08-07-2021, 05:41 PM
দিপালী, প্রেমদীপ, নির্জন এবং ওসমান একটা টেবিলে জটলা তৈরী করেছেন. সবাই বড় পোস্টে চাকরি করেন. ভালো মাইনে. সামাজিক মর্যাদাও একই পর্যায়ের. সমমনস্ক হবার জন্যে এদের মধ্যে বর্গ তৈরী হয়েছে. এদের টেবিলেও আলোচনার বিষয়ে দুপুরের কেলেঙ্কারী.
দিপালী বলেন, 'মেয়েটার সাহস আছে কিন্তু.'
ওসমান ওকে সমর্থন করে বলেন, 'সেটা সত্যি. তবে মেয়েটা ম্যানেজারের ঘরে কি করছিল?'
প্রেমদীপ বলেন, 'আমি শুনলাম কালের ইন্টারভিউয়ের একটা ক্যান্ডিডেট বাকি ছিল. কি কারণে নাকি আসতে পারে নি. সাধারণত এবসেন্ট থাকলে রিজেক্ট করা হয়. এই মেয়েটার বেলায় ছার দেওয়া হলো কেন জানি না. আজ সেই ইন্টারভিউ হচ্ছিল. নিজের পিয়ে নেবে তাই প্রদীপদা ওকে আজ ইন্টারভিউ করছিল. প্রদীপদার তো দয়ার শরীর. ও না বলতে পারে নি. অথচ ওর নামে ঐরকম বাজে একটা অভিযোগ.' প্রেমদীপ আর প্রদীপ একই কলেজে পড়েছেন. তাই সিনিয়র জুনিয়র সম্পর্কটা অফিসেও টিকে আছে. প্রেমদীপ ওকে সম্মান করেন আর প্রদীপ ওকে ছোট ভাইয়ের মত স্নেহ করেন. ব্যক্তিগত পর্যায়ে ওদের সম্পর্ক আছে. প্রদীপের স্ত্রী, সোমদত্তার সাথেও ভালো রকম আলাপ আছে.
দিপালী বলেন, 'না প্রেমদা, একেবারে বাজে অভিযোগ নাও হতে পারে. যেমন চেঁচিয়ে কথা বলছিল. এখন থেমে গেলেও একেবারে মিটমাট হয়ে গেছে বলে মনে হয় না. দেখো কি হয়!'
নির্জন বলেন, 'ওটা একটা এল এস. লো স্ট্যান্ডার্ড. দেখে ভুল ভাল লাগে.'
দিপালী মেয়েটির পক্ষে বলেন, 'দেখে যাই লাগুক, কেউ কারোর সাথে মিসবিহেভ করতে পারে না.'
প্রেমদীপ বলেন, 'আগে দেখা যাক কেউ কারোর সাথে মিসবিহেভ করেছে কিনা. মিথ্যা অভিযোগও আনতে পারে তো?'
ওসমান বলেন, 'সে আনতে পারেন. দেখা যাক, দিন কয়েক গেলে পরিস্কার হবে.'
প্রদীপ তার ফ্ল্যাটে ফিরলে দেখেন সোমদত্তা তার মেজাজ খারাপ করে রেখেছেন. সোমদত্তা কোনদিন রাগেন না. কোনো কিছু অপছন্দ হলে নিজেকে গুটিয়ে নেন. প্রদীপের বয়স ৪৫-এর নিচে আর সোমদত্তার বয়স ৪০-এর নিচে. ওদের একমাত্র ছেলে হোস্টেলে থেকে পড়ে. সোমদত্তা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করেন. স্বামী ফিরলে তার জন্যে জল খাবার, চা করে রাখেন. ঘরে ঢুকলে তার হাত থেকে ব্যাগ নিয়ে জায়গায় রাখেন. তোয়ালে এগিয়ে দেন. যত সময় পর্যন্ত না বাথরুমে ঢুকবেন প্রদীপ তত সময় তার আশেপাশে থাকেন. বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে ফিরলে দুজনে জলখাবার খান, চা পান করেন. নিজের নিজের সম্বন্ধে বলেন. যদিও প্রত্যেকদিন নতুন কিছু থাকে না তবুও বলেন. হয়ত সোমদত্তা বলেন ধোপা শার্ট প্রেস করতে দর বাড়িয়েছে বা ইন্টারনেট ঘেঁটে নতুন কোনো রান্নার রেসিপি পেয়েছেন. প্রদীপ হয়ত কোনো মিটিঙে কি সিদ্ধান্ত হলো সেটা বলেন বা কোনো নতুন প্রজেক্ট শুরু করলে তার সম্বন্ধে বলেন. একসাথে কথা বলা, তারপর একটু টিভি দেখা. তারপর খেয়ে শুয়ে পড়া. আবার পরের দিনের রুটিন শুরু হবে. সকালে প্রদীপ অফিসে না বেরোনো পর্যন্ত নিজের জন্যে কিছু করেন না সোমদত্তা. ও গেলে তারপর নিজের ইচ্ছা মত সময় কাটান. আত্মীয়, পুরনো বন্ধুদের বা ছেলের হোস্টেলে ফোন করেন. সেটাও প্রত্যেকদিন হয়ে ওঠে না. টিভি দেখা, বই পড়া, ঘর করা. এইসব আর কি.
