26-06-2021, 08:49 PM
আমি বোকার মতোই হাসলাম। বললাম, মতলব? মতলব থাকবে কেনো? আসলে, তোমার দাঁত কেমন খুব জানতে ইচ্ছে করে। কখনো হাসো না তো, তাই দেখার সুযোগটা হয়নি।
হেনা বললো, যদি দাঁত বেড় করে হাসি, তাহলে কি খুশী হবে? আমাকে আর এমন করে বিরক্ত করবে না তো? তুমি যদি খুশী হও, তাহলে জোড় করে হলেও জীবনে একবার হাসবো। শুধু তোমার জন্যে।
আমি অবাক হয়েই বললাম, আমার জন্যে হাসবে? তাও আবার জীবনে একবার?
হেনা মন খারাপ করেই বললো, জানো না, আমি কেনো হাসতে পারি না।
বাইরে থেকে একটা মানুষকে দেখে, অনেক কিছুই বুঝা যায় না। হেনাকেও আমি বুঝতে পারি না। হেনা উঠে দাঁড়ালো। উঠানের অপর প্রান্তের দিকেই এগুতে থাকলো। হঠাৎই থেমে দাঁড়িয়ে বললো, আমার মা নেই। না মানে, থেকেও নেই।
আমি বললাম, স্যরি, আমি জানতাম না।
হেনা বললো, লেখিকা শবনম রোজীর নাম শুনেছো? অনেক দুর্নাম আছে। তারপরও এক শ্রেণীর পাঠক পাঠিকার কাছে খুবই সমাদৃত। উনি আমার মা।
লেখিকা শবনম রোজীর নাম শুনবো না কেনো? অনেক দুর্নাম যে আছে তাও মিথ্যে নয়। এক নামকরা ধনীর যুবক ছেলে তো তার লেখা পড়ে প্রেমে পরে গিয়েছিলো। প্রেম নিবেদনও করেছিলো। শবনম রোজীও ছেলেটিকে ভালোবেসেছিলো। অথচ, শবনম রোজী শুধু সেই ছেলেটিকেই নয়, আরো একজন তরুন কবির প্রেমেও পরেছিলো। শেষ পর্য্যন্ত ধনীর যুবক ছেলেটি আত্মহত্যা করেছিলো। এসব পত্রিকার শিরোনাম আর সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন এ পড়া।
আমি বললাম, স্যরি হেনা, এসব এর আমি কিছুই জানতাম না।
হেনা বললো, বাবার মতো এমন নামকরা ডাক্তার কত কষ্টে এমন এক সমুদ্র এলাকায় ডাক্তারী করছে কেনো, তা তুমি বুঝবে না। রাজধানীতে বিশাল বাড়ীতেই আমরা থাকতাম। সব কিছুর মায়া ছেড়ে দিয়ে, আমি আর বাবা এখানে চলে এসেছি। তারপরও কি তুমি আমাকে হাসতে বলবে?
হেনা বললো, যদি দাঁত বেড় করে হাসি, তাহলে কি খুশী হবে? আমাকে আর এমন করে বিরক্ত করবে না তো? তুমি যদি খুশী হও, তাহলে জোড় করে হলেও জীবনে একবার হাসবো। শুধু তোমার জন্যে।
আমি অবাক হয়েই বললাম, আমার জন্যে হাসবে? তাও আবার জীবনে একবার?
হেনা মন খারাপ করেই বললো, জানো না, আমি কেনো হাসতে পারি না।
বাইরে থেকে একটা মানুষকে দেখে, অনেক কিছুই বুঝা যায় না। হেনাকেও আমি বুঝতে পারি না। হেনা উঠে দাঁড়ালো। উঠানের অপর প্রান্তের দিকেই এগুতে থাকলো। হঠাৎই থেমে দাঁড়িয়ে বললো, আমার মা নেই। না মানে, থেকেও নেই।
আমি বললাম, স্যরি, আমি জানতাম না।
হেনা বললো, লেখিকা শবনম রোজীর নাম শুনেছো? অনেক দুর্নাম আছে। তারপরও এক শ্রেণীর পাঠক পাঠিকার কাছে খুবই সমাদৃত। উনি আমার মা।
লেখিকা শবনম রোজীর নাম শুনবো না কেনো? অনেক দুর্নাম যে আছে তাও মিথ্যে নয়। এক নামকরা ধনীর যুবক ছেলে তো তার লেখা পড়ে প্রেমে পরে গিয়েছিলো। প্রেম নিবেদনও করেছিলো। শবনম রোজীও ছেলেটিকে ভালোবেসেছিলো। অথচ, শবনম রোজী শুধু সেই ছেলেটিকেই নয়, আরো একজন তরুন কবির প্রেমেও পরেছিলো। শেষ পর্য্যন্ত ধনীর যুবক ছেলেটি আত্মহত্যা করেছিলো। এসব পত্রিকার শিরোনাম আর সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন এ পড়া।
আমি বললাম, স্যরি হেনা, এসব এর আমি কিছুই জানতাম না।
হেনা বললো, বাবার মতো এমন নামকরা ডাক্তার কত কষ্টে এমন এক সমুদ্র এলাকায় ডাক্তারী করছে কেনো, তা তুমি বুঝবে না। রাজধানীতে বিশাল বাড়ীতেই আমরা থাকতাম। সব কিছুর মায়া ছেড়ে দিয়ে, আমি আর বাবা এখানে চলে এসেছি। তারপরও কি তুমি আমাকে হাসতে বলবে?