09-07-2021, 10:54 AM
সাধারনত সেইদিন সেইদিন সোমদত্তার মৌনী ভঙ্গ হয় না. কিন্তু উনি বলে উঠলেন, 'তুমি খাও, আমার খিদে নেই. আর একটা কথা পরিস্কার করে বলে দিই. অভিযোগ যেটা উঠেছে সেটা মিথ্যা প্রমান করার দায়িত্ব তোমার. যতদিন সেটা না পারছ বেডরুমে ঘুমাবে না. পাশের ঘরে ব্যবস্থা করা আছে. আমাকে জ্বালাবে না.' কথাগুলো অত্যন্ত কঠোরভাবে বললেন. কথার টোন শুনে প্রদীপ বুঝলেন সহজে চিঁড়ে ভিজবে না. মিথ্যা প্রমান না করতে পারলে দাম্পত্য জীবন দুর্বিসহ হতে চলেছে. প্রদীপ ডাইনিং-এ খেতে বসলেন.
সোমদত্তার জীবনে ঝড় বয়ে আনলো এই শ্লীলতাহানির খবর. নিজেকে একেবারে গুটিয়ে নিলেন. দুপুরে যে ফোন করতেন তা বন্ধ করলেন. কারোর সাথে ফোনে কথা বলতে ইচ্ছে করে না. সবার কৌতুহল সেই একই বিষয়ে. প্রদীপ কি সত্যি কিছু করেছিল? প্রদীপ সত্যি কিছু করেছিল কিনা সেটা জানা সব থেকে জরুরি সোমদত্তার. তার জীবনের অভিমুখ কি হবে সেটা তার ওপর নির্ভর করবে. তিনি জানতে পারলে ঠিক করবেন তার স্বামীর সাথে পরবর্তী জীবন একসাথে কাটাবেন না বৃদ্ধ বাবা-মার আস্তানায় ফিরে যাবেন. লম্পট স্বামীর সাথে থাকার মানসিকতা বিন্দুমাত্র নেই. ভাবতেই কেমন শিউরে উঠলেন যে তিনি প্রদীপকে লম্পট ভাবছেন. সম্বন্ধ করে বিয়ে হলেও প্রদীপকে তিনি প্রকৃত ভালোবেসেছিলেন. না ,এখনো বাসেন. কিন্তু এমন অভিযোগ সত্যি হলে সেই ভালবাসার কোনো মূল্য থাকে না. তাই সত্যি ঘটনা তাকে জানতেই হবে. নাহলে ক্ষণমাত্র শান্তি পাবেন না. এই জানার আগ্রহ তার কাছে শুধু কৌতুহল নয়, তার ভালবাসার পরীক্ষা. ওদের ছেলে, অর্ক, হোস্টেল থেকে ফোন করে কান্নাকাটি করেছে. বন্ধুরা ওর বাবার নামে উল্টো পাল্টা বলছে. অর্ক এখন সিক্সে পড়ে. হোস্টেলে থাকার কারণে অনেক কিছু জানে. অর্কর কান্না থামানোর জন্যে তিনি কিছু বলতে পারেন নি. ভিতরে ভিতরে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন. সান্ত্বনা দেবার মত কিছু নেই.
গতকয়েক দিন ধরে খবরের কাগজ বা নিউজ চ্যানেলে প্রদীপের ঘটনা প্রচার করেছে. প্রদীপের নাম বারবার খবরে অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে. সোমদত্তা বিশ্বাস করতে পারেন না যে প্রদীপের নামে এমন একটা অভিযোগ উঠতে পারে. পনের বছরের বিবাহিত জীবনে কোনো দিন ওর চরিত্রের পতন চোখে পড়ে নি, কারোর কাছে শোনেন নি. কোনো মহিলার সাথে হেসে কথা বলা বা আসর জমিয়ে রাখে প্রদীপ. হালকা ইয়ার্কি করতে পারে, কিন্তু ইজ্জত ধরে টানাটানি, তাও আবার অফিসের মধ্যে .... কেমন একটা অবিশ্বাস্য লাগে. এমন হতে পারে? সময়ের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে দেয়. সত্যি না হওয়াটাই স্বাভাবিক. কিন্তু সত্যি হলে কতটা নিচ মনোবৃত্তি প্রদীপের সেটা বিকশিত হবে. অফিসে ভর্তি কর্মচারী উপস্থিতিতে একটা মেয়ের সাথে...... ভাবা যায় না. গা গুলিয়ে ওঠে সোমদত্তার. ঘটনার অন্ত না দেখে প্রদীপের সাথে বিছানায় শরিক না হবার সিদ্ধান্ত সঠিক মনে হয়. প্রদীপকে এবং ওকে পরীক্ষাটা দিতে হবে.
