25-06-2021, 11:43 PM
ছয়
সঞ্জীববাবু আজ মর্মে মর্মে বুঝতে পেরেছেন যে সকলে মিলে তাকে কিভাবে ঠকাতে চেষ্টা করেছিলো। দেবলীনাকে যদি তিনি পুত্রবধূরুপে ঘরে না আনতেন তবে এর চেয়ে পরিতাপের বিষয় আর কিছুই থাকতো না। দেবলীনাকে ঘরে এনে তিনি যতখানি লাভবান হয়েছেন এর চেয়ে লাভবান যেন তিনি আর কিছুতে কোনদিন হতে পারেন নি।
তার মনে পড়ে যেদিন তিনি পাকাপাকি কথাবার্তা বলে, আশীর্বাদ করে বাড়ী ফিরছেন পথে পুলিশ ইন্সপেক্টর মিঃ গুপ্তর সঙ্গে দেখা। তিনিও ঐ পথ দিয়ে গাড়ীতে ফিরছিলেন। হঠাৎ ইন্সপেক্টর মশায় সঞ্জীববাবুকে চিনতে পেরে হাত জোড় করে বলে উঠলেন, নমস্কার। কি ব্যাপার, এদিকে কোথায় ?
সঞ্জীববাবু গাড়ীটা থামিয়ে বললেন আপনি ?
- এদিকে একটা কেস ছিল। তাই....
সঞ্জীববাবু বাধা দিয়ে বললেন - আমি গিয়েছিলাম ছেলের ভাবি বউকে আশীর্বাদ করতে।
মিঃ গুপ্ত একটু অবাক হয়ে সঞ্জীববাবুর দিকে তাকালেন।
সঞ্জীববাবু আবার বললেন - মানে বুঝতে পারলেন না? ছেলের বিয়ের সব ঠিক করলাম। আজই তার আশীর্বাদ হলো।
মিঃ গুপ্ত হেসে বললেন - তাই নাকি! সেতো খুব ভালো কথা, তা মেয়ে কোথাকার ?
- মোহিত গ্রামের।
মিঃ গুপ্ত কথাটা একটু মনে মনে চিন্তা করে বললেন - মোহিত গ্রামে? কোন বাড়ীটা বলুন তো? মেয়ের নাম কি ?
- দেবলীনা দত্ত।
- দেবলীনা দত্ত ?
- হ্যাঁ। মেয়ের বাবা নেই, মা আর কাকা আছেন।
- ও আচ্ছা এবার বুঝতে পেরেছি। দেবলীনা দত্ত। গুপ্ত একটু থেমে বললেন এইমাত্র কি আশীর্বাদ করে এলেন ?
- হ্যাঁ। কিন্তু আপনার মনে দ্বিধা দেখছি কি ব্যাপার বলুন তো ?
- যদি কিছু মনে না করেন একটা কথা বলি।
- না না বলুন।
- ও মেয়ের সাথে সম্পর্ক করতে যাচ্ছেন বটে কিন্তু ওর প্রতি তো পুলিশের নজর রয়েছে।
- তাই নাকি? কেন বলুন তো? আপনাদের কাছে কোন খারাপ রিপোর্ট আছে নাকি ?
- না না সেসব কিছু নেই। তবে গ্রামের লোকদের, পুলিশের কোন গুডউইল মেয়েটির উপর নেই। শোনা যায় মেয়েটি নাকি পার্টির সঙ্গে যুক্ত আছে। তাই পুলিশ মেয়েটির কাজকর্মের দিকে নজর রাখার চেষ্টা করছে।
তাই নাকি। কথাটা শুনে সঞ্জীববাবু একটু ঘাবড়ে গেলেন। তিনি মিঃ গুপ্তকে প্রশ্ন করলেন - আচ্ছা এসব ধারনা কি আপনারা গ্রামের লোকদের মতোই করেন, না কোন কিছু অন্ততঃ সামান্য প্রমাণও পেয়েছেন ?
