22-06-2021, 09:47 PM
(This post was last modified: 05-07-2021, 11:25 AM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
“ওহহো আকাশ, তোকে না কতবার বলেছি ফোন নেই আমার? তাও বারবার ফোন দিসনা কেন বলার মানে কী?”, খাতায় কুনোব্যাঙের ছবি আঁকতে আঁকতে আকাশের প্রতি একটু ঝাঁঝিয়েই ওঠে নিঝুম।
-“তোর সাথে কথা বলতে ভালো লাগে… ব্যাঙের ঠ্যাং ঠিক কর, বাঁকা হয়েছে”, আকাশ বলে।
-“কই? খাতা বাঁকা……… তোদের সবার ভালো লাগানোর দায়িত্ব নিয়েছি নাকি আমি??”
-“আহা দোস্ত এমন করিস কেন? আসলে হয়েছে কী, ওই ব্যাপারটা নিয়ে একটু কথা বলতে চাচ্ছিলাম, তাই বলছিলাম তোর ফোন থাকলে ভালো হত, ফোন করতে পারতি অথবা আমি ফোন করতে পারতাম তোকে।”
-“ও ওই ব্যাপার? তো সেটা আগে বলবেই পারতি। সাতসকালে উঠে ফোন দিস না কেন রেকর্ডটা গ্রামোফোনে না চাপালেও তো পারতি। আমি তো আসিই, তখন যা বলার বললেই হয়। আর তুই কীভাবে দাবি করিস তোকে আমি ফোন দিব? জীবনে দিয়েছি? নিবিড়কেই আমি খুব দরকার লাগলে ফোন করি, তাও ল্যান্ডলাইনে। আর তুই চাস আমি তোকে এমনি এমনি ফোন দিব!”
-“আবার নিবিড়!”
-“হ্যাঁ নিবিড়। কেন তোর কোন সমস্যা হয়েছে নিবিড়ের কথা বলায়?? ভুলে যাস না ও আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, তোর সাথে বন্ধুত্বের অনেক আগে থেকে ওর সাথে বন্ধুত্ব…বুঝিনা বাবা একজন আরেকজনের নাম শুনলেই এমন খেপে যাস কেন তোরা!”
-“আচ্ছা হয়েছে হয়েছে, এখন আমার কথা শুনবি তো নাকি?”
-“হু বল তোর কী কথা।”
এস এস সি পরীক্ষা সামনেই। স্কুল শেষ, পরীক্ষা পূর্ববর্তী প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন স্যার ম্যাডামদের বাসায় আর কোচিঙে দৌড়াদৌড়ি চলছে খুব ছাত্রছাত্রীদের। তেমনই এক বায়োলজি স্যারের ভোর সাতটার ক্লাসে বসে উপরের কথাবার্তাগুলো চলছে নিঝুম আর আকাশের। ঘুম ভেঙ্গেই মেঘলা আকাশ দেখে মনটা বেশ উড়ু উড়ু ছিল নিঝুমের। কিন্তু আকাশের প্রশ্ন শুনে মেজাজটা যায় বিগড়ে। নিঝুম ক্লাসে ঢুকার সাথে সাথে আকাশের প্রশ্ন-“তুই আমাকে ফোন দিস না কেন?” ব্যাটা তোর কাছে আমি ফোন করব চুক্তিপত্রে সই করেছি নাকি!-বলতে যেয়েও বলেনা নিঝুম। সকাল সকাল মুড অফ করার ইচ্ছে হচ্ছিলনা। তবে মেজাজটা খারাপ হয় ঠিকই। কিন্তু ভালো হতেও সময় লাগেনা কালো মেঘে ঢাকা আকাশের ছায়ায় মন হারাতে হারাতে আর বন্ধু আকাশের সাথে পরবর্তী ক্লাসটাইম টকশো করতে করতে।
