07-07-2021, 04:15 PM
সেদিনের পর থেকে নিঝুম আর নিবিড়কে কোন মিসডকল দেয়না। নিবিড় মেসেজ দিলে শুধু রিপ্লাই করে। কিন্তু নিবিড়ের উপর্যুপরি অনুরোধে আর অনুনয় বিনয়ে বেশিদিন এমন চুপ করে থাকতে পারেনা নিঝুম। আস্তে আস্তে আবার যোগাযোগ শুরু করে। তবে অনন্যার সাথে আর কথা বলে না। নিবিড় চেয়েছিল অনন্যার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে, কিন্তু নিঝুম দেয়নি তা করতে। তার জন্য কারো সাথে কারো সম্পর্ক খারাপ হোক এটা সে চায়নি।
কয়েকমাস কেটে যায়। নিবিড়ের সাথে অনেক কথা হয় এখন নিঝুমের। অনন্যাকে নিয়েও দুষ্টুমি করে বন্ধুর সাথে। তবে নিবিড় মাঝেমাঝেই তাকে আবারও দ্বিধায় ফেলে দেয়। যেমন সেদিন একটা এসএমএস পাঠাল, যার মানে শুধু বন্ধুত্ব দিয়ে বের করা সম্ভব নয়। কিন্তু নিবিড়কে জিগ্যেস করায় সে বলেছে ভাল লেগেছে তাই পাঠিয়েছে। আবার আরেকদিন কী যেন বলবে বলে, কিন্তু বলে না। নিঝুম ধরে নিয়েছে নিশ্চয়ই অনন্যার সাথে সম্পর্কের কথা বলতে চেয়েছিল, কিন্তু যেহেতু নিঝুম অনন্যার সাথে কথা বলেনা, তাই বলতে পারেনি। “থাক যখন বলা দরকার মনে করবে, তখন বলবে”, ভেবে আর চাপাচাপি করেনি সে নিবিড়কে। মাঝে আবার একচোট মান-অভিমান হয়ে গিয়েছিল দুজনের মাঝে। নিঝুম রাগ করে নিবিড়কে কোন ফোন, মিসডকল, মেসেজ কিচ্ছু দেয়নি। পরে মান ভাঙলে ফোন দিলে নিবিড় বলেছে, “রাগ করলে কি ফোনও দেওয়া যাবেনা?” নিঝুম বলেছে, “না। আমাকে রাগাস আবার কথা বলতে চাস কেন?” অভিমানী কণ্ঠের উত্তর পেয়েছে, “আমার ভাল লাগেনা তোর সাথে কথা না বলতে পারলে, তুই ফোন না দিলে…”। কিছু সময়ের জন্য নির্বাক হয়ে গেলেও কথাটার মানে আর কিছু যে হতে পারে এটা নিঝুমের মাথায় আসেনি। বন্ধুত্বের টানই ভেবে নিয়েছে এই কথাটাকে নিঝুম, কারণ তারও তো ভাল লাগেনা বেস্টফ্রেন্ডটার সাথে কথা না বলে থাকতে, যতই রাগ হোক, যতই অভিমান দেখাক। আর তাছাড়া আগেও তো এমন কথা বলেছে নিবিড়। সুতরাং অন্যকিছু ভাবার কোন কারণ নিঝুম খুঁজে পায়নি।
অনন্যার সাথে সেদিনের ঘটনার পর আকাশকে ফোন দিলেও পরে আর নিজে থেকে তাকে ফোন দেয়নি নিঝুম। কারণ তখন দিয়েছিল রাগের মাথায়। পরে যখন জেদ কমে এসেছে তখন আর নিবিড়ের কথা সে অমান্য করেনি। দেয়নি ফোন আকাশকে। তবে আকাশের অনেক অনুনয়ের পর নিবিড় মেনে নিয়েছে আকাশের সাথে নিঝুমের কথা বলা। যদিও নিঝুম আকাশের সাথে তেমন কথা বলেনা, সে জানে নিবিড় অনুমতি দিলেও এখনও আকাশকে পছন্দ করেনা। তাই খুব কম কথা বলে আকাশের সাথে। কিন্তু একটা ব্যাপারে সে খুব খুশি যে তার জীবনে নিবিড় আর আকাশের মত দুজন বন্ধু আছে যারা তার কেয়ার করে, তাকে মূল্য দেয়। আকাশ অবশ্য বলে যে নিবিড় তাকে পছন্দ করে, নিঝুম গায়ে লাগায় না। প্রজ্ঞা নিলীমার সাথেও মাঝে মাঝে কথা হয়, তবে এখন তো স্কুল কোচিং সব বন্ধ, তাই আগের মত কথা হয় না। ওরাও আকাশের সাথে একমত। কিন্তু নিঝুম মেনে নিতে পারে না। সে তো বুঝতে পারে নিবিড়ের সাথে দুষ্টুমি করতে যেয়ে যে অনন্যার সাথে কিছু একটা আছে ওর। আর সে নিজেও তো নিবিড়কে ওভাবে দেখেনি কখনও। ওদের কথা শুনে নিবিড়কে অন্য চোখে দেখার কথা ভাবতে গেলেই হাসি পেয়ে যায় তার। “ধ্যুত” বলে উড়িয়ে দিয়ে অন্য কথায় চলে যায়।
