28-06-2021, 12:12 PM
(This post was last modified: 28-06-2021, 12:13 PM by TumiJeAmar. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
সুচনা -
সুনিতা থাকে কেরালার একটা ছোটো শহরের উপকণ্ঠে। কেরালার একটা ছোটো শহর পালঘাট। এখন যদিও ওই শহরের নাম বদলে Palakkad করা হয়েছে, কিন্তু ওর আসল নাম প্রায় কোন বাঙালিই উচ্চারণ করতে পারে না আর বাংলাতে লেখাও যায় না। পালঘাট থেকে ১০ কিমি দূরে একটা ছোট্ট পাড়া, নাম “কালমন্ডপম”। এখানেই সুনিতা থাকে, ওর বাবা, মা আর ছোটো ভাইয়ের সাথে।
সুনিতার বয়স তখন ১৮, নিস্পাপ, সরল, সাদাসিধে একটা মেয়ে। ক্লাস টুয়েলভের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে বাড়ীতে বসে আছে। সকালে উঠে মার হাতে একটু কাজ করে দেওয়া ছাড়া সেরকম কোন কাজ নেই। ওদের বাড়ীর পাস দিয়ে একটা ক্যানাল গিয়েছে। ও সারাদিন সে ক্যানালের ধারে বসে থাকে আর চারপাসের প্রকৃতির মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখে। দুজন বন্ধু আছে ওর যারা ওর বাড়ীর কাছেই থাকে। সুনিতা, লতা, আর দিব্যা – এই তিন বন্ধু। ওরা একসাথেই ক্যানালের ধারে এসে বসে।
এই মেয়েরা কে কেমন দেখতে ? কেরালার হিসাবে সুনিতা বেশ ফর্সা। একদম স্লিম চেহারা। লম্বা প্রায় ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। বুক বেশী বড় না। নিতম্বও বেশী বড় নয়। লতা, আর দিব্যা দুজনেরই গায়ের রঙ কালো বা কালচে। সবাই প্রায় একই রকম লম্বা। এর মধ্যে লতার বুক সবথেকে উদ্ধত। দিব্যার বুক মাঝারি। লতার নিতম্ব বেশ বড়, প্রায় দক্ষিন আফ্রিকার মেয়েদের মত। ওদের কলেজের কিছু ছেলে কোন না কোন বাহানায় লতার নিতম্ব ছুঁয়ে দেখতে চাইত আর লতারও সেটা খারাপ লাগতো না। দিব্যা সব থেকে দুষ্টু ছিল। কখনো এক জায়গায় বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকা ওর কখনই ভালো লাগতো না। এই বয়সের ছেলে মেয়েদের মত সেক্স নিয়ে কৌতূহল সবারই ছিল কিন্তু লতারই সব থেকে বেশী ছিল। কোন ছেলে কিরকম দেখতে, কে ওদের দিকে কি ভাবে তাকাল, কে ওর বুকের দিকে তাকাল বা পশ্চাৎ দেশে হাত দিল সেই নিয়ে গল্প করতে বেশী ভালবাসত। সুনিতা শান্ত মেয়ে, সবাইকে বন্ধু বলে মেনে নিতে দ্বিধা করতো না। তিনজনে তিন রকম চরিত্রের হলেও ওদের বন্ধুত্ব খুব কাছের ছিল। একদিনও কেউ কাউকে ছাড়ে থাকতে পারত না।
যেহেতু এই গল্পের নায়িকা সুনিতা, আমরা ওর কথাই বেশী করে জানব। ওর ভাই এর নাম মীনাক্ষিসুন্দরম, কিন্তু সবার কাছে ও হয়ে গেছিল মীনা। বাংলাতে মীনা মেয়েদের নাম কিন্ত কেরালায় মনে হয় সেইরকম কিছু ছিল না। মীনা ক্লাস ৬ এ পড়ে। পড়াশুনোতে বেশ ভালো আর ভীষণ চঞ্চল। সুনিতার বাবা ওখানেই একটা ইলেকট্রনিক্স কারখানাতে গার্ডের কাজ করে। ওর মা সাধারণ গৃহবধূ। ওদের থাকার জায়গাটাকে ঠিক বাড়ি বলা যায় না। একটানা পাশাপাশি চারটে ঘর। তার মধ্যে মাঝের দুটোতে ওরা থাকে। পেছনে একটা ছোটো রান্না ঘর। একটা ল্যাট্রিন যত ছোটো হওয়া সম্ভব। আর একটা বাথরুম আছে যেটার ওপরে কোন ছাদ নেই আর চারপাশে কিছু একটা বেড়া দিয়ে ঘেরা। এক পাশের ঘরটাতে এই সো কল্ড বাড়ীর মালিক এক বুড়ো থাকে। আরেকদিকের ঘরটাতে তিনটে ব্যাচেলর ছেলে একসাথে মেস করে থাকে। ওই ছেলেগুলো সবাই ওর বাবা সাথেই কাজ করে, বিভিন্ন পোস্টে। সব ছেলেগুলোই ভদ্র আর কোনদিন কোন অসভ্যতা করতনা বা উচ্ছৃঙ্খল জীবন কাটাত না।
