26-06-2021, 11:15 PM
নয়
কয়েক মাস পরে রাধার একটি ফুটফুটে সুন্দর ছেলে হলো।
দেখতে দেখতে ছেলের বয়সও এক বৎসর হয়ে গেলো।
কিন্তু রাধার জীবনে আবার সেই পুরানো ঝড় নেমে এলো।
অশোককে নিয়ে তার কাকী বিমলা আগের মতো সেই কুৎসিত ইঙ্গিত করতে লাগলো।
গাঁয়ের অনেকেই বিমলার দেখাদেখি পথেঘাটে আবার সে সব নোংরা আলোচনা শুরু করে দিলো।
রাধারাণীর ছেলে দেখে বিমলার হিংসায় বুক ফেটে যেতে লাগলো।
পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে সকলের কাছে বলতে লাগলো, তাইতো বলি এতো তাড়াতাড়ি ছেলে হলো কি করে। একালে কে আর সতীর যুগ আছে গা? নইলে অভাগী বলে ওর স্বামী নাকি বিদেশ গেছে। এসব কথা কি কখনো বিশ্বাসের কথা? এতদিন কেউ কখনো কি নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকতে পারে ?
ওপাড়ার নন্দীর বউ আবার রেশ টেনে বলে - কথাটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
- মেয়েটা বলে আমার স্বামী বিদেশ গেছে। আরে এসব কথাত ছেলে ভোলানো কথা, অবুঝকে বোঝানোর কথা। রোজ রোজ গোছা গোছা পত্র আসে আমরা কি বুঝি না ওসব কার লেখা ?
- যতই বলুক বাপু, আমার মনে হয় ছুঁড়ির বিয়েই হয়নি।
- আরে আমিও ত তাই বলি। ওর সব কথাই বাজে। ওর দাদা কোলকাতায় নিয়ে গিয়ে কোন এক ছোঁড়ার সাথে দিয়ে দিয়েছিলো, এখন সব জানতে পেরে ছেড়ে মেরে পালিয়েছে। নইলে অমন মেয়েকে আবার কেউ জেনে শুনে বিয়ে করে নাকি।
- যা বলেছিস। নইলে আমি হলুম কাকী আমি জানলুম নি ছেলে কে--কোথায় থাকে--কি করে। এমন বিয়ে কোথাও দেখেছিস নাকি ?
আগে ছিল রাধা অবিবাহিতা, এখন যে সে বিবাহিতা। এক সন্তানের জননী। এ অপবাদ সে কি করে সহ্য করবে !
জার্মাণ থেকে চিঠি এসেছে, রামতনু শীগগীরই দেশে ফিরবে।
চিঠিটা বুকে নিয়ে রাধা অনেক্ষণ কেঁদেছে। স্বামী ফিরে এলে সে যদি এ সমস্ত মিথ্যা কুৎসিত অপবাদ গুলো শোনে। কি ভাববে।
এক ভীষণ আর্তনাদ বেরিয়ে আসে তার ভিতর থেকে। কিছুতেই সে নিজের হৃদস্পন্দন চেপে রাখতে পারে না।
এতদিন এতো দুঃখের মধ্যেও রাধার যে কথা মনে হয়নি আজ হঠাৎ সে কথাই রাধার মনে বিকাশ লাভ করতে লাগলো। এই যে বাড়ীর অনতিদূরে কানায় কানায় ভরা ঝিলটা রয়েছে ঐ জলে জীবন দিলে কেমন হয়। কিন্তু তাতেও কি তার কলংক দূর হবে, না রামতনু জানতে পারবে যে রাধার মনে কোন পাপই ছিলো না ? কিন্তু তবু যেন মৃত্যু তাকে সকল জ্বালা জুড়াতে বার বার আকর্ষণ করছে।
সে দিন এ উকিলবাবুই রাধাকে বাঁচিয়েছিলেন। রাধা সঞ্জীববাবুর পায়ে ধরে বলেছিলো - আমাকে বাঁচান। আপনি আমায় বাঁচান।
জীবনের জন্য বেঁচে থাকার জন্য সে কি নিদারুণ আকুল প্রার্থনা রাধার।
সঞ্জীববাবু রাধার মাথায় হাত দিয়ে বলেছিলেন - তোমার কোন ভয় নেই মা। আমি তোমায় বাঁচাবো।
সে কথা সঞ্জীববাবুর আজও স্পষ্ট মনে আছে।
রামতনু দেশে ফেরার কয়েকদিন আগে উকিলবাবু রাধাকে নিয়ে কোলকাতায় গিয়ে একটা বাসা ভাড়া করে, সেখানে তিনি নিজে রাধার স্বামীর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন।
তিনি রামতনুকে চন্দন গাঁয়ের স্টেশনে আর নামতে না দিয়ে পত্র মারফত সোজা কোলকাতায় এ বাসায় নিয়ে এলেন।
সেখানেই রাধার সঙ্গে রামতনুর মিলন হলো।
রাধা চোখে জল মুছে রামতনুর বুকে আশ্রয় নিলো। রামতনুও নিজের ছেলেকে আবেগে চুম্বন করে কোলে তুলে নিলো।
কয়েক মাস পরে রাধার একটি ফুটফুটে সুন্দর ছেলে হলো।
দেখতে দেখতে ছেলের বয়সও এক বৎসর হয়ে গেলো।
কিন্তু রাধার জীবনে আবার সেই পুরানো ঝড় নেমে এলো।
অশোককে নিয়ে তার কাকী বিমলা আগের মতো সেই কুৎসিত ইঙ্গিত করতে লাগলো।
গাঁয়ের অনেকেই বিমলার দেখাদেখি পথেঘাটে আবার সে সব নোংরা আলোচনা শুরু করে দিলো।
রাধারাণীর ছেলে দেখে বিমলার হিংসায় বুক ফেটে যেতে লাগলো।
পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে সকলের কাছে বলতে লাগলো, তাইতো বলি এতো তাড়াতাড়ি ছেলে হলো কি করে। একালে কে আর সতীর যুগ আছে গা? নইলে অভাগী বলে ওর স্বামী নাকি বিদেশ গেছে। এসব কথা কি কখনো বিশ্বাসের কথা? এতদিন কেউ কখনো কি নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকতে পারে ?
