08-07-2021, 12:40 PM
এবারে আমি এগোলাম, মেয়েটা আমাকে টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আমি যেতে যেতে কয়েকটা প্রশ্ন করলাম। “তোমার নাম কি মা মনি?” মেয়েটা অকপটে বললো, “আমি মৃত্তিকা, মা-মনি আমাকে ডাকে মৌ বলে আর দিদা আমাকে ডাকে বাবুসোনা বলে”। আমি বললাম, “তোমরা কি এখানেই থাকো?” ওর চটপট জবাব, “আরে বাবা হ্যাঁ, তুমি তো খুব বোকা, আমরা যদি এখানে না থাকতাম তাহলে আমি এখানে আসতাম কি করে বলো তো, হি হি হি হি”। কথা বলতে বলতে মৃত্তিকা আমাকে কাছের বিল্ডিংয়ের চারতলায় নিয়ে গেলো। দরজা চাপানো ছিল, ঠেলা দিয়ে খুলে আমাকে টেনে ভিতরে নিয়ে গেল, আমাকে সোফায় বসতে বলে মা-মনি, মা-মনি করে ডাকতে ডাকতে ভিতরে চলে গেল।
আমি খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম, নানান রকমের চিন্তা ঝড়ের গতিতে আমার মাথায় ঘুড়পাক খেতে লাগলো, কে হতে পারে? কেন ডাকবে আমাকে? আমি কি চিনি তাকে? নাকি কোন ফাঁদ এটা? না কেউ আমাকে নিয়ে মজা করছে? আমি কি বসেই থাকবো নাকি আস্তে করে উঠে চলে যাবো? ঘরটায় কোন আলো নেই, কেমন যেন অন্ধকার, সন্ধ্যাও প্রায় হয়ে এসেছে। আমি টেবিলে বা দেয়ালে কারো ছবি আছে কিনা খুঁজলাম, আছে কিন্তু অন্ধকারে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। একটু পরে মৃত্তিকা ফিরে এলো, একটু শান্তি পেলাম, যাক অপেক্ষার পালা শেষ, এবারে তার পরিচয় পাবো যে আমাকে ডেকেছে। কিন্তু না, কেউ আসেনি মৃত্তিকার সাথে। মৃত্তিকা বললো, “আঙ্কেল, মা-মনি তোমাকে ভিতরে যেতে বলেছে”।
আমি আবারো দ্বন্দ্বে পড়ে গেলাম। বুকের মধ্যে ঢিপঢিপ করতে লাগলো, এ কি মুসিবতে পড়া গেল? কে সেই রহস্যময়ী? শেষ পর্যন্ত সব দ্বিধা ঝেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। মৃত্তিকা আমাকে ভিতরের ঘরে নিয়ে গেল। সেই ঘর আরো অন্ধকার। সেই অন্ধকারের ভিতর থেকেই একটা সুরেলা নারীকন্ঠ শোনা গেল, “মৌ, দরজা চাপিয়ে দিয়ে তুমি তোমার ঘরে যাও, পড়তে বসো, আমি তোমার আঙ্কেলের সাথে কথা শেষ করে একটু পরেই আমি তোমার জলখাবার নিয়ে আসছি”। বাধ্য মেয়ের মতো মেয়ে তার মায়েন আদেশ পালন করলো। আমি তখনো জানিনা কে সেই রহস্যময়ী। আর ধৈর্য্য না রাখতে পেরে বললাম, “কে আপনি? কেন আমাকে ডেকে আনলেন? আর কেনই বা এসব নাটক করছেন?”
খুট করে আলো জ্বলে উঠলো, বিছানার পাশে এক মহিলা আমার দিকে পিঠ দিয়ে বসা, বেডসুইচ টিপে আলো জ্বলিয়েছে। আমি পিছন থেকে দেখে চিনতে পারলাম না, বললাম, “কে আপনি? প্লিজ একটু তাড়াতাড়ি বলুন, আমার একটু তাড়া আছে”। এতক্ষনে মহিলা আবার কথা বললো, “তোমার তাড়া থাকলে তো হবে না, আমাকে আজ তোমার অনেকটা সময় দিতে হবে, কারন এই দিনটার জন্যই বলতে পারো আমি দিনের পর দিন অপেক্ষা করে আছি”। কথা শেষ করেই সে আমার দিকে ফিরলো, ওর গলা ধরে এসেছে, কাঁদছে। আমি অবাক বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম, আমার সামনে বসা মেয়েটা আর কেউ নয়, সীমা! আমার মাথার উপরে বাজ পড়লেও বোধ হয় আমি এতটা বিস্মিত হতাম না। আমি কেবল একটা কথাই উচ্চারণ করতে পারলাম, “একি, সীমা তুমি!”
