08-07-2021, 05:38 PM
অফিসে সবাই ব্যস্ত. ভর দুপুর. বেসরকারী সংস্থার বড় মাপের অফিস একটা ছাদের নিচে. মাঝে নানা মাপের কিউবিকল করে কর্মীদের জন্যে তৈরী কাজের ডেস্ক. সব ডেস্কেই সবাই মনোযোগ দিয়ে কাজ করে চলেছে. সরকারী অফিসের মত হেলেদুলে চলার অভ্যাস এদের নেই. কারোর তৈরিও হয় নি. যাদের তৈরী হয় তাদের স্থান এখানে হয় না. যেমন মোটা মাইনে দেয় তেমনি করে চুষেও নেই. নো ফাঁকিবাজি. সময়ে কাজে আস, দেরী করবার কোনো চিন্তা এনো না. সময় শেষ হলে ডেস্ক গুটিয়ে বাড়ি যাও. কাজ শেষ না হলে একটু দেরিও হতে পারে.
কাজের সাথে হালকা কথা বার্তা চলে. কেউ ফোনে কথা বলে, কেউ পাশের কলিগের সাথে. তাতেই বড় অফিসটা গমগম করে. বাইরের লোকের আনাগোনা আছে. তাদের নির্দিস্ট লোকের সাথে সাক্ষ্যত করবার সময় আছে. কেউ আসছে, কেউ নিজের কাজ মিটিয়ে চলে যাচ্ছে. এখানে অদরকারী কেউ নেই. দরকার ছাড়া কেউ আসে না. অন্য সব দিনের মত স্বাভাবিকভাবেই অফিস চলছিল বিপত্তিটা ঘটবার ঠিক আগে পর্যন্ত.
তখন ঘড়িতে বারোটা মত বাজে. ম্যানেজারের ঘরের দরজাটা খুলে গেলে হুমড়ি খেয়ে এক মহিলা আছড়ে বাইরে মেঝেতে পড়ল. শাড়ি ব্লাউজ পরা যুবতী. শাড়িটা বুক থেকে সরে গেছে. ব্লাউজের ওপরের দিকের হুকটা খোলা. যারা কাছাকাছি ছিল তারা সবাই দেখেছে. যুবতী পড়ে যেতেই কাছের ডেস্কের মধ্যবয়সী সুবলবাবু উঠে গেলেন ওকে ধরে তুলবার জন্যে. সঙ্গে আরও কয়েকজন উঠে দাঁড়ালো কি ঘটল সেটা দেখবার আগ্রহে. পড়তেই পারে কিন্তু এমন অবিন্যস্ত অবস্থায় মেয়েটি পড়েছে যে বাকিদের নজর না টেনে পারে নি. সুবলবাবু মেয়েটিকে ধরে তুলতে গেলে মেয়েটি নিজের কাঁধ ঝাঁকিয়ে সুবলবাবুকে সরিয়ে দেয়. নিজে নিজে উঠে দাঁড়ায়.
বুকের ওপর কাপড় টেনে নিতে নিতে মেয়েটি চিত্কার করে বলে, 'ছোটলোকের অফিস. মেয়েদের ইজ্জত করতে জানে না. একলা পেয়ে আমার ইজ্জত নেবার চেষ্টা করছিল ওই জানোয়ারটা. আমার বুকে হাত দিয়েছে. আমি ছাড়ব না.' ওর চিত্কার না অভিযোগের মাত্রা কোনটা অফিসের গমগম ভাবটা উধাও করে দিয়ে একটা শান্ত পরিবেশের সৃষ্টি করে বোঝা যায় না. মেয়েটার মুখে একটা দৃঢ়তা নজর এড়ায় না.
ম্যানেজার প্রদীপবাবু বাইরে এসেছেন. চিত্কার করে ডাকলেন, 'রামশরণ, রামশরণ. কোথায় থাকে!'
রামশরণ অফিসের দারোয়ান. রামশরণ গোলমাল এবং প্রদীপবাবুর ডাকে দৌড়ে আসে. ভিড়টা ফাঁকা করে ওকে যাবার রাস্তা করে দেয়. ইতিমধ্যে বাকি কর্মীরাও চলে এসেছে ব্যাপারটা জানতে. রামশরণ কাছে এলে প্রদীপ বলেন, 'কোথায় থাকিস? ডাকলে পাওয়া যায় না. এইসব ছোটলোক মহিলা অফিসে ঢোকে কি করে?'
দারোয়ান নিজের কর্তব্য ঠিক মত পালন করে. কিন্তু কেন যে শুধু মুধু ধমক খায় বুঝতে পারে না. কিছু না বলে চুপ করে থাকে.
