18-07-2021, 07:48 PM
দীপঙ্কর তার কল্পনার জগতে ভাসতে ভাসতে যখন
বিদ্যাসাগর পাঠাগারের সামনে এসে উপস্থিত হল তখনই সাইকেলের ঘন্টির ক্রিং ক্রিং ধাতব শব্দে কল্পলোক থেকে বাস্তবের কঠিন রুক্ষ জমিতে নেমে এল । পিছন ফিরে দেখল পোস্ট অফিসে দেখা সুন্দরী তার লাল রঙের সাইকেলে চেপে পাঠাগারের দিকে আসছে । সে আর দেরী না করে সাইকেলটা স্ট্যান্ড করে পাঠাগারের ভিতরে প্রবেশ করল । রিডিং রুমে ঢুকতেই চোখাচোখি লাইব্রেরিয়ান অবিনাশ পালের সঙ্গে ।
- অনেকদিন দেখিনি কেন ? খবর সব ভাল তো ?
- হ্যাঁ । সব ঠিক আছে । সময়ের অভাবে আর আসা হয়ে ওঠেনি । আপনি আমাকে সমীরণ গুহর লেখা “ জীবনের পান্থশালায় ” বইটা দেবেন তো ।
অবিনাশদা ভেতরের র্যাক থেকে বইটা আনতে চলে গেলেন । দীপঙ্কর টেবিল থেকে সেদিনের পেপারটা তুলে নিয়ে হেড লাইনগুলো পড়তে লাগল । হঠাৎ পাঠাগারের নিঃস্তব্ধতাকে কে খান খান করে হিল তোলা জুতোর খটা খট্ শব্দ শুনে মুখ তুলে দেখে সেই নাম না জানা সুন্দরী অবিনাশদার টেবিলের দিকে এগিয়ে আসছে । এমন সময় অবিনাশদা ভিতর থেকে বইটা নিয়ে এসে দাঁড়ালেন । তাঁর টেবিলের সামনে সুন্দরী মেয়েকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একেবারে বিগলিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন
- বলুন আপনার জন্য কী করতে পারি ?
- আমি এই পাঠাগারের সদস্যপদ নিতে চাই । এরজন্য আমাকে কী করতে হবে ?
- আপনাকে কিছুই করতে হবে না । আমি প্রয়োজনীয় কাগজ তৈরী করে দিচ্ছি । আপনি শুধু সই করে দেবেন ।
দীপঙ্কর দেখল অবিনাশদা আচ্ছা আলুবাজ লোক তো । সে আগে থেকে দাঁড়িয়ে আছে । অথচ তাকে বইটা না দিয়ে সুন্দরী মেয়েটির সঙ্গে লেপ্টে আছে । সে আর থাকতে না পেরে বলে উঠল
- কী হল ? অবিনাশদা আমাকে বইটা দিন ।
- অবিনাশ তাড়াতাড়ি বই রেজিস্ট্রি করার খাতাটা দীপঙ্করের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন
- বইটা তুমি খাতায় তুলে দিয়ে নিয়ে যাও । আমি ততক্ষণে এনার মেম্বারশিপটা করে দিই ।
বিদ্যাসাগর পাঠাগারের সামনে এসে উপস্থিত হল তখনই সাইকেলের ঘন্টির ক্রিং ক্রিং ধাতব শব্দে কল্পলোক থেকে বাস্তবের কঠিন রুক্ষ জমিতে নেমে এল । পিছন ফিরে দেখল পোস্ট অফিসে দেখা সুন্দরী তার লাল রঙের সাইকেলে চেপে পাঠাগারের দিকে আসছে । সে আর দেরী না করে সাইকেলটা স্ট্যান্ড করে পাঠাগারের ভিতরে প্রবেশ করল । রিডিং রুমে ঢুকতেই চোখাচোখি লাইব্রেরিয়ান অবিনাশ পালের সঙ্গে ।
- অনেকদিন দেখিনি কেন ? খবর সব ভাল তো ?
- হ্যাঁ । সব ঠিক আছে । সময়ের অভাবে আর আসা হয়ে ওঠেনি । আপনি আমাকে সমীরণ গুহর লেখা “ জীবনের পান্থশালায় ” বইটা দেবেন তো ।
অবিনাশদা ভেতরের র্যাক থেকে বইটা আনতে চলে গেলেন । দীপঙ্কর টেবিল থেকে সেদিনের পেপারটা তুলে নিয়ে হেড লাইনগুলো পড়তে লাগল । হঠাৎ পাঠাগারের নিঃস্তব্ধতাকে কে খান খান করে হিল তোলা জুতোর খটা খট্ শব্দ শুনে মুখ তুলে দেখে সেই নাম না জানা সুন্দরী অবিনাশদার টেবিলের দিকে এগিয়ে আসছে । এমন সময় অবিনাশদা ভিতর থেকে বইটা নিয়ে এসে দাঁড়ালেন । তাঁর টেবিলের সামনে সুন্দরী মেয়েকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একেবারে বিগলিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন
- বলুন আপনার জন্য কী করতে পারি ?
- আমি এই পাঠাগারের সদস্যপদ নিতে চাই । এরজন্য আমাকে কী করতে হবে ?
- আপনাকে কিছুই করতে হবে না । আমি প্রয়োজনীয় কাগজ তৈরী করে দিচ্ছি । আপনি শুধু সই করে দেবেন ।
দীপঙ্কর দেখল অবিনাশদা আচ্ছা আলুবাজ লোক তো । সে আগে থেকে দাঁড়িয়ে আছে । অথচ তাকে বইটা না দিয়ে সুন্দরী মেয়েটির সঙ্গে লেপ্টে আছে । সে আর থাকতে না পেরে বলে উঠল
- কী হল ? অবিনাশদা আমাকে বইটা দিন ।
- অবিনাশ তাড়াতাড়ি বই রেজিস্ট্রি করার খাতাটা দীপঙ্করের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন
- বইটা তুমি খাতায় তুলে দিয়ে নিয়ে যাও । আমি ততক্ষণে এনার মেম্বারশিপটা করে দিই ।