05-07-2021, 12:25 PM
চমকে না উঠলেও বেশ অবাক হয়েছে শুভেন্দু। আমাকে বলল, ‘শুক্লা? তোর শরীর খারাপের খবর পেয়ে এসেছে, না এমনি এসেছে?’
আমি শুয়ে শুয়েই বললাম, ‘তুই যেটা ভেবেছিলিস, ওটা নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা আর নেই। শুক্লার মনটা তো ভাল, মায়ের কাছে শরীরে খারাপের খবর শুনেছে, তাই এখানে এসেছে।’
শুভেন্দু যেন তাও একটু চিন্তার মধ্যে রয়ে গেল। একটু পরেই ঘরে ঢুকল শুক্লা। মেন দরজাটা মা খুলে দিয়েছে। ঘরে ঢুকেই বলল, ‘আজকে আর অফিস গেলাম না। তোর জন্য ছুটে এলাম। কি আবার বাঁধিয়ে বসলি? এটা কি সেই পুরোন রোগটা?’
আমি শুয়ে শুয়েই ঘাড় নেড়ে ওকে বললাম, হ্যাঁ। শুক্লা ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল শুভেন্দুকে। চেয়ারটায় বসে আছে। ওকে বলল, কি রে শুভেন্দু? তুই? কখন এসেছিস?
শুভেন্দু বলল, ‘আমি তো কাল রাত থেকেই আছি। দেবের পাশে, ওর মাথার কাছে। এটাই আমার ঘরবাড়ী। তুই জানিস না?’
শুক্লা আমার মাথার কাছটা বসেছে। আমার মাথায় হাত দিতে যাচ্ছিল। শুভেন্দু হাঁ করে দেখছিল। শুক্লা বলল, ‘গায়ে জ্বরটর নেই তো?’
আমি বললাম, ‘না এ রোগে জ্বর হয় না। শুধু পেটে ব্যাথা হয়।’
শুভেন্দু ফোড়ণ কেটে বলল, ‘তার সাথে মনের ব্যাথাটাও জড়িয়ে আছে। ওটাও যোগ করে নে।’
শুক্লা যেন কিছুই বোঝেনি, শুভেন্দুর মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘কেন? দেবের তো এখন খুশী হওয়ার কথা। মনের ব্যাথা হবে কেন?’
আমি শুভেন্দুকে ইশারা করলাম। বিদিশার ব্যাপারে শুক্লাকে কিছু না বলতে। শুভেন্দুও চেপে গেল। শুধু বলল, সবই তো ঠিক ঠাক আছে। অথচ দেবের মনের কষ্টটা কিছুতেই ধরতে পারছি না। শুক্লা কি করা যায় বল তো? রহস্যটা কি? ঠিক ক্লিয়ার হচ্ছে না।’
শুক্লা বলল, ‘তাই তো।’ তারপর আমাকে বলল, ‘তুই শুধু শুধু খালি টেনশন করে মরিস। দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।’
মা ঘরে ঢুকেছে সেই সময়। শুক্লা এসে গেছে দেখে বলল, ‘তাহলে দু’কাপ চা করে নিয়ে আসি। শুক্লা আর শুভেন্দুর জন্য।’
আমি বললাম, তুমি বরং আর একটু অপেক্ষা করে যাও। এরপরে আবার কেউ এসে পড়বে, তখন আবার তোমাকে ডবল করে খাটতে হবে।’
শুভেন্দু কথাটা বুঝতে পেরে মুচকি মুচকি হাসছে। মা বলল, ‘এই তুই অত ছটফট করিস না তো। কেউ এলে ওটা আমি বুঝে নেব।’
শুক্লা বলল, ‘মাসীমা, আমি কিন্তু চা খাব না। এই বাড়ী থেকে খেয়ে বেরিয়েছি। আর আপনি অত ব্যস্ত হবেন না। পারলে শুভেন্দুর জন্য এক কাপ করে দিন।’
শুভেন্দু বলল, ‘চা তো আমি খাবই। চা হল গিয়ে যা হতে নাহিক মাদকতা দোষ, কিন্তু পান করে চিত্ত পরিতোষ।’
আমি হাসি চেপে বললাম, ‘কি বললি কথাটা আর একবার বল।’
শুভেন্দু বলল, অনেক কষ্ট করে একবার বলেছি। বার বার বলতে পারব না।’ বলে ও নিজেই হেসে ফেলল।
শুক্লা বলল, ‘বেশ তো ভালই ছিলি। হঠাৎ রোগটা বাঁধালি কি করে?’
