Thread Rating:
  • 24 Vote(s) - 3.21 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Thriller RE: '' মিকি মাউস '' (সমাপ্ত ) ।
#98
[Image: micky.jpg]

পর্ব ১২।

_________

'' সুমিত ছোট্ট থেকেই তার অকৃতদার মামার খুবই স্নেহের পাত্র আর সে পড়াশুনোতেও খুবই মেধাবী ছিল,তাই তার কোনও দোষ তার মামা কক্ষনই ধরত না আর সেই ছোট্ট থেকেই সে একটা শয়তানে পরিণত হয়েছিলো। সুমিত সব ঘটনাগুলো ঘটিয়েছিলো শুধু তার মামাকে মারার জন্যই, তবে আমাদের চোখে ধুলো দিতেই সে এই মৃত্যুগুলোকে একটা সিরিয়াল মার্ডার বা রহস্যময় মৃত্যুর রূপ দিতে চেয়েছিলো, তাই সে প্রায় বছর দুয়েক ধরে এই প্ল্যানটা বাস্তবায়িত করার জন্য নিজের ছক সাজাতে আরম্ভ করে দেয়। সুমিত ডাক্তারির পড়া মাঝপথে ছেড়ে দিলেও একটা ডাক্তারের থেকে অনেক বেশী বুদ্ধি আর অভিজ্ঞতা ধরত। প্রথমেই সে নিজের প্ল্যান অনুযায়ী লিস্ট করে নেয়, যারা কোন না কোন ভাবে তার মামার সঙ্গে যুক্ত ওদের মধ্য তিনজন কে সুমিত বেছে নেয়,অর্ণব, ঋতুপর্ণা আর নয়ন তিনজনেই একসময়ে ভৈরববাবুর কাছে পড়তো আর এখন তিনজনেই একই কলেজের সঙ্গে কোনও না কোন ভাবে যুক্ত ছিলো, ভৈরব বাবুর সঙ্গে। সুমিত নিজের প্ল্যানে এদের তিনজনকেই রেখেছিলো কারন সে জানতো যে এরা তিনজনেই সাধারন বাড়ীর বলেই তাদের পয়সার খিদে একটু বেশীই ছিলো,তাদের মধ্য একটা সুপ্ত ইচ্ছা ছিলো বাকি বড়লোক বন্ধুদের মত জীবন কাটাবার আর সেটা সুমিত জানতো। সুমিত ওই তিনজনের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে দেখা করে, তারা পূর্বপরিচিত থাকার দরুন কেউই কিছু সন্দেহ করতে পারেনি। সুমিত তাদের কাছে একটা স্বপ্নের ফেরিওয়ালা সেজে গেছিলো, সে তাদের তিনজনকেই একটা সুন্দর স্বপ্ন বিক্রি করতে সক্ষম হয়ে উঠেছিলো। 
সুমিত নিজে মেধাবী ছাত্র হওয়াতে খুব সহজেই তাদের রাজী করিয়েছিল নিজের তথাকথিত ''এক্সপিরিমেন্ট'' এর জন্য। সুমিত আগেই বলেছি খুবই বুদ্ধিমান ছেলে তাই সে এই তিনজনের কাছে আলাদা আলাদা ভাবে গিয়ে একটা সুন্দর গল্প শোনায়,সে তাদের কে বলে তার এক বন্ধু অমেরিকায় একটা বিরাট গবেষণা করছে আর সে নিজের সেই প্রজেক্টে কিছু মেধাবী আর সাধারন বাড়ীর কিছু ভারতীয়কে নিতে চায় ।
সুমিত বলে সে ওই তিনজনের নাম সাজেস্ট করেছে তবে কেউ জানো আর কাউকে কিছু না বলে। এই একই গল্প সুমিত ওদের তিনজনকেই আলাদা ভাবে শোনায় ফলে ওরা পরিচিত হলেও আর মোটামোটী ভালো বন্ধু হলেও কেউই কাউকে কিছু বলেনা। সুমিত তাদের কে মাসে একবার করে দেখা করে ইন্টারনেটের মাধ্যম্য তার সেই বন্ধুর সঙ্গেও তার রিসার্চের ব্যাপারে কথা বলে আর তাদের তিনজনের হাতেই কিছু পয়সাও দিতে আরম্ভ করে দেয়, তবে তিনজনের সঙ্গেই সে আলাদা দেখা করতো ফলে এই ঘটনা প্রায় একবছর ধরে চললেও কেউই কোনও সন্দেহ করেনি, সুমিত কষ্ট করে হলেও তাদেরকে নিয়মিত ভাবে পয়সা দিতে থাকে,আস্তে আস্তে তারা নিজেদের খরচের বহরও বাড়িয়ে ফেলে আর সুমিতের দেওয়া পয়সার ওপর প্রচণ্ড ভাবে নির্ভরশীল হয়ে পরে।
