20-07-2021, 02:21 PM
(দুই)
দশ বছর পর.......
-'কি ব্যাপার তুলি অসময় শুয়ে কেন ?
কি হয়েছে মা তোর চোখে জল কেন ? কত বার না তোকে বলেছি কাঁদবি না একদম।
তুই কাঁদলে যে আমার কষ্টের সীমা থাকে না কি হয়েছে বল আমাকে....'
-'বাবা আমি বিয়ে করতে চাইনা,আমি পড়তে চাই, আমি চাকরি করতে চাই। আমি তোমার কাছে থাকতে চাই বাবা প্লিজ আমাকে দূরে পাঠিয়ে দিও না।'
-'দূর বোকা দেখতে আসলেই কি আর বিয়ে হয়ে যায় ?কথায় বলে 'লাখ কথা না হলে বিয়ে হয়না'।
আর কে বলেছে তোকে তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাবি ? এই তো কাছেই থাকবি,যখন ইচ্ছে হবে চলে আসবি আমার কাছে।'
-'কিন্তু বাবা,মা যে বললো ছেলে কোন কলেজে পড়ায় নাকি বাইরে কোথাও যেন থাকে;আমাকে যদি নিয়ে চলে যায় সাথে করে আর কখনো যদি আসতে না দেয় ?আমি তোমাকে ছেড়ে থাকবো কি করে ?'
-'হুম! তা তোর ভাবনাটা মন্দ নয় বুঝলি, আচ্ছা দাঁড়া কালকে যখন তোকে ওরা দেখতে আসবে আমি নাহয় একবার খোলাখুলি কথা বলে দেখবো। নে এবার উঠে পর এতক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকলে আলস্য লাগবে।
আর তুই তো তোর মাকে চিনিস একবার যদি দেখতে পায় সারা বাড়ি মাথায় করবে।'
-'হ্যাঁ, আমি তো সারা বাড়ি মাথায় করি আর তোমরা তো সব ধোয়া তুলসী পাতা। আমাকে সারাক্ষণ জ্বালিয়ে মারছে তোমার মেয়ে সেদিকে দ্যাখো একবার।
এই যে মেয়ে শোনো সন্ধ্যেবেলা ছেলের বাড়ি থেকে তোমাকে দেখতে আসবে এই শাড়িটা পরে সুন্দর করে সেজে নিচে নামবে। দয়া করে আর আমার নাক কাটিও না ছেলের বাড়ির লোকের সামনে।'
(মা যে কখন দরজার আড়ালে এসে দাঁড়িয়েছিল তা বাবা-মেয়ে কেউ-ই টের পায়নি)
কথা গুলো শোনার পর তুলি বুঝতে পারলো আর কোনো উপায় নেই। এই বিয়ে ওকে ভাঙতেই হবে, কিছুতেই ও এই বিয়ে করবে না।
অগত্যা বন্ধুদের হেল্প নেবার জন্য সবাইকে ফোন করে কনফারেন্স এ নিলো কিন্তু কারো কথাই ওর মনে ধরলো না বিয়ে ভাঙতে গেলে একটা স্ট্রং কারণ চাই কারণ ছেলেটি আসলে তার মায়ের বন্ধুর ছেলে।
দশ বছর পর.......
-'কি ব্যাপার তুলি অসময় শুয়ে কেন ?
কি হয়েছে মা তোর চোখে জল কেন ? কত বার না তোকে বলেছি কাঁদবি না একদম।
তুই কাঁদলে যে আমার কষ্টের সীমা থাকে না কি হয়েছে বল আমাকে....'
-'বাবা আমি বিয়ে করতে চাইনা,আমি পড়তে চাই, আমি চাকরি করতে চাই। আমি তোমার কাছে থাকতে চাই বাবা প্লিজ আমাকে দূরে পাঠিয়ে দিও না।'
-'দূর বোকা দেখতে আসলেই কি আর বিয়ে হয়ে যায় ?কথায় বলে 'লাখ কথা না হলে বিয়ে হয়না'।
আর কে বলেছে তোকে তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাবি ? এই তো কাছেই থাকবি,যখন ইচ্ছে হবে চলে আসবি আমার কাছে।'
-'কিন্তু বাবা,মা যে বললো ছেলে কোন কলেজে পড়ায় নাকি বাইরে কোথাও যেন থাকে;আমাকে যদি নিয়ে চলে যায় সাথে করে আর কখনো যদি আসতে না দেয় ?আমি তোমাকে ছেড়ে থাকবো কি করে ?'
-'হুম! তা তোর ভাবনাটা মন্দ নয় বুঝলি, আচ্ছা দাঁড়া কালকে যখন তোকে ওরা দেখতে আসবে আমি নাহয় একবার খোলাখুলি কথা বলে দেখবো। নে এবার উঠে পর এতক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকলে আলস্য লাগবে।
আর তুই তো তোর মাকে চিনিস একবার যদি দেখতে পায় সারা বাড়ি মাথায় করবে।'
-'হ্যাঁ, আমি তো সারা বাড়ি মাথায় করি আর তোমরা তো সব ধোয়া তুলসী পাতা। আমাকে সারাক্ষণ জ্বালিয়ে মারছে তোমার মেয়ে সেদিকে দ্যাখো একবার।
এই যে মেয়ে শোনো সন্ধ্যেবেলা ছেলের বাড়ি থেকে তোমাকে দেখতে আসবে এই শাড়িটা পরে সুন্দর করে সেজে নিচে নামবে। দয়া করে আর আমার নাক কাটিও না ছেলের বাড়ির লোকের সামনে।'
(মা যে কখন দরজার আড়ালে এসে দাঁড়িয়েছিল তা বাবা-মেয়ে কেউ-ই টের পায়নি)
কথা গুলো শোনার পর তুলি বুঝতে পারলো আর কোনো উপায় নেই। এই বিয়ে ওকে ভাঙতেই হবে, কিছুতেই ও এই বিয়ে করবে না।
অগত্যা বন্ধুদের হেল্প নেবার জন্য সবাইকে ফোন করে কনফারেন্স এ নিলো কিন্তু কারো কথাই ওর মনে ধরলো না বিয়ে ভাঙতে গেলে একটা স্ট্রং কারণ চাই কারণ ছেলেটি আসলে তার মায়ের বন্ধুর ছেলে।