25-06-2021, 11:35 PM
বীণা দেবলীনার দিকে তাকিয়ে রইলো। দেবলীনা হীরামতিঝিলটার পাশের বড় চওড়া রাস্তাটা দিয়ে সোজা গেলো। দেবলীনাকে এ ভাবে দেখলে বীণার কিন্তু মোটেই খারাপ লাগেনা বরঞ্চ তার আনন্দ হয়।
ক্রমে ক্রমে আসর জমে উঠলো।
দানার বউ এলো, বিন্দুবালা এলো, বিমলা এলো। বিন্দুবালার চুল পেকছে, বিমলার একরকম বলতে গেলে কাঁচা বয়েস কিন্তু দুজনের মধ্যে মিল অনেক।
বিন্দুবালা কোমর জলে নেমে বলতে লাগলো, শুনেছিস বিমলা ঐ মুখপুড়ী মেয়েটার সঙ্গে আর আমাদের উকিলবাবুর ছেলের সঙ্গে নাকে বিয়ে।
বিমলা বললো - কার কথা বলছো পিসি ?
- ঐ যে লা, ঐযে কোট পেন্ট পরে সাইকেলে চেপে..
- ও! দেবলীনা? বিমলা বললো।
বিন্দুবালা মুখটা হাঁড়ির মতো করে বললো - হ্যাঁ লো হ্যাঁ ঐ দেবলীনার সঙ্গেই নাকি আমাদের সৌরভের বিয়ে।
বিমলার চোখ দুটো বড় হয়ে ওঠে - বলো কি পিসি! উকিলবাবু কি মেয়েটার চরিত্তির জানেন না ?
বিন্দুবালা বলে - আমিও তো তোকে সেই কথাই জিজ্ঞেস করছি। অমন একটা ঢিংগী মেয়ে, যে নাকি সমস্ত গ্রামখানায় চৈ চৈ করে বেড়ায়, তার সঙ্গে কিনা সৌরভের বিয়ে।
বিমলা বললো - ঘর জ্বালিয়ে খাবে।
বিন্ধুবালা যেন ইন্ধন পেয়ে বলে ওঠে - জ্বালিয়ে খাবে মানে দুদিনও যাবে না সব ছারখার করে দেবে। লোক চিনতে আর আমার বাকী নেই। এই করে মাথার চুল পেকে গেলো।
মংলীর মা হঠাৎ জল থেকে মুখ উঁচু করে বলে উঠলো - এইতো এইমাত্র গেলো মেয়েটা সাইকেলে চেপে।
বিন্দুবালা বললে - যাবে না ? রোজই তো যায় এখান দিয়ে। ওর কি আর লজ্জাশরম আছে। বলি, তুই কি সাইকেল ছাড়া হেঁটে যেতে পারিস না? ঐসব ইংরেজী পোষাক ছাড়া কাপড় পরতে পারিস নে ?
বীণা বিন্দুপিসির চোখ মুখের ভাব দেখে আর সহ্য করতে না পেরে বলে উঠলো - তাতেও কি তোমরা ওকে নিস্তার দিতে পিসি ?
বিন্দুপিসি এক ধমক দিয়ে বললো - তুই থামতো বীণা, তোতে আর ওতে কোন তফাৎ নেই। তোরও কি লজ্জাশরম আছে ?
বীণা চুপ করে গেলো।
বিমলা বললো - জানো পিসি ঐ দেবলীনা একবার আমার বাড়ী গিয়ছিলো আমার মেয়েকে চাইতে। বললে কিসের ভিলেন্টিয়ার করবো। কথাটা শুনে আমার এতো গা জ্বালা করে উঠলো! সহ্য করতে না পেরে আমি অমনি দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছি। আমার সোমত্ত মেয়েকে ওই ঢিঙ্গি মেয়ের সাথে বার হতে দোবো আমার কি মাথা খারাপ হয়েছে গা।
বিন্দুবালা বললো - ঠিক করেছিস বিমলা। ওর সঙ্গে গ্রামের মেয়েদের মেলা মেশা করতে না দেওয়াই ভালো। মেয়েরা সব ওর মতো উচ্ছন্নে যাবে।
মংলির মা বললো - কিন্তু আমি বলছি উকিলবাবুর কথা। উকিলবাবু কি মেয়েটার চরিত্তি সম্বন্ধে জানেন না? মেয়েটা তো তার বাড়ীর পাশের রাস্তা দিয়েই যায়। তিনি সবই দেখেন, জানেন শোনেন তবে কেন তিনি নিজের ছেলের সঙ্গে এ বিয়ে দিতে চলেছেন, ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারলাম না পিসি।
বিন্দুপিসি বলে - এ আর আমি কি করে বোঝাবো বল। বড় লোকের বড় ব্যাপার, ওদের কথা ছেড়ে দে। ওদের সবই শোভা পায়।
মংলীর মা চুপ করে মনে মনে আর একটা কিছু ভাবতে থাকে।
সুশীল সেনের বউ সুমিত্রা এলো ঘাটে পেছনে পেছনে তার সাত-আট বছরের মেয়ে শিপ্রা। তার বাবরিওয়ালা কোঁকড়ানো লম্বা লম্বা কালো কুচকুচে চুলগুলো কাঁধ ছাপিয়ে চলে গেছে।
বিমলা বললো - এই যে এসেছে, বড়লোকের ঝি।
মংলীর মা জল থেকে মুখ তুলে সুমিত্রাকে একবার দেখে নিলো।
বিন্দুবালাও মুখ চোখ বাঁকিয়ে কোমর এলিয়ে একবার সুমিত্রাকে দেখে নিলো।
সুমিত্রা এসব রোজই দেখে কিন্তু নজর দেয় না, আজও তাই সে এসব কিছু লক্ষ না করে সোজাসুজি ঘাটে নেমে চান করতে লাগলো।
ক্রমে ক্রমে আসর জমে উঠলো।
দানার বউ এলো, বিন্দুবালা এলো, বিমলা এলো। বিন্দুবালার চুল পেকছে, বিমলার একরকম বলতে গেলে কাঁচা বয়েস কিন্তু দুজনের মধ্যে মিল অনেক।
বিন্দুবালা কোমর জলে নেমে বলতে লাগলো, শুনেছিস বিমলা ঐ মুখপুড়ী মেয়েটার সঙ্গে আর আমাদের উকিলবাবুর ছেলের সঙ্গে নাকে বিয়ে।
বিমলা বললো - কার কথা বলছো পিসি ?