নিজের হাতে টাকা না থাকা স্বতেও সুমিত যেখান থেকে পারুক তার এই তিন শিকারকে নিয়মিত ভাবে পয়সা দিয়ে যাচ্ছিলো শুধুমাত্র এই দিনের অপেক্ষায়, এবার সুমিতের সময় এসেছিলো। আচমকায় সুমিত একমাসের পয়সা দেয়না, অর্ণব, ঋতুপর্ণা আর নয়ন তিনজনেই তখন দিশেহারা হয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে, সে তাদের কে জানায় তার বন্ধুর প্রজেক্ট এবার বন্ধের মুখে কারন সে নিজের ওষুধটা পরীক্ষা করার জন্য শিক্ষিত মানুষ পাচ্ছেনা, সুমিত তাদের জানিয়েছিলো যে তার বন্ধু মানুষের ওজন কমিয়ে দেবার একটা যুগান্তকারী ওষুধ বানিয়েছিলো আর সুমিত জানতো যে তাদের কে প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা বললে তারা কতটা মরীয়া হয়ে উঠবে,
আর সুমিতের প্ল্যান অনুযায়ী তারা প্রত্যাকে সেই ''ওষুধের'' পরীক্ষা নিজেদের ওপর করতে রাজী হয়ে যায়। তবে তারা জানতো না যে সুমিত তাদেরকে কোনও রোগা হওয়ার ওষুধ দিচ্ছেনা সে তাদেরকে ইনজেকশনে ভরে দিচ্ছে একধরনের ফ্লুয়ের ভাইরাস। এর ফলে ওই তিনজনেই কিছদিন পরেই অসুস্থ হয়ে উঠলো আর এটাই সুমিত চাইছিলো, কারন সে জানতো অসুস্থ হবার কারনে তাদের শরীরে প্রচুর পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে, আর তাদের মারা যাওয়ার পরে তাদের শরীরে নতুন কোনও ইঞ্জেক্সনের দাগ পাওয়া মুশকিল হবে আর দ্বিতীয়ত এই মৃত্যুগুলোকে কেউই আর আকস্মিক মৃত্যু ভাববে না, সবাই ভাববে যে রোগে ভুগেই মৃত্যু ,আর সব মৃত্যুর ধরন একই হলেও পুলিসও একটু ভ্যাবাচাকা খেয়ে যাবে। এরপরে সুমিত তার মামার কাছে গিয়ে তার বাড়ীতেই থাকতে লাগে আর নিজেকে ভালো ছেলে হিসাবেই প্রতিপন্ন করে তোলে, যখন তার মামার আবার তার প্রতি ভালবাসা ফিরে আসছিলো তখনই সে একদিন তার মামার ইনসুলিনের বোতলে সেই ভাইরাসটা ইঞ্জেকট করে দেয়। এবার সুমিত নিজের বাড়ীতে ফিরে গিয়ে প্রথমেই অর্ণবকে একদিন নদীর ধারে ডাকে, যার প্রমান আমরা সেই দিনে সুমিতের মোবাইল টাওয়ারের ওইখানে উপস্থিতিতে পেয়েছি। অর্ণব ততদিনে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছিলো আর সে চিকিৎসার জন্য বাইরে যাওয়ার ব্যাবস্থাও সেরে ফেলেছিলো , ততদিনে অর্ণবের মনেও একটা সন্দেহ দানা বেধেছিলো।
তবে সেদিন সুমিত অর্ণবের হাতে আবার টাকা দেয় আর সেই ওষুধের আরেকটা ডোসও দিয়ে দেয় তবে সেইবার ভাইরাসের জায়গায় ছিলো Sodium Fluoroacetate (Compound 1080), অর্ণব কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার মৃত্যু হয়ে যায়। সুমিত ঠিক একই ভাবে ঋতুপর্ণা আর নয়নকেও মারে। তবে তার মামার বেলায় সে প্ল্যানটা একটু পাল্টায়, সেদিন আগে থেকেই সে নদীর পারে মামার সঙ্গেই উপস্থিত ছিলো।  তার মামা ঘুরতে ঘুরতে হাঁপিয়ে উঠে ওইখানে বসে তার সঙ্গে গল্প করতে বসে,আর এমনিতেই তিনি অসুস্থ ছিলেন তার ওপর অতখানি হাঁটাহাঁটির ধকল সামলাতে না পেরে তিনি একটু অসুস্থ হয়ে যান আর ঠিক সেই সুযোগেই ইনসুলিনের ছোট্ট পেনটা যার মধ্য তখন সেই মারাত্মক বিষ ভরা ছিলো সেটা ফুটিয়ে দিতেই তার মামার কাজও শেষ হয়ে যায় ,আর এই সমস্ত ঘটনায় আমাকে সুমিত নিজের মুখেই শুধু বলেনি একটা পেপারে লিখেও দিয়েছে '' বলে নিশিকান্ত উঠে দাঁড়ায়।
