06-07-2021, 01:41 PM
পালঘাটে সুনিতা –
সুনিতা কলেজে যায়। আপ্রান চেষ্টা করে মন পড়াশুনায় আর শুধু পড়াশুনাতেই লাগানর। কিছুটা সফল হয়। তবু যখনই একা থাকে ওর মনের আকাশে ভালবাসার আকাশ ভেসে ওঠে। কিছুদিন পরে ও বাংলা শেখার ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করে। রাজন খবর এনে দেয় এক বৃদ্ধ বাঙালি ভদ্রলোকের। ওনার নাম প্রমথেশ রায়। উনি ছেলের কাছে থাকেন। ওনার ছেলে পালঘাটেই কাজ করে। উনি সুনিতাকে বাংলা শেখাতে রাজী আছেন। সুনিতা যায় ওনার কাছে। ওনার বাড়ি সুনিতার কলেজের থেকে খুব একটা দুরে নয়। প্রমথেশ বাবু প্রথমেই জিজ্ঞাসা করেন সুনিতা কেন বাঙলা শিখতে চায়। সুনিতা ছোট্ট করে আকাশের সব কথা বলে। প্রমথেশ বাবু বলেন উনি খুসিমনেই সুনিতাকে বাঙলা শিখিয়ে দেবেন আর যেহেতু এটা ওনার পেসা নয় টাই উনি কোন পয়সাও নেবেন না। উনি বলেন মেয়ের সুখের জন্য উনি কখনো পয়সা নিতে পারবেন না। সুনিতার মনে হয় ও নোবেল প্রাইজ পেয়েছে।
তার পর দিন থেকে সুনিতা রোজ কলেজে যায়। কলেজ থেকে বাঙলা শিখতে যায়। সন্ধ্যের সময় বাড়ি ফেরে। কিছু পড়াশুনো করে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। বন্ধুদের সাথে গল্প যেটুকু কলেজে হয় আর রবিবারে। ওর কাছে রবিবারটাই দুঃখের দিন হয়ে যায়। সেদিন আকাশের কথা বেশী করে মনে চলে আসে। আবার রবিবারটাই ওর কাছে সব থেকে সুখের দিনও হয়ে যায় কারণ সেদিন ও শান্তিতে বসে আকাশের কথা ভাবতে পারে।
কোলকাতায় আকাশ –
আকাশ রোজ অফিসে যায়। বাড়ি ফিরে একটু একটু সবার সাথে কথা বলে। রবিবারে পাড়ার বন্ধুদের সাথেও গল্প করতে যায়। বন্ধুদের সাথে সুনিতার কথাও হয়। সবাই বলে ওরা এইরকম ভালবাসার কথা কোনদিন ভাবে নি। আকাশের কাছে শোনে যে ওর অফিসে সবাই ওকে কোলকাতার ত্রিস্তান নাম দিয়েছে। ওরাও ওকে একই নামে ডাকতে শুরু করে। এক বন্ধু জিজ্ঞাসা করে এই ‘ত্রিস্তান’ ছেলেটা কে। আকাশ ওদেরকে ত্রিস্তানের গল্প বলে।
এর মধ্যে চন্দ্রিকা রোজ একটু একটু করে সুনিতার কথা আর ওদের ভালবাসার কথা মাকে বলে। রোজ শুনতে শুনতে উনিও ভাবতে শুরু করেন সুনিতা মেয়েটা সত্যিই ওনার ছেলেকে ভালোবাসে। উনি সবথেকে অভিভূত হয়ে যান সুনিতার আকাশকে ‘হে প্রভু’ বলে পুজা করার কথা শুনে আর আকাশের মুখের গরম জলের কথা শুনে। মা আর যাই হোক মা তো। মা সবসময় ছেলের ভালই দেখে। কতদিন আর নিজের ইগো আর জেদের জন্য ছেলের থেকে দুরে থাকবেন! এক রাতে খাবার পরে আকাশ ঘরে গেলে, উনি ওর ঘরে গিয়ে আকাশের মাথায় স্নেহের হাত রেখে বলেন, “বাবা, তুই সত্যি সুনিতাকে এতোটা ভালবাসিস”?
