05-07-2021, 11:51 AM
(This post was last modified: 05-07-2021, 11:51 AM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
পনেরো
সঞ্জীববাবুর কথা শুনে দেবলীনার যেন হঠাৎ কতো পরিবর্তন হয়ে গেলো। সমস্ত উচ্ছসিত গোপন আকাঙ্ক্ষা যেন মনের দুয়ারে এসে কাতর প্রার্থনা করতে লাগলো।
বাবার কথাগুলো কি ঠিক নয়, সে কি মনে মনে আজও তাই চায় না ?
সমস্ত চিন্তা শেষ হতে না হতে, সঞ্জীববাবু কথা আবার দেবলীনার কানে নানান সূরে ভীড় করে।
সঞ্জীববাবু বলতে লাগলেন - তুমি এবাড়ী আসার পর থেকে আমিও যেন এক নতুন মানুষ হয়ে গেছি। জানো মা, এই সঞ্জীব মিত্র আর দুবছর আগের সঞ্জীব মিত্রের মধ্যে অনেক তফাৎ। নতুন যা কিছু সবই নীরব মন্ত্রের মতো তোমার কাছে পাওয়া।
সঞ্জীববাবু আর এক সেকেন্ডও অপেক্ষা না করে লাইব্রেরী রুম থেকে বেরিয়ে এলেন।
পরেরদিন ভালো একখানা নতুন গাড়ী এলো। সাদা ধবধবে বকপাখীর মতো গায়ের রং। গাড়ীটা যখন চলে গাঁয়ের লোকেরা, পাড়ার লোকেরা সকলেই জানে সঞ্জীববাবুর ছেলের বউ যাচ্ছে।
দেবলীনার নতুন করে জীবন শুরু হয়ে গেলো।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর অধ্যাপক চন্দ পরপর তিনচারদিন দেবলীনা আর সঞ্জীববাবুর অনুরোধে এ বাড়ীতে এলেন। এ লোকটিকে দেবলীনার খুব ভালো লাগে।
পান্ডিত্য অগাধ। অনেকগুলো ভাষা জানেন। নিষ্ঠার সঙ্গে আজও তিনি ভাষা চর্চা করে চলেছেন। সাংবাদিক জীবনে অধ্যাপক চন্দের সঙ্গে দেবলীনার বাবার পরিচয় হয়। দেবলীনার বাবা অধ্যাপক চন্দের একেবারে কাছের বন্ধু ছিলেন।
যদিও দেবলীনার গুরু তার বাবা সৌমেন দত্ত তবু অধ্যাপক চন্দের চরিত্র, ব্যক্তিত্বকে সে অত্যন্ত সন্মান করে।
সে অধ্যাপক চন্দের কাছ থেকে ভাষা শিখতে গিয়েও নানারকম ভাবে উৎসাহ পেয়েছে, সাহায্য পেয়েছে। বিভিন্ন ভাষায় যখন তার মন মশগুল হয়ে থাকতো, নতুন নতুন শব্দের অনুসন্ধান করতে পেরে যখন তার মন উদ্ভাসিত হয়ে উঠতো তখন মৃদু হাতের পরশ দিয়ে অধ্যাপক চন্দ বলতেন - মাই গার্ল, এ জন্যই আমি তোমায় এতো ভালোবাসি। আরো অনুসন্ধান চালিয়ে যাও। দেখতে পাবে এরমধ্যে আরো কত আনন্দ আছে।
আসলে এসব উৎসাহ দানের মধ্যেই নিহিত রয়েছে অধ্যাপক চন্দের মূল শিক্ষার আনন্দ আর এজন্যই দেবলীনা অধ্যাপক চন্দকে এতো শ্রদ্ধা ও সন্মান করে।
কিন্তু এই অধ্যাপক চন্দ চার পাঁচ বছর কোথায় ছিলেন, দেবলীনা তার অনুসন্ধান চালিয়েও খোঁজ করে উঠতে পারে নি। তিনি মাঝে মাঝে এরকমভাবে হারিয়ে যান আবার ভেসে ওঠেন। এর কারণ কি, সচরাচর এ কথার উত্তর তিনি কাওকে বড় একটা দেন না।
একবার প্রায় এক বছর পর্যন্ত অধ্যাপক চন্দ দেবলীনাদের কাছ দেকে নিখোঁজ হয়ে ছিলেন। এক বছর পর দেবলীনার বাবা অধ্যাপক চন্দকে মস্কোর এক চাষীর ঘর থেকে বার করেছিলেন।
দেবলীনা জিজ্ঞাসা করেছিলো - এতদিন চিঠিপত্র দেন নি কেন ?
অধ্যাপক চন্দ হাসতে হাসতে বলেছিলেন - এতো দিন রাশিয়ায় এক চাষীর ঘরে অতিথি হয়ে ছিলাম। সেখানকার চাষীদের জীবন উপভোগ করলাম। সত্যি কি সুন্দর !
