25-06-2021, 11:37 PM
দুই
গ্রামের যে মেয়ের চাল চলন দেখে সকলে এতদিন লজ্জাশরমে মরেছে সেই নির্লজ্জ মেয়েটির সঙ্গে আজ নামকরা উকিল সঞ্জীববাবুর ছেলে সৌরভের সঙ্গে দেবলীনার বিয়ে হয়ে গেলো।
মনে পড়ে মাত্র কয়েক মাস আগের কথা। সেদিন সবে সূর্য পূব আকাশে সিঁদুরমাখা রঙ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে।
সঞ্জীববাবু বাইরের ছাদখোলা লনটায় বসেছিলেন। দূর থেকে ভেসে আসা একটা প্রভাতী মৃদুমন্দ বাতাসের উৎফুল্ল স্রোত যেন তার মনকে মাতলামী নেশার মতো জরিয়ে ধরতে চাইছে। হঠাৎই তার এই নেশার ঝোঁক কেটে গেল। একটা সাইকেলের ঘন্টার আওয়াজ পেতেই তিনি চেয়ে দেখলেন, তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে যে রাস্তাটা সোজা সামনের দিকে চলে গেছে, সেই রাস্তাটা দিয়েই একটি মেয়ে সাইকেলে চেপে এগিয়ে আসছে।পরনে ফুলপ্যান্ট।গায়ে পকেট ছাড়া পুরুষদের মত হাফসার্ট।
সঞ্জীববাবু কিন্তু মেয়েটির পোষাক ও চালচলন দেখে কোনরুপ বিরক্ত বোধ করলেন না।
মুহুর্তের মধ্যে মেয়েটি সামনে দিয়ে চলে গেলো।
সঞ্জীববাবু অবাক হয়ে সেদিকে তাকিয়ে রইলেন। এতো সুন্দরী!! যেনো লক্ষ্মী প্রতীমা, মেয়েটির সৌন্দর্য সঞ্জীববাবুকে অভিভূতো করে দিলো।
তিনি একটু ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। এ মেয়েটিকে যে কোন প্রকারে তার ছেলের বউ করতেই হবে। ঠিক এরকম একটি মেয়ের সন্ধানে তিনি এতদিন অপেক্ষা করছিলেন, আজ বুঝি তার সে ইচ্ছা পূর্ণ হবে !
কিন্তু কে এ মেয়েটি? আর কোনদিন তিনি একে এ রাস্তায় দেখেন নি তো ! সঞ্জীববাবু ভাবতে লাগলেন। পুরানো চাকর বংকু ফুল গাছে জল দিচ্ছিলো সে সব দেখেছিলো। তাকে ডেকে বললেন - বংকু এইমাত্র সাইকেলে চেপে এখান দিয়ে যে একটি মেয়ে চলে গেলো তাকে কি তুই দেখেছিস ?
- দেখেছি বাবু।
- কে এই মেয়েটি, তুই চিনিস?
- চিনি বাবু। আমাদেরই তিন চারখানা গ্রামের পর মোহিত গ্রামে থাকে।
- মোহিত গ্রামে ! বাবার নাম কি ?
- তা জানিনে বাবু। তবে শুনেছি মেয়েটির বাবা নাকি ভারি পন্ডিত ব্যাক্তি ছিলেন। আমাদের এ দেশে থাকতেন না, নানান দেশ বিদেশে ঘোরাঘুরি করতেন। বাবা মরে যেতে এখানে ওনারা নতুন বাড়ি করে এই দু তিন মাস হলো এইছেন।
- আজ বিকেলে আমার সঙ্গে যাবি বাড়িটা চিনিয়ে দিতে। ভাবছি সৌরভের সঙ্গে ......
- সে আপনার প্রথম কথার ভাবেই বুঝতে পেরেছি বাবু কিন্তু ....
- আবার কিন্তু কি ?
- মানে গ্রামের লোকেরা ঠিক সুনজরে দেখে না।
- কেন ?
- মেয়েটির চালচলন দেখে বাবু। সকলে বলে নির্লজ্জ ভবঘুরে মেয়ে। যে ঘরে যাবে জ্বালাবে।
- ও ! বলে সঞ্জীববাবু হো হো করে হেসে উঠলেন।
বংকু কোন কথা না বলে চুপ করে থাকে।
সঞ্জীববাবুও বংকুর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন, তারপর স্বাভাবিক অবস্থা টেনে এনে বললেন আরে আজকালকার ছেলে মেয়েদের প্রথম অবস্থায় এরকম একটু হয়। তারপর বিয়ে হলে ওসব দোষ সেরে যায়, বুঝলি ?