শালিনী এতক্ষণ ধরে চুপ করে ছিলো অনেক কষ্টে তবে এইবার নিশিকান্ত বলা থামাতেই সে বলে উঠে '' সবই বুঝলাম কিন্তু ওই মিকিমাউসের ছবিগুলো ?'' নিশিকান্ত সেই মৃদু হাসিটা মুখে রেখেই বলে '' ওটাই তো সুমিতের সব থেকে বড় গেম ছিলো,সে নিজেই একজন মেধাবী ছাত্র হওয়াতে ভালো করেই জানতো যে এই ধরনের সামান্য কিছু জিনিষের জন্যই আমাদের মত বেশী বুদ্ধিওয়ালা পুলিস এই মৃত্যুগুলোকে সিরিয়াল কিলিং ভাববে । তবে ম্যাডাম আজকের মত আমায় রেহায় দিন ওই সুমিত শালা আমাকে এমনিতেই দু রাত ভালো করে ঘুমোতে দেয়নি তার ওপর আমার হাতে একটা অমৃতের ভাণ্ডার , আমি আর অপেক্ষা করতে পারছিনা, আপনি বরং আমাকে আজ ছেড়ে দেন কাল যা যা জিগ্যেস করার করে নেবেন '' বলেই নিশিকান্ত আর দাঁড়াবার ঝুকি না নিয়ে সটান অফিস থেকে বাকি অফিসারদের সঙ্গে হয়হয় করতে করতে বেড়িয়ে যায়।
শালিনী ছোট থেকেই কোনদিন হার মেনে নিতে পারেনা , তাই আজও সে নিশিকান্তর গমন পথের দিকে তাকিয়ে রইলো, তার চোখের সেই অগ্রাসি আর আগুনঝরা দৃষ্টি যদি নিশিকান্ত দেখতে পেতো তবে হয়তো তার এত আনন্দ আর স্থায়ি হতো না। শালিনী এইবার নিশিকান্তর থেকে তার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ে আসে চেয়ারে বাঁধা নির্বাক সুমিতের দিকে, আর এবার যেন শালিনীর মুখে ফুটে উঠে একটা শয়তানী হাসি ! নিশিকান্ত অনুমানও করতে পারেনি যে তার পেছনে শালিনী ঠিক কি রকম ষড়যন্ত্র করছে, সেদিন নিশিকান্ত বাড়ীতে ফিরে স্নান করেই সহায় সাহেবের দেওয়া বোতলটা খুলে বসে পরে। যতক্ষণ তার হুঁশ ছিলো সে মদ খেয়েই গেছিলো, তবে টেবিল থেকে সে যে কখন বিছানায় পৌঁছে গেলো সেটা তার পরেরদিন সকালে কিছুতেই আর মনে পড়লো না। সকালে মাথায় অসহ্য যন্ত্রনায় তাকে বুঝিয়ে দিচ্ছিলো যে স্কচের দম ঠিক কতটা। নিশিকান্ত যন্ত্রনায় কাতর হয়ে ''লালু'' বলে হাঁক পারতেই লালু হাতে একটা গ্লাসে লেবুর সরবত এনে হাজির হয়ে যায়। লেবুর শরবতটা খেয়ে নিশিকান্ত একটু যেন রেহায় পায় তার মাথার হাত থেকে। নিশিকান্তর এবার মনে পরে যায় যে আজ সুমিতকে কোর্টে নিয়ে যাবার ডেট ,এটা মনে পড়তেই সে তড়াক করে বিছানা ছেড়ে উঠে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বেড়িয়ে যায়।
