18-06-2021, 12:55 PM
সাথী উঠে দাঁড়ালো। বললো, ঠিকই বলেছো, যা মানুষ অভ্যস্থ হয়ে যায়, তা আর ভালো লাগে না। তাহলে এই কথাই রইলো, তুমি আমাকে সমুদ্র দেখাতে নিয়ে যাবে।
এই বলে, বিদায় জানিয়ে সাথী তার নিজের পথেই এগুতে থাকলো। আর আমি এগুতে থাকলাম জেলে পাড়ার দিকে।
সাথী সত্যিই চমৎকার একটি মেয়ে। গায়ের রং খুবই ফর্সা। ভদ্র চেহারা, গাল দুটি চাপা, ঠোটগুলো চৌকু। দাঁতে গেঁজ আছে, হলকা।
আমার চোখের সামনে ভেসে উঠতে থাকতে ছোট খালার চেহারাটাই। সেবার মামার বাড়ীতে প্রথম গিয়েছিলাম। ছোট খালাকে কখনোই দেখিনি। সেবারই প্রথম দেখেছিলাম। আমার ঠিক সময় বয়েসী। সাথীর গাল দুটি যদি আরো একটু ফুলা ফুলা হতো, তাহলে বোধ হয় ছোট খালার মতোই লাগতো। সাথীর গেঁজো দাঁত দুটি যদি আরো গভীরে থাকতো, তাহলে বোধ হয় ছোট খালার মতোই লাগতো। সাথীর নীচ ঠোটটা যদি আরো একটু ফুলা হতো, তাহলে বোধ হয় ছোট খালার মতোই লাগতো। সাথী যদি আরো একটু খাট হতো, তাহলে বোধ হয় ছোট খালার মতোই লাগতো। সাথীর স্বাস্থ্যটা যদি আরো একটু মোটা থাকতো, তাহলে বোধ হয় ছোট খালার মতোই লাগতো!
এসব আমি কি ভাবছি? আমি এই জীবনে সবচেয়ে বেশী কাকে ভালোবেসেছি? ছোট খালাকে? কেনো? বার বার শুধু ছোট খালার চেহারাটাই চোখের সামনে ভেসে আসে কেনো?
জেলে পাড়ায় দেখা সেই মেয়েটি কি ছোট খালার চেয়েও সুন্দরী? অথবা সাথীর চাইতেও? গতকাল তো সাথীকেই প্রথম দেখে মনটা উদাস হয়ে গিয়েছিলো। সাথীকে দেখার পর থেকেই, সাথীর গেঁজো দাঁতের হাসি দেখার পর থেকেই ছোট খালার কথা বার বার মনে পরছিলো। অথচ, সেই সাথী খুব আগ্রহ করেই আমার সাথে কথা বলতে চাইলো, কিন্তু আমি পাত্তাই দিলাম না। শুধু মাত্র একটা জেলে পাড়ার মেয়ের মোহে। কি ছিলো মেয়েটার মাঝে? রোদে পুড়া তামাটে বর্ণের দেহ। গেঁজো দাঁত। তার চাইতে আমার ছোট খালা অনেক অনেক সুন্দরী! তার ঠোট দাঁত পাগল করার মতো। আমি বিড় বিড় করলাম, ছোট খালা, কেমন আছো? তোমাকে আমি ভুলতে পারিনা।
আমার চোখের সামনে ভেসে এলো ছোট খালার এক বিষন্ন চেহারা। ছোট খালা বলছে, খোকা, আর কদিন পরই মা হবো। ডাক্তার বলেছে একটি কন্যা সন্তান হবে। কি নাম রাখবো ভাবছি। নদী। কেনো যেনো মনে হয়, সেবার তোমার সাথে নদীর ধারে যেতেই খুব উদাস হয়ে গিয়েছিলাম। নদী সত্যিই মনকে খুব উদাস করে তুলে। আচ্ছা, নদীর সঠিক পরিচয় কি? নদীর মাও আমি, নদীর বাবাও আমি। ওসমান আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমার সাথে থাকবেই বা কেনো? মাত্র ক্লাশ নাইনে পড়ে। ওরও তো বাবা মা আছে, সুন্দর ভবিষ্যৎ আছে। পালিয়ে পালিয়ে আর কত দিন থাকা যায়। শেষ পর্য্যন্ত ওসমানদের বাড়ী গিয়েছিলাম। আমাদের ভালোবাসার কথা জানিয়েছিলাম, ওসমান এর মা বাবার কাছে। ওসমান এর মা আমাকে মেনে নিতে পারলো না। খুব গালাগাল করেছিলো। কুৎসিত গালাগাল। আমি ওসব তোমাকে বলতে পারবো না। ওসব গালাগাল আমার সহ্য হয়নি। তা ছাড়া ওসমান এরই বা কি দোষ? সে তো আমাকে শুধু ভালোবাসতো। আমার ভালোবাসা তো কখনো পায়নি। বাধ্য হয়ে বাড়ী ফিরে এসেছি।
