15-07-2021, 06:08 PM
কথাবলি-পাগলামো করিস না. তোর তো পাশে থাকা উচিত. এই সময়ে পাশে না থাকা ভালো দেখায় না. তাছাড়া যখন ও নির্দোষ হিসেবে যখন ফেরত আসবে তখন তোর মুখ দেখানোর উপায় থাকবে?
সোমদত্তা-আমি কি করব? আমি ভাবতে পারি না প্রদীপের নামে এমন এলিগ্যাশন উঠতে পারে. উঠেছে যখন তখন নিশ্চয় কিছু করেছে. না করলে সেটা প্রমান করে দেখাক.
কথাবলি-তুই মানুষ চিনিস না সোম. পয়সার জন্যে লোক অনেক কিছু করতে পারে. তুই জানিস এমন অভিযোগ সুশান্তর নামে উঠেছিল. সেটাও বস্তির মেয়ে. ও পয়সা পেয়ে শেষ কেস উইথড্র করে নেয়.
কথাকলি সোমদত্তার পুরনো বন্ধু আর সুশান্ত কথাকলির স্বামী.
সোমদত্তা-সবাই সমান হয় না. সুশান্ত অত্যন্ত ভদ্রলোক.
কথাবলি-তাহলে বলতে চাইছিস প্রদীপদা ভদ্র না. ও ওসব করতে পারে? সত্যি বলিহারি তোর বিচার.
সোমদত্তা-সবাই সমান হয় না.
কথাবলি-শোন, আমার মনে হয় তোর প্রদীপদার পাশে দাঁড়ানো উচিত.
সোমদত্তা-আমাকে কি করতে বলছিস?
কথাবলি-পাশে দাঁড়ানো মানে মেন্টাল সাপোর্ট দেওয়া. সেটা কর. আর পারলে ওই মেয়েটার খোঁজ খবর নে.
সোমদত্তা-কি খোঁজ খবর? আমি কি মেয়েটার সাথে যোগাযোগ করব?
কথাবলি-তুই একলা পারবি না. তোর ধাতে সইবে না. প্রাইমারি ইনফরমেশন যোগার কর, মানে মেয়েটার নাম, ঠিকানা. তারপর আমাকে জানা. দেখি কিছু করতে পারি কিনা.
সোমদত্তা-ঠিক আছে, বলছিস যখন আমি চেষ্টা করব. কিন্তু তুই কিন্তু প্রদীপকে এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারবি না. আদালতের বিচার যাই হোক, আমার কাছে সব পরিস্কার থাকা দরকার.
কথাবলি-সেটা ঠিক আছে. আমি কিছু বলব না. তোকে যা বললাম তুই কর. ঠিক আছি, ছাড়লাম. বাই.
সোমদত্তা-বাই.
সোমদত্তা মোবাইল রেখে দেন. দিন দিন বাড়ির টেলিফোন বেজে গেছে. ধরবার তাগিদ অনুভব করেন নি. একবার ধরে ছিলেন. টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক কথা বলতে চাইছিল. কথা বলার মত অবস্থায় ছিলেন না. সাংবাদিক সেটা বুঝবার চেষ্টা করে না. খবর রসদ খোঁজা তার প্রধান উদ্দেশ্য. এমন রসালো খবরে অভিযুক্তের স্ত্রীর স্টেটমেন্ট খবরে নতুন বাইট দেবে. উনি ফোন রেখে দিয়েছিলেন. আত্মীয় স্বজনেরও একই কথা হবে ভেবে আর ফোন তোলেন নি. মোবাইলে যারা চেষ্টা করেছিল তাদেরকে নিরাশ করে ফোন কেটে দিয়েছিলেন. কথাকলির ফোন কাটতে সাহস করেন নি. ছোটবেলার বন্ধু. ও অন্যদের মত 'মজা' নেবার জন্যে বা মিথ্যা 'সহানুভূতি' দেখাবার জন্যে ফোন করতে পারে না. সঠিক মর্যাদার সাথে কথা বলতেই ও ফোন করে.
