23-06-2021, 01:54 PM
(This post was last modified: 05-07-2021, 11:26 AM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
দেখতে দেখতে ডিসেম্বর মাস এসে যায়। সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকলেও ডিসেম্বর মানেই কেমন একটা ছুটি ছুটি ভাব ঘুরে বেড়ায় আকাশে বাতাসে। ছুটির আমেজে ছোটবেলার বন্ধু নিঝুম নিবিড় লিসা আর সুপ্তি একত্রিত হয় নিঝুমদের বাসায়। এরা সবাই ছোটবেলায় একই কলেজে পড়লেও এখন প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা কলেজে পড়ছে। নিবিড় আর নিঝুমের মধ্যে যে গাঢ় বন্ধুত্ব, লিসা কিংবা সুপ্তির সাথে অতটা অ্যাটাচমেনট নেই ওদের, ওদের সাথে অত যোগাযোগও হয়ে ওঠেনা।
নিবিড়ের দূরসম্পর্কের বড় বোন ঈশিতাও এসেছে। সে নিবিড়দের বাসায় থেকে পড়াশুনা করে। তাই নিবিড়ের বন্ধুদের সাথে পরিচয় তারও আছে। আর সবার মা তো এসেছেনেই। তবে মা এবং ছেলেমেয়েদের ফ্রেন্ড সার্কেল আলাদা আলাদা আড্ডা দিচ্ছে অবশ্যই। হাসিঠাট্টায় সময় কাটাতে কাটাতে নিবিড় আজ আবারও নিঝুমকে আঘাত করে বসে আকাশকে নিয়ে। এবার নিঝুম আর কোন ঝগড়াঝাঁটিতে যায় না, সাফ বলে দেয় যে আকাশকে নিয়ে নিবিড় আর একটা কথাও বললে সে নিজের একটা ক্ষতি করে বসবে। বেগতিক দেখে ঈশিতা নিঝুমকে টেনে নিয়ে যায় অন্য ঘরে। কিন্তু নিয়ে যেয়ে যে কথা বলে তা শুনে আবারও নিঝুম দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে। ঈশিতা নিঝুমকে প্রশ্ন করে, “নিঝু তুই কি নিবিড়কে পছন্দ করিস?” নিঝুম বলে, “এই এক ব্যাপার আমি আর কতজনের কাছ থেকে শুনব?? একজন বলে নিবিড় আমাকে পছন্দ করে, আরেকজন আবার আমাকেই প্রশ্ন করছে আমি পছন্দ করি কিনা। সমস্যাটা কোথায় তোমাদের সবার? জান না তোমরা এটা সম্ভব না? ” অন্য কেউ হলে এত কড়া ভাবে কথাগুলো বলতে পারতোনা নিঝুম।কিন্তু নিবিড়ের বোন মানেই তারও বোন, এজন্যই বয়সের পরোয়া না করে এভাবে বলে দেয়। ঈশিতা দমে না। বলে, “সম্ভব করতে চাইলেই সম্ভব। তোদের মতো এরকম সমস্যা অনেকেরই আছে। কিন্তু তারা সেটাকে জয় করেছে। কিন্তু সম্ভব অসম্ভবের কথা পড়ে আসছে। তুই আরেকবার ভাব, ভেবে বল তুই নিবিড়কে পছন্দ করিস কি না। তুই ওর জন্য নিজের ক্ষতি করতে চাইলি,এটা তো স্বাভাবিক না।” নিঝুম বলে, “আমি কোন ছেলের ব্যাপারেই এরকম কিছু ফিল করিনা। আর কেন নিজেকে কষ্ট দেব সেটা আমি বলেছি তোমার সামনেই। ও আকাশ আর আমাকে নিয়ে এমন কথা বলে কেন? ও তো জানে যে আমি এমন না। ” এবার নিঝুমের চমকে যাওয়ার পালা। ঈশিতা বলে, “তুই পছন্দ করলেও আমি তোকে মানা করতাম সিরিয়াস হতে। কারণ ও হয়তো তোকে সিরিয়াসলি নিত না। তোকে মিসডকল দেয়, ওর কলেজের একটা মেয়ে আছে, ওর ফ্রেন্ড, রূপা, ওকেও দিত এরকম মিসডকল। ওর কাছে অবশ্য সেটা শুধু বন্ধুত্বই। কিন্তু রূপা সম্ভবত ওকে পছন্দ করে। ইচ্ছা করে করে ওকে ফোন দেয়, দরকার না থাকলেও। ও মিসডকল দিলে তখন নিবিড় ব্যাক করত। আমাকে বলেছে ওর নাকি বিরক্ত লাগে। কিন্তু আমি ঠিক সিওর না। আমার মনেহয় নিবিড় ওকে পছন্দ করে। ” নিঝুমের চোখেমুখে একটা খুশি ঝিলিক দিয়ে যায়, “নিবিড়ের কাউকে পছন্দ???? ও হো!” মুহূর্তে রাগ ভুলে নিবিড়ের কাছে ছুটে যায় নিঝুম। “কী রে রূপা কে?”, প্রশ্ন করে।নিবিড় একটু হকচকিয়ে যায় প্রশ্নটা শুনে। কিছু বলেনা। নিঝুম সুযোগ পেয়ে আবার পিছে লাগে, “হু হু তোমার বলতে হবেনা গুরু, আমি জেনে গেছি! পছন্দ কর তো বলতে কী ভয়?আমাকে নাম্বার দিস, আমিই বলে দেব।” নিবিড় বুঝানর চেষ্টা করে, “তোকে কে বলল আমি রুপাকে পছন্দ করি? করিনা। ও শুধুই আমার ক্লাসমেট, আমার আর সব বন্ধুর মতো একজন বন্ধু।” কিন্তু নিঝুম শোনে না। এরপর খোঁচাতেই থাকে। সাথে যোগ দেয় লিসা আর সুপ্তি। নিবিড় একবার কটমট করে ঈশিতার দিকে তাকায়। নিঝুম তা দেখেও দেখেনা। সে আছে তার খেয়ালে, নিবিড়- রূপা, রূপা- নিবিড়। না দেখেই মেয়েটাকে পছন্দ করে ফেলে সে।
