25-06-2021, 11:36 PM
শিপ্রা সাবানটা অনেক্ষণ ধরে হাতে ঘসে ঘসে মুখে লাগালো। বীণার সঙ্গে শিপ্রার খুব ভাব। সে শিপ্রাকে বললো - এই সাবানটা নষ্ট করছিস কেন? দেতো আমি একটু মুখে লাগাই।শিপ্রার ভাব দেখে বীণা হেঁসে ফেললো। নিমাইয়ের বোন আসতে দুজনে জলে ঝাঁপ দিলো।
সেনেদের বাড়ীর ঠাকুমা এলো।
শিপ্রা চুপ করে বীণার সাঁতার দেখছিলো মনে মনে ভীষণ আনন্দ হচ্ছিলো ওর।
সেনেদের বাড়ির ঠাকুমা বললো - কি, মা শিপু কি হচ্ছে?
শিপ্রা বললো - ঐ দেখোনা ঠাকুমা বীণাদি কি সুন্দর সাঁতার কাটছে।
ঠাকুমা একগাল হেসে বললো তুমিও বীণাদিকে বলো না তোমায় সাঁতার শিখিয়ে দেবে। তখন তুমিও কি সুন্দর করে সাঁতার কাটতে পারবে।
শিপ্রার চুলগুলি আনন্দে নড়ে ওঠে! হাত নেড়ে বলে বীণাদি ও বীণাদি...
বীণা দূর থেকে হাত তুলে বলে, শিপু...
শিপ্রার মনে হয় সে এখনই জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
অন্ধকার মন মাতানো চঞ্চল গতি নিয়ে পৃথিবীর বুকে সুপ্ত আবেশ জাগিয়ে দিতে ছুটে আসছে। একটু পরেই হীরামতিঝিল, ঘন বনানী, শ্যামল প্রান্তর সব শূন্য হয়ে পড়ে থাকবে ঐ কোটি কোটি তারা ভরা নীল আকাশটার নীচে।
আবার সেই সাইকেলের ঘন্টার আওয়াজ শোনা গেলো।
বিমলা বললো - নিশ্চয়ই দেবলীনা।
মংলীর মা জল থেকে মাথা উঁচু করে বললো - সেকি আর বলতে। ও ছাড়া আর কে এমন সময় সাইকেল চালিয়ে যাবে ?
দেবলীনা এতক্ষনে ঘাটের কাছাকাছি চলে এসেছে। বীণা ভিজে কাপড়ে দৌড়তে দৌড়তে ডাকলো, দেবলীনাদি ও দেবলীনাদি।
নিমাইয়ের বোন গেলো।
বীণাকে যেতে দেখে শিপ্রাও ছুটলো।
দেবলীনা শিপ্রাকে সাইকেলে চাপিয়ে নিলো।
মংলির মা অতটা সহ্য করতে না পেরে জ্বালায় ফেটে পড়লো গলার সুরটা কাঁপিয়ে বললো - ঢং দেখে আর বাঁচি নে।
সেনেদের বাড়ীর ঠাকুমার কথাটা বেশী সুবিধে মনে হলো না। তিনি প্রত্যুত্তর দিয়ে বললেন - কেন লা, অমন কথা বলছিস কেন দেবলীনা কি ঢং দেখিয়েছে?
- গ্রামের কোন মেয়েকে অমন ফুলপ্যান্ট পরে সাইকেলে চড়ে যেতে দেখেছো ঠাকুমা, মংলির মা হাত নেড়ে নেড়ে উত্তর দিলো।
ঠাকুমা বললো - তাতো বুঝলাম কিন্তু গ্রামের কটা মেয়ে অমন নেখাপড়া জানে বলতে পারিস তুই?
মংলির মা চুপ করে যায়। ঠাকুমার সঙ্গে কারো বেশী কথা বলতে সাহস হয়না, বিন্দুবালা পর্যন্ত বলে না।
ঠাকুমা বলতে থাকেন তোদের সবটাতেই বাড়াবাড়ি। লোকের একটু ভালো দেখলেই তার পিছনে লাগতে আরম্ভ করিস।
বিমলা বলে উঠলো ঠাকুমা ঐ একটা কথাই শিখে রেখেছে। কোন কথা হলেই ও কথাটা বলা চাই।
ঠাকুমা জোর করে একটা ধমক দিয়ে বলেন - চুপ করতো বিমলা। তুই, বিন্দু,মংলির মা সব একরকম। তোরা ঘাটে আসিস কখন আর যাস কখন খেয়াল রাখিস ?
