16-07-2021, 01:13 PM
প্রদীপ তার অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন.
প্রবীর বললেন, 'কেমন চেহেরা ছিল? ফ্রেশ শরীর!! বস্তির হলে তো একটা বুনো গন্ধ থাকার কথা!'
প্রদীপ বললেন, 'ছিঃ প্রবীর, কি বলছেন সব. আমি জ্বলছি নিজের জ্বালায়.'
প্রবীর বললেন, 'আগুন ধরিয়ে দিয়ে গেছে. জ্বলবেন তো বটেই. হা হা হা হা.'
প্রদীপ বললেন, 'এই জন্যেই কোথাও বলতে চাই না. এখানে এসেছি একটু শান্তি পাব বলে. এখানেও শুরু করে দিলেন.' প্রদীপ রেগে গেছেন. ওর রাগ দেখে বাকিরা নিজেদের সামলে নিলেন.
সোমদত্তা কথাকলির সাথে বেরিয়েছেন রাধার বাড়ির উদ্দেশ্যে. বিদেশী ব্র্যান্ডের নতুন গাড়ি. বেশ দামী. সোমদত্তা নিজেই গাড়ি চালাচ্ছেন. ড্রাইভার সাথে নেন নি.
সোমদত্তা বললেন, 'তুই ঠিক বলছিস যে প্রশান্তর কেসে এই রাধাই ছিল?'
কথাকলি বললেন, 'একেবারে ঠিক. আমি সেন্ট পার্সেন্ট কনফার্মড. আমি কি করে ভুলব বল. তোর অবস্থা আমি ভালো মতই বুঝি. চিন্তা করিস না. সব ঠিক হয়ে যাবে.'
সোমদত্তা মনে মনে খুশি হন. রাধা নামের মেয়েটি আগেও এমন কান্ড ঘটিয়েছে. প্রশান্তর বেলায় মলেস্টেশনের চার্জ এনেছিল. শেষ টাকা নিয়ে রফা করে. প্রশান্তর আগেও নাকি আরও একজনকে ফাঁসিয়েছিল মেয়েটা. কলির কথা মত এটাই ওর পেশা. ছিঃ কি নোংরা পেশা. দেখা যাক কি আছে ওর ভাগ্যে. সত্যি এমন হলে ওর মত আর খুশি কেউ হবে না. টাকা যাক, সেটা কোনো ব্যাপার না. কিন্তু কলঙ্ক গেলেই মুখ তুলে বাঁচা যাবে. ছেলের ব্যক্তিত্ব সঠিকভাবে গড়ে উঠবে. পার্টিতে যাওয়া বা সামাজিক হতে কোনো কলঙ্কের দুঃস্বপ্ন থাকবে না. লোকেরা কেমনভাবে তাকাবে না. পিছনে কাঁদা ছুড়বে না. বরঞ্চ সোমদত্তা গর্বের সাথে ওর লড়াইয়ের কথা বলতে পারবে. শেষটা যেন ভালো হয়.
বস্তির মুখে গাড়ি রেখে দুইজনে বেরোলেন গাড়ি থেকে. বাইরেটা গরম. এ সির ঠান্ডায় অভ্যস্ত শরীর. এখন কষ্ট করতে হবে. যা হোক এটাকে সোমদত্তা কষ্ট মনে করেন না. একটা কালিমামোচনের সংগ্রাম.
বস্তিরই একটা লোক রাধার বাড়ি দেখিয়ে দিতে ওরা পৌছলেন রাধার বাড়ির. একটা মাত্র চালা ঘর. ইঁটের দেওয়াল. প্লাস্টার করা নেই. উপরে টিনের চালা. একটা বারান্দা আছে. সেটার একপাশে রান্না করবার ব্যবস্থা করা আছে. কয়লার উনুন. অন্যপাশে অনেক জিনিসপত্র ঢাই করে রাখা আছে. একটা নারকোল গাছে ছায়া বাড়ির চিলতে উঠোনে পড়েছে. ওরা যেতেই একটা যুবতী মেয়ে বেরিয়ে এলো. সোমদত্তা ভাবলেন এটাই রাধা. চেহারায় চটক আছে. বাব্বা বুকটা তো ভারী. রাধার চুরিদারের সাথে ওরনা নেই. রাধা বাড়িতে ওরনা জড়ায় না.
রাধা বলল, 'কাকে চাই?'
কথাকলি বললেন, 'আমরা রাধার সাথে একটু কথা বলতে এসেছি.'
--আমিই রাধা. বলুন.
রাধা বারান্দা থেকে দুটো টুল এনে দিল. ওরা বসলেন. রাধা দাঁড়িয়ে রইলো. সোমদত্তা চুপ রইলেন. কথাকলি কথা চালালেন রাধার সাথে.
--দেখো আমরা এসেছি ওই মলেস্টেশনের ব্যাপারে কথা বলতে. উনি সোমদত্তা, প্রদীপের স্ত্রী. আমি কথাকলি, সোমদত্তার বন্ধু.