ওপাড়ার নন্দীর বউ আবার রেশ টেনে বলে - কথাটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
- মেয়েটা বলে আমার স্বামী বিদেশ গেছে। আরে এসব কথাত ছেলে ভোলানো কথা, অবুঝকে বোঝানোর কথা। রোজ রোজ গোছা গোছা পত্র আসে আমরা কি বুঝি না ওসব কার লেখা ?
- যতই বলুক বাপু, আমার মনে হয় ছুঁড়ির বিয়েই হয়নি।
- আরে আমিও ত তাই বলি। ওর সব কথাই বাজে। ওর দাদা কোলকাতায় নিয়ে গিয়ে কোন এক ছোঁড়ার সাথে দিয়ে দিয়েছিলো, এখন সব জানতে পেরে ছেড়ে মেরে পালিয়েছে। নইলে অমন মেয়েকে আবার কেউ জেনে শুনে বিয়ে করে নাকি।
- যা বলেছিস। নইলে আমি হলুম কাকী আমি জানলুম নি ছেলে কে--কোথায় থাকে--কি করে। এমন বিয়ে কোথাও দেখেছিস নাকি ?
আগে ছিল রাধা অবিবাহিতা, এখন যে সে বিবাহিতা। এক সন্তানের জননী। এ অপবাদ সে কি করে সহ্য করবে !
জার্মাণ থেকে চিঠি এসেছে, রামতনু শীগগীরই দেশে ফিরবে।
চিঠিটা বুকে নিয়ে রাধা অনেক্ষণ কেঁদেছে। স্বামী ফিরে এলে সে যদি এ সমস্ত মিথ্যা কুৎসিত অপবাদ গুলো শোনে। কি ভাববে।
এক ভীষণ আর্তনাদ বেরিয়ে আসে তার ভিতর থেকে। কিছুতেই সে নিজের হৃদস্পন্দন চেপে রাখতে পারে না।
এতদিন এতো দুঃখের মধ্যেও রাধার যে কথা মনে হয়নি আজ হঠাৎ সে কথাই রাধার মনে বিকাশ লাভ করতে লাগলো। এই যে বাড়ীর অনতিদূরে কানায় কানায় ভরা ঝিলটা রয়েছে ঐ জলে জীবন দিলে কেমন হয়। কিন্তু তাতেও কি তার কলংক দূর হবে, না রামতনু জানতে পারবে যে রাধার মনে কোন পাপই ছিলো না ? কিন্তু তবু যেন মৃত্যু তাকে সকল জ্বালা জুড়াতে বার বার আকর্ষণ করছে।
সে দিন এ উকিলবাবুই রাধাকে বাঁচিয়েছিলেন। রাধা সঞ্জীববাবুর পায়ে ধরে বলেছিলো - আমাকে বাঁচান। আপনি আমায় বাঁচান।
জীবনের জন্য বেঁচে থাকার জন্য সে কি নিদারুণ আকুল প্রার্থনা রাধার।
সঞ্জীববাবু রাধার মাথায় হাত দিয়ে বলেছিলেন - তোমার কোন ভয় নেই মা। আমি তোমায় বাঁচাবো।
সে কথা সঞ্জীববাবুর আজও স্পষ্ট মনে আছে।
রামতনু দেশে ফেরার কয়েকদিন আগে উকিলবাবু রাধাকে নিয়ে কোলকাতায় গিয়ে একটা বাসা ভাড়া করে, সেখানে তিনি নিজে রাধার স্বামীর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন।
তিনি রামতনুকে চন্দন গাঁয়ের স্টেশনে আর নামতে না দিয়ে পত্র মারফত সোজা কোলকাতায় এ বাসায় নিয়ে এলেন।
সেখানেই রাধার সঙ্গে রামতনুর মিলন হলো।
রাধা চোখে জল মুছে রামতনুর বুকে আশ্রয় নিলো। রামতনুও নিজের ছেলেকে আবেগে চুম্বন করে কোলে তুলে নিলো।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)