেলেটাকে ও।কিন্তু মুখ টা সেই রকম ই নিষ্পাপ আছে। তাই এক ঝলক দেখেই চিনতে অসুবিধা হয় নি জিনিয়ার। শিবা পড়তে আসা বন্ধ করার পরে গেছিল ওদের বাড়িতে জিনিয়া। এই জন্য নয় যে একটা স্টুডেন্ট চলে গেল। এই জন্য যে যেদিন শিবা কে প্রচণ্ড মেরেছিল তার পর দিন থেকে আর পড়তে আসে নি।