আজ বাধা রুটিনে গন্ডগোল. প্রদীপ বুঝতে পারলেন না অফিসের খবরটা ওর কানে পৌছেছে কিনা. বেডরুমে অন্ধকার করে শুয়ে আছেন সোমদত্তা. স্বামী ফিরলেও বের হন নি. জল খাবার, চা করে দেন নি. প্রদীপ নিজের মত জিনিসপত্র নামিয়ে রেখে দিলেন. বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে ফিরলে দেখেন ড্রয়িং রুমের টেবিলে জলখাবার আর চায়ের ফ্লাস্কটা আছে, কিন্তু স্ত্রী নেই. হয়ত ও বাথরুমে ঢোকার সুযোগে এগুলো এখানে রেখে দিয়ে আবার নিজের স্থান নিয়েছেন. সম্পর্কের টানাপোড়েনের সময় অনেক টানাটানি করলেও আসেন না. তাই প্রদীপ টানাটানি করেন না. সমস্যা কি সেটা বুঝতে প্রদীপের দুই তিন দিন বেরিয়ে যায়. মুখে কোনো অভিযোগ নেই. অসহযোগ নেই. কিন্তু বার্তালাপ বন্ধ. সেটা চেষ্টা করলেও প্রদীপ স্ত্রীর লক্ষ্মন গন্ডি ভেদ করতে পারেন না.
জলখাবার খেতে খেতে পেয়ালাতে চা ঢালেন ফ্লাস্ক থেকে. চা চুমুক দিয়ে টিভি চালিয়ে দেন. এসে খবরের চ্যানেল দেখেন. অভ্যাসবশত আজও চলে গেলেন নিজের পছন্দের নিউজ চ্যানেলে. গিয়েই বুঝতে পারলেন ব্যাপার কি. সেখানে ফলাও করে ওর অফিসের ঘটনা প্রচার করা হচ্ছে. ওকে ভিলেন বানানো হয়েছে. 'চাকরিপ্রার্থীর শ্লীলতাহানি, অভিযোগ ক্ষমতাশালী ম্যানেজারের বিরুদ্ধে'. এটা ব্রেকিং নিউজ. বুঝলেন সোমদত্তার মেজাজ খারাপের কারণ. আগের বারের সাথে এবারের ঘটনার ফারাক অনেক. সেগুলো ঘরোয়া ব্যাপার হোক বা বাইরের ব্যাপার, কিন্তু চরিত্র নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠে নি. আজ সেটা উঠেছে. একটা কালো দাগ লাগতে কতক্ষণ. সংবাদ পাঠিকা তারস্বরে রসিয়ে রসিয়ে কেচ্ছা প্রচার করছে. প্রদীপের ভালো লাগলো না. চ্যানেল পাল্টে দিলেন. খেলার চ্যানেল দেখছেন. ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের পুরনো ম্যাচ দেখাচ্ছে. সেটাই দেখতে লাগলেন. সময় অনেকটা কেটে গেলেও সোমদত্তা উঠলেন না. ঘরের বেল বাজলো. ভাবলেন সংবাদ মাধ্যম নাকি? অফিসে ধাওয়া করেনি সেটা ওর ভাগ্য ভালো. কিন্তু কাল যে করবে না তা কে বলতে পারে. উঠে গিয়ে দরজার ফুটো দিয়ে দেখলেন. একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে. পিত্জা কোম্পানির পোশাক. দরজা খুলে খাবার নিলেন. বিল মিটিয়ে দিলেন. সোমদত্ত সব ব্যবস্থা করে রেখেছেন.
পিত্জা প্রদীপের প্রিয় খাবার গুলোর মধ্যেই পড়ে. কিন্তু সেটা এমন দিনে কেন বুঝলেন না. ডাইনিং টেবিলে ওটা রেখে বেডরুমে ঢুকলেন. স্ত্রীকে বললেন, 'শোন একটা বানানো ঘটনা নিয়ে এমন ঝাঁপ বন্ধ করার কোনো মানে হয় না. ও একটা বাজে মহিলা. আমাকে ফাঁসাতে চেয়েছে. যাতে আমি ওকে চাকরি দিতে বাধ্য হই. কিন্তু আমি ওকে চাকরি দিতে রাজি নই বলে বদনাম করছে. একসাথে খাবে চল.'