থানায় পৌঁছে সে দেখে যে ইতিমধ্যিই সুমিতকে কোর্টের দিকে নিয়ে শালিনী রওনা হয়ে গেছিলো,নিশিকান্ত যখন হন্তদন্ত হয়ে কোর্টে পৌঁছায় তখন সে দেখে শালিনীর শরীররী ভাষায় যেন একটু তফাৎ এসেছে। তবে নিশিকান্ত তখন তার সাফল্যর আনন্দেই ছিলো, তাই সে অত কিছু না ভেবে সোজা শালিনীর পাশে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে পরে। শালিনী শুধু নিশিকান্তর দিকে একবার তাকিয়ে নিজের মনেই একটু হেসে আবার কোর্টের দিকে ফিরে গম্ভীর ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। বিচারক ততক্ষণে এসে পৌঁছে গেছিলো এজলাসে, একে একে চারটে কেসের হেয়ারিং হয়ে যাবার পরে তাদের কেসের নম্বর আসে, এইবার গোটা কোর্টের সমস্ত মানুষজনই একটু নড়েচড়ে ভালোভাবে বসে, আজ সকাল থেকেই সবাই এই কেসটার জন্যই উদগ্রীব হয়েই বসেছিলো । গোটা শহরের সবচেয়ে রহস্যজনক কেসের আজ খোলাসা হবে তাই আজ কোর্টে যেন গোটা শহরের মানুষ ভেঙ্গে পড়েছিলো, কোর্ট থেকে অর্ডার পেয়ে পুলিস তখন ইতিমধ্যিই কোর্টের দরজা বন্ধ করে কড়া পাহারা বসিয়ে দিয়েছিলো।
সেই রুদ্ধদ্বার ঘরে কিন্তু লোকের কমতি ছিলনা, সেই ভিড়ে ঠাসা ঘরেই সরকারি আর আসামি পক্ষের উকিলের মধ্য আরম্ভ হলো তুমুল লড়াই, আসামি পক্ষের উকিল ক্রমাগত শুধু একটাই কথা বলে যাচ্ছিলো যে পুলিসের অত্যাচারে তার মক্কেল বাধ্য হয়েই নিজের দোষ স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছিলো, তবে তার আসামি সম্পূর্ণ ভাবেই নির্দোষ। সরকারি পক্ষের উকিলও অভিজ্ঞ ছিলেন উনি নিজের সপক্ষে একটার পর প্রমান দাখিল করে যাচ্ছিলেন। সুমিতের ঘটনার দিনের মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন থেকে আরম্ভ করে তার পূর্ব অপকীর্তির একের পর এক নিদর্শন, এমন কি শেষে সরকারি উকিল সুমিতের নিজের হাতের লেখা স্বীকারোক্তি অব্দি যখন আদালতে পেশ করে,তখন বিচারক ছাড়াও ঘর শুদ্ধ সবাই যেন বুঝতেই পারছিলো যে সুমিতের আসামি ঘোষণা হওয়া শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা।
তবে আসামি পক্ষের উকিলের ক্রমাগত বলে যাওয়া যে আসামি নির্দোষ শুধু পুলিসের ভয়েই নিজেকে অপরাধী মেনে নিচ্ছে , এটা দেখে বিচারক শেষে প্রায় বাধ্য হয়েই সুমিতকে তার নিজের মুখেই সব বলার জন্য কাঠগড়ায় ডাকে। এইবার এতক্ষণে শালিনীও যেন একটু হাঁপ ছাড়ে কারন তার অস্ত্র এতক্ষণে ময়দানে নামলো।
কাল সারারাত শালিনী সুমিতকে একান্তে সম্পূর্ণ ভাবে অভয় দিয়ে গেছিলো, যে সে যেন আদালতে তার সমস্ত বয়ান পাল্টে দিয়ে পুরো দোষটা নিশিকান্তর অমানুষিক পুলিসি অত্যাচারের ওপর চাপিয়ে দেয়। সুমিতকে কাঠগড়ার দিকে এগোতে দেখেই শালিনীর মুখে সেই শয়তানী হাঁসিটা ফুটে ওঠে, শালিনী কাল থেকেই অপেক্ষা করে যাচ্ছিলো যে কখন এই সময়টা আসবে আর ভরা আদালতে নিশিকান্তর গর্বের ফানুসটা ফেটে হাওয়া বেড়িয়ে যাবে।
সুমিত ক্লান্ত, বিধস্ত অবস্থায় যখন কাঠগড়ায় ওঠে তখন শালিনীর মনে হয় তার রেসের ঘোড়া যেন নিজের পজিশন নিচ্ছে তাকে ডার্বি জেতাবার জন্য। সুমিতকে প্রথম প্রশ্ন করলেন বিচারক নিজেই, উনি জিগ্যেস করলেন '' এই কেস সম্বন্ধে তোমার কি বলার আছে বলো ''। সুমিত প্রথমে ভালো করে মুখ তুলেও তাকাচ্ছিলো না কারুর দিকে, তবে একই প্রশ্ন বিচারক বার দুয়েক করাতে সে এবার মুখ তুলে বিচারকের দিকে তাকিয়ে নিরাসক্ত গলাতে বলে '' আমিই দোষী, যে সমস্ত অভিযোগ আমার ওপরে লাগানো হয়েছে তা সমস্তই সত্যি, এবার আমাকে দয়া করে সাজা দিয়ে দেন '' বলা শেষ হতেই সুমিত কান্নায় ভেঙ্গে পরে আর বিচারকের নির্দেশে পুলিস তাকে নিয়ে চলে যায় কারাগারে।