পালঘাটে সুনিতা –
পনেরো দিন মত কেটে যায়। আকাশের কোলকাতা যাওয়া এক মাসের বেশী হয়ে গেছে। একদিন বাঙলা পড়ে বাড়ি ফিরে ফ্রেস হয়ে খেতে বসে। খেতে পারে না। বমি করে দেয়।
সুনিতার মা উঠে এসে ওকে ধরেন। সুনিতার বমি করা দেখে উনি ভয় পেয়ে যান আবার মনে আনন্দও হয়। সুনিতা একটু সামলিয়ে নিলে উনি পাশে বসে খাইয়ে দেন। সুনিতা বুঝতে পারে না ওর কি হয়েছে। ওর পেটের মধ্যে আর গলার মধ্যে অদ্ভুত অনুভুতি। একমাত্র ওর বিছানাতে গেলে শান্তি পাচ্ছে। ওর ভাইয়ের পাশে বসলে বেশী করে বমি পাচ্ছে। ও বুঝতে পারে না ভাইয়ের পাশে গেলে কেন বমি পাচ্ছে। একটু পরে ভাই ওর বই খাতা গুছিয়ে রেখে খেতে বসে তখন আর সুনিতার বমি পায় না। তখন সুনিতা ভাইয়ের একটা বই নিয়ে শুঁকে দেখে আর খুব জোর বমি পায়। সুনিতা গিয়ে ওর মাকে বলে যে ওর বইয়ের গন্ধে বেশী বমি পাচ্ছে। সুনিতার মা নিশ্চিত হয়ে যান যে ওর মেয়ের কোল আলো করতে এক দেবশিশু আসছে। উনি কাউকে কিছু বলেন না। শুধু সুনিতাকে বলেন পরদিন ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন।
মীনা এসে বলে ওর কাছে একটা অমুল্য জিনিস আছে যেটা ও সুনিতাকে দিতে ভুলে গেছে। সুনিতা উঠে বসলে মীনা বলে আগে ওকে ২০ তা চুমু দিতে তবে ও দিদিকে দিদির জিনিস দেবে। সুনিতা কোন কথা না বলে ভাইয়ের দুই গালে অসংখ্য চুমু দেয় আর হাত পাতে ওর সামনে। মীনা ওকে একটা একটু মোটা খাম দেয় - আকাশের চিঠি। সুনিতার এতক্ষনের ক্লান্ত মুখে সূর্যোদয়ের উজ্জ্বল আলো চলে আসে। ও চিঠি খুলে পড়তে যায়, কিন্তু বমি পেয়ে যায়। মীনা প্রস্তুত ছিল, ও দিদির একটা পারফিউম এনে আকাশের চিঠির ওপর স্প্রে করে দেয়। সুনিতা আকাশের চিঠি বুকের মধ্যে চেপে ধরে আগে মনে মনে আকাশে ধ্যান করে। পাঁচ মিনিট আকাশের কথা ভেবে ধীরে ধীরে চিঠি খোলে। দশ পাতার চিঠি। প্রথমেই একটা কবিতা লেখা।
What is worry my friend ?
What is pain my friend ?
All day and night all of you Love and Love
What is Love my dear ?
Is it only pain ? Is it only tears ? Is it only grief ?
Then why we all aspire for pain ?