দিপালী বলেন, 'মেয়েটার সাহস আছে কিন্তু.'
ওসমান ওকে সমর্থন করে বলেন, 'সেটা সত্যি. তবে মেয়েটা ম্যানেজারের ঘরে কি করছিল?'
প্রেমদীপ বলেন, 'আমি শুনলাম কালের ইন্টারভিউয়ের একটা ক্যান্ডিডেট বাকি ছিল. কি কারণে নাকি আসতে পারে নি. সাধারণত এবসেন্ট থাকলে রিজেক্ট করা হয়. এই মেয়েটার বেলায় ছার দেওয়া হলো কেন জানি না. আজ সেই ইন্টারভিউ হচ্ছিল. নিজের পিয়ে নেবে তাই প্রদীপদা ওকে আজ ইন্টারভিউ করছিল. প্রদীপদার তো দয়ার শরীর. ও না বলতে পারে নি. অথচ ওর নামে ঐরকম বাজে একটা অভিযোগ.' প্রেমদীপ আর প্রদীপ একই কলেজে পড়েছেন. তাই সিনিয়র জুনিয়র সম্পর্কটা অফিসেও টিকে আছে. প্রেমদীপ ওকে সম্মান করেন আর প্রদীপ ওকে ছোট ভাইয়ের মত স্নেহ করেন. ব্যক্তিগত পর্যায়ে ওদের সম্পর্ক আছে. প্রদীপের স্ত্রী, সোমদত্তার সাথেও ভালো রকম আলাপ আছে.
দিপালী বলেন, 'না প্রেমদা, একেবারে বাজে অভিযোগ নাও হতে পারে. যেমন চেঁচিয়ে কথা বলছিল. এখন থেমে গেলেও একেবারে মিটমাট হয়ে গেছে বলে মনে হয় না. দেখো কি হয়!'
নির্জন বলেন, 'ওটা একটা এল এস. লো স্ট্যান্ডার্ড. দেখে ভুল ভাল লাগে.'
দিপালী মেয়েটির পক্ষে বলেন, 'দেখে যাই লাগুক, কেউ কারোর সাথে মিসবিহেভ করতে পারে না.'
প্রেমদীপ বলেন, 'আগে দেখা যাক কেউ কারোর সাথে মিসবিহেভ করেছে কিনা. মিথ্যা অভিযোগও আনতে পারে তো?'
ওসমান বলেন, 'সে আনতে পারেন. দেখা যাক, দিন কয়েক গেলে পরিস্কার হবে.'
প্রদীপ তার ফ্ল্যাটে ফিরলে দেখেন সোমদত্তা তার মেজাজ খারাপ করে রেখেছেন. সোমদত্তা কোনদিন রাগেন না. কোনো কিছু অপছন্দ হলে নিজেকে গুটিয়ে নেন. প্রদীপের বয়স ৪৫-এর নিচে আর সোমদত্তার বয়স ৪০-এর নিচে. ওদের একমাত্র ছেলে হোস্টেলে থেকে পড়ে. সোমদত্তা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করেন. স্বামী ফিরলে তার জন্যে জল খাবার, চা করে রাখেন. ঘরে ঢুকলে তার হাত থেকে ব্যাগ নিয়ে জায়গায় রাখেন. তোয়ালে এগিয়ে দেন. যত সময় পর্যন্ত না বাথরুমে ঢুকবেন প্রদীপ তত সময় তার আশেপাশে থাকেন. বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে ফিরলে দুজনে জলখাবার খান, চা পান করেন. নিজের নিজের সম্বন্ধে বলেন. যদিও প্রত্যেকদিন নতুন কিছু থাকে না তবুও বলেন. হয়ত সোমদত্তা বলেন ধোপা শার্ট প্রেস করতে দর বাড়িয়েছে বা ইন্টারনেট ঘেঁটে নতুন কোনো রান্নার রেসিপি পেয়েছেন. প্রদীপ হয়ত কোনো মিটিঙে কি সিদ্ধান্ত হলো সেটা বলেন বা কোনো নতুন প্রজেক্ট শুরু করলে তার সম্বন্ধে বলেন. একসাথে কথা বলা, তারপর একটু টিভি দেখা. তারপর খেয়ে শুয়ে পড়া. আবার পরের দিনের রুটিন শুরু হবে. সকালে প্রদীপ অফিসে না বেরোনো পর্যন্ত নিজের জন্যে কিছু করেন না সোমদত্তা. ও গেলে তারপর নিজের ইচ্ছা মত সময় কাটান. আত্মীয়, পুরনো বন্ধুদের বা ছেলের হোস্টেলে ফোন করেন. সেটাও প্রত্যেকদিন হয়ে ওঠে না. টিভি দেখা, বই পড়া, ঘর করা. এইসব আর কি.