সোমদত্তা ভাবতে থাকেন কিভাবে মেয়েটার সম্পর্কে জানা যাবে. টিভিতে মেয়েটির ডিটেইল্স দেয় নি. শুধু প্রদীপের নাম, অফিসের নাম, বস্তির নাম ইত্যাদি দিয়েছে. মেয়েটির নাম দেখায় নি. মেয়েটির মুখ দেখাবার সময় মুখের ওপর ঝিলমিল করে দিয়েছিল যাতে তাকে চেনা না যায়. প্রদীপের ছবি দেখিয়েছে. প্রদীপকে টিভি ক্যামেরাতে বলতে দেখেছে যে সে নির্দোষ, ওকে ফাঁসানো হয়েছে.
সোমদত্তার মনে পড়ে প্রদীপের অফিসের প্রেমের কথা, মানে প্রেমদীপ দাশগুপ্তর কথা. ছেলেটা ছটফটে, মিশুকে. ওকে জিজ্ঞাসা করলে পাওয়া যাবে মেয়েটির সম্পর্কে. মোবাইল ঘেঁটে প্রেমদীপের নাম্বার খুঁজে পান সোমদত্তা. ডায়াল করেন. রিং হচ্ছে. একটু অপেক্ষার পর প্রেমদীপ ফোন তোলেন.
সোমদত্তা বললেন, 'ভাই প্রেম তোমাকে একটু বিরক্ত করব.'
প্রেমদীপ উত্তর দিলেন, 'কি যে বলেন বৌদি. কি করতে হবে বলুন. বান্দা হাজির.'
সোমদত্তা বললেন, 'কিছু করতে হবে না. প্রথমে বল যে আমি যে ফোন করেছি সেটা কেউ জানবে না. কেউ জানবে না মানে কেউ জানবে না.'
--মানে দাদাও না?
--কেউ না.
--ওকে.
--একটু গোপনীয়. আলাদাভাবে কথা বলা যাবে.
--একটু দাঁড়ান.
প্রেমদীপ উঠে একটু নির্জন স্থানে গেলেন.
তারপর বললেন, 'বলুন বৌদি.'
সোমদত্তা বললেন, 'তোমাদের অফিসের কান্ড টিভিতে দেখে আমি প্রদীপের সাথে কথা বন্ধ করে দিয়েছি.'
--এটা আপনি ঠিক করেন নি. দাদা নির্দোষ.
--আমি ঐব্যাপারে কিছু বলতে চাই না. একটা ইনফরমেশন চাই.
সোমদত্তা-আমি কি করব? আমি ভাবতে পারি না প্রদীপের নামে এমন এলিগ্যাশন উঠতে পারে. উঠেছে যখন তখন নিশ্চয় কিছু করেছে. না করলে সেটা প্রমান করে দেখাক.
কথাবলি-তুই মানুষ চিনিস না সোম. পয়সার জন্যে লোক অনেক কিছু করতে পারে. তুই জানিস এমন অভিযোগ সুশান্তর নামে উঠেছিল. সেটাও বস্তির মেয়ে. ও পয়সা পেয়ে শেষ কেস উইথড্র করে নেয়.
কথাকলি সোমদত্তার পুরনো বন্ধু আর সুশান্ত কথাকলির স্বামী.
সোমদত্তা-সবাই সমান হয় না. সুশান্ত অত্যন্ত ভদ্রলোক.
কথাবলি-তাহলে বলতে চাইছিস প্রদীপদা ভদ্র না. ও ওসব করতে পারে? সত্যি বলিহারি তোর বিচার.
সোমদত্তা-সবাই সমান হয় না.
কথাবলি-শোন, আমার মনে হয় তোর প্রদীপদার পাশে দাঁড়ানো উচিত.
সোমদত্তা-আমাকে কি করতে বলছিস?
কথাবলি-পাশে দাঁড়ানো মানে মেন্টাল সাপোর্ট দেওয়া. সেটা কর. আর পারলে ওই মেয়েটার খোঁজ খবর নে.
সোমদত্তা-কি খোঁজ খবর? আমি কি মেয়েটার সাথে যোগাযোগ করব?
কথাবলি-তুই একলা পারবি না. তোর ধাতে সইবে না. প্রাইমারি ইনফরমেশন যোগার কর, মানে মেয়েটার নাম, ঠিকানা. তারপর আমাকে জানা. দেখি কিছু করতে পারি কিনা.