এই ভাবেই সুনিতাদের জীবন সুখে শান্তিতে কেটে যাচ্ছিল। একদিন সুনিতা সকালে উঠে ওর রাতের পোশাকেই বাইরে এসেছে, দেখে ওই তিনটে ছেলের সাথে একটা সুন্দর দেখতা ছেলে। ফর্সা, বেশ লম্বা, একটা চেয়ারে বসে কোন একটা বই পড়ছে আর সিগারেট খাচ্ছে। সুনিতা ছেলেটাকে দেখে নড়তে পারে না। ওর ঘরের সামনের সিঁড়িতে বসে একদৃষ্টে ওই নতুন ছেলেটার দিকে তাকিয়ে থাকে। ছেলেটাকে দেখে ওর কেরালার বল মনে হচ্ছিল না, মনে হয় নর্থের কোন জায়গার হবে। হটাত মীনা এসে দিদি বলে ডাকতেই সুনিতা চমকে উঠল আর ছেলেটা মুখ তুলে তাকায়।
দুজনেই দুজনের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকল। মীনা এসে সুনিতাকে ধাক্কা দিতেই ও আরেকবার চমকে ওঠে। ছেলেটা আবার বই পড়তে শুরু করে দেয়। মীনা বলে, “দ্যাখ দিদি ওই ঘরে কাল একটা নতুন লোক এসেছে, কি সুন্দর দেখতে। একবারে মনে হচ্ছে হিন্দি সিনেমার হিরো”।
সুনিতা বলে, “হিরো না কচু, হ্যাঁ একটু ভালো দেখতে। আর লোক কোথায় ও তো একটা বাচ্চা ছেলে। আর কি গম্ভীর, আবার বই পড়তে শুরু করে দিয়েছে। আমার তো একটু বোকা বোকা লাগছে”।
মীনা কিছু না বলে ছেলেটাকে দেখতে লাগে। তারপর বলে, “দিদি আমি একটু কথা বলে দেখব” ?
সুনিতা চোখ কুঁচকে একটু ভাবে, তারপর বলে, “কে না কে কথা বলার কোন দরকার নেই”।
এই বলে সুনিতা ঘরে চলে যায়। মুখ হাত ধুয়ে, পরিষ্কার হয়ে, একটা একটু ভালো জামা পড়ে বাইরে এসে আবার বসে। আর বসেই একটা বই পড়তে শুরু করে। ওর মা উঠে বার বার বলতে লাগেন সকালের কাজ গুলো করার জন্য। কিন্তু সুনিতা কিছুতেই ওঠে না। বইয়ের দিকে চোখ কিন্তু মন বইয়ের দিকে না। ওর মনে হল যে ওই ছেলেটাকে দেখার পরে মনে হয় ওর মনে কিছু একটা হচ্ছে। কিন্তু কি হচ্ছে সেইটা বুঝতে পারছে না। এমন না যে ও কোনদিন ভালো দেখতে ছেলে কোনদিন দেখেনি। কিন্তু বুঝতে পারছিল না কেন যে ওই ছেলেটাকে দেখতে এত ইচ্ছা করছে। একবার নিজের মনকে বলছে যে একটা ছেলেই তো, হাতি ঘোড়া কিছুই না। কিন্তু পরমুহূর্তে ভাবছে কিছু একটা বিশেষতা আছে ছেলেটার মধ্যে, কিন্তু কি সেইটা বুঝতে পারছিল না। মীনা এসে ওর পাশে আবার বসতেই ও তৃতীয় বারের মত চমকে উঠল। মীনাও বলে যে ও আজ এত চমকাচ্ছে কেন। সুনিতা কিছু বলল না। ওর মা আবার ভেতর থেকে বেশ জোরেই বললেন যে ঘর পরিষ্কার কখন করবে।
মা যদিও ছেলে মেয়ের সব কিছু বোঝে কিন্তু সুনিতার কি হয়েছে সেটা ওর মা দেখেও নি বা কিছু জানেও না। জানলেও যে কি হত কে জানে। যাই হোক সুনিতা একটু জোড়েই উত্তর দিল যে একটু পরে করবে, ও একটা বই পড়ছে। মীনা বলল, “দিদি যাই না ছেলেটার সাথে একটু কথা বলি”।
সুনিতা বলে, “কি কথা বলবি? আচ্ছা জিজ্ঞ্যাসা কর কথা থেকে এসেছে, কেন এসেছে আর কতদিন থাকবে”?