নিবিড়ের দূরসম্পর্কের বড় বোন ঈশিতাও এসেছে। সে নিবিড়দের বাসায় থেকে পড়াশুনা করে। তাই নিবিড়ের বন্ধুদের সাথে পরিচয় তারও আছে। আর সবার মা তো এসেছেনেই। তবে মা এবং ছেলেমেয়েদের ফ্রেন্ড সার্কেল আলাদা আলাদা আড্ডা দিচ্ছে অবশ্যই। হাসিঠাট্টায় সময় কাটাতে কাটাতে নিবিড় আজ আবারও নিঝুমকে আঘাত করে বসে আকাশকে নিয়ে। এবার নিঝুম আর কোন ঝগড়াঝাঁটিতে যায় না, সাফ বলে দেয় যে আকাশকে নিয়ে নিবিড় আর একটা কথাও বললে সে নিজের একটা ক্ষতি করে বসবে। বেগতিক দেখে ঈশিতা নিঝুমকে টেনে নিয়ে যায় অন্য ঘরে। কিন্তু নিয়ে যেয়ে যে কথা বলে তা শুনে আবারও নিঝুম দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে। ঈশিতা নিঝুমকে প্রশ্ন করে, “নিঝু তুই কি নিবিড়কে পছন্দ করিস?” নিঝুম বলে, “এই এক ব্যাপার আমি আর কতজনের কাছ থেকে শুনব?? একজন বলে নিবিড় আমাকে পছন্দ করে, আরেকজন আবার আমাকেই প্রশ্ন করছে আমি পছন্দ করি কিনা। সমস্যাটা কোথায় তোমাদের সবার? জান না তোমরা এটা সম্ভব না? ” অন্য কেউ হলে এত কড়া ভাবে কথাগুলো বলতে পারতোনা নিঝুম।কিন্তু নিবিড়ের বোন মানেই তারও বোন, এজন্যই বয়সের পরোয়া না করে এভাবে বলে দেয়। ঈশিতা দমে না। বলে, “সম্ভব করতে চাইলেই সম্ভব। তোদের মতো এরকম সমস্যা অনেকেরই আছে। কিন্তু তারা সেটাকে জয় করেছে। কিন্তু সম্ভব অসম্ভবের কথা পড়ে আসছে। তুই আরেকবার ভাব, ভেবে বল তুই নিবিড়কে পছন্দ করিস কি না। তুই ওর জন্য নিজের ক্ষতি করতে চাইলি,এটা তো স্বাভাবিক না।” নিঝুম বলে, “আমি কোন ছেলের ব্যাপারেই এরকম কিছু ফিল করিনা। আর কেন নিজেকে কষ্ট দেব সেটা আমি বলেছি তোমার সামনেই। ও আকাশ আর আমাকে নিয়ে এমন কথা বলে কেন? ও তো জানে যে আমি এমন না। ” এবার নিঝুমের চমকে যাওয়ার পালা। ঈশিতা বলে, “তুই পছন্দ করলেও আমি তোকে মানা করতাম সিরিয়াস হতে। কারণ ও হয়তো তোকে সিরিয়াসলি নিত না। তোকে মিসডকল দেয়, ওর কলেজের একটা মেয়ে আছে, ওর ফ্রেন্ড, রূপা, ওকেও দিত এরকম মিসডকল। ওর কাছে অবশ্য সেটা শুধু বন্ধুত্বই। কিন্তু রূপা সম্ভবত ওকে পছন্দ করে। ইচ্ছা করে করে ওকে ফোন দেয়, দরকার না থাকলেও। ও মিসডকল দিলে তখন নিবিড় ব্যাক করত। আমাকে বলেছে ওর নাকি বিরক্ত লাগে। কিন্তু আমি ঠিক সিওর না। আমার মনেহয় নিবিড় ওকে পছন্দ করে। ” নিঝুমের চোখেমুখে একটা খুশি ঝিলিক দিয়ে যায়, “নিবিড়ের কাউকে পছন্দ???? ও হো!” মুহূর্তে রাগ ভুলে নিবিড়ের কাছে ছুটে যায় নিঝুম। “কী রে রূপা কে?”, প্রশ্ন করে।নিবিড় একটু হকচকিয়ে যায় প্রশ্নটা শুনে। কিছু বলেনা। নিঝুম সুযোগ পেয়ে আবার পিছে লাগে, “হু হু তোমার বলতে হবেনা গুরু, আমি জেনে গেছি! পছন্দ কর তো বলতে কী ভয়?আমাকে নাম্বার দিস, আমিই বলে দেব।” নিবিড় বুঝানর চেষ্টা করে, “তোকে কে বলল আমি রুপাকে পছন্দ করি? করিনা। ও শুধুই আমার ক্লাসমেট, আমার আর সব বন্ধুর মতো একজন বন্ধু।” কিন্তু নিঝুম শোনে না। এরপর খোঁচাতেই থাকে। সাথে যোগ দেয় লিসা আর সুপ্তি। নিবিড় একবার কটমট করে ঈশিতার দিকে তাকায়। নিঝুম তা দেখেও দেখেনা। সে আছে তার খেয়ালে, নিবিড়- রূপা, রূপা- নিবিড়। না দেখেই মেয়েটাকে পছন্দ করে ফেলে সে।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)