07-07-2021, 04:12 PM
আকাশ এরপর স্যরি লিখে মেসেজ দেয় নিঝুমকে। কিন্তু নিঝুম আর নরম হয় না। রিপ্লাই করেনা এই মেসেজের। নিজের জগতে নিজেকে পুরোপুরি হারিয়ে ফেলতে চায়। পরবর্তী পরীক্ষার আগে বেশ কয়েকদিন ছুটি আছে। রাজ্যের গান শোনে এই দিনগুলোতে সে। নিবিড়ের কোন খোঁজ নেয় না ইচ্ছে করেই। যদিও ল্যান্ডলাইনে মিসডকল আসতে শুনে বোঝে যে নিবিড় তাকে খুঁজছে। নিলীমা আর প্রজ্ঞা দুজনেরই লুকোনো মোবাইল, পরীক্ষার সময় ইউস করতে পারছে না, তাই ওদেরকেও বলতে পারছে না নিশ্চয়ই তাকে খুঁজে দিতে। আর অনন্যাকে তো বলার প্রশ্নই আসে না। ওকে বললেও ও কখনোই নিঝুমের খোঁজ বের করে দেবে না। বা দিলেও নিবিড়ের ওপর খুবই বিরক্ত হবে, জানে নিঝুম। কারণ অনন্যা তার সাথে নিজেকে ছাড়া আর কাউকে নিয়ে কথা বলা পছন্দ করে না। সুতরাং…নিবিড় ওকে বলার সাহসই পাবে না। এজন্য অবশ্য অনন্যাকে দোষও দেয় না নিঝুম। যার যা স্বভাব। নিবিড়ের থেকে ইচ্ছে করেই সে দূরে দূরে থাকছে। না, তার অনুভুতি নিয়ে খেলতে নয়, বরং তাকে অভ্যস্ত করতে। যদি অনন্যার সাথে সত্যি কোন সম্পর্ক হয়েই থাকে নিবিড়ের, তবে তার কারণে তাতে কোন বিঘ্ন যাতে না ঘটে, এই উদ্দেশ্যেই সে নিবিড়ের সাথে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। অনন্যা আর নিবিড় দুজনের পরীক্ষাই ভাল হবে হয়তো একজন আরেকজনের সাথে কথা বললে। তাই হোক।
গান বরাবরই নিঝুমের খুব প্রিয়। নিজে সে রবীন্দ্র সঙ্গীত শেখে। ঈশ্বরপ্রদত্ত সুরেলা কণ্ঠ তার নেই। অনেক কষ্ট করে, অনেক সাধনা করে এখন কিছুটা সুরে এসেছে গলা। নিঝুম বোঝে ভাল গানের কত কদর। তাই গান শুনতেও খুব পছন্দ করে। পরীক্ষা-অন্তর্বর্তীকালীন ছুটিতে চুটিয়ে গান শোনে, আর নিজেও চর্চা করে। আর তা করতে যেয়ে নিজের মধ্যে কিছু পরিবর্তন সে টের পায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সে যেন নতুন করে আবিষ্কার করতে থাকে প্রতিটা গানের মধ্য দিয়ে। আগে কখনও গান এমন করে মনে দাগ কাটেনি নিঝুমের। এখন যেন প্রতিটা শব্দ, প্রতিটা বাক্য তার কাছে নতুন নতুন অর্থ প্রকাশ করতে থাকে। বিস্ময়ে, শ্রদ্ধায় বারবার মাথা নুয়ে পড়তে থাকে তার সঙ্গীতের সেই মহান স্রষ্টার উদ্দেশ্যে। গভীর অনুরাগের মধ্য দিয়ে বুঝতে পারে, অবশেষে সে প্রেমে পড়েছে। হ্যাঁ, গানকে সে মন থেকে ভালবাসতে পেরেছে অবশেষে। এই কয়দিন তাই নিবিড়কে ভুলে থাকতে তার অসুবিধা হয়নি। কিন্তু…ভেতরে ভেতরে কেমন