16-07-2021, 01:17 PM
ললিতা বলল, 'ভাবিস না. সব ঠিক হয়ে যাবে.'
রাধা মলিন হেসে বলল, 'দেখা যাক. সামনের মাসে কোর্টে শুনানি আছে.'
কোর্ট থেকে হাসতে হাসতে প্রদীপ বেরিয়ে আসছেন. সঙ্গে আছে কথাকলি, প্রশান্ত আর প্রেমদীপ. সাথে কালো কোট পরা উকিল, জয়ন্ত. কোর্টের বাইরে সোমদত্তা অপেক্ষা করছেন. নিজের গাড়ির মধ্যে. নিজেকে বন্দী করে রেখেছেন. এ সি চালু আছে, তাই কোনো গরম নেই. অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন কোর্টের রায়ের জন্যে. কথাকলি ওকে জোরাজুরি করেছিলেন কিন্তু সোমদত্তা কোর্টের মধ্যে যেতে চান নি. প্রদীপ যে জিতবে সে ব্যাপারে কলি নিশ্চিত ছিল, কিন্তু সোমদত্তা নিজের মনের কথা নিজের মনের মধ্যে রেখেছিলেন. উনি বুঝতে পেরেছিলেন প্রদীপ নির্দোষ. কিন্তু রায় না বেরোবার পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন. লজ্জাহীনা বস্তির মেয়ে কি চাল দেবে সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা কিছু ছিল না. উকিলের কাছে কথাকলি আর সোমদত্তা প্রদীপকে না জানিয়ে গিয়েছিলেন এবং রাধার মায়ের সাক্ষী দেবার ব্যবস্থা পাকা করে এসেছিলেন. জয়ন্ত মজুমদার এমন সাক্ষী পেয়ে তখনি ওদের জানিয়ে দিয়েছিলেন যে এটা কোনো কেসই না. কোনো প্রমান নেই. কোনো সাক্ষী নেই. তার ওপর মেয়ের ওই রকম চরিত্র. মেয়ে যে পয়সা নিয়ে আগের কেস তুলে নিয়েছিল সেটা প্রমান করতে পারলেই এটা বোঝানো যাবে যে প্রদীপকেও মেয়েটা নিজের 'খদ্দের' বানাবার তালে ছিল. এখানেও পয়সা নিয়ে কেস তুলে নেবে. আসলে নোংরা চরিত্র. এভাবেই পয়সা রোজগার করে বেঁচে থাকে. মেয়ের মা যদি সাক্ষী দেয় যে মেয়ে পয়সা নিয়ে আগের কেস তুলে নিয়েছিল তাহলে এর থেকে বড় সাক্ষী বা প্রমান আর কিছু চাইবে না আদালত. ঘটনা ঘটেছেও তাই.
ওরা কাছে আসতেই সোমদত্তা গাড়ি থেকে বাইরে বেরোলেন. মুখে হাসি. প্রদীপ ওকে দেখে থমকে দাঁড়ালেন.
কথাকলি বললেন, 'আরে প্রদীপদা আপনার কেস থেকে মুক্তির সব ক্রেডিট কিন্তু সোমের. ও যা করেছে তা ভাবতেও পারবেন না. রাধার মাকে সাক্ষী হিসেবে কিন্তু সোম যোগার করেছে.'
প্রদীপের মুখে অবিশ্বাসের তৃপ্তি. জয়ন্ত ওকে সব খুলে বললেন. সবার সামনেই প্রদীপ সোমদত্তাকে জড়িয়ে ধরলেন. সোমদত্তা প্রদীপের গালে ছোট্ট একটা চুমু দিয়ে সরে গেলেন.
রাধা, একটা মেয়ে (ললিতা), একটা লোক (গুপি) আর ওদের কালো কোট পরা উকিল যাচ্ছে ওদের পাশ দিয়ে. ওদের দিকে তাকানোর ক্ষমতা নেই মেয়েটার. সেদিন খুব দেমাক দেখিয়েছিল. আজ চুপসে গেছে.
ওদের উকিল বলতে বলতে গেলেন, 'আরে তোমার মা যে উল্টো সুর গাইবে সেটা আগে বলবে তো!! প্রথমতঃ তোমার কাছে কোনো পোক্ত সাক্ষী বা প্রমান নেই. তার ওপর তোমার মায়ের সাক্ষী. জিতবে কি করে?'