আমি বললাম, ‘কি জানি হঠাৎ।’
শুক্লা বলল, ‘আমার ওখান থেকে ফেরার পরে?’
আমি যেই হ্যাঁ বলতে যাব। দেখলাম শুভেন্দু বেশ অবাক হয়ে আমাকে আর শুক্লাকে দেখছে। এর মধ্যে শুক্লার বাড়ীতে যে গিয়েছিলাম। শুভেন্দুকে সেটা বলা হয় নি।
পরক্ষণেই খুব সহজ হয়ে ও বলল, ‘নতুন ফ্ল্যাটে বুঝি?’
শুক্লা বলল, ‘নতুন ফ্ল্যাট আর কোথায়? তাও তো অনেকদিন হয়ে গেল। তোরা তো কেউ আর গেলি না। আমি তাই দেবকেই বলে দেখলাম, যদি ও যায়। কিন্তু-’
শুভেন্দু বলল, কি কিন্তু?
- ওখান থেকে আসার পরেই ওর যে এমন দশা হবে, আমি ভাবতেও পারিনি। কি যে একটা রোগ। শরীর থেকে পুরোপুরি যায় না। থেকে থেকেই এসে হাজির হয়।’
আমি বললাম, ‘মাঝে মাঝে শরীর খারাপটা হওয়াটা ভাল। এই তোরা কেমন এসেছিস, গল্প করছিস। ভাল লাগছে।’
শুক্লা বলল, ‘আমরা তো এমনিই আসতে পারি। এরজন্য শরীর খারাপ হতে হবে কেন?’
শুভেন্দু বলল, ‘হ্যাঁ তুই ঠিক বলেছিস। আসলে ওর মাথাটা একেবারে গ্যাছে।’ তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ওফ, দেব, তুই যে কি করবি, তোকে নিয়ে আমার বড় চিন্তা হচ্ছে।’
মনে মনে ভাবলাম, বিদিশা যদি এসে পড়ে, চিন্তাটা এক্ষুনি দূর হয়ে যাবে।
মা ঘরে ঢুকল চা নিয়ে। শুভেন্দু হাত বাড়িয়ে মায়ের হাত থেকে চায়ের কাপটা নিল। দেখি, মা শুক্লার জন্যও চা বানিয়ে নিয়ে এসেছে। শুক্লা বলল, ‘মাসীমা আপনি সেই আমার জন্য চা করলেন?’