একটা অশান্তি তাকে কুরে কুরে খেয়েছে। যতক্ষন গানের মধ্যে থেকেছে, ভাল থেকেছে। গানের জগতটা থেকে বাইরে আসলেই অবসাদ তার নিত্যসঙ্গী হয়েছে। বাবা মা’র সামনে ভাল থাকার চেষ্টা করলেও নিজের কাছে নিজেকে সে কিছুতেই লুকাতে পারেনা। সেদিন অনন্যার ওই ব্যবহার তাকে ভীষণ নাড়া দিয়ে গেছে। তাই প্রচণ্ড মানসিক চাপ বারবার তাকে চেপে ধরছে। এই চাপ নিয়েই সে বাকি পরীক্ষাগুলো দেয় কোনমতে। অনন্যার কাছে শোনে নিবিড় তার খোঁজ করেছে। শুনে কিছু বলে না। বাসায় এসে একটা দুটা মিসডকল দেয়। কিন্তু কোনরকম মেসেজে যায় না। থিওরি পরীক্ষা শেষ করে কোনরকমে। এবার কিছুদিনের বিরতির পর প্রাকটিকাল পরীক্ষা শুরু।
গান বরাবরই নিঝুমের খুব প্রিয়। নিজে সে রবীন্দ্র সঙ্গীত শেখে। ঈশ্বরপ্রদত্ত সুরেলা কণ্ঠ তার নেই। অনেক কষ্ট করে, অনেক সাধনা করে এখন কিছুটা সুরে এসেছে গলা। নিঝুম বোঝে ভাল গানের কত কদর। তাই গান শুনতেও খুব পছন্দ করে। পরীক্ষা-অন্তর্বর্তীকালীন ছুটিতে চুটিয়ে গান শোনে, আর নিজেও চর্চা করে। আর তা করতে যেয়ে নিজের মধ্যে কিছু পরিবর্তন সে টের পায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সে যেন নতুন করে আবিষ্কার করতে থাকে প্রতিটা গানের মধ্য দিয়ে। আগে কখনও গান এমন করে মনে দাগ কাটেনি নিঝুমের। এখন যেন প্রতিটা শব্দ, প্রতিটা বাক্য তার কাছে নতুন নতুন অর্থ প্রকাশ করতে থাকে। বিস্ময়ে, শ্রদ্ধায় বারবার মাথা নুয়ে পড়তে থাকে তার সঙ্গীতের সেই মহান স্রষ্টার উদ্দেশ্যে। গভীর অনুরাগের মধ্য দিয়ে বুঝতে পারে, অবশেষে সে প্রেমে পড়েছে। হ্যাঁ, গানকে সে মন থেকে ভালবাসতে পেরেছে অবশেষে। এই কয়দিন তাই নিবিড়কে ভুলে থাকতে তার অসুবিধা হয়নি। কিন্তু…ভেতরে ভেতরে কেমন একটা অশান্তি তাকে কুরে কুরে খেয়েছে। যতক্ষন গানের মধ্যে থেকেছে, ভাল থেকেছে। গানের জগতটা থেকে বাইরে আসলেই অবসাদ তার নিত্যসঙ্গী হয়েছে। বাবা মা’র সামনে ভাল থাকার চেষ্টা করলেও নিজের কাছে নিজেকে সে কিছুতেই লুকাতে পারেনা। সেদিন অনন্যার ওই ব্যবহার তাকে ভীষণ নাড়া দিয়ে গেছে। তাই প্রচণ্ড মানসিক চাপ বারবার তাকে চেপে ধরছে। এই চাপ নিয়েই সে বাকি পরীক্ষাগুলো দেয় কোনমতে। অনন্যার কাছে শোনে নিবিড় তার খোঁজ করেছে। শুনে কিছু বলে না। বাসায় এসে একটা দুটা মিসডকল দেয়। কিন্তু কোনরকম মেসেজে যায় না। থিওরি পরীক্ষা শেষ করে কোনরকমে। এবার কিছুদিনের বিরতির পর প্রাকটিকাল পরীক্ষা শুরু।