21-06-2021, 05:25 PM
(This post was last modified: 05-07-2021, 11:23 AM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
অনন্ত নিঝুমতা – ১
“একটা থাপ্পড় খাবি ফাজিল!!”, চেঁচিয়ে উঠে নিঝুম। সাথে সাথে অবশ্য নিবিড়ের উত্তরটাও পেয়ে যায়,”তোর একারই হাত আছে, তাই না?” এরপর মারামারি, আর আরও আরও ঝগড়া। ঝগড়া করতে করতে দুজন ভুলেই যায় যে আসলে ঝগড়াটা কী নিয়ে শুরু হয়েছিল। কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায় ভিন্ন দৃশ্য। কার কী একটা কথায় হাসির ফোয়ারা ছুটেছে একটু আগের ঝগড়া রত দুই কিশোরকিশোরীর মাঝে। হ্যাঁ, ওরা এরকমই। নিবিড় আর নিঝুম। এই ঝগড়া, এই ভাব, এই রোদ, এই বৃষ্টি। এদেরকেই হয়তো bestfriend বলা চলে। সেদিন বাড়ি ফেরার সময় বের হয়ে গাড়ি খুঁজে না পেয়ে নিঝুমের মা হঠাৎ নিবিড়কে বলে বসেন,”বাবা যাও তো তোমার girlfriend এর সাথে যেয়ে গাড়িটা কই দেখো তো!” কথা শুনে দুজনেই হা। বলে কী মহিলা! এদিকে নিবিড়ের মাও হেসে দিয়েছেন এই কথা শুনে। কিন্তু যাদের নিয়ে এই রসিকতা, তাদের কারো চেহারাতেই খুশির ছাপ দেখা গেল না। বরং আবার একচোট ঝগড়া হয়ে গেল এই নিয়ে।
নিবিড়-“ওই তুই আমার girlfriend হইলি কবে?? তুই আমার girlfriend না।”
নিঝুমও সমান তেজে উত্তর দেয়-“এহ আমার বয়ে গেছে তোর girlfriend হতে!”
ভাগ্যক্রমে তখনই গাড়িটা পেয়ে যায় ওরা। মারামারিটা তখনকার মতো স্থগিত থাকে। যে যার বাসায় চলে যায় মায়ের সাথে।
নিঝুম আর নিবিড়। সেই ছোট্টবেলা, মানে নার্সারিতে পড়ার সময় থেকেই বন্ধু। বন্ধু না বলে শত্রু বলাই হয়তো ভালো, কারণ এত ঝগড়া আর মারামারি শত্রুরাও করে কিনা সন্দেহ। তারপরও ওরা কিন্তু বন্ধু!! ছোটবেলায় একই স্কুলে পড়ার সুবাদে দুজনের মধ্যে একটা “বন্ধুত্ব” গড়ে উঠে তাদের মায়েদের কল্যাণে। মাঝে স্কুল বদলের কারণে নিবিড় আর নিঝুমের যোগাযোগে ভাটা পড়লেও মায়েদের সম্পর্ক অটুট ছিল। তারপর নিবিড়ের বাবা হঠাৎ করে মারা যাওয়ার পর যোগাযোগটা আবার বেড়ে যায় দুজনের, কারণ দুই বাড়ির মানুষদের যাওয়া আসা বেড়ে যায়। উপরোক্ত কথোপকথনটি ওদের সেই আবার বন্ধুত্বের সময়ের।
ছোটবেলায় সাইকেল চালানর কারণে নিঝুম নিবিড়ের থেকে একটু লম্বা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন নিবিড়ই বেশ লম্বা। তবে নিঝুম সে যে লম্বা ছিল এটা শুনাতে ছাড়ে না যখনই নিবিড় ওকে খাটো বলে খেপায়। বেশ দেখতে নিবিড়। অন্তত অন্য মেয়েদের চোখে তো বটেই। চশমার ওপাশে চোখ দুটো বড় কাছে টানে। অনেক মেয়ে আবার তার উপর ফিদাও! ভদ্র ছেলে বলে সুনাম আছে নিবিড়ের। নিঝুম আবার ঠিক উলটো। ভালো দেখানর ধারেকাহেও নেই। তবে খুব সেনসিটিভ নিঝুম। খুব অল্পেই যেমন রেগে যায়, তেমনি খুব অল্পতেই অসম্ভব খুশি হয়ে যায়। নিঝুমের রাগ মানে চুপ হয়ে যাওয়া, খুব রাগ হলে সে চুপ হয়ে যায়, যার উপর রাগ তার সাথে কথা বলেনা। আর যতসব অদ্ভুত খেয়ালের সমাহার নিঝুম। বন্ধুদের মতে,”পাগল!” আহামরি চেহারা না নিঝুমের, মডার্নও না, বরং একটু ব্যাকডেটেডই বলা চলে নিঝুমকে। সুতরাং তার কোন স্তাবক থাকার প্রশ্নই উঠে না। এতে ওর কিছু যায় আসেও না। তার কথা, প্রেম মানুষে করেনা। নিবিড়ের উপর যতই মেয়ে ফিদা হোক না কেন, নিঝুম কিন্তু ফিদা হওয়ার মতো কিছু দেখতে পায়না কখনও। আসলে জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই যে মুখ দেখে আসছে, সে মুখে অচেনা কিছু দেখা সম্ভব ছিলনা নিঝুমের জন্য। নিবিড়কে নিয়ে তার একটাই আফসোস-“ইসসি রে! নিবিড় টা আমার থেকে লম্বা হয়ে গেল ধুর!!!”