মা হাসল। বলল, ‘একবার তো খেয়েছ। আর একবার খেলে কিছু হবে না। আমি তো বাড়ীতে কেউ এলেই চা বানাই। ছেলেও আমার চা বেশি খায় না। আর আমারও অত অভ্যেস নেই।’
শুক্লার হাতে আর একটা চায়ের কাপ ধরিয়ে মা পাশের ঘরে চলে গেল। শুক্লা বলল, ‘ইস মাসীমা কত ভাল। ঠিক আমার মায়ের মতন। আজ মা নেই। অভাবটা খুব অনুভব করছি।’
শুক্লার মুখটা খুব করুন। শুভেন্দুও দেখছে, চায়ের কাপে মুখ দিচ্ছে শুক্লা, কিন্তু মুখে কোন কথা নেই। হঠাৎই মায়ের স্মৃতিতে বিভোর হয়ে পড়েছে শুক্লা।
- ‘শুক্লা! এতদিন বাদে তোর সাথে দেখা হল। খবর কি বল?’ হঠাৎই শুভেন্দুর জোরালো স্বরে যেন হোশ ফিরল শুক্লার।
- ‘আমার আর খবর কি। এই আছি, চলে যাচ্ছে। সারাদিনের অফিস, তারপর বাড়ী গিয়ে একটু বিশ্রাম। মা বাবা এখন নেই। একা একা একটা মেয়ে, যেরকম থাকে। সেই আর কি।’
শুভেন্দু বলল, ‘এই এক অসুবিধে। আমাদের তো জয়েন্ট ফ্যামিলি। বাড়ী ভর্তি লোক গমগম করছে। অভাবটা বোধ হয় না। তাই তোরটা খুব ফিল করি। মাসীমা মেশোমশাই দুজনেই চলে যাওয়াটা খুব কষ্টের। বাবা মা যার নেই, সে বোঝে কষ্টটা।’
শুক্লা বলল, ‘এই মাধুরী কেমন আছে রে? আর রনি ওই পাজীটা।’
শুভেন্দু বলল, ‘ভালই আছে। ছেলে হয়েছে একটা। নাম রেখেছে ‘দেবমাল্য।’
শুক্লা বলল, ‘তাই? দেব নামটা এখানেও জায়গা পেয়েছে তাহলে। ভাল ভাল।’
শুভেন্দু চা খাচ্ছ, শুক্লাও খাচ্ছে। চা খেতে খেতে শুক্লা এবার বলল, ‘তা তুই বিয়েটা করছিস না কেন? হাভাতের মতন এরকম কদ্দিন থাকবি?’
শুভেন্দু বলল, ‘শোন, আমার বউ না থাকলে কি হবে, আমার তিন তিনটে বৌদি। বৌদিদের সাথে এত ভাল সময় কেটে যায় যে বউ এর অভাবটা আর ফিল করি না।’
- যাঃ অসভ্য।’ শুক্লা একটা ধ্যাতানি দিল শুভেন্দুকে।
আমি কোন কথা বলছি না। শুয়ে শুয়ে শুধু রকমটা দেখছি। হাসি এসে গেল। বেশ জোরে হেসে উঠলাম। শুভেন্দু বলল, ‘এই এই দেব। হাসিস না। আবার নয়তো পেটে ব্যাথা উঠে যাবে।’
চা খেয়ে শুক্লা বলল, ‘আমার একটা চিন্তা হচ্ছিল। কি জানি কি হল আবার। এখন অনেক চিন্তামুক্ত লাগছে।’
আমি বললাম, ‘বাড়াবাড়িটা কাল রাতেই খুব হয়েছিল। শুভেন্দু না এলে খুব মুশকিলে পড়ে যেত মা। আমার তখন কোন জ্ঞান নেই। মেঝেতে পড়ে। পুরো সেন্সলেস।’
শুক্লা চোখ বড় বড় করে বলল, ‘তাই?’
আমি বললাম, হ্যাঁ। তারপরেই তো শুভেন্দু এল মা’র ফোন পেয়ে। ডাক্তারও এল। ওষুধ দেবার পর ডেঞ্জার সিচুয়েশনটা কেটে গেছে।’
শুক্লা বলল, ‘সেই কলেজে পড়ার সময়ও তোর একবার বাড়াবাড়ি হয়েছিল না? সেবার সেই ফাংশনের ঠিক আগেই।’
আমি বললাম, ‘হ্যাঁ যখন যখন এই রোগটা শরীরে অ্যাটাক করেছে, আগে পিছে সব ঘটনাই আমার মনে আছে।’
শুভেন্দু হাত ঘড়িটা দেখছে। বুঝলাম, ও বোধহয় বিদিশার আসার টাইমটা মিলিয়ে দেখে নিচ্ছে, কতক্ষণ আর বাকী আছে ওর আসতে।
শুক্লা বলল, ‘কিরে? তাড়া আছে নাকি তোর? ঘড়ি দেখছিস?’
শুভেন্দু বলল, ‘বিদিশা আসছে। বলেছিল একঘন্টা পরেই আসবে। ঘড়িতে তাই দেখছি, একঘন্টা হয়েছে কি না?’