- আজ্ঞে বাবু
সঞ্জীববাবু এরপর আর কোন কথা না বলে চুপ করে ভাবতে লাগলেন। বংকু আবার গাছের গোড়ায় জল দিতে লাগলেন।
গ্রামের যে মেয়ের চাল চলন দেখে সকলে এতদিন লজ্জাশরমে মরেছে সেই নির্লজ্জ মেয়েটির সঙ্গে আজ নামকরা উকিল সঞ্জীববাবুর ছেলে সৌরভের সঙ্গে দেবলীনার বিয়ে হয়ে গেলো।
মনে পড়ে মাত্র কয়েক মাস আগের কথা। সেদিন সবে সূর্য পূব আকাশে সিঁদুরমাখা রঙ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে।
সঞ্জীববাবু বাইরের ছাদখোলা লনটায় বসেছিলেন। দূর থেকে ভেসে আসা একটা প্রভাতী মৃদুমন্দ বাতাসের উৎফুল্ল স্রোত যেন তার মনকে মাতলামী নেশার মতো জরিয়ে ধরতে চাইছে। হঠাৎই তার এই নেশার ঝোঁক কেটে গেল। একটা সাইকেলের ঘন্টার আওয়াজ পেতেই তিনি চেয়ে দেখলেন, তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে যে রাস্তাটা সোজা সামনের দিকে চলে গেছে, সেই রাস্তাটা দিয়েই একটি মেয়ে সাইকেলে চেপে এগিয়ে আসছে।পরনে ফুলপ্যান্ট।গায়ে পকেট ছাড়া পুরুষদের মত হাফসার্ট।
সঞ্জীববাবু কিন্তু মেয়েটির পোষাক ও চালচলন দেখে কোনরুপ বিরক্ত বোধ করলেন না।
মুহুর্তের মধ্যে মেয়েটি সামনে দিয়ে চলে গেলো।
সঞ্জীববাবু অবাক হয়ে সেদিকে তাকিয়ে রইলেন। এতো সুন্দরী!! যেনো লক্ষ্মী প্রতীমা, মেয়েটির সৌন্দর্য সঞ্জীববাবুকে অভিভূতো করে দিলো।
তিনি একটু ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। এ মেয়েটিকে যে কোন প্রকারে তার ছেলের বউ করতেই হবে। ঠিক এরকম একটি মেয়ের সন্ধানে তিনি এতদিন অপেক্ষা করছিলেন, আজ বুঝি তার সে ইচ্ছা পূর্ণ হবে !
কিন্তু কে এ মেয়েটি? আর কোনদিন তিনি একে এ রাস্তায় দেখেন নি তো ! সঞ্জীববাবু ভাবতে লাগলেন। পুরানো চাকর বংকু ফুল গাছে জল দিচ্ছিলো সে সব দেখেছিলো। তাকে ডেকে বললেন - বংকু এইমাত্র সাইকেলে চেপে এখান দিয়ে যে একটি মেয়ে চলে গেলো তাকে কি তুই দেখেছিস ?
- দেখেছি বাবু।
- কে এই মেয়েটি, তুই চিনিস?
- চিনি বাবু। আমাদেরই তিন চারখানা গ্রামের পর মোহিত গ্রামে থাকে।
- মোহিত গ্রামে ! বাবার নাম কি ?
- তা জানিনে বাবু। তবে শুনেছি মেয়েটির বাবা নাকি ভারি পন্ডিত ব্যাক্তি ছিলেন। আমাদের এ দেশে থাকতেন না, নানান দেশ বিদেশে ঘোরাঘুরি করতেন। বাবা মরে যেতে এখানে ওনারা নতুন বাড়ি করে এই দু তিন মাস হলো এইছেন।
- আজ বিকেলে আমার সঙ্গে যাবি বাড়িটা চিনিয়ে দিতে। ভাবছি সৌরভের সঙ্গে ......
- সে আপনার প্রথম কথার ভাবেই বুঝতে পেরেছি বাবু কিন্তু ....
- আবার কিন্তু কি ?
- মানে গ্রামের লোকেরা ঠিক সুনজরে দেখে না।
- কেন ?
- মেয়েটির চালচলন দেখে বাবু। সকলে বলে নির্লজ্জ ভবঘুরে মেয়ে। যে ঘরে যাবে জ্বালাবে।
- ও ! বলে সঞ্জীববাবু হো হো করে হেসে উঠলেন।
বংকু কোন কথা না বলে চুপ করে থাকে।
সঞ্জীববাবুও বংকুর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন, তারপর স্বাভাবিক অবস্থা টেনে এনে বললেন আরে আজকালকার ছেলে মেয়েদের প্রথম অবস্থায় এরকম একটু হয়। তারপর বিয়ে হলে ওসব দোষ সেরে যায়, বুঝলি ?
- আজ্ঞে বাবু
সঞ্জীববাবু এরপর আর কোন কথা না বলে চুপ করে ভাবতে লাগলেন। বংকু আবার গাছের গোড়ায় জল দিতে লাগলেন।