25-06-2021, 08:18 PM
(This post was last modified: 05-07-2021, 11:35 AM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
পরীক্ষার আর বেশি দেরি নেই। সম্পূর্ণরূপে পড়াশোনায় নিজেকে নিমজ্জিত করে রাখে নিঝুম। মাঝে মাঝে কথা হয় নিবিড়ের সাথে। ভীষণ প্রেসার সবার মাথায়ই পরীক্ষা নিয়ে। কিন্তু এর মাঝেই আবার নিবিড় তাকে দ্বিধায় ফেলে দেয়। আজকাল আকাশের সাথেও একটু একটু কথা বলে নিঝুম ফোনে। নিবিড়কে তা বলার সাথে সাথে সে তার উপর আদেশ জারি করে, “তুই আকাশের সাথে আর কোনদিন কথা বলবিনা ফোনে।” প্রচণ্ড অবাক হয় নিঝুম নিবিড়ের এহেন আচরণে। জিগ্যেস করে বারবার যে কী হয়েছে। নিবিড় একই উত্তর বারবার দেয়, “আমি বলেছি ব্যস।” আর কোন প্রশ্ন করেনা নিঝুম। নিবিড় তার অনেকদিনের বন্ধু, সবচেয়ে ভাল বন্ধু। ওর কথা সে কোনদিন ফেলেনি। তাই বিনা প্রতিবাদে মেনে নেয় এই কথাও। আকাশের মেসেজে অনেক কাকুতিমিনতি সত্ত্বেও আর ফোন দেয়না তাকে। বলে দেয় যে নিবিড়ের কথার উপর কোন কথা সে বলবেনা, নিবিড় তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হতাশ হয় আকাশ। সরাসরি নিবিড়ের সাথে কথা বলবে ঠিক করে। কিন্তু নিবিড় ওর ফোন ধরেনা। মেসেজও রিপ্লাই করেনা। পরে কথা বলবে আবার ভেবে আপাতত আর কিছু করেনা। তবে নিঝুমের কাছে মেসেজ দিয়ে নিবিড়ের ব্যাপারে উল্টোপাল্টা কথা বলতে ছাড়ে না। বলে, “নিবিড় তোকেও পছন্দ করে, আবার অনন্যাকেও পছন্দ করে। তোকে নিয়ে খেলছে ও।” অসম্ভব রেগে যায় নিঝুম। আকাশকে বলে দেয়, “খবরদার একটা বাজে কথা বলবিনা তুই। নিবিড় আমাকে পছন্দ করে না, অনন্যাকেই করে। এর প্রমাণ আমি বহুবার পেয়েছি। আর নিবিড় কাউকে নিয়ে খেলার মত ছেলেই না। সো ডোন্ট ইউ ডেয়ার টেল এনিথিং এগেইন্সট হিম। নাহলে তোর সাথে আমার বন্ধুত্ব শেষ। এখন মেসেজ তো দিচ্ছি। আর একটা বাজে কথা বললে সেটাও দেব না মনে রাখিস।” অবস্থা বেগতিক দেখে আকাশ নিবিড়কে নিয়ে আর কোন কথা বলেনা এরপর থেকে নিঝুমকে। কারণ এই কয়দিনে সেও বুঝে গেছে নিঝুম এক কথার মানুষ। যা বলে তা করে ছাড়ে।
মাঝে পড়াশুনার চাপে নিবিড়কে খোঁজ দিতে পারেনি নিঝুম। বাসায় অসংখ্য মিসডকল এসেছে। কিন্তু দেবে দেবে করেও নিঝুমের আর মিসডকল দেওয়া হয়ে উঠেনি। তবে খুব তাড়াতাড়িই কথা হয় তার নিবিড়ের সাথে, মা-বাবা বাইরে গেলে। নিবিড় অভিমান করে, “খোঁজ দিস নি কেন?” নিঝুম বলে, “ব্যস্ত ছিলাম রে। স্যরি। কিন্তু তোর তো অনন্যাই আছে, আমার খোঁজ আর চাস কেন?” নিবিড় সেরকম অভিমানী অথচ আদুরে কণ্ঠেই বলে, “আমার ভাল লাগেনা তোর খোঁজ না পেলে।” “কেন লাগেনা? আমি কি তোর গার্লফ্রেন্ড? তোর গার্লফ্রেন্ড তো অনন্যা।” এই কথার কোন উত্তর দেয়না নিবিড় যথারীতি। নিঝুম একটা নিঃশ্বাস ফেলে চুপ হয়ে যায়। এ কী হচ্ছে তার সাথে? কেন এত দ্বিধাদ্বন্দে পড়ছে বারবার? তবে কি আকাশের কথাই ঠিক? নিবিড় খেলছে তাকে নিয়ে? না না, এ কীভাবে হয়? নিবিড়কে তো সে চেনে। আসলে এতদিনের বন্ধু তো, তাই এমন করে; নিজেকে বুঝ দেয়।
মাঝে পড়াশুনার চাপে নিবিড়কে খোঁজ দিতে পারেনি নিঝুম। বাসায় অসংখ্য মিসডকল এসেছে। কিন্তু দেবে দেবে করেও নিঝুমের আর মিসডকল দেওয়া হয়ে উঠেনি। তবে খুব তাড়াতাড়িই কথা হয় তার নিবিড়ের সাথে, মা-বাবা বাইরে গেলে। নিবিড় অভিমান করে, “খোঁজ দিস নি কেন?” নিঝুম বলে, “ব্যস্ত ছিলাম রে। স্যরি। কিন্তু তোর তো অনন্যাই আছে, আমার খোঁজ আর চাস কেন?” নিবিড় সেরকম অভিমানী অথচ আদুরে কণ্ঠেই বলে, “আমার ভাল লাগেনা তোর খোঁজ না পেলে।” “কেন লাগেনা? আমি কি তোর গার্লফ্রেন্ড? তোর গার্লফ্রেন্ড তো অনন্যা।” এই কথার কোন উত্তর দেয়না নিবিড় যথারীতি। নিঝুম একটা নিঃশ্বাস ফেলে চুপ হয়ে যায়। এ কী হচ্ছে তার সাথে? কেন এত দ্বিধাদ্বন্দে পড়ছে বারবার? তবে কি আকাশের কথাই ঠিক? নিবিড় খেলছে তাকে নিয়ে? না না, এ কীভাবে হয়? নিবিড়কে তো সে চেনে। আসলে এতদিনের বন্ধু তো, তাই এমন করে; নিজেকে বুঝ দেয়।