মেয়েটি জোরালো গলায় বলে ওঠে, 'আমি ছোটলোক? নিজের আমার ইজ্জত নেবার চেষ্টা করলো আর আমি হলাম ছোটলোক? নোংরা প্রস্তাবে রাজি হই নি দেখে জোর করে আবার আমাকে বলে ছোটলোক. এত দেখছি চোরের মায়ের বড় গলা!'
কাজের সাথে হালকা কথা বার্তা চলে. কেউ ফোনে কথা বলে, কেউ পাশের কলিগের সাথে. তাতেই বড় অফিসটা গমগম করে. বাইরের লোকের আনাগোনা আছে. তাদের নির্দিস্ট লোকের সাথে সাক্ষ্যত করবার সময় আছে. কেউ আসছে, কেউ নিজের কাজ মিটিয়ে চলে যাচ্ছে. এখানে অদরকারী কেউ নেই. দরকার ছাড়া কেউ আসে না. অন্য সব দিনের মত স্বাভাবিকভাবেই অফিস চলছিল বিপত্তিটা ঘটবার ঠিক আগে পর্যন্ত.
তখন ঘড়িতে বারোটা মত বাজে. ম্যানেজারের ঘরের দরজাটা খুলে গেলে হুমড়ি খেয়ে এক মহিলা আছড়ে বাইরে মেঝেতে পড়ল. শাড়ি ব্লাউজ পরা যুবতী. শাড়িটা বুক থেকে সরে গেছে. ব্লাউজের ওপরের দিকের হুকটা খোলা. যারা কাছাকাছি ছিল তারা সবাই দেখেছে. যুবতী পড়ে যেতেই কাছের ডেস্কের মধ্যবয়সী সুবলবাবু উঠে গেলেন ওকে ধরে তুলবার জন্যে. সঙ্গে আরও কয়েকজন উঠে দাঁড়ালো কি ঘটল সেটা দেখবার আগ্রহে. পড়তেই পারে কিন্তু এমন অবিন্যস্ত অবস্থায় মেয়েটি পড়েছে যে বাকিদের নজর না টেনে পারে নি. সুবলবাবু মেয়েটিকে ধরে তুলতে গেলে মেয়েটি নিজের কাঁধ ঝাঁকিয়ে সুবলবাবুকে সরিয়ে দেয়. নিজে নিজে উঠে দাঁড়ায়.
বুকের ওপর কাপড় টেনে নিতে নিতে মেয়েটি চিত্কার করে বলে, 'ছোটলোকের অফিস. মেয়েদের ইজ্জত করতে জানে না. একলা পেয়ে আমার ইজ্জত নেবার চেষ্টা করছিল ওই জানোয়ারটা. আমার বুকে হাত দিয়েছে. আমি ছাড়ব না.' ওর চিত্কার না অভিযোগের মাত্রা কোনটা অফিসের গমগম ভাবটা উধাও করে দিয়ে একটা শান্ত পরিবেশের সৃষ্টি করে বোঝা যায় না. মেয়েটার মুখে একটা দৃঢ়তা নজর এড়ায় না.
ম্যানেজার প্রদীপবাবু বাইরে এসেছেন. চিত্কার করে ডাকলেন, 'রামশরণ, রামশরণ. কোথায় থাকে!'
রামশরণ অফিসের দারোয়ান. রামশরণ গোলমাল এবং প্রদীপবাবুর ডাকে দৌড়ে আসে. ভিড়টা ফাঁকা করে ওকে যাবার রাস্তা করে দেয়. ইতিমধ্যে বাকি কর্মীরাও চলে এসেছে ব্যাপারটা জানতে. রামশরণ কাছে এলে প্রদীপ বলেন, 'কোথায় থাকিস? ডাকলে পাওয়া যায় না. এইসব ছোটলোক মহিলা অফিসে ঢোকে কি করে?'
দারোয়ান নিজের কর্তব্য ঠিক মত পালন করে. কিন্তু কেন যে শুধু মুধু ধমক খায় বুঝতে পারে না. কিছু না বলে চুপ করে থাকে.
মেয়েটি জোরালো গলায় বলে ওঠে, 'আমি ছোটলোক? নিজের আমার ইজ্জত নেবার চেষ্টা করলো আর আমি হলাম ছোটলোক? নোংরা প্রস্তাবে রাজি হই নি দেখে জোর করে আবার আমাকে বলে ছোটলোক. এত দেখছি চোরের মায়ের বড় গলা!'