মীনা “বাপরে এত কিছু জানতে হবে” বলে ছেলেটার কাছে যায়। ও ছেলেটাকে ওর ভাষায় কিছু জিজ্ঞাসা করতেই ছেলেটা ইংরাজিতে উত্তর দেয় যে ও মালয়ালম জানে না। এখন মীনা একটু একটু ইংরাজি জানে কিন্তু প্রায় কিছুই বলতে পারে না বা বলার চেস্টাও করেনি কখনো। মীনা একটু ভেবে নিজের নাম বলে আর ওকে ওর দিদি যা যা জিজ্ঞাসা করতে বলেছিল সব জিজ্ঞাসা করে । ছেলেটা বলে ওর নাম আকাশ আর আকাশ মানে sky. ও কোলকাতা থেকে এসেছে। বাংলা ভাষায় কথা বলে। ওখানে ও এক মাসের জন্য এসেছে একটা ট্রেনিং এর জন্য।
মীনা দৌড়ে গিয়ে সব দিদিকে বলতে লাগে। আকাশ বুঝতে পারে যে মীনাকে ওর দিদিই পাঠিয়েছিল। এবার ও মুখ তুলে সুনিতা কে গভীর ভাবে দেখতে থাকে। দেখতে দেখতে ভাবে, মুখটা বেশ সুন্দর, কোন ব্রনর দাগ নেই, একদম সমান। নিচের ঠোঁটের পাশে একটা ছোটো তিল আছে। একটা পেট খোলা জামা পড়ে আছে। হালকা হলুদ রঙের জামা। জামার নীচে ছোট্ট দুটো স্তন। পেট পুরো খোলা, একটুও চর্বি নেই। নাভিটা ভালো ভাবে দেখা যাচ্ছে আর খুব সুন্দর নাভি। ওর মনে হল এইরকম সুন্দর নাভি ও কোনদিন দেখেনি। আসলে ও কলকাতায় যত মেয়ের পেট দেখতে পায় সেগুলো হয় ঢাকা থাকে আর না হলে চর্বি ভর্তি থাকে। সেগুলোকে আর পেট না বলে ভুঁড়ি বলে। তাই ও এইরকম দ্বিধাহীন ভাবে প্রস্ফুটিত নাভি কখনই দেখেনি। ও মেয়েটার পেটের দিকে তাকিয়েই থাকল। সুনিতাও আকাশকে দেখছিল। আর দেখছিল। আর দেখতে দেখতে ভাবছিল ছেলেটাও ওকে দেখছে। তারপর ও ছেলেটার দৃষ্টি অনুসরণ করে বুঝল যে ছেলেটা ওর পেট দেখছে। কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারে না একটা ছেলে ওর পেট কেন দেখবে।
ঠিক তখনই সুনিতার মা বেরিয়ে এসে মেয়েকে বকতে শুরু করেন যে কোন কাজ করছে না কেন। এসে ওর মাও দুজনকে ওইভাবে একে অন্যকে বিভোর হয়ে দেখতে দেখে বুঝতে পারলেন মেয়ের কি হয়েছে। কিন্তু ওর মার এইরকম একটা বিদেশী ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকা মতেই পছন্দো হল না। মেয়েকে একটু জোরেই বললেন ভেতরে গিয়ে কাজ করতে। সুনিতা তাড়াতাড়ি ভেতরে চলে যায়। আকাশও একটু অপ্রস্তুত হয়ে ওর ঘরে চলে গেল। মীনা ওর মাকে বলে আকাশ কোলকাতা থেকে এসেছে।
আকাশ কোলকাতার ছেলে। ২৩ বছর বয়েস। ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার, একমাস ব্যাঙ্গালরে থাকার পর এখানে এসছে ট্রেনিং এর জন্য। ওর ব্যাঙ্গালরের একমাস বড়ই নীরস কেটেছে। যদিও আকাশ ভালো ছেলে, মেয়েদের সাথে খুব বেশী মেলামেশা করে না। ও বিয়ের আগে কোন মেয়ের সাথে সেক্স করতেও চায় না। মেয়েদের সাথে গল্প করতে খুব ভালোবাসে। আর সুযোগ পেলে মেয়েদের চুমু খেতে ভালই লাগে। চার পাঁচটা