কয়েকমাস কেটে যায়। নিবিড়ের সাথে অনেক কথা হয় এখন নিঝুমের। অনন্যাকে নিয়েও দুষ্টুমি করে বন্ধুর সাথে। তবে নিবিড় মাঝেমাঝেই তাকে আবারও দ্বিধায় ফেলে দেয়। যেমন সেদিন একটা এসএমএস পাঠাল, যার মানে শুধু বন্ধুত্ব দিয়ে বের করা সম্ভব নয়। কিন্তু নিবিড়কে জিগ্যেস করায় সে বলেছে ভাল লেগেছে তাই পাঠিয়েছে। আবার আরেকদিন কী যেন বলবে বলে, কিন্তু বলে না। নিঝুম ধরে নিয়েছে নিশ্চয়ই অনন্যার সাথে সম্পর্কের কথা বলতে চেয়েছিল, কিন্তু যেহেতু নিঝুম অনন্যার সাথে কথা বলেনা, তাই বলতে পারেনি। “থাক যখন বলা দরকার মনে করবে, তখন বলবে”, ভেবে আর চাপাচাপি করেনি সে নিবিড়কে। মাঝে আবার একচোট মান-অভিমান হয়ে গিয়েছিল দুজনের মাঝে। নিঝুম রাগ করে নিবিড়কে কোন ফোন, মিসডকল, মেসেজ কিচ্ছু দেয়নি। পরে মান ভাঙলে ফোন দিলে নিবিড় বলেছে, “রাগ করলে কি ফোনও দেওয়া যাবেনা?” নিঝুম বলেছে, “না। আমাকে রাগাস আবার কথা বলতে চাস কেন?” অভিমানী কণ্ঠের উত্তর পেয়েছে, “আমার ভাল লাগেনা তোর সাথে কথা না বলতে পারলে, তুই ফোন না দিলে…”। কিছু সময়ের জন্য নির্বাক হয়ে গেলেও কথাটার মানে আর কিছু যে হতে পারে এটা নিঝুমের মাথায় আসেনি। বন্ধুত্বের টানই ভেবে নিয়েছে এই কথাটাকে নিঝুম, কারণ তারও তো ভাল লাগেনা বেস্টফ্রেন্ডটার সাথে কথা না বলে থাকতে, যতই রাগ হোক, যতই অভিমান দেখাক। আর তাছাড়া আগেও তো এমন কথা বলেছে নিবিড়। সুতরাং অন্যকিছু ভাবার কোন কারণ নিঝুম খুঁজে পায়নি।
অনন্যার সাথে সেদিনের ঘটনার পর আকাশকে ফোন দিলেও পরে আর নিজে থেকে তাকে ফোন দেয়নি নিঝুম। কারণ তখন দিয়েছিল রাগের মাথায়। পরে যখন জেদ কমে এসেছে তখন আর নিবিড়ের কথা সে অমান্য করেনি। দেয়নি ফোন আকাশকে। তবে আকাশের অনেক অনুনয়ের পর নিবিড় মেনে নিয়েছে আকাশের সাথে নিঝুমের কথা বলা। যদিও নিঝুম আকাশের সাথে তেমন কথা বলেনা, সে জানে নিবিড় অনুমতি দিলেও এখনও আকাশকে পছন্দ করেনা। তাই খুব কম কথা বলে আকাশের সাথে। কিন্তু একটা ব্যাপারে সে খুব খুশি যে তার জীবনে নিবিড় আর আকাশের মত দুজন বন্ধু আছে যারা তার কেয়ার করে, তাকে মূল্য দেয়। আকাশ অবশ্য বলে যে নিবিড় তাকে পছন্দ করে, নিঝুম গায়ে লাগায় না। প্রজ্ঞা নিলীমার সাথেও মাঝে মাঝে কথা হয়, তবে এখন তো স্কুল কোচিং সব বন্ধ, তাই আগের মত কথা হয় না। ওরাও আকাশের সাথে একমত। কিন্তু নিঝুম মেনে নিতে পারে না। সে তো বুঝতে পারে নিবিড়ের সাথে দুষ্টুমি করতে যেয়ে যে অনন্যার সাথে কিছু একটা আছে ওর। আর সে নিজেও তো নিবিড়কে ওভাবে দেখেনি কখনও। ওদের কথা শুনে নিবিড়কে অন্য চোখে দেখার কথা ভাবতে গেলেই হাসি পেয়ে যায় তার। “ধ্যুত” বলে উড়িয়ে দিয়ে অন্য কথায় চলে যায়।