“একটা থাপ্পড় খাবি ফাজিল!!”, চেঁচিয়ে উঠে নিঝুম। সাথে সাথে অবশ্য নিবিড়ের উত্তরটাও পেয়ে যায়,”তোর একারই হাত আছে, তাই না?” এরপর মারামারি, আর আরও আরও ঝগড়া। ঝগড়া করতে করতে দুজন ভুলেই যায় যে আসলে ঝগড়াটা কী নিয়ে শুরু হয়েছিল। কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায় ভিন্ন দৃশ্য। কার কী একটা কথায় হাসির ফোয়ারা ছুটেছে একটু আগের ঝগড়া রত দুই কিশোরকিশোরীর মাঝে। হ্যাঁ, ওরা এরকমই। নিবিড় আর নিঝুম। এই ঝগড়া, এই ভাব, এই রোদ, এই বৃষ্টি। এদেরকেই হয়তো bestfriend বলা চলে। সেদিন বাড়ি ফেরার সময় বের হয়ে গাড়ি খুঁজে না পেয়ে নিঝুমের মা হঠাৎ নিবিড়কে বলে বসেন,”বাবা যাও তো তোমার girlfriend এর সাথে যেয়ে গাড়িটা কই দেখো তো!” কথা শুনে দুজনেই হা। বলে কী মহিলা! এদিকে নিবিড়ের মাও হেসে দিয়েছেন এই কথা শুনে। কিন্তু যাদের নিয়ে এই রসিকতা, তাদের কারো চেহারাতেই খুশির ছাপ দেখা গেল না। বরং আবার একচোট ঝগড়া হয়ে গেল এই নিয়ে।
নিবিড়-“ওই তুই আমার girlfriend হইলি কবে?? তুই আমার girlfriend না।”
নিঝুমও সমান তেজে উত্তর দেয়-“এহ আমার বয়ে গেছে তোর girlfriend হতে!”
ভাগ্যক্রমে তখনই গাড়িটা পেয়ে যায় ওরা। মারামারিটা তখনকার মতো স্থগিত থাকে। যে যার বাসায় চলে যায় মায়ের সাথে।
নিঝুম আর নিবিড়। সেই ছোট্টবেলা, মানে নার্সারিতে পড়ার সময় থেকেই বন্ধু। বন্ধু না বলে শত্রু বলাই হয়তো ভালো, কারণ এত ঝগড়া আর মারামারি শত্রুরাও করে কিনা সন্দেহ। তারপরও ওরা কিন্তু বন্ধু!! ছোটবেলায় একই স্কুলে পড়ার সুবাদে দুজনের মধ্যে একটা “বন্ধুত্ব” গড়ে উঠে তাদের মায়েদের কল্যাণে। মাঝে স্কুল বদলের কারণে নিবিড় আর নিঝুমের যোগাযোগে ভাটা পড়লেও মায়েদের সম্পর্ক অটুট ছিল। তারপর নিবিড়ের বাবা হঠাৎ করে মারা যাওয়ার পর যোগাযোগটা আবার বেড়ে যায় দুজনের, কারণ দুই বাড়ির মানুষদের যাওয়া আসা বেড়ে যায়। উপরোক্ত কথোপকথনটি ওদের সেই আবার বন্ধুত্বের সময়ের।
ছোটবেলায় সাইকেল চালানর কারণে নিঝুম নিবিড়ের থেকে একটু লম্বা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন নিবিড়ই বেশ লম্বা। তবে নিঝুম সে যে লম্বা ছিল এটা শুনাতে ছাড়ে না যখনই নিবিড় ওকে খাটো বলে খেপায়। বেশ দেখতে নিবিড়। অন্তত অন্য মেয়েদের চোখে তো বটেই। চশমার ওপাশে চোখ দুটো বড় কাছে টানে। অনেক মেয়ে আবার তার উপর ফিদাও! ভদ্র ছেলে বলে সুনাম আছে নিবিড়ের। নিঝুম আবার ঠিক উলটো। ভালো দেখানর ধারেকাহেও নেই। তবে খুব সেনসিটিভ নিঝুম। খুব অল্পেই যেমন রেগে যায়, তেমনি খুব অল্পতেই অসম্ভব খুশি হয়ে যায়। নিঝুমের রাগ মানে চুপ হয়ে যাওয়া, খুব রাগ হলে সে চুপ হয়ে যায়, যার উপর রাগ তার সাথে কথা বলেনা। আর যতসব অদ্ভুত খেয়ালের সমাহার নিঝুম। বন্ধুদের মতে,”পাগল!” আহামরি চেহারা না নিঝুমের, মডার্নও না, বরং একটু ব্যাকডেটেডই বলা চলে নিঝুমকে। সুতরাং তার কোন স্তাবক থাকার প্রশ্নই উঠে না। এতে ওর কিছু যায় আসেও না। তার কথা, প্রেম মানুষে করেনা। নিবিড়ের উপর যতই মেয়ে ফিদা হোক না কেন, নিঝুম কিন্তু ফিদা হওয়ার মতো কিছু দেখতে পায়না কখনও। আসলে জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই যে মুখ দেখে আসছে, সে মুখে অচেনা কিছু দেখা সম্ভব ছিলনা নিঝুমের জন্য। নিবিড়কে নিয়ে তার একটাই আফসোস-“ইসসি রে! নিবিড় টা আমার থেকে লম্বা হয়ে গেল ধুর!!!”