মেয়ের বুকেও হাত দিয়ে দেখেছে আর খুব ভালো লেগেছে। গত একমাসে অফিসের দুটো বুড়ি ছাড়া কোন মেয়ের সাথে কথা বলেনি। এতদিন পরে একটা সাধারণ কিন্তু পবিত্র সুন্দর মেয়ে দেখে মন একটু কেমন করে উঠেছে। ও ভাবছিল এত পবিত্র কোন মেয়ে হয় কি করে। হটাত ওর মনে আসলো কোন পুজার ভোগে যে পরিষ্কার সাদা পায়েস দেওয়া হয় সেইরকম পবিত্র দেখতে। তারপরে নিজের মনেই হেঁসে উঠল একটা মেয়েকে পায়েসের সাথে তুলনা করে।
আকাশ তাড়াতাড়ি চান করে অফিসের জন্য বেরিয়ে যায়। যাবার সময় মেয়েটার চোখে চোখ পরতেই একটু হেঁসে ওর কাছে আসে আর ইংরাজিতে বলে ওর ঠোঁটের নিচের তিলটা আরেকটু বড় হলে ওকে অনেক বেশী সুন্দর লাগতো। বলেই কোন উত্তরের অপেক্ষা না করে চলে যায়। সুনিতা একটু অবাক হয়ে যায় একটা অচেনা ছেলের কাছে ওইরকম কথা শুনে আর হাত তুলে টাটা করতে যায়, কিন্তু দেখে আকাশ দূরের আকাশের দিকে হেঁটে চলে যাছে।
সুনিতা থাকে কেরালার একটা ছোটো শহরের উপকণ্ঠে। কেরালার একটা ছোটো শহর পালঘাট। এখন যদিও ওই শহরের নাম বদলে Palakkad করা হয়েছে, কিন্তু ওর আসল নাম প্রায় কোন বাঙালিই উচ্চারণ করতে পারে না আর বাংলাতে লেখাও যায় না। পালঘাট থেকে ১০ কিমি দূরে একটা ছোট্ট পাড়া, নাম “কালমন্ডপম”। এখানেই সুনিতা থাকে, ওর বাবা, মা আর ছোটো ভাইয়ের সাথে।
সুনিতার বয়স তখন ১৮, নিস্পাপ, সরল, সাদাসিধে একটা মেয়ে। ক্লাস টুয়েলভের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে বাড়ীতে বসে আছে। সকালে উঠে মার হাতে একটু কাজ করে দেওয়া ছাড়া সেরকম কোন কাজ নেই। ওদের বাড়ীর পাস দিয়ে একটা ক্যানাল গিয়েছে। ও সারাদিন সে ক্যানালের ধারে বসে থাকে আর চারপাসের প্রকৃতির মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে রাখে। দুজন বন্ধু আছে ওর যারা ওর বাড়ীর কাছেই থাকে। সুনিতা, লতা, আর দিব্যা – এই তিন বন্ধু। ওরা একসাথেই ক্যানালের ধারে এসে বসে।
এই মেয়েরা কে কেমন দেখতে ? কেরালার হিসাবে সুনিতা বেশ ফর্সা। একদম স্লিম চেহারা। লম্বা প্রায় ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। বুক বেশী বড় না। নিতম্বও বেশী বড় নয়। লতা, আর দিব্যা দুজনেরই গায়ের রঙ কালো বা কালচে। সবাই প্রায় একই রকম লম্বা। এর মধ্যে লতার বুক সবথেকে উদ্ধত। দিব্যার বুক মাঝারি। লতার নিতম্ব বেশ বড়, প্রায় দক্ষিন আফ্রিকার মেয়েদের মত। ওদের কলেজের কিছু ছেলে কোন না কোন বাহানায় লতার নিতম্ব ছুঁয়ে দেখতে চাইত আর লতারও সেটা খারাপ লাগতো না। দিব্যা সব থেকে দুষ্টু ছিল। কখনো এক জায়গায় বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকা ওর কখনই ভালো লাগতো না। এই বয়সের ছেলে