আজকাল নিবিড় বেশ বাবুয়ানা দেখানো শুরু করেছে নিঝুমের সাথে। কোচিঙের ক্লাস শেষ। সুতরাং দেখাও হয়না। সামনে পরীক্ষা, বাসায়ও যাওয়া হয়না তেমন একটা। কিন্তু মেসেজ ঠিকই চলে দুজনার। এখন অবশ্য পড়াশুনোই পুরো জায়গা দখল করে নেই। অন্য কথাও হয়। তার মধ্যে নিবিড়ের দখলদারিত্ব প্রকট। কিছুদিন হল তাদের মধ্যে মিসডকল মিসডকল খেলা শুরু হয়েছে। খেলাটা যে কে আগে শুরু করেছে, বলা মুশকিল। হয়তো নিঝুমই। নিঝুম হঠাৎ হঠাৎ ল্যান্ডলাইন থেকে নিবিড়ের মোবাইলে ফোন করে একটা রিং বাজলেই ছেড়ে দিচ্ছে। নিবিড়ও উত্তরে নিঝুমের ল্যান্ডলাইনে একটা রিং বাজাচ্ছে। কোন নিয়ম নেই যে দিতেই হবে। এটা শুধুই খেলা। তাই মাঝে মাঝেই খেলেনা নিঝুম। কিন্তু পরদিন মেসেজ দিতে গেলে একজনের রাগী রাগী মেসেজ আসে-“কাল খোঁজ ছিলনা কেন?”
রিপ্লাই-“মানে?”
আবার রিপ্লাই-“মানে বুঝনা তুমি? কাল ‘মিস’ দাওনি কেন?”
-“রোজ দিতে হবে এমন কোন নিয়ম আছে নাকি রে কোথাও?”
-“আছে।”
-“কোন শাস্ত্রে আছে? দেখা।”
-“আমার শাস্ত্রে আছে। তুমি দিবে কি না? মেসেজ দিতে না পার, একটা ‘মিস’ দিবে রোজ যেখান থেকেই পার।”
-“কেন?”
-“আমি বলছি তাই। টেনশন লাগে।”
-“আজিব!টেনশন কেন লাগবে?”
-“জানিনা। যা বলছি করবে ব্যস।”
-“তোর সাথে কথা বলতে ভালো লাগে… ব্যাঙের ঠ্যাং ঠিক কর, বাঁকা হয়েছে”, আকাশ বলে।
-“কই? খাতা বাঁকা……… তোদের সবার ভালো লাগানোর দায়িত্ব নিয়েছি নাকি আমি??”
-“আহা দোস্ত এমন করিস কেন? আসলে হয়েছে কী, ওই ব্যাপারটা নিয়ে একটু কথা বলতে চাচ্ছিলাম, তাই বলছিলাম তোর ফোন থাকলে ভালো হত, ফোন করতে পারতি অথবা আমি ফোন করতে পারতাম তোকে।”
-“ও ওই ব্যাপার? তো সেটা আগে বলবেই পারতি। সাতসকালে উঠে ফোন দিস না কেন রেকর্ডটা গ্রামোফোনে না চাপালেও তো পারতি। আমি তো আসিই, তখন যা বলার বললেই হয়। আর তুই কীভাবে দাবি করিস তোকে আমি ফোন দিব? জীবনে দিয়েছি? নিবিড়কেই আমি খুব দরকার লাগলে ফোন করি, তাও ল্যান্ডলাইনে। আর তুই চাস আমি তোকে এমনি এমনি ফোন দিব!”
-“আবার নিবিড়!”
-“হ্যাঁ নিবিড়। কেন তোর কোন সমস্যা হয়েছে নিবিড়ের কথা বলায়?? ভুলে যাস না ও আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, তোর সাথে বন্ধুত্বের অনেক আগে থেকে ওর সাথে বন্ধুত্ব…বুঝিনা বাবা একজন আরেকজনের নাম শুনলেই এমন খেপে যাস কেন তোরা!”
