02-07-2021, 12:36 PM
আমরা কিন্তু আঁচ করতে পারছি কিছুটা। নির্ঘাত রাত্রে বেলা পিসে-পিসি র কথা শুনেছে। রঞ্জু দা আমার পিসতুতো দাদা, ওর এই লুকিয়ে কথা শোনার অভ্যাস টা বরাবরের। আমাদের সব কথা বাবা- মা-দের কাছে গিয়ে লাগাত, ওদের কথা আমাদের এসে বলত। দু পক্ষেই রঞ্জু দার সুনাম- দুর্নাম সমান সমান। এবার নিজের বাবা মা কেও রেহাই দিল না। ফুলদিও রঞ্জু দা কে সমঝে চলে।
‘আরে কাল রাত্রে বিছানার এক পাশে মটকা মেরে শুয়ে ছিলাম বুঝলি তো?!, তখনই মা বাবা কে বলল শুনলাম; ছোট কাকা এই বিয়েটা মেনে নিতে পারছে না’।' এটা বোঝার মত বয়স আমাদের সবারই হয়েছে, আমরা আগে থাকতেই জানতাম।
‘নতুন কি শুনলে/শুনলি?’, সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠলাম।
‘আরে আস্তে, কেউ শুনে ফেলবে...’, (গলা নামিয়ে) মা বলল আমাদের কাকিমা র আগে একটা বিয়ে হয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে কাকিমা র আগের স্বামী এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। কাকিমা এরপর বাপের বাড়ি চলে আসে। এসব কথা বাড়ির বড়রা জানলেও, ছোট কাকা জানত না। বিয়ের পরে সব জেনে গিয়ে বলছে এ বিয়ে একটা ধাপ্পাবাজি, কাকিমা কেও গালাগালি দিচ্ছে হরদম’।
এসব নতুন কথা, আমাদের জানার কথাও নয়। এতে কাকিমার কি দোষ আমরা বুঝতে পারছি না। আগের স্বামী যে দুর্ঘটনায় মারা গ্যাছে, তাতে কাকিমার কিছু করার নেই। আর একথা যে আমাদের বাড়ির লোক তাদের ছেলের কাছে চেপে যাবে, তা কাকিমা আর কি করে জানবে?।' কাকা র উপর আমাদের খুব রাগ হচ্ছে।
সেদিন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা কাকার সাথে কথা বলব না। বাড়ির বড়রাও কাকার সাথে কথা বলা কমিয়ে দিয়েছে। তাতে কাকা অবশ্য শুধরোয় নি। কাকা ভাবছে কাকিমা এসবের পিছনে রয়েছে। কাকিমার উপরে কাকা আরও চোটপাট করা শুরু করল। কাকিমা কিন্তু একটা কথাও কাউকে কিছু বলে না, এমনকি কাকা যে কটু কথার স্রোত ছোটায়, তখনও কিছুই বলে না। শুধু মাথা নিচু করে চোখের জল ফেলে। আমাদের ছোটদের কত ভালবাসে কাকিমা। কাকিমার কষ্ট আমাদের কাছে অসঝ্য হয়ে উঠছে।
‘আরে কাল রাত্রে বিছানার এক পাশে মটকা মেরে শুয়ে ছিলাম বুঝলি তো?!, তখনই মা বাবা কে বলল শুনলাম; ছোট কাকা এই বিয়েটা মেনে নিতে পারছে না’।' এটা বোঝার মত বয়স আমাদের সবারই হয়েছে, আমরা আগে থাকতেই জানতাম।
‘নতুন কি শুনলে/শুনলি?’, সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠলাম।
‘আরে আস্তে, কেউ শুনে ফেলবে...’, (গলা নামিয়ে) মা বলল আমাদের কাকিমা র আগে একটা বিয়ে হয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে কাকিমা র আগের স্বামী এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। কাকিমা এরপর বাপের বাড়ি চলে আসে। এসব কথা বাড়ির বড়রা জানলেও, ছোট কাকা জানত না। বিয়ের পরে সব জেনে গিয়ে বলছে এ বিয়ে একটা ধাপ্পাবাজি, কাকিমা কেও গালাগালি দিচ্ছে হরদম’।
এসব নতুন কথা, আমাদের জানার কথাও নয়। এতে কাকিমার কি দোষ আমরা বুঝতে পারছি না। আগের স্বামী যে দুর্ঘটনায় মারা গ্যাছে, তাতে কাকিমার কিছু করার নেই। আর একথা যে আমাদের বাড়ির লোক তাদের ছেলের কাছে চেপে যাবে, তা কাকিমা আর কি করে জানবে?।' কাকা র উপর আমাদের খুব রাগ হচ্ছে।
সেদিন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা কাকার সাথে কথা বলব না। বাড়ির বড়রাও কাকার সাথে কথা বলা কমিয়ে দিয়েছে। তাতে কাকা অবশ্য শুধরোয় নি। কাকা ভাবছে কাকিমা এসবের পিছনে রয়েছে। কাকিমার উপরে কাকা আরও চোটপাট করা শুরু করল। কাকিমা কিন্তু একটা কথাও কাউকে কিছু বলে না, এমনকি কাকা যে কটু কথার স্রোত ছোটায়, তখনও কিছুই বলে না। শুধু মাথা নিচু করে চোখের জল ফেলে। আমাদের ছোটদের কত ভালবাসে কাকিমা। কাকিমার কষ্ট আমাদের কাছে অসঝ্য হয়ে উঠছে।