রাধা নিচু গলায় বলল, 'আমি মায়ের ব্যাপারটা জানতাম না. বুঝতে পারছি না মা কেন এলো?'
উকিল আরও কিছু গজগজ করতে করতে এগিয়ে গেল.
প্রদীপ ওদের শুনিয়েই বললেন, 'যত্ত সব নোংরা মেয়েছেলে!!'
রাধা হঠাত দাঁড়িয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল. যেন সাপের ফনা তোলা মূর্তি. শুধুই দেখল. কোনো কথা বলল না. তীব্র একটা দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আবার নিজের পথে এগিয়ে চলল.
কথাকলি বললেন, 'সোম তোকে বলেছিলাম না প্রদীপদা নির্দোষ. এখন কোর্টেও সেটা প্রমান হয়ে গেল. তুই শুধু শুধু ওকে কষ্ট দিয়েছিস.'
প্রদীপ বললেন, 'যা হোক আবার নতুন করে শুরু করা যাবে. সন্দেহ করে যে ও দুরে ছিল তাতে এটাই বোঝা যায় ওর আত্মসম্মান বজায় আছে আর আমাকে ভালবাসে. নাহলে এমন করতে পারত না. সব সন্দেহ ধুঁয়ে মুছে গেছে. কি খুশি তো?'
সোমদত্তা খুশি হয়ে হেসে মাথা নাড়েন.
কথাকলি বললেন, 'যা হোক প্রদীপদা আজ একটা রোমান্টিক রাত পাবেন. দীর্ঘ বিরহের পর মিলন. ওম শান্তি ওম শান্তি.'
সোমদত্তা লজ্জা পেয়ে বললেন, 'তুই থামবি? চল বাড়ি যাই.'
বিকেল হয়ে গেছে. প্রদীপ বললেন, 'তার আগে একবার অফিস যাব. একটা কাজ না করলেই নয়. কিন্তু তাড়াতাড়ি ফিরে আসব. কথা দিচ্ছি.'
কথাকলি বললেন, 'আপনি একটা কাজ পাগলা মানুষ. আজকের দিনেও অফিস না গেলে হয় না.'
সোমদত্তা বললেন, 'ও কাজ ছাড়া আর কিছু বোঝে না. চল তোমায় অফিসে পৌছে দিয়ে আসি.'
রাধা মলিন হেসে বলল, 'দেখা যাক. সামনের মাসে কোর্টে শুনানি আছে.'
কোর্ট থেকে হাসতে হাসতে প্রদীপ বেরিয়ে আসছেন. সঙ্গে আছে কথাকলি, প্রশান্ত আর প্রেমদীপ. সাথে কালো কোট পরা উকিল, জয়ন্ত. কোর্টের বাইরে সোমদত্তা অপেক্ষা করছেন. নিজের গাড়ির মধ্যে. নিজেকে বন্দী করে রেখেছেন. এ সি চালু আছে, তাই কোনো গরম নেই. অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন কোর্টের রায়ের জন্যে. কথাকলি ওকে জোরাজুরি করেছিলেন কিন্তু সোমদত্তা কোর্টের মধ্যে যেতে চান নি. প্রদীপ যে জিতবে সে ব্যাপারে কলি নিশ্চিত ছিল, কিন্তু সোমদত্তা নিজের মনের কথা নিজের মনের মধ্যে রেখেছিলেন. উনি বুঝতে পেরেছিলেন প্রদীপ নির্দোষ. কিন্তু রায় না বেরোবার পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন. লজ্জাহীনা বস্তির মেয়ে কি চাল দেবে সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা কিছু ছিল না. উকিলের কাছে কথাকলি আর সোমদত্তা প্রদীপকে না জানিয়ে গিয়েছিলেন এবং রাধার মায়ের সাক্ষী দেবার ব্যবস্থা পাকা করে এসেছিলেন. জয়ন্ত মজুমদার এমন সাক্ষী পেয়ে তখনি ওদের জানিয়ে দিয়েছিলেন যে এটা কোনো কেসই না. কোনো প্রমান নেই. কোনো সাক্ষী নেই. তার ওপর মেয়ের ওই রকম চরিত্র. মেয়ে যে পয়সা নিয়ে আগের কেস তুলে নিয়েছিল সেটা প্রমান করতে পারলেই এটা বোঝানো যাবে যে প্রদীপকেও মেয়েটা নিজের 'খদ্দের' বানাবার তালে ছিল. এখানেও পয়সা নিয়ে কেস তুলে নেবে. আসলে নোংরা চরিত্র. এভাবেই পয়সা রোজগার করে বেঁচে থাকে. মেয়ের মা যদি সাক্ষী দেয় যে মেয়ে পয়সা নিয়ে আগের কেস তুলে নিয়েছিল তাহলে এর থেকে বড় সাক্ষী বা প্রমান আর কিছু চাইবে না আদালত. ঘটনা ঘটেছেও তাই.