আজ বাধা রুটিনে গন্ডগোল. প্রদীপ বুঝতে পারলেন না অফিসের খবরটা ওর কানে পৌছেছে কিনা. বেডরুমে অন্ধকার করে শুয়ে আছেন সোমদত্তা. স্বামী ফিরলেও বের হন নি. জল খাবার, চা করে দেন নি. প্রদীপ নিজের মত জিনিসপত্র নামিয়ে রেখে দিলেন. বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে ফিরলে দেখেন ড্রয়িং রুমের টেবিলে জলখাবার আর চায়ের ফ্লাস্কটা আছে, কিন্তু স্ত্রী নেই. হয়ত ও বাথরুমে ঢোকার সুযোগে এগুলো এখানে রেখে দিয়ে আবার নিজের স্থান নিয়েছেন. সম্পর্কের টানাপোড়েনের সময় অনেক টানাটানি করলেও আসেন না. তাই প্রদীপ টানাটানি করেন না. সমস্যা কি সেটা বুঝতে প্রদীপের দুই তিন দিন বেরিয়ে যায়. মুখে কোনো অভিযোগ নেই. অসহযোগ নেই. কিন্তু বার্তালাপ বন্ধ. সেটা চেষ্টা করলেও প্রদীপ স্ত্রীর লক্ষ্মন গন্ডি ভেদ করতে পারেন না.
জলখাবার খেতে খেতে পেয়ালাতে চা ঢালেন ফ্লাস্ক থেকে. চা চুমুক দিয়ে টিভি চালিয়ে দেন. এসে খবরের চ্যানেল দেখেন. অভ্যাসবশত আজও চলে গেলেন নিজের পছন্দের নিউজ চ্যানেলে. গিয়েই বুঝতে পারলেন ব্যাপার কি. সেখানে ফলাও করে ওর অফিসের ঘটনা প্রচার করা হচ্ছে. ওকে ভিলেন বানানো হয়েছে. 'চাকরিপ্রার্থীর শ্লীলতাহানি, অভিযোগ ক্ষমতাশালী ম্যানেজারের বিরুদ্ধে'. এটা ব্রেকিং নিউজ. বুঝলেন সোমদত্তার মেজাজ খারাপের কারণ. আগের বারের সাথে এবারের ঘটনার ফারাক অনেক. সেগুলো ঘরোয়া ব্যাপার হোক বা বাইরের ব্যাপার, কিন্তু চরিত্র নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠে নি. আজ সেটা উঠেছে. একটা কালো দাগ লাগতে কতক্ষণ. সংবাদ পাঠিকা তারস্বরে রসিয়ে রসিয়ে কেচ্ছা প্রচার করছে. প্রদীপের ভালো লাগলো না. চ্যানেল পাল্টে দিলেন. খেলার চ্যানেল দেখছেন. ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের পুরনো ম্যাচ দেখাচ্ছে. সেটাই দেখতে লাগলেন. সময় অনেকটা কেটে গেলেও সোমদত্তা উঠলেন না. ঘরের বেল বাজলো. ভাবলেন সংবাদ মাধ্যম নাকি? অফিসে ধাওয়া করেনি সেটা ওর ভাগ্য ভালো. কিন্তু কাল যে করবে না তা কে বলতে পারে. উঠে গিয়ে দরজার ফুটো দিয়ে দেখলেন. একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে. পিত্জা কোম্পানির পোশাক. দরজা খুলে খাবার নিলেন. বিল মিটিয়ে দিলেন. সোমদত্ত সব ব্যবস্থা করে রেখেছেন.
পিত্জা প্রদীপের প্রিয় খাবার গুলোর মধ্যেই পড়ে. কিন্তু সেটা এমন দিনে কেন বুঝলেন না. ডাইনিং টেবিলে ওটা রেখে বেডরুমে ঢুকলেন. স্ত্রীকে বললেন, 'শোন একটা বানানো ঘটনা নিয়ে এমন ঝাঁপ বন্ধ করার কোনো মানে হয় না. ও একটা বাজে মহিলা. আমাকে ফাঁসাতে চেয়েছে. যাতে আমি ওকে চাকরি দিতে বাধ্য হই. কিন্তু আমি ওকে চাকরি দিতে রাজি নই বলে বদনাম করছে. একসাথে খাবে চল.'