আমি হাসি চেপে বললাম, ‘কি বললি কথাটা আর একবার বল।’
শুভেন্দু বলল, অনেক কষ্ট করে একবার বলেছি। বার বার বলতে পারব না।’ বলে ও নিজেই হেসে ফেলল।
শুক্লা বলল, ‘বেশ তো ভালই ছিলি। হঠাৎ রোগটা বাঁধালি কি করে?’
আমি বললাম, ‘কি জানি হঠাৎ।’
শুক্লা বলল, ‘আমার ওখান থেকে ফেরার পরে?’
আমি যেই হ্যাঁ বলতে যাব। দেখলাম শুভেন্দু বেশ অবাক হয়ে আমাকে আর শুক্লাকে দেখছে। এর মধ্যে শুক্লার বাড়ীতে যে গিয়েছিলাম। শুভেন্দুকে সেটা বলা হয় নি।
পরক্ষণেই খুব সহজ হয়ে ও বলল, ‘নতুন ফ্ল্যাটে বুঝি?’
শুক্লা বলল, ‘নতুন ফ্ল্যাট আর কোথায়? তাও তো অনেকদিন হয়ে গেল। তোরা তো কেউ আর গেলি না। আমি তাই দেবকেই বলে দেখলাম, যদি ও যায়। কিন্তু-’
শুভেন্দু বলল, কি কিন্তু?
- ওখান থেকে আসার পরেই ওর যে এমন দশা হবে, আমি ভাবতেও পারিনি। কি যে একটা রোগ। শরীর থেকে পুরোপুরি যায় না। থেকে থেকেই এসে হাজির হয়।’
আমি বললাম, ‘মাঝে মাঝে শরীর খারাপটা হওয়াটা ভাল। এই তোরা কেমন এসেছিস, গল্প করছিস। ভাল লাগছে।’
শুক্লা বলল, ‘আমরা তো এমনিই আসতে পারি। এরজন্য শরীর খারাপ হতে হবে কেন?’
শুভেন্দু বলল, ‘হ্যাঁ তুই ঠিক বলেছিস। আসলে ওর মাথাটা একেবারে গ্যাছে।’ তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ওফ, দেব, তুই যে কি করবি, তোকে নিয়ে আমার বড় চিন্তা হচ্ছে।’
মনে মনে ভাবলাম, বিদিশা যদি এসে পড়ে, চিন্তাটা এক্ষুনি দূর হয়ে যাবে।
মা ঘরে ঢুকল চা নিয়ে। শুভেন্দু হাত বাড়িয়ে মায়ের হাত থেকে চায়ের কাপটা নিল। দেখি, মা শুক্লার জন্যও চা বানিয়ে নিয়ে এসেছে। শুক্লা বলল, ‘মাসীমা আপনি সেই আমার জন্য চা করলেন?’