আসামি পক্ষের উকিলের থেকেও শালিনী অনেক বেশী শকড হয়েছিলো , তার জেতা পাশার দান যেন এক মুহূর্তেই উল্টে গেলো আর শালিনী শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখলো যে সুমিত মাথা নত করে কিভাবে নিজেকে সপে দিলো পুলিসের হাতে! নিশিকান্ত এবার হাসি মুখেই এগিয়ে এসে শালিনীর কানের কাছে ফিসফিস করে বলে
'' এবার তো আর তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে না ?'' শালিনীর এই প্রশ্ন শুনে মনে হচ্ছিলো ঠাস করে একটা চড় কষিয়ে দেয় নিশিকান্তর সহাস্য মুখে , তবে সময় বড় বলবান তাই বাধ্য হয়েই শালিনী মুখে একটা হাসি ফুটিয়ে রাখে। আর হাঁদা নিশিকান্ত সেটা দেখেই ভাবে সে বিশ্বজয় করে নিয়েছে তবে সে জানতো না যে শালিনী তার বধের জন্য নতুন অস্ত্র ভাবতে আরম্ভ করে দিয়েছিলো !বিচারক পাঁচ দিন পরের একটা ডেট দেয় সাজা ঘোষণা করার জন্য,নিশিকান্ত আর শালিনী একসঙ্গেই বেড়িয়ে আসে আর দেখে যে সুমিতের বউ সুমিতকে ধরে ফুলে ফুলে কেঁদে যাচ্ছিলো ।
তবে সুমিতের চোখে একটা আতঙ্ক ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলো না শালিনী,সেই আতঙ্ক মাখা চোখ যেন কোন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলো তবে ওইভাবে সুমিত বয়ান উল্টে দেবার পরে শালিনীর প্রবিত্তি ছিলো না তার সঙ্গে কথা বলার।
শালিনী নিশিকান্তর সঙ্গে যেতে যেতেই একবার মাত্র মুখ ফিরিয়ে দেখে সুমিতকে আর দেখে যে সুমিত কিরকম একটা ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তার দিকেই তাকিয়ে ছিলো, সেই দৃষ্টিতে যেন মৃত্যু ভয় আর আতঙ্ক একসঙ্গেই ফুটে উঠেছিলো। শালিনী বুঝতে পারেনা সুমিতের ওইভাবে তাকানোর মানে, তবে সে আর সুমিতকে নিয়ে বেশী মাথা না ঘামিয়ে নিজের দ্বিতীয় অস্ত্রের কথা ভাবতে থাকে, নিশিকান্তকে বধ করার জন্য !
ধৃতরাষ্ট্র - দা বস !
[+] 7 users Like DHRITHARASTHA's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: '' মিকি মাউস '' - by ddey333 - 14-06-2021, 09:06 AM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bichitro - 14-06-2021, 10:35 AM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bichitro - 14-06-2021, 07:23 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by ddey333 - 14-06-2021, 07:46 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bumba_1 - 14-06-2021, 07:22 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Baban - 14-06-2021, 09:12 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by ddey333 - 16-06-2021, 09:24 AM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bumba_1 - 16-06-2021, 04:00 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bumba_1 - 16-06-2021, 08:08 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bumba_1 - 17-06-2021, 09:57 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by raja05 - 17-06-2021, 10:56 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by ddey333 - 18-06-2021, 10:39 AM