মেয়েদের মত সেক্স নিয়ে কৌতূহল সবারই ছিল কিন্তু লতারই সব থেকে বেশী ছিল। কোন ছেলে কিরকম দেখতে, কে ওদের দিকে কি ভাবে তাকাল, কে ওর বুকের দিকে তাকাল বা পশ্চাৎ দেশে হাত দিল সেই নিয়ে গল্প করতে বেশী ভালবাসত। সুনিতা শান্ত মেয়ে, সবাইকে বন্ধু বলে মেনে নিতে দ্বিধা করতো না। তিনজনে তিন রকম চরিত্রের হলেও ওদের বন্ধুত্ব খুব কাছের ছিল। একদিনও কেউ কাউকে ছাড়ে থাকতে পারত না।
যেহেতু এই গল্পের নায়িকা সুনিতা, আমরা ওর কথাই বেশী করে জানব। ওর ভাই এর নাম মীনাক্ষিসুন্দরম, কিন্তু সবার কাছে ও হয়ে গেছিল মীনা। বাংলাতে মীনা মেয়েদের নাম কিন্ত কেরালায় মনে হয় সেইরকম কিছু ছিল না। মীনা ক্লাস ৬ এ পড়ে। পড়াশুনোতে বেশ ভালো আর ভীষণ চঞ্চল। সুনিতার বাবা ওখানেই একটা ইলেকট্রনিক্স কারখানাতে গার্ডের কাজ করে। ওর মা সাধারণ গৃহবধূ। ওদের থাকার জায়গাটাকে ঠিক বাড়ি বলা যায় না। একটানা পাশাপাশি চারটে ঘর। তার মধ্যে মাঝের দুটোতে ওরা থাকে। পেছনে একটা ছোটো রান্না ঘর। একটা ল্যাট্রিন যত ছোটো হওয়া সম্ভব। আর একটা বাথরুম আছে যেটার ওপরে কোন ছাদ নেই আর চারপাশে কিছু একটা বেড়া দিয়ে ঘেরা। এক পাশের ঘরটাতে এই সো কল্ড বাড়ীর মালিক এক বুড়ো থাকে। আরেকদিকের ঘরটাতে তিনটে ব্যাচেলর ছেলে একসাথে মেস করে থাকে। ওই ছেলেগুলো সবাই ওর বাবা সাথেই কাজ করে, বিভিন্ন পোস্টে। সব ছেলেগুলোই ভদ্র আর কোনদিন কোন অসভ্যতা করতনা বা উচ্ছৃঙ্খল জীবন কাটাত না।
এই ভাবেই সুনিতাদের জীবন সুখে শান্তিতে কেটে যাচ্ছিল। একদিন সুনিতা সকালে উঠে ওর রাতের পোশাকেই বাইরে এসেছে, দেখে ওই তিনটে ছেলের সাথে একটা সুন্দর দেখতা ছেলে। ফর্সা, বেশ লম্বা, একটা চেয়ারে বসে কোন একটা বই পড়ছে আর সিগারেট খাচ্ছে। সুনিতা ছেলেটাকে দেখে নড়তে পারে না। ওর ঘরের সামনের সিঁড়িতে বসে একদৃষ্টে ওই নতুন ছেলেটার দিকে তাকিয়ে থাকে। ছেলেটাকে দেখে ওর কেরালার বল মনে হচ্ছিল না, মনে হয় নর্থের কোন জায়গার হবে। হটাত মীনা এসে দিদি বলে ডাকতেই সুনিতা চমকে উঠল আর ছেলেটা মুখ তুলে তাকায়।
দুজনেই দুজনের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকল। মীনা এসে সুনিতাকে ধাক্কা দিতেই ও আরেকবার চমকে ওঠে। ছেলেটা আবার বই পড়তে শুরু করে দেয়। মীনা বলে, “দ্যাখ দিদি ওই ঘরে কাল একটা নতুন লোক এসেছে, কি সুন্দর দেখতে। একবারে মনে হচ্ছে হিন্দি সিনেমার হিরো”।
সুনিতা বলে, “হিরো না কচু, হ্যাঁ একটু ভালো দেখতে। আর লোক কোথায় ও তো একটা বাচ্চা ছেলে। আর কি গম্ভীর, আবার বই পড়তে শুরু করে দিয়েছে। আমার তো একটু বোকা বোকা লাগছে”।
মীনা কিছু না বলে ছেলেটাকে দেখতে লাগে। তারপর বলে, “দিদি আমি একটু কথা বলে দেখব” ?
