16-07-2021, 01:44 PM
সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলো । রাতুলকে আনতে কলেজে যেতে হবে । তমা রাজুর রুমে উঁকি দিয়ে দেখল রাজু ঘুমাচ্ছে । তমা তাই দরজা বাইরে থেকেই লক করে রাতুলকে আনতে গেলো । রাস্তায় বের হয়ে তমা বুঝতে পারল এ জামা পরে বের হওয়া ঠিক হয়নি তার । একেতো পাতলা হলুদ জামা তার উপর নিচে সেমিজ নাই । ফলে কড়া রোদের মাঝে যেতেই তমার শরীরের ভেতরের গঠন বেশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে । ওড়না দিয়ে যতটুকু সম্ভব নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছে তমা । কিন্তু উপরেরটুকু ঢাকা গেলেও নিচের দিকে পাজামা কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে । রাস্তায় যে কয়জন আছে তারা তমাকে দেখছে বিশেষত তার শরীরটা । তমা তাড়াতাড়ি রাতুলের কলেজের দিকে হাটতে লাগলো । রাতুল গেটেই দাড়িয়ে ছিলো । রাতুলকে নিয়ে তাড়াতাড়ি হাঁটা দিলো বাড়ির দিকে কারো দিকে না তাকিয়ে । বিপদের ষোলকলা পূর্ণ হলো যখন দেখা হলো বাসার সামনে বুড়ো বাড়িওয়ালা সাথে । এই বুড়ো নানা ছলে তার শরীর স্পর্শ করার তালে থাকে । তমাকে দেখেই বাড়িওয়ালা এগিয়ে এসে বললো কেমন আছো গো মা তুমি ? জি চাচা ভালো, তমা জবাব দিলো । এর মাঝে রাতুল হাত থেকে চাবি নিয়ে লাফিয়ে লাফিয় সিড়ি বেয়ে উপরে ওঠে চলে গেল । তমা বিরক্ত হলো রাতুলের চলে যাওয়াতে । বাড়িওয়ালা বলে উঠল তা মা তুমি যখন উপরে উঠছো আমাকেও একটু নিয়ে যাও, একা উঠতে ভয় লাগে যদি পড়ে যাই । তমা বিরক্ত হয়ে বললো, আসুন । সিড়িতে ওঠেই বুড়ো তমার হাতকাটা জামার সুযোগ নিলো । খপ করে তমার কনুইয়ের উপরে নরম আর ফরশা মাংসল জায়গা চেপে ধরলো । এভাবে একতালা উঠল ওরা । এবারে বুড়ো তমার বগলের মাঝ দিয়ে কাধের নিচে হাতের সবচেয়ে নরম আর কোমল জায়গা ধরল । তমার নিজেকে অসহায় লাগছিলো । মনে হচ্ছিল বুড়োকে এখান থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয় । এমনিতেই রোদ থেকে এসে গরমে বগল ঘামে জপজপ করছে তার উপর বুড়ো বগলে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিয়েছে । দোতলায় ওঠে গেলো ওরা । বুড়ো এবার তমার ঘামে ভেজা বগলে আঙ্গুল বুলাতে লাগলো । বুড়ো তার আঙ্গুলে তমার বগলের ঘাম আর খুবই ছোটো লোমের স্পর্শ নিতে লাগলো । তিনতলায় এসে তমা হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো । বুড়োকে দরজার সামনে দিয়ে তমা তাড়াতাড়ি উপরে ওঠে বাসায় ঢুকে পড়ল ।