17-07-2021, 03:52 PM
(This post was last modified: 17-07-2021, 03:54 PM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
১
দীপঙ্কর অফিসিয়াল খামটার উপর ভালো করে আর একবার চোখ বুলালো। এটা তার অনেক দিনকার অভ্যেস। সে জানে তার খুব একটা ভুল হয়না। তবু সে খুব সাবধানী। কারণ সে জানে ঠিকানা ভুল থাকলে তার টাকাটাই গচ্চা যাবে। অনেক মেহনত করে তাকে টাকা রোজগার করতে হয়। এরপর খামের মুখটা সাবধানে আঠা দিয়ে বন্ধ করে পোস্ট অফিসের কাউন্টারে রেখে সে বলল - দেখুন তো কত টাকার স্ট্যাম্প দিতে হবে ?
ছোট্ট দাঁড়িপাল্লায় চাপিয়ে পোস্টম্যান বলল -পাঁচটাকা। দীপঙ্কর পকেট থেকে পাঁচ টাকার একটা নোট বের করে বলল- পাঁচ টাকার টিকিট দিন।কোরবানদা চিঠি বাছতে বাছতে বলল- কবে খাওয়াচ্ছ আমাদের ? - আগে এ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে দিন। - এবার হয়ে যাবে তোমার। - বলছেন হবে। কবে হবে ? বয়স তিরিশ পেরিয়ে গেল। দীপঙ্কর আক্ষেপ করে বলল - আমার বোধহয় চাকরি হবেনা। -তোমার কথা আমরা প্রায়ই আলোচনা করি।দীপঙ্কর পাঁচ টাকার স্ট্যাম্পটা খামের উপর লাগালো। -
-শম্পা সেদিন আমাদের মিষ্টি খাওয়াল।দীপঙ্কর নামটা শুনে চমকে উঠল।- কপাল জোরে শম্পা চাকরিটা পেয়ে গেল। - হ্যাঁ।সেই রকমই শুনেছি। -প্যানেলে শম্পা তিন নম্বরে ছিল।বাবার ইনফ্লুয়েন্সে চাকরিটা পেয়ে গেল।দীপঙ্কর টিকিট আঁটা খামটা টেবিলের উপর রেখে বলল - খামটা রইল।আর কিছু না বলে বেরিয়ে যেতে গিয়ে থমকে দাঁড়াল। পকেট থেকে কিছু খুচরো পয়সা বের করে বলল - পাঁচটা পোস্টকার্ড দিন।হঠাৎ কে যেন পিছনে এসে দাঁড়াল । দীপঙ্কর পিছন ফিরে আর দেখল না । নতুন শাড়ির খসখস শব্দ আর মন মাতাল করা সেন্টের সুগন্ধে বুঝল পশ্চাদচারিনী কোনো মেয়ে ।
দীপঙ্কর পোস্টকার্ডগুলো নিয়ে বুক পকেটে রাখল । - এমন সময় কোরবানদা বললেন দীপ তোমার চিঠি । - কে দিল আবার ? দিন। দীপঙ্কর কোরবানদার হাত থেকে চিঠিটা নিয়ে পড়ল । পকেটে রেখে ‘ চলি কোরবানদা ‘ বলে পিছন ফিরে পা বাড়াতে গিয়ে থমকে দাঁড়াল । মেয়েটি তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে । চোখাচোখি হতেই মেয়েটি মুখ নিচু করল । দীপঙ্কর দেখল মেয়েটি তাদের পাশের বাড়িটা কিনে সদ্য তাদের পাড়ায় এসেছে । রাস্তায় দু-একবার দেখা হলেও মৌখিক পরিচয় নেই।
[b]দীপঙ্কর পোস্ট অসিসের বাইরে এসে ঘড়িতে দেখল বারোটা বেজে দশ ।
[/b]
দীপঙ্কর অফিসিয়াল খামটার উপর ভালো করে আর একবার চোখ বুলালো। এটা তার অনেক দিনকার অভ্যেস। সে জানে তার খুব একটা ভুল হয়না। তবু সে খুব সাবধানী। কারণ সে জানে ঠিকানা ভুল থাকলে তার টাকাটাই গচ্চা যাবে। অনেক মেহনত করে তাকে টাকা রোজগার করতে হয়। এরপর খামের মুখটা সাবধানে আঠা দিয়ে বন্ধ করে পোস্ট অফিসের কাউন্টারে রেখে সে বলল - দেখুন তো কত টাকার স্ট্যাম্প দিতে হবে ?
ছোট্ট দাঁড়িপাল্লায় চাপিয়ে পোস্টম্যান বলল -পাঁচটাকা। দীপঙ্কর পকেট থেকে পাঁচ টাকার একটা নোট বের করে বলল- পাঁচ টাকার টিকিট দিন।কোরবানদা চিঠি বাছতে বাছতে বলল- কবে খাওয়াচ্ছ আমাদের ? - আগে এ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে দিন। - এবার হয়ে যাবে তোমার। - বলছেন হবে। কবে হবে ? বয়স তিরিশ পেরিয়ে গেল। দীপঙ্কর আক্ষেপ করে বলল - আমার বোধহয় চাকরি হবেনা। -তোমার কথা আমরা প্রায়ই আলোচনা করি।দীপঙ্কর পাঁচ টাকার স্ট্যাম্পটা খামের উপর লাগালো। -
-শম্পা সেদিন আমাদের মিষ্টি খাওয়াল।দীপঙ্কর নামটা শুনে চমকে উঠল।- কপাল জোরে শম্পা চাকরিটা পেয়ে গেল। - হ্যাঁ।সেই রকমই শুনেছি। -প্যানেলে শম্পা তিন নম্বরে ছিল।বাবার ইনফ্লুয়েন্সে চাকরিটা পেয়ে গেল।দীপঙ্কর টিকিট আঁটা খামটা টেবিলের উপর রেখে বলল - খামটা রইল।আর কিছু না বলে বেরিয়ে যেতে গিয়ে থমকে দাঁড়াল। পকেট থেকে কিছু খুচরো পয়সা বের করে বলল - পাঁচটা পোস্টকার্ড দিন।হঠাৎ কে যেন পিছনে এসে দাঁড়াল । দীপঙ্কর পিছন ফিরে আর দেখল না । নতুন শাড়ির খসখস শব্দ আর মন মাতাল করা সেন্টের সুগন্ধে বুঝল পশ্চাদচারিনী কোনো মেয়ে ।
দীপঙ্কর পোস্টকার্ডগুলো নিয়ে বুক পকেটে রাখল । - এমন সময় কোরবানদা বললেন দীপ তোমার চিঠি । - কে দিল আবার ? দিন। দীপঙ্কর কোরবানদার হাত থেকে চিঠিটা নিয়ে পড়ল । পকেটে রেখে ‘ চলি কোরবানদা ‘ বলে পিছন ফিরে পা বাড়াতে গিয়ে থমকে দাঁড়াল । মেয়েটি তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে । চোখাচোখি হতেই মেয়েটি মুখ নিচু করল । দীপঙ্কর দেখল মেয়েটি তাদের পাশের বাড়িটা কিনে সদ্য তাদের পাড়ায় এসেছে । রাস্তায় দু-একবার দেখা হলেও মৌখিক পরিচয় নেই।
[b]দীপঙ্কর পোস্ট অসিসের বাইরে এসে ঘড়িতে দেখল বারোটা বেজে দশ ।
[/b]