সুনিতা চোখ কুঁচকে একটু ভাবে, তারপর বলে, “কে না কে কথা বলার কোন দরকার নেই”।
এই বলে সুনিতা ঘরে চলে যায়। মুখ হাত ধুয়ে, পরিষ্কার হয়ে, একটা একটু ভালো জামা পড়ে বাইরে এসে আবার বসে। আর বসেই একটা বই পড়তে শুরু করে। ওর মা উঠে বার বার বলতে লাগেন সকালের কাজ গুলো করার জন্য। কিন্তু সুনিতা কিছুতেই ওঠে না। বইয়ের দিকে চোখ কিন্তু মন বইয়ের দিকে না। ওর মনে হল যে ওই ছেলেটাকে দেখার পরে মনে হয় ওর মনে কিছু একটা হচ্ছে। কিন্তু কি হচ্ছে সেইটা বুঝতে পারছে না। এমন না যে ও কোনদিন ভালো দেখতে ছেলে কোনদিন দেখেনি। কিন্তু বুঝতে পারছিল না কেন যে ওই ছেলেটাকে দেখতে এত ইচ্ছা করছে। একবার নিজের মনকে বলছে যে একটা ছেলেই তো, হাতি ঘোড়া কিছুই না। কিন্তু পরমুহূর্তে ভাবছে কিছু একটা বিশেষতা আছে ছেলেটার মধ্যে, কিন্তু কি সেইটা বুঝতে পারছিল না। মীনা এসে ওর পাশে আবার বসতেই ও তৃতীয় বারের মত চমকে উঠল। মীনাও বলে যে ও আজ এত চমকাচ্ছে কেন। সুনিতা কিছু বলল না। ওর মা আবার ভেতর থেকে বেশ জোরেই বললেন যে ঘর পরিষ্কার কখন করবে।
মা যদিও ছেলে মেয়ের সব কিছু বোঝে কিন্তু সুনিতার কি হয়েছে সেটা ওর মা দেখেও নি বা কিছু জানেও না। জানলেও যে কি হত কে জানে। যাই হোক সুনিতা একটু জোড়েই উত্তর দিল যে একটু পরে করবে, ও একটা বই পড়ছে। মীনা বলল, “দিদি যাই না ছেলেটার সাথে একটু কথা বলি”।
সুনিতা বলে, “কি কথা বলবি? আচ্ছা জিজ্ঞ্যাসা কর কথা থেকে এসেছে, কেন এসেছে আর কতদিন থাকবে”?
মীনা “বাপরে এত কিছু জানতে হবে” বলে ছেলেটার কাছে যায়। ও ছেলেটাকে ওর ভাষায় কিছু জিজ্ঞাসা করতেই ছেলেটা ইংরাজিতে উত্তর দেয় যে ও মালয়ালম জানে না। এখন মীনা একটু একটু ইংরাজি জানে কিন্তু প্রায় কিছুই বলতে পারে না বা বলার চেস্টাও করেনি কখনো। মীনা একটু ভেবে নিজের নাম বলে আর ওকে ওর দিদি যা যা জিজ্ঞাসা করতে বলেছিল সব জিজ্ঞাসা করে । ছেলেটা বলে ওর নাম আকাশ আর আকাশ মানে sky. ও কোলকাতা থেকে এসেছে। বাংলা ভাষায় কথা বলে। ওখানে ও এক মাসের জন্য এসেছে একটা ট্রেনিং এর জন্য।
মীনা দৌড়ে গিয়ে সব দিদিকে বলতে লাগে। আকাশ বুঝতে পারে যে মীনাকে ওর দিদিই পাঠিয়েছিল। এবার ও মুখ তুলে সুনিতা কে গভীর ভাবে দেখতে থাকে। দেখতে দেখতে ভাবে, মুখটা বেশ সুন্দর, কোন ব্রনর দাগ নেই, একদম সমান। নিচের ঠোঁটের পাশে একটা ছোটো তিল আছে। একটা পেট খোলা জামা পড়ে আছে। হালকা হলুদ রঙের জামা। জামার নীচে ছোট্ট দুটো স্তন। পেট পুরো খোলা, একটুও চর্বি নেই। নাভিটা ভালো ভাবে দেখা যাচ্ছে আর খুব সুন্দর নাভি। ওর