Thread Rating:
  • 12 Vote(s) - 3.17 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Non-erotic লুজ ক্যারেক্টার by pongapaka
#3
প্রদীপ মেয়েটির দিকে ফিরে তাকান না. অন্যদিকে তাকিয়ে বলেন, 'রামশরণ এই নোংরা মেয়েটাকে ঘাড় ধরে বের করে দে. আর কোনদিন যেন অফিসের ভিতরে আসতে না পারে. ভালো করে চিনে রাখ ছোটলোকটাকে.'
মেয়েটা আর পারে না. ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রদীপের ওপর চড়াও হয়. দুইচারটে চর বসিয়েও দেয়. মহিলা কর্মী যারা পাশে ছিল তারা ওকে ধরে ফেলে. ছাড়িয়ে নেই. মেয়েটা ফুঁসতে থাকে. চোখে গনগনে রাগ.
চিত্কার করে বলে, 'আবার ছোটলোক বলে মুখ ভেঙ্গে দেব. আমি পুলিশে যাব. যদি তোকে শাস্তি না দিতে পারি তো আমার নাম রাধা নয়. কুত্তা, জানোয়ার কোথাকার!'
মহিলা কর্মীরা ওকে ধরে রাখে. বসের নির্দেশের অপেক্ষায় আছে. প্রদীপ বলেন, 'এটাকে বের করে দিয়ে আসুন. রামশরণ এটা যেন আর কখনো অফিসে ঢুকতে না পারে. চাকরি পাবার নাম করে শরীর ব্যবহার করে. আমি সেইরকম লোক নই. আমি বিবাহিত. আমার বউ যথেষ্ট সুন্দরী. আমি সুখী. আমার বাইরের দিকে হাত বারবার কোন দরকার হয় না. আর শরীর দেখিয়ে কোথাও চাকরি জুটবে না. যেটা থাকলে জুটত সেটা তো নেই. পড়াশোনা করবে না আর এসেছে মেহেতা ইন্ডাস্ট্রীতে চাকরি করতে. শরীরের ঢলানি অন্য কোথাও দেখালে দুই পয়সা রোজগার করতে পারত.' যেন ঘটনার একটা ব্যাখা দিলেন. নিজের সাফাই গাইলেন. আর সাথে সাথে রাধাকে আক্রমন করতেও ছাড়লেন না. যেন বেশ্যাপনা অন্য কোথাও দেখায়.
রাধা ধরে রাখা মহিলাদের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে অফিসের বাইরের দিকে চলে গেল. বিধ্বস্ত, অপমানিত, নিগৃত মনে বেরিয়ে গেল.
প্রদীপ নিজেকে নোংরা থেকে সরিয়ে নিয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন. কোনো মানেই হয় না এমন একটা ফালতু অভিযোগ ওর নামে আনার জন্যে. অন্য কেউ হলে মানহানির মামলার কথা ভাবা যেত. এই রাধা না বাঁজা এটার তো কোনো পয়সা কড়ি আছে বলে মনে হয় না. ওসব করে কিছু লাভ হবে না.
অফিস কর্মীরা তখন দাঁড়িয়ে ছিল. তাদের দিকে তাকিয়ে প্রদীপ বলেন, 'নাটক শেষ. নিজের নিজের কাজে যান. যত্ত সব.'
সবাই নিজের নিজের কাজে চলে যায় চুপচাপ. কাজ করতে থাকে. কিন্তু অফিসের গুঞ্জনটা যেন থামে না. টিফিনের সময় সবার মুখে একটাই আলোচনার বিষয়.

ম্যানেজার কি সত্যিই কিছু করেছিলেন নাকি মেয়েটা নষ্টের গোড়া. অকারণ অভিযোগ এনে হয়রানি বা বদনামি করবার চেষ্টা করছে. এতে লাভটা কিসের? এসব অভিযোগ সাধারনত মেয়েদের সম্মান নিয়ে টানাটানি করে. দোষী সাব্যস্ত হলেও মেয়েটি তার সম্মান কিছু বাঁচাতে পারে না. সমাজ খারাপ চোখে দেখে. কুমারী হলে বিয়ে হতে কষ্ট, হয়ত বা হয় না. আর বিবাহিত হলে সংসারে অযথা অশান্তি. সহানুভূতি কদাচিত জোটে. মেয়েটি কুমারী. অভিযোগ হয়ত সত্যি.
টিফিনের সময়ে অফিসের ক্যান্টিনের একটা টেবিলে পরমেশ্বর বলে, 'মনে হচ্ছে মাগীটা ভালো না. সাহেবকে ঝামেলায় ফেলবার তালে আছে. সাহেব কিন্তু এরকম লোক নয়.' পরমেশ্বরের মুখ ভালো না. নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না. ওদের টেবিলে সুলোচনা বসে আছে, তাতেও পরমেশ্বর সামলাতে পারে না.
দিগম্বর বলে, 'সেটা খারাপ বল নি. সাহেবের নামে কোনো বদনাম শুনিনি. তাছাড়া মেয়েটা দেখতেও তো ভালো না. শুধু বড় বড় ইয়ে নিয়ে ঘুরলেই তো সুন্দরী হয় না.'
সুলোচনা বলে, 'তোমরা উল্টো পাল্টা কথা বল না. মেয়েটার চেহেরা বাদ দিয়ে আলোচনা কর. সাহেবের নামে স্ক্যানডেল নেই মানে এই নয়তো যে উনি সাধুপুরুষ. হয়ত প্রথমবার কেউ প্রতিবাদ করলো.'
দিগম্বর বলে, 'তোর যত কথা. সাহেবকে দেখে চিনতে পারিস না. ওই মেয়েছেলেটার দোষ আছে.'
সুলোচনা বলে, 'সে আমি জানি না কার দোষ কার গুণ. শুধু বলছি না জেনে মেয়েটাকে নিয়ে রসালো আলোচনা কর না.'
পরমেশ্বর বলে ওঠে, 'তুই থাম তো. এটা রসালো হবে না তো কোনটা হবে শুনি. তোর ফাইলে ১০ টাকার গরবরটা. আর ফালতু মাগী এসে ঝামেলা করে গেল.'
সুলোচনা ওকে থামায়, 'তোমার মুখে আগল দাও. মুখ তো না যেন নর্দমার পাইপ. নোংরা বেরিয়েই চলেছে.'
পরমেশ্বর থামে না, 'নোংরা বেরোবেই. আমি সেটা বললেই দোষ না.'
দিগম্বর ওদের থামায়, 'তোমরা নিজেরাই যে শুরু করলে. খেয়ে চল, টিফিন শেষ হয়ে আসছে.'
ওরা খানিক পরে উঠে যায়.

[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: লুজ ক্যারেক্টার by pongapaka - by ddey333 - 08-07-2021, 05:40 PM



Users browsing this thread: 3 Guest(s)