-“আচ্ছা হয়েছে হয়েছে, এখন আমার কথা শুনবি তো নাকি?”
-“হু বল তোর কী কথা।”
এস এস সি পরীক্ষা সামনেই। স্কুল শেষ, পরীক্ষা পূর্ববর্তী প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন স্যার ম্যাডামদের বাসায় আর কোচিঙে দৌড়াদৌড়ি চলছে খুব ছাত্রছাত্রীদের। তেমনই এক বায়োলজি স্যারের ভোর সাতটার ক্লাসে বসে উপরের কথাবার্তাগুলো চলছে নিঝুম আর আকাশের। ঘুম ভেঙ্গেই মেঘলা আকাশ দেখে মনটা বেশ উড়ু উড়ু ছিল নিঝুমের। কিন্তু আকাশের প্রশ্ন শুনে মেজাজটা যায় বিগড়ে। নিঝুম ক্লাসে ঢুকার সাথে সাথে আকাশের প্রশ্ন-“তুই আমাকে ফোন দিস না কেন?” ব্যাটা তোর কাছে আমি ফোন করব চুক্তিপত্রে সই করেছি নাকি!-বলতে যেয়েও বলেনা নিঝুম। সকাল সকাল মুড অফ করার ইচ্ছে হচ্ছিলনা। তবে মেজাজটা খারাপ হয় ঠিকই। কিন্তু ভালো হতেও সময় লাগেনা কালো মেঘে ঢাকা আকাশের ছায়ায় মন হারাতে হারাতে আর বন্ধু আকাশের সাথে পরবর্তী ক্লাসটাইম টকশো করতে করতে।
আজকাল নিবিড় বেশ বাবুয়ানা দেখানো শুরু করেছে নিঝুমের সাথে। কোচিঙের ক্লাস শেষ। সুতরাং দেখাও হয়না। সামনে পরীক্ষা, বাসায়ও যাওয়া হয়না তেমন একটা। কিন্তু মেসেজ ঠিকই চলে দুজনার। এখন অবশ্য পড়াশুনোই পুরো জায়গা দখল করে নেই। অন্য কথাও হয়। তার মধ্যে নিবিড়ের দখলদারিত্ব প্রকট। কিছুদিন হল তাদের মধ্যে মিসডকল মিসডকল খেলা শুরু হয়েছে। খেলাটা যে কে আগে শুরু করেছে, বলা মুশকিল। হয়তো নিঝুমই। নিঝুম হঠাৎ হঠাৎ ল্যান্ডলাইন থেকে নিবিড়ের মোবাইলে ফোন করে একটা রিং বাজলেই ছেড়ে দিচ্ছে। নিবিড়ও উত্তরে নিঝুমের ল্যান্ডলাইনে একটা রিং বাজাচ্ছে। কোন নিয়ম নেই যে দিতেই হবে। এটা শুধুই খেলা। তাই মাঝে মাঝেই খেলেনা নিঝুম। কিন্তু পরদিন মেসেজ দিতে গেলে একজনের রাগী রাগী মেসেজ আসে-“কাল খোঁজ ছিলনা কেন?”
রিপ্লাই-“মানে?”
আবার রিপ্লাই-“মানে বুঝনা তুমি? কাল ‘মিস’ দাওনি কেন?”
-“রোজ দিতে হবে এমন কোন নিয়ম আছে নাকি রে কোথাও?”
-“আছে।”
-“কোন শাস্ত্রে আছে? দেখা।”
-“আমার শাস্ত্রে আছে। তুমি দিবে কি না? মেসেজ দিতে না পার, একটা ‘মিস’ দিবে রোজ যেখান থেকেই পার।”
-“কেন?”
-“আমি বলছি তাই। টেনশন লাগে।”
-“আজিব!টেনশন কেন লাগবে?”
-“জানিনা। যা বলছি করবে ব্যস।”