অধ্যাপক চন্দ এইভাবে মাঝে মাঝে নিজেকে লুকিয়ে রেখে নিজেকে অনুসন্ধান করে বেড়াতেন।
সঞ্জীববাবুর কথা শুনে দেবলীনার যেন হঠাৎ কতো পরিবর্তন হয়ে গেলো। সমস্ত উচ্ছসিত গোপন আকাঙ্ক্ষা যেন মনের দুয়ারে এসে কাতর প্রার্থনা করতে লাগলো।
বাবার কথাগুলো কি ঠিক নয়, সে কি মনে মনে আজও তাই চায় না ?
সমস্ত চিন্তা শেষ হতে না হতে, সঞ্জীববাবু কথা আবার দেবলীনার কানে নানান সূরে ভীড় করে।
সঞ্জীববাবু বলতে লাগলেন - তুমি এবাড়ী আসার পর থেকে আমিও যেন এক নতুন মানুষ হয়ে গেছি। জানো মা, এই সঞ্জীব মিত্র আর দুবছর আগের সঞ্জীব মিত্রের মধ্যে অনেক তফাৎ। নতুন যা কিছু সবই নীরব মন্ত্রের মতো তোমার কাছে পাওয়া।
সঞ্জীববাবু আর এক সেকেন্ডও অপেক্ষা না করে লাইব্রেরী রুম থেকে বেরিয়ে এলেন।
পরেরদিন ভালো একখানা নতুন গাড়ী এলো। সাদা ধবধবে বকপাখীর মতো গায়ের রং। গাড়ীটা যখন চলে গাঁয়ের লোকেরা, পাড়ার লোকেরা সকলেই জানে সঞ্জীববাবুর ছেলের বউ যাচ্ছে।
দেবলীনার নতুন করে জীবন শুরু হয়ে গেলো।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর অধ্যাপক চন্দ পরপর তিনচারদিন দেবলীনা আর সঞ্জীববাবুর অনুরোধে এ বাড়ীতে এলেন। এ লোকটিকে দেবলীনার খুব ভালো লাগে।
পান্ডিত্য অগাধ। অনেকগুলো ভাষা জানেন। নিষ্ঠার সঙ্গে আজও তিনি ভাষা চর্চা করে চলেছেন। সাংবাদিক জীবনে অধ্যাপক চন্দের সঙ্গে দেবলীনার বাবার পরিচয় হয়। দেবলীনার বাবা অধ্যাপক চন্দের একেবারে কাছের বন্ধু ছিলেন।
যদিও দেবলীনার গুরু তার বাবা সৌমেন দত্ত তবু অধ্যাপক চন্দের চরিত্র, ব্যক্তিত্বকে সে অত্যন্ত সন্মান করে।
সে অধ্যাপক চন্দের কাছ থেকে ভাষা শিখতে গিয়েও নানারকম ভাবে উৎসাহ পেয়েছে, সাহায্য পেয়েছে। বিভিন্ন ভাষায় যখন তার মন মশগুল হয়ে থাকতো, নতুন নতুন শব্দের অনুসন্ধান করতে পেরে যখন তার মন উদ্ভাসিত হয়ে উঠতো তখন মৃদু হাতের পরশ দিয়ে অধ্যাপক চন্দ বলতেন - মাই গার্ল, এ জন্যই আমি তোমায় এতো ভালোবাসি। আরো অনুসন্ধান চালিয়ে যাও। দেখতে পাবে এরমধ্যে আরো কত আনন্দ আছে।
আসলে এসব উৎসাহ দানের মধ্যেই নিহিত রয়েছে অধ্যাপক চন্দের মূল শিক্ষার আনন্দ আর এজন্যই দেবলীনা অধ্যাপক চন্দকে এতো শ্রদ্ধা ও সন্মান করে।
কিন্তু এই অধ্যাপক চন্দ চার পাঁচ বছর কোথায় ছিলেন, দেবলীনা তার অনুসন্ধান চালিয়েও খোঁজ করে উঠতে পারে নি। তিনি মাঝে মাঝে এরকমভাবে হারিয়ে যান আবার ভেসে ওঠেন। এর কারণ কি, সচরাচর এ কথার উত্তর তিনি কাওকে বড় একটা দেন না।
একবার প্রায় এক বছর পর্যন্ত অধ্যাপক চন্দ দেবলীনাদের কাছ দেকে নিখোঁজ হয়ে ছিলেন। এক বছর পর দেবলীনার বাবা অধ্যাপক চন্দকে মস্কোর এক চাষীর ঘর থেকে বার করেছিলেন।
দেবলীনা জিজ্ঞাসা করেছিলো - এতদিন চিঠিপত্র দেন নি কেন ?
অধ্যাপক চন্দ হাসতে হাসতে বলেছিলেন - এতো দিন রাশিয়ায় এক চাষীর ঘরে অতিথি হয়ে ছিলাম। সেখানকার চাষীদের জীবন উপভোগ করলাম। সত্যি কি সুন্দর !
অধ্যাপক চন্দ এইভাবে মাঝে মাঝে নিজেকে লুকিয়ে রেখে নিজেকে অনুসন্ধান করে বেড়াতেন।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)