25-06-2021, 08:11 PM
টিফিন পিরিয়ড। ভেবেছিলাম, ঠিক তখনই ক্লাশ থেকে বেড়িয়ে রাসেলকে ব্যাপারটা জিজ্ঞাসা করবো। অথচ, চোখের সামনেই দেখলাম বারান্দার পলারে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে অধরা। আমার চোখে চোখে তাঁকিয়ে বললো, এই তুমি আমাকে নিয়ে গলপো লিখলে কেনো?
আমি অবাক হয়ে বললাম, তোমাকে নিয়ে গলপো লিখেছি? কখন?
অধরার হাতে বার্ষিক কলেজ ম্যাগাজিন। এমন একটা ম্যাগাজিন আমিও পেয়েছিলা। এটা সেটা ঝামেলার কারনে খুলে পড়ার সময় পাইনি। অধরা ম্যাগাজিনটা খুলে, আমারই লেখা একটা গলপো দেখিয়ে বললো, এটা কি?
আমি কি হাসবো না কাঁদবো কিছুই বুঝতে পারলাম না। গত বছর কলেজ ম্যাগাজিন এর জন্যে সবার কাছ থেকে গলপো, কবিতা ইত্যাদি চেয়ে নোটিশ দিয়েছিলো। কবিতা আমি লিখতে পারি না। খুব বেশী ভাব জাগলে, গলপো লিখতে ইচ্ছে করে। কলেজ ম্যাগাজিন এর জন্যে সেবারও একটা গলপো লিখেছিলাম। নায়িকার কি নাম দেবো বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎই অধরা নামটা মনে এসে গিয়েছিলো। আমি বললাম, ও, ওই গলপোটা? ওটা তো এক কাল্পনিক নাম!
অধরা কিছুক্ষণ পাথরের মতোই চোখ করে রইলো। তারপর বললো, সারা কলেজ আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। বলছে, আমাদের নাকি অনেকদিন এর প্রেম!
এতক্ষণে রাসেল এর চিরকুটটার মর্মকথা বুঝতে পারলাম। আমি বললাম, স্যরি অধরা, সত্যি বলছি। তোমাকে ভেবে আমি ও গলপোটা লিখিনি। আচ্ছা, তুমিই বলো, তোমার দাঁতে কি গেঁজো আছে?
অধরা বললো, না।
আমি বললাম, গল্পের নায়িকার কিন্তু দাঁত গেঁজো। কি লিখিনি?
অধরা বললো, তাহলে কি মুনাকে নিয়ে লিখেছো? আমাদের ক্লাশে তো শুধু মুনার দাঁতই গেঁজো। তাহলে আমার নাম দিতে গেলে কেনো? সরাসরি মুনার নাম লিখলেই পারতে।
আমি বললাম, স্যরি, মুনাকে নিয়েও লিখিনি। পুরুটাই কাল্পনিক। গল্পে যা লিখেছি, তা বাস্তবে কারো জীবনেই ঘটেনি।
অধরা বললো, স্যরি। ঠিক আছে ছুটির পর এক সাথে বাড়ী ফিরবো।
আমি অবাক হয়ে বললাম, তোমাকে নিয়ে গলপো লিখেছি? কখন?
অধরার হাতে বার্ষিক কলেজ ম্যাগাজিন। এমন একটা ম্যাগাজিন আমিও পেয়েছিলা। এটা সেটা ঝামেলার কারনে খুলে পড়ার সময় পাইনি। অধরা ম্যাগাজিনটা খুলে, আমারই লেখা একটা গলপো দেখিয়ে বললো, এটা কি?
আমি কি হাসবো না কাঁদবো কিছুই বুঝতে পারলাম না। গত বছর কলেজ ম্যাগাজিন এর জন্যে সবার কাছ থেকে গলপো, কবিতা ইত্যাদি চেয়ে নোটিশ দিয়েছিলো। কবিতা আমি লিখতে পারি না। খুব বেশী ভাব জাগলে, গলপো লিখতে ইচ্ছে করে। কলেজ ম্যাগাজিন এর জন্যে সেবারও একটা গলপো লিখেছিলাম। নায়িকার কি নাম দেবো বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎই অধরা নামটা মনে এসে গিয়েছিলো। আমি বললাম, ও, ওই গলপোটা? ওটা তো এক কাল্পনিক নাম!
অধরা কিছুক্ষণ পাথরের মতোই চোখ করে রইলো। তারপর বললো, সারা কলেজ আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে। বলছে, আমাদের নাকি অনেকদিন এর প্রেম!
এতক্ষণে রাসেল এর চিরকুটটার মর্মকথা বুঝতে পারলাম। আমি বললাম, স্যরি অধরা, সত্যি বলছি। তোমাকে ভেবে আমি ও গলপোটা লিখিনি। আচ্ছা, তুমিই বলো, তোমার দাঁতে কি গেঁজো আছে?
অধরা বললো, না।
আমি বললাম, গল্পের নায়িকার কিন্তু দাঁত গেঁজো। কি লিখিনি?
অধরা বললো, তাহলে কি মুনাকে নিয়ে লিখেছো? আমাদের ক্লাশে তো শুধু মুনার দাঁতই গেঁজো। তাহলে আমার নাম দিতে গেলে কেনো? সরাসরি মুনার নাম লিখলেই পারতে।
আমি বললাম, স্যরি, মুনাকে নিয়েও লিখিনি। পুরুটাই কাল্পনিক। গল্পে যা লিখেছি, তা বাস্তবে কারো জীবনেই ঘটেনি।
অধরা বললো, স্যরি। ঠিক আছে ছুটির পর এক সাথে বাড়ী ফিরবো।