--আমার কিছু বলবার নেই. যা হবার আদালতে হবে.
--বেশি আদালত দেখিয়ো না. আমরাও জানি যা হবার তা আদালতে হবে. আর এটাও জানি আদালতের বাইরেও অনেক কিছু হয়.
--কি বলতে চাইছেন?
--তুমিও জানো যে ঠিক কি বলতে চাইছি. বলছি আদালত আদালত করছ কেন? কোর্টের বাইরেও তো ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলা যায়.
--যেমন?
--আমি জানি তুমি টাকা পেলে কেস তুলে নেবে. কত টাকা চাই?
--টাকা পেলে কেস তুলে নেব? সেটা যখন জানেন তাহলে তারপরিমানও নিশ্চয় জানেন.
--কুড়ি হাজার.
--আপনাকে আমি কুড়ি হাজার এক টাকা দেব. কিন্তু তার আগে আপনি কি পারবেন কোনো বস্তির ছেলের কাছে ইজ্জত দিতে.
--মুখ সামলে কথা বল.
--আপনাদের বাড়ির ছেলেদের মুখ, হাত সামলাতে বলুন.
--প্রশান্ত শর্মার কেস মনে আছে? সেখানেও তুমি একই অভিযোগ এনেছিলে আর সেটা কোর্টের বাইরে টাকা নিয়ে মিটিয়েছিলে.
--আমি পুরনো কোনো কেসের কথা জানি না.
--জানতে তোমায় হবেই. ঠিক করে বল তো কত নেবে?
--কান ধরে যদি সবার সামনে বলতে পারে যে আমার সাথে বেইজ্জতি করেছিল তাহলে আমি কোনো পয়সা ছাড়াই কেস তুলে নেব. পারবে সেটা?
--যেটা করে নি সেটা স্বীকার করবে কেন?
--সেটা আদালতকে ঠিক করতে দিন. মাঝে নাক গলাতে এসেছেন কেন?
--তুমি কোর্টেও হারবে আর পয়সাও পাবে না.
--সেটা দেখা যাবে. আপনারা যান.
সোমদত্তা রাধাকে এত সময় কিছু বলেন নি. শেষে বললেন, 'রাধা সত্যি করে বল তো উনি তোমার সাথে সত্যি কিছু করে ছিলেন? এটা আমার জানা খুব জরুরি.'
রাধা আগের মতই ত্যারা উত্তর দিল, 'সেটা আদালত বলবে.'
প্রবীর বললেন, 'কেমন চেহেরা ছিল? ফ্রেশ শরীর!! বস্তির হলে তো একটা বুনো গন্ধ থাকার কথা!'
প্রদীপ বললেন, 'ছিঃ প্রবীর, কি বলছেন সব. আমি জ্বলছি নিজের জ্বালায়.'
প্রবীর বললেন, 'আগুন ধরিয়ে দিয়ে গেছে. জ্বলবেন তো বটেই. হা হা হা হা.'
প্রদীপ বললেন, 'এই জন্যেই কোথাও বলতে চাই না. এখানে এসেছি একটু শান্তি পাব বলে. এখানেও শুরু করে দিলেন.' প্রদীপ রেগে গেছেন. ওর রাগ দেখে বাকিরা নিজেদের সামলে নিলেন.
সোমদত্তা কথাকলির সাথে বেরিয়েছেন রাধার বাড়ির উদ্দেশ্যে. বিদেশী ব্র্যান্ডের নতুন গাড়ি. বেশ দামী. সোমদত্তা নিজেই গাড়ি চালাচ্ছেন. ড্রাইভার সাথে নেন নি.
সোমদত্তা বললেন, 'তুই ঠিক বলছিস যে প্রশান্তর কেসে এই রাধাই ছিল?'
কথাকলি বললেন, 'একেবারে ঠিক. আমি সেন্ট পার্সেন্ট কনফার্মড. আমি কি করে ভুলব বল. তোর অবস্থা আমি ভালো মতই বুঝি. চিন্তা করিস না. সব ঠিক হয়ে যাবে.'
সোমদত্তা মনে মনে খুশি হন. রাধা নামের মেয়েটি আগেও এমন কান্ড ঘটিয়েছে. প্রশান্তর বেলায় মলেস্টেশনের চার্জ এনেছিল. শেষ টাকা নিয়ে রফা করে. প্রশান্তর আগেও নাকি আরও একজনকে ফাঁসিয়েছিল মেয়েটা. কলির কথা মত এটাই ওর পেশা. ছিঃ কি নোংরা পেশা. দেখা যাক কি আছে ওর ভাগ্যে. সত্যি এমন হলে ওর মত আর খুশি কেউ হবে না. টাকা যাক, সেটা কোনো ব্যাপার না. কিন্তু কলঙ্ক গেলেই মুখ তুলে বাঁচা যাবে. ছেলের ব্যক্তিত্ব সঠিকভাবে গড়ে উঠবে. পার্টিতে যাওয়া বা সামাজিক হতে কোনো কলঙ্কের দুঃস্বপ্ন থাকবে না. লোকেরা কেমনভাবে তাকাবে না. পিছনে কাঁদা ছুড়বে না. বরঞ্চ সোমদত্তা গর্বের সাথে ওর লড়াইয়ের কথা বলতে পারবে. শেষটা যেন ভালো হয়.
