Thread Rating:
  • 12 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance আমি সীমাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারলাম না by monirul
#6
সীমা বলছেঃ

রাজিব, তুমি ওকে চিনতে, কলেজে পড়তো, আমাদের বাসার কাছেই একটা মেসে থাকতো কার্তিকের মতো চেহারা ওর মধ্যে যে কি ছিল তা বলতে পারবো না কিন্তু একে দেখেই আমার ভাল লেগে যায় পরে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়, ভালবেসে ফেলি ওকে তোমার সাথে যখন আমি খারাপ ব্যবহার করেছিলাম তখন আমরা একে অন্যকে খুব ভালবাসি ওর প্রেমে অন্ধ ছিলাম আমি, তাই তোমার ভালবাসাটাকে আমি অনধিকার চর্চা মনে করেছিলাম ভেবেছিলাম তুমি আমার রূপ দেখে পাগল হয়েছো তাই তোমাকে অপমান করতে আমার এতটুকু বাধেনি রাজিব আমাকে হঠাৎ করেই বিয়ের প্রস্তাব দেয় আমি ওকে জানালাম যে, আমার মা আর দাদা এখন কিছুতেই বিয়ে দিবে না, এস এস সি পাশ না করলে ওরা আমাকে বিয়ে দিতে রাজি হবে না


সীমা বলছেঃ

তোমার সাথে ঘটনার দিন পরেই দাদা বিদেশ চলে যায় তোমাকে জানায়নি তারন তুমি কষ্ট পাবে, আর আমিও সেদিনের ঘটনা কাউকে বলিনি রাজিব আমার উপরে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করলো শেষ পর্যন্ত এমনভাবে বললো, যে আমি রাজি না হলে সুইসাইড করবে অগত্য আমি রাজী হয়ে গেলাম এবং এক রাতে আমি আমার কাপড় চোপড় আর সব গহনা নিয়ে রাজিবের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেলাম রাজিব আমাকে অনেক ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে সীতাকুন্ড পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে গেল ওখানে এক মন্দিরে আমার সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে আমাকে বিয়ে করলো তারপর আমরা একটা কুঁড়েঘর ভাড়া নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মতো থাকতে লাগলাম কোন কাজ কর্ম করতো না, সারা দিন রাত আমাকে নিয়ে পড়ে থাকতো অল্প দিনের ভিতরেই ওর কাছে যা ছিল আর আমার কাছে যা নগদ টাকা ছিল সব ফুরিয়ে গেল


সীমা বলছেঃ

পরে আমি ওকে বিশ্বাস করে আমার কিছু গয়না দিলাম বিক্রি করে টাকা আনার জন্যে এভাবে তিন মাস কেটে গেল, টাকাও ফুরিয়ে গেল তখন রাজিব আমাকে আরো গয়না দেবার জন্য চাপ দিতে লাগলো আমি সাবধান হয়ে গেলাম, ক্রমে ক্রমে ওর লোভী চেহারাটা আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠলো আমি ওকে বৌয়ের গয়না বেচে টাকা জোগাড় না করে একটা কাজ খুঁজতে বললাম বিনিময়ে আমাকে সেই প্রথম মারধর করলো আমি রাজিবের আসল চেহারাটা চিনতে পারলাম আমি পরিষ্কার বুঝতে পারলাম রাজিব আমাকে ভালবাসেনি, আমার শরীর আর আমার গয়নার লোভে আমাকে নিয়ে এসেছে প্রতিবাদ করতে চাইলাম কিন্তু আমাকে ওখান থেকে সরিয়ে আরকে জায়গায় নিয়ে আটকে ফেললো আর আমার সব গয়না কেড়ে নিল ততদিনে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছি


সীমা বলছেঃ

এখানেই শেষ নয়, রাজিব কুকুরের মত আমার দেহটা ভোগ করতে লাগলো তারপর একদিন কিছু নতুন লোক এলো, ওদের কথাবার্তায় বুঝলাম, রাজিব লোকগুলোর কাছে আমাকে অনেক টাকায় বিক্রি করে দিল অসহায় বোবা জন্তুর মতো শুধু কেঁদেছি, আর বিশ্বাস করো, আমার শুধু তোমার কতো মনে পড়তো তোমাকে অপমান করার অনুশোচনায় আমি নিজের মাথার চুল নিজে টেনে টেনে ছিঁড়েছি বত বড় ভুল যে আমি করলাম, মাঝে মাঝে মনে হতো আত্মহত্যা করি কিন্তু আমার পেটে মৃত্তিকার অস্তিত্ব, ওকে তো আমি মেরে ফেলতে পারবো না, এই ভেবে চুপ করে সব অত্যাচার সহ্য করলাম পরদিন লোকগুলো আমাকে আরো অনেকগুলি মেয়ের সাথে পাচার করার জন্য একত্র করলো রাতে ইন্ডিয়া বর্ডার পার হওয়ার এক ফাঁকে সুযোগ পেয়ে আমি আরো তিনটে মেয়ের সাথে পালালাম ওখান থেকে চুপিচুপি অনেক কষ্টে যশোর চলে গেলাম সেখানে এক দয়ালু বৃদ্ধা ধার্মিক '. মহিলা আমাকে আশ্রয় দিল ওখানেই মৃত্তিকার জন্ম হয়


সীমা বলছেঃ

ভেবেছিলাম আর ফিরবো না, এই মুখ আর কাউকে দেখাবো না, কিন্তু মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে সেটা আর করতে পারলাম না ভয়ে ভয়ে ফিরে এলাম, মা আমার সব কথা শুনে আমাকে মাফ করে দিল তুমি বিশ্বাস করবে কিনা জানিনা, এতো সব কিছুর ভিড়ে আমার কেবল তোমার কথাই মনে পড়তো, দাদাকে একবারের জন্যও মনে পড়েনি, কিন্তু তোমাকে ভুলতে পারতাম না মনে হতো, একমাত্র তুমিই হতে পারো আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন মা-কে তোমার কথা জিজ্ঞেস করলে বললো, তুমি আর আসোনি আমাদের বাসায়, মা খুব অভিমান তোমার উপরে, সে তো আর জানেনা যে আমার কাছ থেকে কত বড় আঘাত পেয়ে তুমি ফিরে গেছ শেষে আমি মাকে সব খুলে বলেছি সেদিনের কথা মা- আমাকে বললো তোমাকে খুঁজে বের করতে
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: আমি সীমাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারলাম না by monirul - by ddey333 - 16-07-2021, 11:29 AM



Users browsing this thread: 1 Guest(s)