যে বস্তিতে রাধা থাকে সেখানের গুপিদার সাথে থানায় গিয়ে এফ আই আর করে এসেছে. গুপি পারার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব. ও সাথে থাকায় পুলিশ ব্যাগর বাই করে নি. সোজা মত এফ আই আর নথিভুক্ত করেছে. ওর কাছে এফ আই আর-এর প্রতিলিপি আছে. পরিস্কার করে প্রদীপের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে.
সোমদত্তার জীবনে ঝড় বয়ে আনলো এই শ্লীলতাহানির খবর. নিজেকে একেবারে গুটিয়ে নিলেন. দুপুরে যে ফোন করতেন তা বন্ধ করলেন. কারোর সাথে ফোনে কথা বলতে ইচ্ছে করে না. সবার কৌতুহল সেই একই বিষয়ে. প্রদীপ কি সত্যি কিছু করেছিল? প্রদীপ সত্যি কিছু করেছিল কিনা সেটা জানা সব থেকে জরুরি সোমদত্তার. তার জীবনের অভিমুখ কি হবে সেটা তার ওপর নির্ভর করবে. তিনি জানতে পারলে ঠিক করবেন তার স্বামীর সাথে পরবর্তী জীবন একসাথে কাটাবেন না বৃদ্ধ বাবা-মার আস্তানায় ফিরে যাবেন. লম্পট স্বামীর সাথে থাকার মানসিকতা বিন্দুমাত্র নেই. ভাবতেই কেমন শিউরে উঠলেন যে তিনি প্রদীপকে লম্পট ভাবছেন. সম্বন্ধ করে বিয়ে হলেও প্রদীপকে তিনি প্রকৃত ভালোবেসেছিলেন. না ,এখনো বাসেন. কিন্তু এমন অভিযোগ সত্যি হলে সেই ভালবাসার কোনো মূল্য থাকে না. তাই সত্যি ঘটনা তাকে জানতেই হবে. নাহলে ক্ষণমাত্র শান্তি পাবেন না. এই জানার আগ্রহ তার কাছে শুধু কৌতুহল নয়, তার ভালবাসার পরীক্ষা. ওদের ছেলে, অর্ক, হোস্টেল থেকে ফোন করে কান্নাকাটি করেছে. বন্ধুরা ওর বাবার নামে উল্টো পাল্টা বলছে. অর্ক এখন সিক্সে পড়ে. হোস্টেলে থাকার কারণে অনেক কিছু জানে. অর্কর কান্না থামানোর জন্যে তিনি কিছু বলতে পারেন নি. ভিতরে ভিতরে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন. সান্ত্বনা দেবার মত কিছু নেই.
গতকয়েক দিন ধরে খবরের কাগজ বা নিউজ চ্যানেলে প্রদীপের ঘটনা প্রচার করেছে. প্রদীপের নাম বারবার খবরে অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে. সোমদত্তা বিশ্বাস করতে পারেন না যে প্রদীপের নামে এমন একটা অভিযোগ উঠতে পারে. পনের বছরের বিবাহিত জীবনে কোনো দিন ওর চরিত্রের পতন চোখে পড়ে নি, কারোর কাছে শোনেন নি. কোনো মহিলার সাথে হেসে কথা বলা বা আসর জমিয়ে রাখে প্রদীপ. হালকা ইয়ার্কি করতে পারে, কিন্তু ইজ্জত ধরে টানাটানি, তাও আবার অফিসের মধ্যে .... কেমন একটা অবিশ্বাস্য লাগে. এমন হতে পারে? সময়ের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে দেয়. সত্যি না হওয়াটাই স্বাভাবিক. কিন্তু সত্যি হলে কতটা নিচ মনোবৃত্তি প্রদীপের সেটা বিকশিত হবে. অফিসে ভর্তি কর্মচারী উপস্থিতিতে একটা মেয়ের সাথে...... ভাবা যায় না. গা গুলিয়ে ওঠে সোমদত্তার. ঘটনার অন্ত না দেখে প্রদীপের সাথে বিছানায় শরিক না হবার সিদ্ধান্ত সঠিক মনে হয়. প্রদীপকে এবং ওকে পরীক্ষাটা দিতে হবে.
যে বস্তিতে রাধা থাকে সেখানের গুপিদার সাথে থানায় গিয়ে এফ আই আর করে এসেছে. গুপি পারার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব. ও সাথে থাকায় পুলিশ ব্যাগর বাই করে নি. সোজা মত এফ আই আর নথিভুক্ত করেছে. ওর কাছে এফ আই আর-এর প্রতিলিপি আছে. পরিস্কার করে প্রদীপের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা হয়েছে.