তারপর আকাশ পালঘাট থেকে যাবার পর থেকে কি কি হয়েছে সব লিখেছে। ওর বন্ধুরা কি বলেছে, ওর বোন কি বলেছে, ওর বাবা মায়ের কথা সব লিখেছে। তারপর ওর মন কত অশান্ত, কিভাবে ওর দিন কাটে আর রাত কাটে সব প্রচুর আবেগ দিয়ে লেখা। আকাশের চিঠি পরে সুনিতা চোখের সামনে ওর দুঃখ, ওর ব্যাথা দেখতে পায়। চিঠি পড়তে পড়তে সুনিতা একবার হাসে, একবার কাঁদে। কিছুক্ষন চুপচাপ বসে থাকে, আবার পড়ে। তারপর একসময় চিঠি পড়া শেষ হয়। নিঃশব্দে শুয়ে থাকে, আর একসময় ওর চিঠি বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে যায়।
পরদিন সুনিতার মা ওকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান। ডাক্তার সব দেখে আর পরীক্ষা করে বলেন সুনিতা ৬ সপ্তাহ প্রেগন্যান্ট। সুনিতা আকাশ থেকে পড়ে। কাঁদবে না আনন্দ পাবে বোঝে না। হতবাক হয়ে যায়। মাকে বলে, “মা আমি এবার কি করবো”? ডাক্তার ওকে বলেন কিছুই করতে হবে না। সাবধানে থাকতে হবে। একদম লাফালাফি বা দৌড়া দৌড়ি যেন না করে।
বাড়ি ফিরে সুনিতার মা সুনিতার বাবাকে সব বলে। সুনিতার বাবা খুব খুশী। উনি বলেন বিয়ে দিয়েছেন, সুহাগ রাত হয়েছে, হানিমুন হয়েছে, বাচ্চাও হবে। সেটা নিয়ে অতো চিন্তা করার কিছু নেই। সুনিতাও মনের খুশীতে আকাশকে চিঠি লিখতে বসে।
কোলকাতায় আকাশ –
আকাশের মা এখন বুঝে গেছেন ছেলের বৌ খুব ভালই হবে। উনি আকাশের কাছে সুনিতার ব্যাপারে সব শুনেছেন। আকাশ মাকে জিজ্ঞাসা করে প্রথমে কেন ওইরকম রেগে গিয়েছিল। স্মৃতি দেবী বলেন, “আমার ভয় লেগেছিল তোকে কোন মেয়ে বশ করে তোকে পটিয়ে নিয়েছে। আর তুইও ড্যাং ড্যাং করে ওই বৌয়ের পেছু পেছু লেজ নাড়াতে নাড়াতে ঘুরে বেড়িয়েছিস”।
আকাশ – এতদিন তুমি আমাকে এই চিনলে ?
স্মৃতি দেবী – আমি তোকে চিনি। কিন্তু ওই মেয়েটাকে তো চিনি না। তাই ভয়। আর ওইসব জায়গার মেয়েরা অনেক ঘোড়েল হয়।
আকাশ – তোমাদের এইটাই সমস্যা। ওইসব জায়গার মেয়েরা মানে! ওটাও ভারত, ওদের কালচার আর আমাদের কালচার দুটোই রামায়ন আর মহাভারত থেকে এসেছে। বরঞ্চ ওখানকার লোকেরা আমাদের থেকে বেশী রক্ষণশীল। না জেনে না বুঝে একটা আলপটকা মন্তব্য করে দিলে।
স্মৃতি দেবী – জানিনা তো তাই।
আকাশ – না জানলে জানি না বলবে। না হয় ভালো বলবে। বদনাম কেন করবে !
স্মৃতি দেবী – আচ্ছা বাবা ভুল হয়েছে। তোর বৌ ভালো। তোর বৌয়ের দেশের সবাই ভালো। ওখানকার চোররাও ভালো। ওখানকার পকেটমাররাও ভালো।
আকাশ – সত্যি তুমি শুধরাবে না।
স্মৃতি দেবী – কেন আবার কি বললাম ?
আকাশ – চোর পকেটমার কথা থেকে এলো ?