মনে হল এইরকম সুন্দর নাভি ও কোনদিন দেখেনি। আসলে ও কলকাতায় যত মেয়ের পেট দেখতে পায় সেগুলো হয় ঢাকা থাকে আর না হলে চর্বি ভর্তি থাকে। সেগুলোকে আর পেট না বলে ভুঁড়ি বলে। তাই ও এইরকম দ্বিধাহীন ভাবে প্রস্ফুটিত নাভি কখনই দেখেনি। ও মেয়েটার পেটের দিকে তাকিয়েই থাকল। সুনিতাও আকাশকে দেখছিল। আর দেখছিল। আর দেখতে দেখতে ভাবছিল ছেলেটাও ওকে দেখছে। তারপর ও ছেলেটার দৃষ্টি অনুসরণ করে বুঝল যে ছেলেটা ওর পেট দেখছে। কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারে না একটা ছেলে ওর পেট কেন দেখবে।
ঠিক তখনই সুনিতার মা বেরিয়ে এসে মেয়েকে বকতে শুরু করেন যে কোন কাজ করছে না কেন। এসে ওর মাও দুজনকে ওইভাবে একে অন্যকে বিভোর হয়ে দেখতে দেখে বুঝতে পারলেন মেয়ের কি হয়েছে। কিন্তু ওর মার এইরকম একটা বিদেশী ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকা মতেই পছন্দো হল না। মেয়েকে একটু জোরেই বললেন ভেতরে গিয়ে কাজ করতে। সুনিতা তাড়াতাড়ি ভেতরে চলে যায়। আকাশও একটু অপ্রস্তুত হয়ে ওর ঘরে চলে গেল। মীনা ওর মাকে বলে আকাশ কোলকাতা থেকে এসেছে।
আকাশ কোলকাতার ছেলে। ২৩ বছর বয়েস। ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার, একমাস ব্যাঙ্গালরে থাকার পর এখানে এসছে ট্রেনিং এর জন্য। ওর ব্যাঙ্গালরের একমাস বড়ই নীরস কেটেছে। যদিও আকাশ ভালো ছেলে, মেয়েদের সাথে খুব বেশী মেলামেশা করে না। ও বিয়ের আগে কোন মেয়ের সাথে সেক্স করতেও চায় না। মেয়েদের সাথে গল্প করতে খুব ভালোবাসে। আর সুযোগ পেলে মেয়েদের চুমু খেতে ভালই লাগে। চার পাঁচটা মেয়ের বুকেও হাত দিয়ে দেখেছে আর খুব ভালো লেগেছে। গত একমাসে অফিসের দুটো বুড়ি ছাড়া কোন মেয়ের সাথে কথা বলেনি। এতদিন পরে একটা সাধারণ কিন্তু পবিত্র সুন্দর মেয়ে দেখে মন একটু কেমন করে উঠেছে। ও ভাবছিল এত পবিত্র কোন মেয়ে হয় কি করে। হটাত ওর মনে আসলো কোন পুজার ভোগে যে পরিষ্কার সাদা পায়েস দেওয়া হয় সেইরকম পবিত্র দেখতে। তারপরে নিজের মনেই হেঁসে উঠল একটা মেয়েকে পায়েসের সাথে তুলনা করে।
আকাশ তাড়াতাড়ি চান করে অফিসের জন্য বেরিয়ে যায়। যাবার সময় মেয়েটার চোখে চোখ পরতেই একটু হেঁসে ওর কাছে আসে আর ইংরাজিতে বলে ওর ঠোঁটের নিচের তিলটা আরেকটু বড় হলে ওকে অনেক বেশী সুন্দর লাগতো। বলেই কোন উত্তরের অপেক্ষা না করে চলে যায়। সুনিতা একটু অবাক হয়ে যায় একটা অচেনা ছেলের কাছে ওইরকম কথা শুনে আর হাত তুলে টাটা করতে যায়, কিন্তু দেখে আকাশ দূরের আকাশের দিকে হেঁটে চলে যাছে।