21-07-2021, 09:58 AM
২
বাথরুমে ঢোকার পরও শম্পার কানে ডঃ সোম-এর নামটা প্রতিধ্বনিত হতে লাগল । শম্পার মনটা ভাল লাগায় ভরে গেল । অথচ মাস তিনেক আগেও সে ভাবতে পারেনি দীপঙ্করকে ছেড়ে ডঃ সোমের সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়ে পড়বে । বাবার দৌলতে ডঃ সোমের সঙ্গে মৌখিক পরিচয় থাকলেও তিন মাস আগে পর্যন্ত সে ভাবতে পারেনি দীপঙ্করকে বাদ দিয়ে সে ডঃ সোমের অঙ্কশায়নি হয়ে পড়বে ।
বাথরুমে দাঁত মাজতে মাজতে তার মন উধাও হয়ে যায় প্রায় তিন মাস আগেকার এক শুক্রবার বিকেলে । সেদিন সে তার শেষ পিরিয়ডের ক্লাস নিয়ে স্টাফ রুম থেকে ব্যাগটা নিয়ে আন্দুল বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়ায় বাড়ী ফেরার বাসের জন্য । স্ট্যান্ডে এসে সে জানতে পারে মৌড়ীগ্রাম স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তোলা আদায় করা নিয়ে দুটো সমাজবিরোধী সংগঠনের মধ্যে বোমাবাজি হওয়ায় বাস সহ সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে । শম্পার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো । তার কলেজের বাকী সহকর্মীরা স্থানীয় হওয়ায় যে যার বাড়ী চলে গেছে । একমাত্র সেই-ই দূর থেকে আসে ।
এখন কি হবে ? বাবার ওপর শম্পার খুব রাগ হলো । বাবা তাদের বাড়ীর কাছাকাছি কোনো কলেজে ঢুকিয়ে দিতে পারলো না।বাবা সুদর্শন ভৌমিক ওই জোনের সি.পি.আই.এম. –এর জোনাল কমিটির সম্পাদক । তার কথায় বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায় । তার অসাধ্য বলে কিছু নেই ।এইসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ সে শুনতে পেল
-মিস ভৌমিক আপনি এখানে ?
শম্পা চমকে তাকিয়ে দেখে ডঃ সোম তাঁর প্রাইভেট কার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন । ডঃ সোম তাদের বাড়ীর কাছেই বকুলতলাতে প্রাসাদোপম তাঁর নিজস্ব বাড়ীতে থাকেন । বাড়ীর নিচেই তাঁর চেম্বার । বিলেতের ডিগ্রী থাকায় তাঁর চেম্বারে সকাল-বিকেল রোগীর ভালই ভীড় থাকে । অবশ্য ডাক্তার হিসেবে চিকিৎসা তিনি ভালই করেন । তবে কানাঘুষো শোনা যায় তাঁর চরিত্রের কিছুটা দোষ আছে । ৩৭/ ৩৮ বছর বয়স হয়ে গেলেও তিনি এখনও বিয়ে করেননি । বাবার সঙ্গে শম্পা বেশ কয়েকবার ডঃ সোমের বাড়ী ও চেম্বারে গিয়েছে । তখন শম্পা কিন্তু তার ব্যবহারে বেচাল কিছু পায়নি । সে ডঃ সোমের গাড়ীর দিকে এগিয়ে গিয়ে বলল
-আমি এখানকার বালিকা বিদ্যালয়ের ভূগোলের শিক্ষিকা। বাড়ী ফেরার বাসের জন্য অপেক্ষা করছি । কিন্তু শুনলাম মৌড়ীগ্রামে বোমা ছোঁড়াছুঁড়ির জন্য বাস চলছে না । তা আপনি এদিকে ?