স্মৃতি দেবী – ওই আরকি কথার কথা। আমি তোদের মত ওইরকম মেপে মেপে কথা বলতে পারিনা।
চন্দ্রিকা অনেক আগেই এসে দাদা আর মায়ের কথা শুনছিল। এবার সুভাস বাবু এসে জিজ্ঞাসা করলেন এতো জোর কিসের মিটিং হচ্ছে।
চন্দ্রিকা – দাদা মাকে বোঝাচ্ছে যে পালঘাটের চোর আর পকেটমাররাও খুব ভালো লোক।
আকাশ – এবার আমি তোকে গাঁট্টা মারব বলে দিচ্ছি।
চন্দ্রিকা এরপর বাবাকে বোঝায় ব্যাপারটা। সুভাস বাবু হো হো করে হেঁসে ওঠেন আর বলেন, “তাহলে তোমার পছন্দ হল ছেলের বৌ”?
স্মৃতি দেবী – দেখলাম কই যে পছন্দ বা অপছন্দের কথা আসছে ?
সুভাস বাবু – তাও যা শুনলে তাতে কি মনে হচ্ছে ?
স্মৃতি দেবী – আকাশ আর চন্দি যেরকম বলল সেইরকম মেয়ে হলে আমি সারাজীবন বুকে করে রাখব। বাপরে আকাশকে ‘হে প্রভু’ বলে পুজা করে। আমি ভাবতেও পারছিনা।
সুভাস বাবু – তবে তুমিও একদিন ওইভাবে পুজা করে দেখতে পার।
স্মৃতি দেবী – হ্যাঁ স্বপ্ন দেখো। খায় না মদন ঘুরে ঘুরে বেড়ায়!
আকাশ – মা পুজা মানে ভালবাসা।
স্মৃতি দেবী – হ্যাঁ বুঝেছি। সেদিনকার ছেলে আমাকে ভালবাসা বোঝাতে এসেছে। মেনে নিয়েছি আর কোন কথা বলবে না। আমি কোথায় ভেবেছিলাম একটাই ছেলে, তার বিয়ের জন্য কত মেয়ে দেখব, সবার বাড়ি গিয়ে কত মিষ্টি খাব। তা না নিজে নিজেই পছন্দ করে বিয়ে করে চলে আসলো।
সুভাস বাবু – তুমি মেয়ে এখনও দেখতে পার।
আকাশ – বাবা !!
সুভাস বাবু – আমাকে বলতে দে বাপ। তুমি মেয়ে এখনও দেখতে পার। দেখে মিষ্টি খেয়ে বলবে পছন্দ হল না, ব্যাস।
স্মৃতি দেবী – যাঃ তাই আবার হয় নাকি?
চন্দ্রিকা – মা বাবা তোমার পেছনে লাগছে সেটা বুঝতে পারছ না ?
স্মৃতি দেবী – না বাবা আমি তোমাদের কথা ঠিক বুঝে উঠতে পারি না, কখন সত্যি বল আর কখন যে ঠাট্টা করো কে জানে!
আকাশ – ক্ষিদে পেয়েছে, এবার খেতে দাও।
চন্দ্রিকা – হ্যাঁ হ্যাঁ খেতে দাও দাদার দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে আর স্বপ্নে বৌদিকে দেখতে হবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে।
আকাশ – আবার গাঁট্টা মারব তোকে।
বেশ হাঁসি খুশীর ভেতর ওদের খাওয়া শেষ হয়। আকাশ মনে অনেক শান্তি নিয়ে নিজের ঘরে ঢোকে। চন্দ্রিকাও পেছন পেছন আসে। দাদাকে বলে, “আমি গত দশ দিন ধরে মাকে একটু একটু করে তোদের সব কথা বলেছি। তারপর মায়ের মন বৌদিকে মেনে নিয়েছে”।
আকাশ – তুই আমার সোনা বোন। আমিও তোর জন্য এইরকম একটা বর খুঁজে আনব, যে তোকে ‘হে দেবী’ বলে পুজা করবে”।
চন্দ্রিকা – না না আমার দরকার নেই ওইসব পুজা করবার। আমার একটা ভালবাসার ছেলে পেলেই হল।
আকাশ – সময় হোক ঠিক পেয়ে যাবি।
চন্দ্রিকা – জানি, যার দাদা আর বৌদি এইরকম সেই মেয়েকে কোনদিন কষ্ট পেতেই হবে না।
আকাশ – তুই কি মাকে সব বলে দিয়েছিস ?