- না সেরকম কোন প্রমাণ আমরা এখনো পাইনি তবে কথাটা যে মিথ্যা নয়, এটা আমাদের বিশ্বাস।
- আমার বিশ্বাস আপনাদের ধারণা ভুল।
মিঃ গুপ্ত একটু হেসে বললেন - তাই নাকি। বেশ তাই যদি হয়, তবেই সুখের হবে। আচ্ছা নমস্কার।
গাড়ীটা মুহুর্তে স্টার্ট দিয়ে চলে গেলো কিন্তু সঞ্জীববাবু সেখানেই গাড়ী নিয়ে বসে রইলেন। আজকের এই শুভদিনে গুপ্ত তার মনটাকে যেন একটা এ্যাকসিডেন্টের মতোই ভেঙে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিয়ে গেলো।
সঞ্জীববাবু ভাবছেন দেবলীনার নামে গ্রামে এর মধ্যেই যে বিশ্রী জনরব ছড়িয়ে পড়েছে তাকি একেবারে মিথ্যা হয়ে যাবে। বিশেষ করে যখন পুলিশের নজর পড়েছে তখন ত কিছু না কিছু সত্য হবেই।
সঞ্জীববাবু আজ মর্মে মর্মে বুঝতে পেরেছেন যে সকলে মিলে তাকে কিভাবে ঠকাতে চেষ্টা করেছিলো। দেবলীনাকে যদি তিনি পুত্রবধূরুপে ঘরে না আনতেন তবে এর চেয়ে পরিতাপের বিষয় আর কিছুই থাকতো না। দেবলীনাকে ঘরে এনে তিনি যতখানি লাভবান হয়েছেন এর চেয়ে লাভবান যেন তিনি আর কিছুতে কোনদিন হতে পারেন নি।
তার মনে পড়ে যেদিন তিনি পাকাপাকি কথাবার্তা বলে, আশীর্বাদ করে বাড়ী ফিরছেন পথে পুলিশ ইন্সপেক্টর মিঃ গুপ্তর সঙ্গে দেখা। তিনিও ঐ পথ দিয়ে গাড়ীতে ফিরছিলেন। হঠাৎ ইন্সপেক্টর মশায় সঞ্জীববাবুকে চিনতে পেরে হাত জোড় করে বলে উঠলেন, নমস্কার। কি ব্যাপার, এদিকে কোথায় ?
সঞ্জীববাবু গাড়ীটা থামিয়ে বললেন আপনি ?
- এদিকে একটা কেস ছিল। তাই....
সঞ্জীববাবু বাধা দিয়ে বললেন - আমি গিয়েছিলাম ছেলের ভাবি বউকে আশীর্বাদ করতে।
মিঃ গুপ্ত একটু অবাক হয়ে সঞ্জীববাবুর দিকে তাকালেন।
সঞ্জীববাবু আবার বললেন - মানে বুঝতে পারলেন না? ছেলের বিয়ের সব ঠিক করলাম। আজই তার আশীর্বাদ হলো।
মিঃ গুপ্ত হেসে বললেন - তাই নাকি! সেতো খুব ভালো কথা, তা মেয়ে কোথাকার ?
- মোহিত গ্রামের।
মিঃ গুপ্ত কথাটা একটু মনে মনে চিন্তা করে বললেন - মোহিত গ্রামে? কোন বাড়ীটা বলুন তো? মেয়ের নাম কি ?
- দেবলীনা দত্ত।
- দেবলীনা দত্ত ?
- হ্যাঁ। মেয়ের বাবা নেই, মা আর কাকা আছেন।
- ও আচ্ছা এবার বুঝতে পেরেছি। দেবলীনা দত্ত। গুপ্ত একটু থেমে বললেন এইমাত্র কি আশীর্বাদ করে এলেন ?
- হ্যাঁ। কিন্তু আপনার মনে দ্বিধা দেখছি কি ব্যাপার বলুন তো ?
- যদি কিছু মনে না করেন একটা কথা বলি।
- না না বলুন।
- ও মেয়ের সাথে সম্পর্ক করতে যাচ্ছেন বটে কিন্তু ওর প্রতি তো পুলিশের নজর রয়েছে।
- তাই নাকি? কেন বলুন তো? আপনাদের কাছে কোন খারাপ রিপোর্ট আছে নাকি ?
- না না সেসব কিছু নেই। তবে গ্রামের লোকদের, পুলিশের কোন গুডউইল মেয়েটির উপর নেই। শোনা যায় মেয়েটি নাকি পার্টির সঙ্গে যুক্ত আছে। তাই পুলিশ মেয়েটির কাজকর্মের দিকে নজর রাখার চেষ্টা করছে।
তাই নাকি। কথাটা শুনে সঞ্জীববাবু একটু ঘাবড়ে গেলেন। তিনি মিঃ গুপ্তকে প্রশ্ন করলেন - আচ্ছা এসব ধারনা কি আপনারা গ্রামের লোকদের মতোই করেন, না কোন কিছু অন্ততঃ সামান্য প্রমাণও পেয়েছেন ?
- না সেরকম কোন প্রমাণ আমরা এখনো পাইনি তবে কথাটা যে মিথ্যা নয়, এটা আমাদের বিশ্বাস।
- আমার বিশ্বাস আপনাদের ধারণা ভুল।
মিঃ গুপ্ত একটু হেসে বললেন - তাই নাকি। বেশ তাই যদি হয়, তবেই সুখের হবে। আচ্ছা নমস্কার।
গাড়ীটা মুহুর্তে স্টার্ট দিয়ে চলে গেলো কিন্তু সঞ্জীববাবু সেখানেই গাড়ী নিয়ে বসে রইলেন। আজকের এই শুভদিনে গুপ্ত তার মনটাকে যেন একটা এ্যাকসিডেন্টের মতোই ভেঙে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিয়ে গেলো।
সঞ্জীববাবু ভাবছেন দেবলীনার নামে গ্রামে এর মধ্যেই যে বিশ্রী জনরব ছড়িয়ে পড়েছে তাকি একেবারে মিথ্যা হয়ে যাবে। বিশেষ করে যখন পুলিশের নজর পড়েছে তখন ত কিছু না কিছু সত্য হবেই।