-আর বলবেন না একজন পেসেন্টকে দেখতে গিয়েছিলাম।তা আপনি আমার গাড়ীতে উঠে আসুন । আমি আপনাকে বাড়ীর সামনে নামিয়ে দিচ্ছি ।
বাথরুমে ঢোকার পরও শম্পার কানে ডঃ সোম-এর নামটা প্রতিধ্বনিত হতে লাগল । শম্পার মনটা ভাল লাগায় ভরে গেল । অথচ মাস তিনেক আগেও সে ভাবতে পারেনি দীপঙ্করকে ছেড়ে ডঃ সোমের সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়ে পড়বে । বাবার দৌলতে ডঃ সোমের সঙ্গে মৌখিক পরিচয় থাকলেও তিন মাস আগে পর্যন্ত সে ভাবতে পারেনি দীপঙ্করকে বাদ দিয়ে সে ডঃ সোমের অঙ্কশায়নি হয়ে পড়বে ।
বাথরুমে দাঁত মাজতে মাজতে তার মন উধাও হয়ে যায় প্রায় তিন মাস আগেকার এক শুক্রবার বিকেলে । সেদিন সে তার শেষ পিরিয়ডের ক্লাস নিয়ে স্টাফ রুম থেকে ব্যাগটা নিয়ে আন্দুল বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়ায় বাড়ী ফেরার বাসের জন্য । স্ট্যান্ডে এসে সে জানতে পারে মৌড়ীগ্রাম স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তোলা আদায় করা নিয়ে দুটো সমাজবিরোধী সংগঠনের মধ্যে বোমাবাজি হওয়ায় বাস সহ সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে । শম্পার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো । তার কলেজের বাকী সহকর্মীরা স্থানীয় হওয়ায় যে যার বাড়ী চলে গেছে । একমাত্র সেই-ই দূর থেকে আসে ।
এখন কি হবে ? বাবার ওপর শম্পার খুব রাগ হলো । বাবা তাদের বাড়ীর কাছাকাছি কোনো কলেজে ঢুকিয়ে দিতে পারলো না।বাবা সুদর্শন ভৌমিক ওই জোনের সি.পি.আই.এম. –এর জোনাল কমিটির সম্পাদক । তার কথায় বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায় । তার অসাধ্য বলে কিছু নেই ।এইসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ সে শুনতে পেল
-মিস ভৌমিক আপনি এখানে ?
শম্পা চমকে তাকিয়ে দেখে ডঃ সোম তাঁর প্রাইভেট কার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন । ডঃ সোম তাদের বাড়ীর কাছেই বকুলতলাতে প্রাসাদোপম তাঁর নিজস্ব বাড়ীতে থাকেন । বাড়ীর নিচেই তাঁর চেম্বার । বিলেতের ডিগ্রী থাকায় তাঁর চেম্বারে সকাল-বিকেল রোগীর ভালই ভীড় থাকে । অবশ্য ডাক্তার হিসেবে চিকিৎসা তিনি ভালই করেন । তবে কানাঘুষো শোনা যায় তাঁর চরিত্রের কিছুটা দোষ আছে । ৩৭/ ৩৮ বছর বয়স হয়ে গেলেও তিনি এখনও বিয়ে করেননি । বাবার সঙ্গে শম্পা বেশ কয়েকবার ডঃ সোমের বাড়ী ও চেম্বারে গিয়েছে । তখন শম্পা কিন্তু তার ব্যবহারে বেচাল কিছু পায়নি । সে ডঃ সোমের গাড়ীর দিকে এগিয়ে গিয়ে বলল
-আমি এখানকার বালিকা বিদ্যালয়ের ভূগোলের শিক্ষিকা। বাড়ী ফেরার বাসের জন্য অপেক্ষা করছি । কিন্তু শুনলাম মৌড়ীগ্রামে বোমা ছোঁড়াছুঁড়ির জন্য বাস চলছে না । তা আপনি এদিকে ?
-আর বলবেন না একজন পেসেন্টকে দেখতে গিয়েছিলাম।তা আপনি আমার গাড়ীতে উঠে আসুন । আমি আপনাকে বাড়ীর সামনে নামিয়ে দিচ্ছি ।