20-07-2021, 04:19 PM
(তিন)
এদিকে জোর কদমে তোড়জোড় চলছে ছেলের বাড়ির লোকেরা আসবে বলে। আর ওদিকে মায়ের কথা মতো শাড়ি পরে সেজে গুজে মুখটা ভার করে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্ল্যান করছে কি ভাবে এই বিয়েটা ভাঙা যায়। হঠাৎ কি যেন একটা দেখে মনটা আনন্দে নেচে উঠলো এক দৌড়ে নিচে নেমে গেল..
-'মনি মা,কাকুন তোমরা ? নতুন গাড়ি কিনেছো তোমরা ? কই মা কিছু বলেনি তো আমাকে ?কতদিন পরে এলে আমাদের বাড়ি..আমাকে প্রায় ভুলেই গেছ তোমরা' (অভিমানে মুখ ভার)
-'ওরে বাবা এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো এত কথার দৌড়ে আমি পারবো কি তোর সাথে ?এক এক করে সব উত্তর দেবো আগে ভেতরে তো আসতে দে।'
-'হ্যাঁ হ্যাঁ এসো। দাঁড়াও আমি এখুনি আসছি।'
ঠিক এক দৌড়ে যেমন নিচে নেমেছিলো তেমনি ওপরে উঠে গেল। খানিক পরে নেমে এলো হাতে একটা বড়ো পেন্টিং নিয়ে,বসার ঘরে তখন কথা বার্তায় ব্যস্ত মনি মা,কাকুন,আর তুলির বাবা মা আর বাবাই।
-'এই নাও মনি মা, এটা তোমার জন্য আমি এঁকেছি। কেমন হয়েছে বলো তো ?'
-'বাহ,খুব সুন্দর হয়েছে। কিন্তু তুই দেখেছিস কি কে এসেছে আমাদের সঙ্গে ?'
-'কে ?বাবাই দাদা! তুমি ?কবে ফিরলে ? কই মা কিছু বলেনি তো..আমাদের বাড়িতেই বা এলে কখন ?কৈ আমি দেখতে পেলাম না তো ?
-'এই তো বাবা মার সাথেই এসেছি,তা তুই যা রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো দৌড়াদৌড়ি করছিলি আর পুলিশের মতো মাকে জেরা করছিলি তুই দেখতেই পাসনি আমাকে, আমি গাড়ির ভেতরেই ছিলাম। বাহ! ছবিটা খুব সুন্দর হয়েছে, তুই এতো সুন্দর আঁকা শিখলি কবে ?'
-'বা রে, আমি তো এরকমই আঁকি'
মুখটা একটু রাগি রাগি করে বললো তুলি।
-'তা তুই হঠাৎ শাড়ি পড়েছিস যে? কোথাও যাবি নাকি ?'
-'এ বাবা জানো না ? আজকে তো আমাকে দেখতে আসবে ছেলের বাড়ি থেকে তাই তো মা আমাকে শাড়ি পড়তে বললো।'
ওর কথা শুনে ঘরে উপস্থিত সবাই হেসে উঠলো।
-'তাই নাকি ?আমরা তো জানতাম না..ইস বোধহয় ভুল দিনে এসে পড়লাম। আসলে বাবাই শহর থেকে ফিরে বারবার বলছিলো যে এখানে আসবে। তাই....' ইতস্তত বোধ করেন বাবাইয়ের মা।
-'না না ঠিক আছে..খুব ভালো হয়েছে যে তোমরা এসেছ' তুলির বাবা হাসতে হাসতে বলেন।
শুধু একমাত্র তুলির মাতৃ দেবীর হাসির আড়ালে লুকিয়ে রইলো ভীষণ রাগান্বিত এক জোড়া চোখ যার অর্থ বোঝার মতো ক্ষমতা তুলির হলো না কিন্তু ঘরে উপস্থিত কারো কারো চোখ এই ঘটনা এড়ালো না। আবহাওয়া গরম দেখে মানে মানে সেখান থেকে কেটে পড়লো তুলি।
কিন্তু তাতে খুব একটা সুরাহা হলো না। রান্নাঘর থেকে মায়ের ডাক পড়লো
-'তুলি এদিকে এসো,আমাকে একটু হেল্প করো।'
মাতৃ আজ্ঞা অমান্য করা মানে আর রক্ষে নেই;তাই অগত্যা আবার ব্যাক টু হিটলারের সামনে।
যাইহোক,মা কিছু সেরকম বললো না।শুধু চুপচাপ চা এর ট্রে নিয়ে ওকে পিছন পিছন আসতে বললো ইশারায়।
এদিকে জোর কদমে তোড়জোড় চলছে ছেলের বাড়ির লোকেরা আসবে বলে। আর ওদিকে মায়ের কথা মতো শাড়ি পরে সেজে গুজে মুখটা ভার করে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্ল্যান করছে কি ভাবে এই বিয়েটা ভাঙা যায়। হঠাৎ কি যেন একটা দেখে মনটা আনন্দে নেচে উঠলো এক দৌড়ে নিচে নেমে গেল..