মা হাসল। বলল, ‘একবার তো খেয়েছ। আর একবার খেলে কিছু হবে না। আমি তো বাড়ীতে কেউ এলেই চা বানাই। ছেলেও আমার চা বেশি খায় না। আর আমারও অত অভ্যেস নেই।’
শুক্লার হাতে আর একটা চায়ের কাপ ধরিয়ে মা পাশের ঘরে চলে গেল। শুক্লা বলল, ‘ইস মাসীমা কত ভাল। ঠিক আমার মায়ের মতন। আজ মা নেই। অভাবটা খুব অনুভব করছি।’
শুক্লার মুখটা খুব করুন। শুভেন্দুও দেখছে, চায়ের কাপে মুখ দিচ্ছে শুক্লা, কিন্তু মুখে কোন কথা নেই। হঠাৎই মায়ের স্মৃতিতে বিভোর হয়ে পড়েছে শুক্লা।
- ‘শুক্লা! এতদিন বাদে তোর সাথে দেখা হল। খবর কি বল?’ হঠাৎই শুভেন্দুর জোরালো স্বরে যেন হোশ ফিরল শুক্লার।
- ‘আমার আর খবর কি। এই আছি, চলে যাচ্ছে। সারাদিনের অফিস, তারপর বাড়ী গিয়ে একটু বিশ্রাম। মা বাবা এখন নেই। একা একা একটা মেয়ে, যেরকম থাকে। সেই আর কি।’
শুভেন্দু বলল, ‘এই এক অসুবিধে। আমাদের তো জয়েন্ট ফ্যামিলি। বাড়ী ভর্তি লোক গমগম করছে। অভাবটা বোধ হয় না। তাই তোরটা খুব ফিল করি। মাসীমা মেশোমশাই দুজনেই চলে যাওয়াটা খুব কষ্টের। বাবা মা যার নেই, সে বোঝে কষ্টটা।’
শুক্লা বলল, ‘এই মাধুরী কেমন আছে রে? আর রনি ওই পাজীটা।’
শুভেন্দু বলল, ‘ভালই আছে। ছেলে হয়েছে একটা। নাম রেখেছে ‘দেবমাল্য।’
শুক্লা বলল, ‘তাই? দেব নামটা এখানেও জায়গা পেয়েছে তাহলে। ভাল ভাল।’
শুভেন্দু চা খাচ্ছ, শুক্লাও খাচ্ছে। চা খেতে খেতে শুক্লা এবার বলল, ‘তা তুই বিয়েটা করছিস না কেন? হাভাতের মতন এরকম কদ্দিন থাকবি?’
শুভেন্দু বলল, ‘শোন, আমার বউ না থাকলে কি হবে, আমার তিন তিনটে বৌদি। বৌদিদের সাথে এত ভাল সময় কেটে যায় যে বউ এর অভাবটা আর ফিল করি না।’
- যাঃ অসভ্য।’ শুক্লা একটা ধ্যাতানি দিল শুভেন্দুকে।
আমি কোন কথা বলছি না। শুয়ে শুয়ে শুধু রকমটা দেখছি। হাসি এসে গেল। বেশ জোরে হেসে উঠলাম। শুভেন্দু বলল, ‘এই এই দেব। হাসিস না। আবার নয়তো পেটে ব্যাথা উঠে যাবে।’
চা খেয়ে শুক্লা বলল, ‘আমার একটা চিন্তা হচ্ছিল। কি জানি কি হল আবার। এখন অনেক চিন্তামুক্ত লাগছে।’
আমি বললাম, ‘বাড়াবাড়িটা কাল রাতেই খুব হয়েছিল। শুভেন্দু না এলে খুব মুশকিলে পড়ে যেত মা। আমার তখন কোন জ্ঞান নেই। মেঝেতে পড়ে। পুরো সেন্সলেস।’
শুক্লা চোখ বড় বড় করে বলল, ‘তাই?’
আমি বললাম, হ্যাঁ। তারপরেই তো শুভেন্দু এল মা’র ফোন পেয়ে। ডাক্তারও এল। ওষুধ দেবার পর ডেঞ্জার সিচুয়েশনটা কেটে গেছে।’
শুক্লা বলল, ‘সেই কলেজে পড়ার সময়ও তোর একবার বাড়াবাড়ি হয়েছিল না? সেবার সেই ফাংশনের ঠিক আগেই।’
আমি বললাম, ‘হ্যাঁ যখন যখন এই রোগটা শরীরে অ্যাটাক করেছে, আগে পিছে সব ঘটনাই আমার মনে আছে।’
শুভেন্দু হাত ঘড়িটা দেখছে। বুঝলাম, ও বোধহয় বিদিশার আসার টাইমটা মিলিয়ে দেখে নিচ্ছে, কতক্ষণ আর বাকী আছে ওর আসতে।
শুক্লা বলল, ‘কিরে? তাড়া আছে নাকি তোর? ঘড়ি দেখছিস?’
শুভেন্দু বলল, ‘বিদিশা আসছে। বলেছিল একঘন্টা পরেই আসবে। ঘড়িতে তাই দেখছি, একঘন্টা হয়েছে কি না?’