- ঐ যে লা, ঐযে কোট পেন্ট পরে সাইকেলে চেপে..
- ও! দেবলীনা? বিমলা বললো।
বিন্দুবালা মুখটা হাঁড়ির মতো করে বললো - হ্যাঁ লো হ্যাঁ ঐ দেবলীনার সঙ্গেই নাকি আমাদের সৌরভের বিয়ে।
বিমলার চোখ দুটো বড় হয়ে ওঠে - বলো কি পিসি! উকিলবাবু কি মেয়েটার চরিত্তির জানেন না ?
বিন্দুবালা বলে - আমিও তো তোকে সেই কথাই জিজ্ঞেস করছি। অমন একটা ঢিংগী মেয়ে, যে নাকি সমস্ত গ্রামখানায় চৈ চৈ করে বেড়ায়, তার সঙ্গে কিনা সৌরভের বিয়ে।
বিমলা বললো - ঘর জ্বালিয়ে খাবে।
বিন্ধুবালা যেন ইন্ধন পেয়ে বলে ওঠে - জ্বালিয়ে খাবে মানে দুদিনও যাবে না সব ছারখার করে দেবে। লোক চিনতে আর আমার বাকী নেই। এই করে মাথার চুল পেকে গেলো।
মংলীর মা হঠাৎ জল থেকে মুখ উঁচু করে বলে উঠলো - এইতো এইমাত্র গেলো মেয়েটা সাইকেলে চেপে।
বিন্দুবালা বললে - যাবে না ? রোজই তো যায় এখান দিয়ে। ওর কি আর লজ্জাশরম আছে। বলি, তুই কি সাইকেল ছাড়া হেঁটে যেতে পারিস না? ঐসব ইংরেজী পোষাক ছাড়া কাপড় পরতে পারিস নে ?
বীণা বিন্দুপিসির চোখ মুখের ভাব দেখে আর সহ্য করতে না পেরে বলে উঠলো - তাতেও কি তোমরা ওকে নিস্তার দিতে পিসি ?
বিন্দুপিসি এক ধমক দিয়ে বললো - তুই থামতো বীণা, তোতে আর ওতে কোন তফাৎ নেই। তোরও কি লজ্জাশরম আছে ?
বীণা চুপ করে গেলো।
বিমলা বললো - জানো পিসি ঐ দেবলীনা একবার আমার বাড়ী গিয়ছিলো আমার মেয়েকে চাইতে। বললে কিসের ভিলেন্টিয়ার করবো। কথাটা শুনে আমার এতো গা জ্বালা করে উঠলো! সহ্য করতে না পেরে আমি অমনি দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছি। আমার সোমত্ত মেয়েকে ওই ঢিঙ্গি মেয়ের সাথে বার হতে দোবো আমার কি মাথা খারাপ হয়েছে গা।
বিন্দুবালা বললো - ঠিক করেছিস বিমলা। ওর সঙ্গে গ্রামের মেয়েদের মেলা মেশা করতে না দেওয়াই ভালো। মেয়েরা সব ওর মতো উচ্ছন্নে যাবে।
মংলির মা বললো - কিন্তু আমি বলছি উকিলবাবুর কথা। উকিলবাবু কি মেয়েটার চরিত্তি সম্বন্ধে জানেন না? মেয়েটা তো তার বাড়ীর পাশের রাস্তা দিয়েই যায়। তিনি সবই দেখেন, জানেন শোনেন তবে কেন তিনি নিজের ছেলের সঙ্গে এ বিয়ে দিতে চলেছেন, ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারলাম না পিসি।
বিন্দুপিসি বলে - এ আর আমি কি করে বোঝাবো বল। বড় লোকের বড় ব্যাপার, ওদের কথা ছেড়ে দে। ওদের সবই শোভা পায়।
মংলীর মা চুপ করে মনে মনে আর একটা কিছু ভাবতে থাকে।
সুশীল সেনের বউ সুমিত্রা এলো ঘাটে পেছনে পেছনে তার সাত-আট বছরের মেয়ে শিপ্রা। তার বাবরিওয়ালা কোঁকড়ানো লম্বা লম্বা কালো কুচকুচে চুলগুলো কাঁধ ছাপিয়ে চলে গেছে।
বিমলা বললো - এই যে এসেছে, বড়লোকের ঝি।
মংলীর মা জল থেকে মুখ তুলে সুমিত্রাকে একবার দেখে নিলো।
বিন্দুবালাও মুখ চোখ বাঁকিয়ে কোমর এলিয়ে একবার সুমিত্রাকে দেখে নিলো।
সুমিত্রা এসব রোজই দেখে কিন্তু নজর দেয় না, আজও তাই সে এসব কিছু লক্ষ না করে সোজাসুজি ঘাটে নেমে চান করতে লাগলো।