চন্দ্রিকা – ভয় নেই তোদের সমুদ্রের ধারে সেম সেম হয়ে ভালবাসার কথা বলিনি। ওটা শুধু আমার বন্ধুদের বলেছি। আর মিলি শুনে বলে তোর দাদাকে ভালবাসলে কত সুন্দর হত।
আকাশ – তোরা সুনিতাকে না দেখেই এতো কিছু বুঝে গেলি।
চন্দ্রিকা – সেটা তোর ভালবাসার জন্য। তুই ভালবেসে কথা দিয়ে বৌদির যে ছবি এঁকে দেখিয়েছিস সবাইকে, যে আমার তো মনে হচ্ছে আমি বৌদিকে চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। সত্যি বৌদি কি ভাগ্য করে জন্মেছে।
আকাশ – না রে আমি বেশী ভাগ্য করে জন্মেছি। আর ভাগ্যিস ওই কোম্পানিতে জয়েন করেছিলাম।
চন্দ্রিকা – আমি এবার যাই। তুই স্বপ্ন দ্যাখ।
আকাশ বসে বসে আবার চিঠি লেখে সুনিতাকে। সব খুশীর খবর বিশদ ভাবে লেখে। আর বলে ওর মনে হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি ও গিয়ে সুনিতাকে নিয়ে আসতে পারবে। চিঠি লিখে শুয়ে পরে। আর সত্যিই সুনিতাকে স্বপ্নে দেখে। স্বপ্ন দেখে কন্যাকুমারিতে ওরা দুজনে উলঙ্গ হয়ে সমুদ্রের ধারে বসে আছে। সবাই ওদের চারপাশ দিয়ে ঘুরে যাচ্ছে কেউ ওদের কিচ্ছু বলছে না। ওরা দুজনে সমুদ্রের ধারে শুয়ে পরে আর খেলতে শুরু করে। যখন আকাশ ওর ময়ুর সুনিতার সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়েছে তখন কত ছেলে মেয়ে ওদের ঘিরে ধরে দেখছে। আকাশ সুনিতার কবুতর নিয়ে খেলে যাচ্ছে। হটাত করে দর্শকদের মধ্যে একটা মেয়ে এসে ওর কানের কাছে কুউউউ করে চেঁচিয়ে ওঠে। আকাশের ঘুম ভেঙ্গে যায়। দেখে চন্দ্রিকা ওর কানে কুউউউ করেছে ওর ঘুম ভাঙ্গানর জন্য। আকাশ মন খারাপ করে বসে থাকে। চন্দ্রিকা ওর সামনে কান ধরে বলে, “তুই নিশ্চয়ই বৌদিকে স্বপ্নের মধ্যে আদর করছিলি। মুখে সুনিতা উঁ উঁ বলছিলি। স্যরি আর তোর এভাবে ঘুম ভাঙ্গাব না”।
এই বলে হি হি করে হাসতে হাসতে পালিয়ে যায়। আকাশ উঠে পরে ওর স্বপ্নের কথাটা আরেকটা কাগজে লিখে, চিঠির খামে ভরে দেয়। তারপর খেয়ে দেয়ে অফিসে যায়। দুপুরে সুনিতার বাবার কাছ থেকে ফোন আসে। আকাশ জানতে পারে সুনিতা মা হতে চলেছে।