RE: '' মিকি মাউস '' - by ddey333 - 18-06-2021, 04:42 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by RANA ROY - 19-06-2021, 05:41 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bumba_1 - 19-06-2021, 05:45 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bichitro - 20-06-2021, 12:04 AM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bichitro - 20-06-2021, 11:58 AM
RE: '' মিকি মাউস '' - by RANA ROY - 21-06-2021, 11:43 AM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bumba_1 - 21-06-2021, 09:52 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by chndnds - 21-06-2021, 10:52 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bichitro - 22-06-2021, 09:19 AM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bichitro - 22-06-2021, 03:08 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bichitro - 22-06-2021, 07:06 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bichitro - 22-06-2021, 09:02 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bichitro - 22-06-2021, 09:32 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bumba_1 - 22-06-2021, 09:42 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by RANA ROY - 23-06-2021, 03:04 AM
RE: '' মিকি মাউস '' - by chndnds - 23-06-2021, 07:37 AM
RE: '' মিকি মাউস '' - by chndnds - 23-06-2021, 04:09 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bichitro - 23-06-2021, 07:17 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bichitro - 23-06-2021, 10:06 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bumba_1 - 23-06-2021, 07:23 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by DHRITHARASTHA - 24-06-2021, 10:47 AM
RE: '' মিকি মাউস '' - by chndnds - 24-06-2021, 03:07 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bichitro - 24-06-2021, 06:54 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bichitro - 24-06-2021, 07:29 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bichitro - 24-06-2021, 09:15 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Bichitro - 24-06-2021, 10:47 PM
RE: '' মিকি মাউস '' - by Rajibbro - 25-06-2021, 04:51 AM



Users browsing this thread: 4 Guest(s)