বস্তির মুখে গাড়ি রেখে দুইজনে বেরোলেন গাড়ি থেকে. বাইরেটা গরম. এ সির ঠান্ডায় অভ্যস্ত শরীর. এখন কষ্ট করতে হবে. যা হোক এটাকে সোমদত্তা কষ্ট মনে করেন না. একটা কালিমামোচনের সংগ্রাম.
বস্তিরই একটা লোক রাধার বাড়ি দেখিয়ে দিতে ওরা পৌছলেন রাধার বাড়ির. একটা মাত্র চালা ঘর. ইঁটের দেওয়াল. প্লাস্টার করা নেই. উপরে টিনের চালা. একটা বারান্দা আছে. সেটার একপাশে রান্না করবার ব্যবস্থা করা আছে. কয়লার উনুন. অন্যপাশে অনেক জিনিসপত্র ঢাই করে রাখা আছে. একটা নারকোল গাছে ছায়া বাড়ির চিলতে উঠোনে পড়েছে. ওরা যেতেই একটা যুবতী মেয়ে বেরিয়ে এলো. সোমদত্তা ভাবলেন এটাই রাধা. চেহারায় চটক আছে. বাব্বা বুকটা তো ভারী. রাধার চুরিদারের সাথে ওরনা নেই. রাধা বাড়িতে ওরনা জড়ায় না.
রাধা বলল, 'কাকে চাই?'
কথাকলি বললেন, 'আমরা রাধার সাথে একটু কথা বলতে এসেছি.'
--আমিই রাধা. বলুন.
রাধা বারান্দা থেকে দুটো টুল এনে দিল. ওরা বসলেন. রাধা দাঁড়িয়ে রইলো. সোমদত্তা চুপ রইলেন. কথাকলি কথা চালালেন রাধার সাথে.
--দেখো আমরা এসেছি ওই মলেস্টেশনের ব্যাপারে কথা বলতে. উনি সোমদত্তা, প্রদীপের স্ত্রী. আমি কথাকলি, সোমদত্তার বন্ধু.
--আমার কিছু বলবার নেই. যা হবার আদালতে হবে.
--বেশি আদালত দেখিয়ো না. আমরাও জানি যা হবার তা আদালতে হবে. আর এটাও জানি আদালতের বাইরেও অনেক কিছু হয়.
--কি বলতে চাইছেন?
--তুমিও জানো যে ঠিক কি বলতে চাইছি. বলছি আদালত আদালত করছ কেন? কোর্টের বাইরেও তো ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলা যায়.
--যেমন?
--আমি জানি তুমি টাকা পেলে কেস তুলে নেবে. কত টাকা চাই?
--টাকা পেলে কেস তুলে নেব? সেটা যখন জানেন তাহলে তারপরিমানও নিশ্চয় জানেন.
--কুড়ি হাজার.
--আপনাকে আমি কুড়ি হাজার এক টাকা দেব. কিন্তু তার আগে আপনি কি পারবেন কোনো বস্তির ছেলের কাছে ইজ্জত দিতে.
--মুখ সামলে কথা বল.
--আপনাদের বাড়ির ছেলেদের মুখ, হাত সামলাতে বলুন.
--প্রশান্ত শর্মার কেস মনে আছে? সেখানেও তুমি একই অভিযোগ এনেছিলে আর সেটা কোর্টের বাইরে টাকা নিয়ে মিটিয়েছিলে.
--আমি পুরনো কোনো কেসের কথা জানি না.
--জানতে তোমায় হবেই. ঠিক করে বল তো কত নেবে?
--কান ধরে যদি সবার সামনে বলতে পারে যে আমার সাথে বেইজ্জতি করেছিল তাহলে আমি কোনো পয়সা ছাড়াই কেস তুলে নেব. পারবে সেটা?
--যেটা করে নি সেটা স্বীকার করবে কেন?
--সেটা আদালতকে ঠিক করতে দিন. মাঝে নাক গলাতে এসেছেন কেন?
--তুমি কোর্টেও হারবে আর পয়সাও পাবে না.
--সেটা দেখা যাবে. আপনারা যান.
সোমদত্তা রাধাকে এত সময় কিছু বলেন নি. শেষে বললেন, 'রাধা সত্যি করে বল তো উনি তোমার সাথে সত্যি কিছু করে ছিলেন? এটা আমার জানা খুব জরুরি.'
রাধা আগের মতই ত্যারা উত্তর দিল, 'সেটা আদালত বলবে.'