17-07-2021, 03:55 PM
২
দীপঙ্কর পোস্টঅফিসের বাইরে এসে দাঁড়াল। বাইরে চড়া রোদ । সঙ্গে ছাতা নেই । ছাতা সে ব্যবহার করে না ।কাঠফাটা রদ্দুরে উদভ্রান্তের মত হেঁটে যেতে তার খুব ভাললাগে ।
দীপঙ্কর তার জরাজীর্ণ সাইকেলটা নিতে গিয়ে তার পাশে একটা টুকটুকে লাল সাইকেল দেখতে পেল । তার অনেক দিনের শখ একটা নতুন সাইকেল কেনার । কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্য নেই । একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে লরঝরে সাইকেল নিয়ে বাড়ী ফিরতে ফিরতে তার মনে পড়ল লাইব্রেরী থেকে ছোটো বৌদি জয়ার জন্য একটা বই নিয়ে যেতে হবে । জয়ার কথা মনে পড়তেই দীপঙ্করের ঠোঁটে খেলে গেল এক চিলতে হাসি । জয়া অন্য সকলের সামনে তার বৌদি হলেও একান্তে তার অত্যন্ত প্রিয়জন, মনের একবারে কাছাকাছি ।
জয়ার কথা মনে পড়তেই দীপঙ্কর যেন টাইম মেশিনে চেপে পিছিয়ে গেল চার বছর আগেকার অতীতে । সেই সময়কার মধুমাখা দিনগুলোর স্মৃতি ভীড় করে এল তার মনে । মনেপড়ে গেল ছোড়দা তীর্থঙ্করের বিয়ের ঘটনা । এখানে সেই দিনগুলোতে ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়ার আগে দীপঙ্করের পরিবারের সঙ্গে পাঠকদের পরিচয় না করিয়ে দিলে বুঝতে অসুবিধা হবে । দীপঙ্করের বাবা দীপঙ্করের যখন বারো বছর বয়স তখন মারা যান । তারপর থেকে সে দাদাদের কাছে মানুষ । তার বড়দা শুভঙ্কর তার বাবার চাকরিটা পায় । সে এখন ডোমজুড় কলেজের করণিক । তার মেজদা শংকর নিকটবর্তী বিদ্যাসুন্দর উচ্চবিদ্যালয়ের অঙ্কের শিক্ষক এবং স্থানীয় সি. পি. আই. এম. –এর লোকাল কমিটির সদস্য । ছোড়দা তীর্থঙ্কর ব্যবসা করে । দীপঙ্করের মা যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন তাদের যৌথ পরিবার ছিল । কিন্তু তার মায়ের মৃত্যুর ছয় মাসের মধ্যে দাদারা পৃথক হয়ে যায় । কিন্তু দীপঙ্করের চাকরি না হওয়ায় সে দাদাদের সংসারে পালা করে দুমুঠো খায় । আর সব খরচ তাকে টিউশানি পড়িয়ে রোজগার করতে হয় ।
দীপঙ্কর পোস্টঅফিসের বাইরে এসে দাঁড়াল। বাইরে চড়া রোদ । সঙ্গে ছাতা নেই । ছাতা সে ব্যবহার করে না ।কাঠফাটা রদ্দুরে উদভ্রান্তের মত হেঁটে যেতে তার খুব ভাললাগে ।
দীপঙ্কর তার জরাজীর্ণ সাইকেলটা নিতে গিয়ে তার পাশে একটা টুকটুকে লাল সাইকেল দেখতে পেল । তার অনেক দিনের শখ একটা নতুন সাইকেল কেনার । কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্য নেই । একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে লরঝরে সাইকেল নিয়ে বাড়ী ফিরতে ফিরতে তার মনে পড়ল লাইব্রেরী থেকে ছোটো বৌদি জয়ার জন্য একটা বই নিয়ে যেতে হবে । জয়ার কথা মনে পড়তেই দীপঙ্করের ঠোঁটে খেলে গেল এক চিলতে হাসি । জয়া অন্য সকলের সামনে তার বৌদি হলেও একান্তে তার অত্যন্ত প্রিয়জন, মনের একবারে কাছাকাছি ।
জয়ার কথা মনে পড়তেই দীপঙ্কর যেন টাইম মেশিনে চেপে পিছিয়ে গেল চার বছর আগেকার অতীতে । সেই সময়কার মধুমাখা দিনগুলোর স্মৃতি ভীড় করে এল তার মনে । মনেপড়ে গেল ছোড়দা তীর্থঙ্করের বিয়ের ঘটনা । এখানে সেই দিনগুলোতে ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়ার আগে দীপঙ্করের পরিবারের সঙ্গে পাঠকদের পরিচয় না করিয়ে দিলে বুঝতে অসুবিধা হবে । দীপঙ্করের বাবা দীপঙ্করের যখন বারো বছর বয়স তখন মারা যান । তারপর থেকে সে দাদাদের কাছে মানুষ । তার বড়দা শুভঙ্কর তার বাবার চাকরিটা পায় । সে এখন ডোমজুড় কলেজের করণিক । তার মেজদা শংকর নিকটবর্তী বিদ্যাসুন্দর উচ্চবিদ্যালয়ের অঙ্কের শিক্ষক এবং স্থানীয় সি. পি. আই. এম. –এর লোকাল কমিটির সদস্য । ছোড়দা তীর্থঙ্কর ব্যবসা করে । দীপঙ্করের মা যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন তাদের যৌথ পরিবার ছিল । কিন্তু তার মায়ের মৃত্যুর ছয় মাসের মধ্যে দাদারা পৃথক হয়ে যায় । কিন্তু দীপঙ্করের চাকরি না হওয়ায় সে দাদাদের সংসারে পালা করে দুমুঠো খায় । আর সব খরচ তাকে টিউশানি পড়িয়ে রোজগার করতে হয় ।