ভেবেছিলাম, ভাইয়া ভাবী খুবই রাগ করবে। আশ্চর্য্য, কেউ রাগ করেনি। বরং ভাইয়া ভাবী অধিকার আদায় এর জন্যেই ওসমানদের বাড়ী গিয়েছিলো।
এই বলে, বিদায় জানিয়ে সাথী তার নিজের পথেই এগুতে থাকলো। আর আমি এগুতে থাকলাম জেলে পাড়ার দিকে।
সাথী সত্যিই চমৎকার একটি মেয়ে। গায়ের রং খুবই ফর্সা। ভদ্র চেহারা, গাল দুটি চাপা, ঠোটগুলো চৌকু। দাঁতে গেঁজ আছে, হলকা।
আমার চোখের সামনে ভেসে উঠতে থাকতে ছোট খালার চেহারাটাই। সেবার মামার বাড়ীতে প্রথম গিয়েছিলাম। ছোট খালাকে কখনোই দেখিনি। সেবারই প্রথম দেখেছিলাম। আমার ঠিক সময় বয়েসী। সাথীর গাল দুটি যদি আরো একটু ফুলা ফুলা হতো, তাহলে বোধ হয় ছোট খালার মতোই লাগতো। সাথীর গেঁজো দাঁত দুটি যদি আরো গভীরে থাকতো, তাহলে বোধ হয় ছোট খালার মতোই লাগতো। সাথীর নীচ ঠোটটা যদি আরো একটু ফুলা হতো, তাহলে বোধ হয় ছোট খালার মতোই লাগতো। সাথী যদি আরো একটু খাট হতো, তাহলে বোধ হয় ছোট খালার মতোই লাগতো। সাথীর স্বাস্থ্যটা যদি আরো একটু মোটা থাকতো, তাহলে বোধ হয় ছোট খালার মতোই লাগতো!
এসব আমি কি ভাবছি? আমি এই জীবনে সবচেয়ে বেশী কাকে ভালোবেসেছি? ছোট খালাকে? কেনো? বার বার শুধু ছোট খালার চেহারাটাই চোখের সামনে ভেসে আসে কেনো?
জেলে পাড়ায় দেখা সেই মেয়েটি কি ছোট খালার চেয়েও সুন্দরী? অথবা সাথীর চাইতেও? গতকাল তো সাথীকেই প্রথম দেখে মনটা উদাস হয়ে গিয়েছিলো। সাথীকে দেখার পর থেকেই, সাথীর গেঁজো দাঁতের হাসি দেখার পর থেকেই ছোট খালার কথা বার বার মনে পরছিলো। অথচ, সেই সাথী খুব আগ্রহ করেই আমার সাথে কথা বলতে চাইলো, কিন্তু আমি পাত্তাই দিলাম না। শুধু মাত্র একটা জেলে পাড়ার মেয়ের মোহে। কি ছিলো মেয়েটার মাঝে? রোদে পুড়া তামাটে বর্ণের দেহ। গেঁজো দাঁত। তার চাইতে আমার ছোট খালা অনেক অনেক সুন্দরী! তার ঠোট দাঁত পাগল করার মতো। আমি বিড় বিড় করলাম, ছোট খালা, কেমন আছো? তোমাকে আমি ভুলতে পারিনা।
আমার চোখের সামনে ভেসে এলো ছোট খালার এক বিষন্ন চেহারা। ছোট খালা বলছে, খোকা, আর কদিন পরই মা হবো। ডাক্তার বলেছে একটি কন্যা সন্তান হবে। কি নাম রাখবো ভাবছি। নদী। কেনো যেনো মনে হয়, সেবার তোমার সাথে নদীর ধারে যেতেই খুব উদাস হয়ে গিয়েছিলাম। নদী সত্যিই মনকে খুব উদাস করে তুলে। আচ্ছা, নদীর সঠিক পরিচয় কি? নদীর মাও আমি, নদীর বাবাও আমি। ওসমান আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমার সাথে থাকবেই বা কেনো? মাত্র ক্লাশ নাইনে পড়ে। ওরও তো বাবা মা আছে, সুন্দর ভবিষ্যৎ আছে। পালিয়ে পালিয়ে আর কত দিন থাকা যায়। শেষ পর্য্যন্ত ওসমানদের বাড়ী গিয়েছিলাম। আমাদের ভালোবাসার কথা জানিয়েছিলাম, ওসমান এর মা বাবার কাছে। ওসমান এর মা আমাকে মেনে নিতে পারলো না। খুব গালাগাল করেছিলো। কুৎসিত গালাগাল। আমি ওসব তোমাকে বলতে পারবো না। ওসব গালাগাল আমার সহ্য হয়নি। তা ছাড়া ওসমান এরই বা কি দোষ? সে তো আমাকে শুধু ভালোবাসতো। আমার ভালোবাসা তো কখনো পায়নি। বাধ্য হয়ে বাড়ী ফিরে এসেছি।
ভেবেছিলাম, ভাইয়া ভাবী খুবই রাগ করবে। আশ্চর্য্য, কেউ রাগ করেনি। বরং ভাইয়া ভাবী অধিকার আদায় এর জন্যেই ওসমানদের বাড়ী গিয়েছিলো।