আজকের মতো সকলেই চুপ করে গেলো ঠাকুমার ধমকে।
ঠাকুমা বললো - সুমিত্রা অন্ধকার হয়ে এলো চল তোকে বাড়ী দিয়ে আসি।
অন্ধকারের নাম শুনে মংলীর মা লাফ দিয়ে ঘাটে উঠে এসে বসলো।
সুমিত্রা সেনেদের বাড়ীর ঠাকুমার সঙ্গে পথ চলতে লাগলো।
সেনেদের বাড়ীর ঠাকুমা এলো।
শিপ্রা চুপ করে বীণার সাঁতার দেখছিলো মনে মনে ভীষণ আনন্দ হচ্ছিলো ওর।
সেনেদের বাড়ির ঠাকুমা বললো - কি, মা শিপু কি হচ্ছে?
শিপ্রা বললো - ঐ দেখোনা ঠাকুমা বীণাদি কি সুন্দর সাঁতার কাটছে।
ঠাকুমা একগাল হেসে বললো তুমিও বীণাদিকে বলো না তোমায় সাঁতার শিখিয়ে দেবে। তখন তুমিও কি সুন্দর করে সাঁতার কাটতে পারবে।
শিপ্রার চুলগুলি আনন্দে নড়ে ওঠে! হাত নেড়ে বলে বীণাদি ও বীণাদি...
বীণা দূর থেকে হাত তুলে বলে, শিপু...
শিপ্রার মনে হয় সে এখনই জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
অন্ধকার মন মাতানো চঞ্চল গতি নিয়ে পৃথিবীর বুকে সুপ্ত আবেশ জাগিয়ে দিতে ছুটে আসছে। একটু পরেই হীরামতিঝিল, ঘন বনানী, শ্যামল প্রান্তর সব শূন্য হয়ে পড়ে থাকবে ঐ কোটি কোটি তারা ভরা নীল আকাশটার নীচে।
আবার সেই সাইকেলের ঘন্টার আওয়াজ শোনা গেলো।
বিমলা বললো - নিশ্চয়ই দেবলীনা।
মংলীর মা জল থেকে মাথা উঁচু করে বললো - সেকি আর বলতে। ও ছাড়া আর কে এমন সময় সাইকেল চালিয়ে যাবে ?
দেবলীনা এতক্ষনে ঘাটের কাছাকাছি চলে এসেছে। বীণা ভিজে কাপড়ে দৌড়তে দৌড়তে ডাকলো, দেবলীনাদি ও দেবলীনাদি।
নিমাইয়ের বোন গেলো।
বীণাকে যেতে দেখে শিপ্রাও ছুটলো।
দেবলীনা শিপ্রাকে সাইকেলে চাপিয়ে নিলো।
মংলির মা অতটা সহ্য করতে না পেরে জ্বালায় ফেটে পড়লো গলার সুরটা কাঁপিয়ে বললো - ঢং দেখে আর বাঁচি নে।
সেনেদের বাড়ীর ঠাকুমার কথাটা বেশী সুবিধে মনে হলো না। তিনি প্রত্যুত্তর দিয়ে বললেন - কেন লা, অমন কথা বলছিস কেন দেবলীনা কি ঢং দেখিয়েছে?
- গ্রামের কোন মেয়েকে অমন ফুলপ্যান্ট পরে সাইকেলে চড়ে যেতে দেখেছো ঠাকুমা, মংলির মা হাত নেড়ে নেড়ে উত্তর দিলো।
ঠাকুমা বললো - তাতো বুঝলাম কিন্তু গ্রামের কটা মেয়ে অমন নেখাপড়া জানে বলতে পারিস তুই?
মংলির মা চুপ করে যায়। ঠাকুমার সঙ্গে কারো বেশী কথা বলতে সাহস হয়না, বিন্দুবালা পর্যন্ত বলে না।
ঠাকুমা বলতে থাকেন তোদের সবটাতেই বাড়াবাড়ি। লোকের একটু ভালো দেখলেই তার পিছনে লাগতে আরম্ভ করিস।
বিমলা বলে উঠলো ঠাকুমা ঐ একটা কথাই শিখে রেখেছে। কোন কথা হলেই ও কথাটা বলা চাই।
ঠাকুমা জোর করে একটা ধমক দিয়ে বলেন - চুপ করতো বিমলা। তুই, বিন্দু,মংলির মা সব একরকম। তোরা ঘাটে আসিস কখন আর যাস কখন খেয়াল রাখিস ?
আজকের মতো সকলেই চুপ করে গেলো ঠাকুমার ধমকে।
ঠাকুমা বললো - সুমিত্রা অন্ধকার হয়ে এলো চল তোকে বাড়ী দিয়ে আসি।
অন্ধকারের নাম শুনে মংলীর মা লাফ দিয়ে ঘাটে উঠে এসে বসলো।
সুমিত্রা সেনেদের বাড়ীর ঠাকুমার সঙ্গে পথ চলতে লাগলো।