সোমদত্তা-ঠিক আছে, বলছিস যখন আমি চেষ্টা করব. কিন্তু তুই কিন্তু প্রদীপকে এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারবি না. আদালতের বিচার যাই হোক, আমার কাছে সব পরিস্কার থাকা দরকার.
কথাবলি-সেটা ঠিক আছে. আমি কিছু বলব না. তোকে যা বললাম তুই কর. ঠিক আছি, ছাড়লাম. বাই.
সোমদত্তা-বাই.
সোমদত্তা মোবাইল রেখে দেন. দিন দিন বাড়ির টেলিফোন বেজে গেছে. ধরবার তাগিদ অনুভব করেন নি. একবার ধরে ছিলেন. টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক কথা বলতে চাইছিল. কথা বলার মত অবস্থায় ছিলেন না. সাংবাদিক সেটা বুঝবার চেষ্টা করে না. খবর রসদ খোঁজা তার প্রধান উদ্দেশ্য. এমন রসালো খবরে অভিযুক্তের স্ত্রীর স্টেটমেন্ট খবরে নতুন বাইট দেবে. উনি ফোন রেখে দিয়েছিলেন. আত্মীয় স্বজনেরও একই কথা হবে ভেবে আর ফোন তোলেন নি. মোবাইলে যারা চেষ্টা করেছিল তাদেরকে নিরাশ করে ফোন কেটে দিয়েছিলেন. কথাকলির ফোন কাটতে সাহস করেন নি. ছোটবেলার বন্ধু. ও অন্যদের মত 'মজা' নেবার জন্যে বা মিথ্যা 'সহানুভূতি' দেখাবার জন্যে ফোন করতে পারে না. সঠিক মর্যাদার সাথে কথা বলতেই ও ফোন করে.
সোমদত্তা ভাবতে থাকেন কিভাবে মেয়েটার সম্পর্কে জানা যাবে. টিভিতে মেয়েটির ডিটেইল্স দেয় নি. শুধু প্রদীপের নাম, অফিসের নাম, বস্তির নাম ইত্যাদি দিয়েছে. মেয়েটির নাম দেখায় নি. মেয়েটির মুখ দেখাবার সময় মুখের ওপর ঝিলমিল করে দিয়েছিল যাতে তাকে চেনা না যায়. প্রদীপের ছবি দেখিয়েছে. প্রদীপকে টিভি ক্যামেরাতে বলতে দেখেছে যে সে নির্দোষ, ওকে ফাঁসানো হয়েছে.
সোমদত্তার মনে পড়ে প্রদীপের অফিসের প্রেমের কথা, মানে প্রেমদীপ দাশগুপ্তর কথা. ছেলেটা ছটফটে, মিশুকে. ওকে জিজ্ঞাসা করলে পাওয়া যাবে মেয়েটির সম্পর্কে. মোবাইল ঘেঁটে প্রেমদীপের নাম্বার খুঁজে পান সোমদত্তা. ডায়াল করেন. রিং হচ্ছে. একটু অপেক্ষার পর প্রেমদীপ ফোন তোলেন.
সোমদত্তা বললেন, 'ভাই প্রেম তোমাকে একটু বিরক্ত করব.'
প্রেমদীপ উত্তর দিলেন, 'কি যে বলেন বৌদি. কি করতে হবে বলুন. বান্দা হাজির.'
সোমদত্তা বললেন, 'কিছু করতে হবে না. প্রথমে বল যে আমি যে ফোন করেছি সেটা কেউ জানবে না. কেউ জানবে না মানে কেউ জানবে না.'
--মানে দাদাও না?
--কেউ না.
--ওকে.
--একটু গোপনীয়. আলাদাভাবে কথা বলা যাবে.
--একটু দাঁড়ান.
প্রেমদীপ উঠে একটু নির্জন স্থানে গেলেন.
তারপর বললেন, 'বলুন বৌদি.'
সোমদত্তা বললেন, 'তোমাদের অফিসের কান্ড টিভিতে দেখে আমি প্রদীপের সাথে কথা বন্ধ করে দিয়েছি.'
--এটা আপনি ঠিক করেন নি. দাদা নির্দোষ.
--আমি ঐব্যাপারে কিছু বলতে চাই না. একটা ইনফরমেশন চাই.