ওরা কাছে আসতেই সোমদত্তা গাড়ি থেকে বাইরে বেরোলেন. মুখে হাসি. প্রদীপ ওকে দেখে থমকে দাঁড়ালেন.
কথাকলি বললেন, 'আরে প্রদীপদা আপনার কেস থেকে মুক্তির সব ক্রেডিট কিন্তু সোমের. ও যা করেছে তা ভাবতেও পারবেন না. রাধার মাকে সাক্ষী হিসেবে কিন্তু সোম যোগার করেছে.'
প্রদীপের মুখে অবিশ্বাসের তৃপ্তি. জয়ন্ত ওকে সব খুলে বললেন. সবার সামনেই প্রদীপ সোমদত্তাকে জড়িয়ে ধরলেন. সোমদত্তা প্রদীপের গালে ছোট্ট একটা চুমু দিয়ে সরে গেলেন.
রাধা, একটা মেয়ে (ললিতা), একটা লোক (গুপি) আর ওদের কালো কোট পরা উকিল যাচ্ছে ওদের পাশ দিয়ে. ওদের দিকে তাকানোর ক্ষমতা নেই মেয়েটার. সেদিন খুব দেমাক দেখিয়েছিল. আজ চুপসে গেছে.
ওদের উকিল বলতে বলতে গেলেন, 'আরে তোমার মা যে উল্টো সুর গাইবে সেটা আগে বলবে তো!! প্রথমতঃ তোমার কাছে কোনো পোক্ত সাক্ষী বা প্রমান নেই. তার ওপর তোমার মায়ের সাক্ষী. জিতবে কি করে?'
রাধা নিচু গলায় বলল, 'আমি মায়ের ব্যাপারটা জানতাম না. বুঝতে পারছি না মা কেন এলো?'
উকিল আরও কিছু গজগজ করতে করতে এগিয়ে গেল.
প্রদীপ ওদের শুনিয়েই বললেন, 'যত্ত সব নোংরা মেয়েছেলে!!'
রাধা হঠাত দাঁড়িয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল. যেন সাপের ফনা তোলা মূর্তি. শুধুই দেখল. কোনো কথা বলল না. তীব্র একটা দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আবার নিজের পথে এগিয়ে চলল.
কথাকলি বললেন, 'সোম তোকে বলেছিলাম না প্রদীপদা নির্দোষ. এখন কোর্টেও সেটা প্রমান হয়ে গেল. তুই শুধু শুধু ওকে কষ্ট দিয়েছিস.'
প্রদীপ বললেন, 'যা হোক আবার নতুন করে শুরু করা যাবে. সন্দেহ করে যে ও দুরে ছিল তাতে এটাই বোঝা যায় ওর আত্মসম্মান বজায় আছে আর আমাকে ভালবাসে. নাহলে এমন করতে পারত না. সব সন্দেহ ধুঁয়ে মুছে গেছে. কি খুশি তো?'
সোমদত্তা খুশি হয়ে হেসে মাথা নাড়েন.
কথাকলি বললেন, 'যা হোক প্রদীপদা আজ একটা রোমান্টিক রাত পাবেন. দীর্ঘ বিরহের পর মিলন. ওম শান্তি ওম শান্তি.'
সোমদত্তা লজ্জা পেয়ে বললেন, 'তুই থামবি? চল বাড়ি যাই.'
বিকেল হয়ে গেছে. প্রদীপ বললেন, 'তার আগে একবার অফিস যাব. একটা কাজ না করলেই নয়. কিন্তু তাড়াতাড়ি ফিরে আসব. কথা দিচ্ছি.'
কথাকলি বললেন, 'আপনি একটা কাজ পাগলা মানুষ. আজকের দিনেও অফিস না গেলে হয় না.'
সোমদত্তা বললেন, 'ও কাজ ছাড়া আর কিছু বোঝে না. চল তোমায় অফিসে পৌছে দিয়ে আসি.'