আমি খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম, নানান রকমের চিন্তা ঝড়ের গতিতে আমার মাথায় ঘুড়পাক খেতে লাগলো, কে হতে পারে? কেন ডাকবে আমাকে? আমি কি চিনি তাকে? নাকি কোন ফাঁদ এটা? না কেউ আমাকে নিয়ে মজা করছে? আমি কি বসেই থাকবো নাকি আস্তে করে উঠে চলে যাবো? ঘরটায় কোন আলো নেই, কেমন যেন অন্ধকার, সন্ধ্যাও প্রায় হয়ে এসেছে। আমি টেবিলে বা দেয়ালে কারো ছবি আছে কিনা খুঁজলাম, আছে কিন্তু অন্ধকারে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। একটু পরে মৃত্তিকা ফিরে এলো, একটু শান্তি পেলাম, যাক অপেক্ষার পালা শেষ, এবারে তার পরিচয় পাবো যে আমাকে ডেকেছে। কিন্তু না, কেউ আসেনি মৃত্তিকার সাথে। মৃত্তিকা বললো, “আঙ্কেল, মা-মনি তোমাকে ভিতরে যেতে বলেছে”।
আমি আবারো দ্বন্দ্বে পড়ে গেলাম। বুকের মধ্যে ঢিপঢিপ করতে লাগলো, এ কি মুসিবতে পড়া গেল? কে সেই রহস্যময়ী? শেষ পর্যন্ত সব দ্বিধা ঝেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। মৃত্তিকা আমাকে ভিতরের ঘরে নিয়ে গেল। সেই ঘর আরো অন্ধকার। সেই অন্ধকারের ভিতর থেকেই একটা সুরেলা নারীকন্ঠ শোনা গেল, “মৌ, দরজা চাপিয়ে দিয়ে তুমি তোমার ঘরে যাও, পড়তে বসো, আমি তোমার আঙ্কেলের সাথে কথা শেষ করে একটু পরেই আমি তোমার জলখাবার নিয়ে আসছি”। বাধ্য মেয়ের মতো মেয়ে তার মায়েন আদেশ পালন করলো। আমি তখনো জানিনা কে সেই রহস্যময়ী। আর ধৈর্য্য না রাখতে পেরে বললাম, “কে আপনি? কেন আমাকে ডেকে আনলেন? আর কেনই বা এসব নাটক করছেন?”
খুট করে আলো জ্বলে উঠলো, বিছানার পাশে এক মহিলা আমার দিকে পিঠ দিয়ে বসা, বেডসুইচ টিপে আলো জ্বলিয়েছে। আমি পিছন থেকে দেখে চিনতে পারলাম না, বললাম, “কে আপনি? প্লিজ একটু তাড়াতাড়ি বলুন, আমার একটু তাড়া আছে”। এতক্ষনে মহিলা আবার কথা বললো, “তোমার তাড়া থাকলে তো হবে না, আমাকে আজ তোমার অনেকটা সময় দিতে হবে, কারন এই দিনটার জন্যই বলতে পারো আমি দিনের পর দিন অপেক্ষা করে আছি”। কথা শেষ করেই সে আমার দিকে ফিরলো, ওর গলা ধরে এসেছে, কাঁদছে। আমি অবাক বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম, আমার সামনে বসা মেয়েটা আর কেউ নয়, সীমা! আমার মাথার উপরে বাজ পড়লেও বোধ হয় আমি এতটা বিস্মিত হতাম না। আমি কেবল একটা কথাই উচ্চারণ করতে পারলাম, “একি, সীমা তুমি!”