-'মনি মা,কাকুন তোমরা ? নতুন গাড়ি কিনেছো তোমরা ? কই মা কিছু বলেনি তো আমাকে ?কতদিন পরে এলে আমাদের বাড়ি..আমাকে প্রায় ভুলেই গেছ তোমরা' (অভিমানে মুখ ভার)
-'ওরে বাবা এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো এত কথার দৌড়ে আমি পারবো কি তোর সাথে ?এক এক করে সব উত্তর দেবো আগে ভেতরে তো আসতে দে।'
-'হ্যাঁ হ্যাঁ এসো। দাঁড়াও আমি এখুনি আসছি।'
ঠিক এক দৌড়ে যেমন নিচে নেমেছিলো তেমনি ওপরে উঠে গেল। খানিক পরে নেমে এলো হাতে একটা বড়ো পেন্টিং নিয়ে,বসার ঘরে তখন কথা বার্তায় ব্যস্ত মনি মা,কাকুন,আর তুলির বাবা মা আর বাবাই।
-'এই নাও মনি মা, এটা তোমার জন্য আমি এঁকেছি। কেমন হয়েছে বলো তো ?'
-'বাহ,খুব সুন্দর হয়েছে। কিন্তু তুই দেখেছিস কি কে এসেছে আমাদের সঙ্গে ?'
-'কে ?বাবাই দাদা! তুমি ?কবে ফিরলে ? কই মা কিছু বলেনি তো..আমাদের বাড়িতেই বা এলে কখন ?কৈ আমি দেখতে পেলাম না তো ?
-'এই তো বাবা মার সাথেই এসেছি,তা তুই যা রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো দৌড়াদৌড়ি করছিলি আর পুলিশের মতো মাকে জেরা করছিলি তুই দেখতেই পাসনি আমাকে, আমি গাড়ির ভেতরেই ছিলাম। বাহ! ছবিটা খুব সুন্দর হয়েছে, তুই এতো সুন্দর আঁকা শিখলি কবে ?'
-'বা রে, আমি তো এরকমই আঁকি'
মুখটা একটু রাগি রাগি করে বললো তুলি।
-'তা তুই হঠাৎ শাড়ি পড়েছিস যে? কোথাও যাবি নাকি ?'
-'এ বাবা জানো না ? আজকে তো আমাকে দেখতে আসবে ছেলের বাড়ি থেকে তাই তো মা আমাকে শাড়ি পড়তে বললো।'
ওর কথা শুনে ঘরে উপস্থিত সবাই হেসে উঠলো।
-'তাই নাকি ?আমরা তো জানতাম না..ইস বোধহয় ভুল দিনে এসে পড়লাম। আসলে বাবাই শহর থেকে ফিরে বারবার বলছিলো যে এখানে আসবে। তাই....' ইতস্তত বোধ করেন বাবাইয়ের মা।
-'না না ঠিক আছে..খুব ভালো হয়েছে যে তোমরা এসেছ' তুলির বাবা হাসতে হাসতে বলেন।
শুধু একমাত্র তুলির মাতৃ দেবীর হাসির আড়ালে লুকিয়ে রইলো ভীষণ রাগান্বিত এক জোড়া চোখ যার অর্থ বোঝার মতো ক্ষমতা তুলির হলো না কিন্তু ঘরে উপস্থিত কারো কারো চোখ এই ঘটনা এড়ালো না। আবহাওয়া গরম দেখে মানে মানে সেখান থেকে কেটে পড়লো তুলি।
কিন্তু তাতে খুব একটা সুরাহা হলো না। রান্নাঘর থেকে মায়ের ডাক পড়লো
-'তুলি এদিকে এসো,আমাকে একটু হেল্প করো।'
মাতৃ আজ্ঞা অমান্য করা মানে আর রক্ষে নেই;তাই অগত্যা আবার ব্যাক টু হিটলারের সামনে।
যাইহোক,মা কিছু সেরকম বললো না।শুধু চুপচাপ চা এর ট্রে নিয়ে ওকে পিছন পিছন আসতে বললো ইশারায়।